অনলাইন ডেস্ক ;রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার পর বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে। আজই এশিয়ার বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৬ ডলারের ওপরে উঠেছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে হামলার জেরে মস্কোকে চাপে ফেলার অংশ হিসেবে গত শুক্রবার রাশিয়ার জ্বালানি তেলের দাম বেঁধে দিতে সম্মত হয় জি-৭ ও তার মিত্র দেশগুলো। সমঝোতা অনুযায়ী, সমুদ্রপথে আমদানি করা রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারের বেশি দামে কেনা যাবে না। যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।
এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার সকালের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭২ সেন্টবা শূন্য দশমিক আট শতাংশ বেড়ে ৮৬ দশমিক ২৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৭০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক নয় শতাংশ বেড়ে ৮০ দশমিক ৬৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারকদের সংস্থার নাম হলো ওপেক। রাশিয়াসহ অন্যান্য মিত্রদের নিয়ে গঠিত হওয়ায় এটি হয়েছে ওপেক প্লাস। সংস্থাটি চলতি বছরের অক্টোবরে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদনের ঘোষণা দেয়। তারা এখনো এই নীতিতে অটল অর্থাৎ উৎপাদন বাড়াবে না।
এদিকে পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া তেলের দাম মানতে নারাজ রাশিয়া। শুধু তাই নয়, কীভাবে এর জবাব দেওয়া যায় তার বিকল্প খুঁজছে মস্কো। এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেনকে সতর্কও করেছে ক্রেমলিন।
ইউক্রেন যুদ্ধের রসদ যোগাতে সস্তায় তেল বিক্রি করছে রাশিয়া, এমন অভিযোগ পশ্চিমাদের। সেকারণে বেঁধে দেওয়া দরে এবার তেল কিনবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো।
ইইউ দেশগুলোর সরকার রাশিয়ার সমুদ্রজাত জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর)। গত শুক্রবার জি-৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়।
তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার পদক্ষেপ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, এতে রাশিয়ার আয় কমে যাবে। দেশটি অচিরেই বড় ধাক্কা খাবে।
তবে পদক্ষেপটি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে ইউক্রেন। তারা একে একটি ‘দুর্বল’ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে। তারা আরও জোরালো ব্যবস্থার দাবি জানায়।