Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল চুরান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৫৭জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ৬ষ্ঠ ধাপের প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপুর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শহিদুল ইসলাম শালু (কাপ পিরিচ) প্রতীকে  বিজয়ী হয়েছেন। ৮ মে বুধবার সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়। চেয়ারম্যান পদে মোট ৮ জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করেন। ভোট গ্রহনে নিরাপত্তা বাহিনী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ বাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ভিডিবি ও গ্রাম পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগন। 

বিকাল ৪টার পর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল আসতে শুরু হয়। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার এমদদুল হকের বে-সরকারি ভাবে নির্বাচনি ফলাফল ঘোষনা করেন। এতে (কাপ পিরিচ) প্রতীক নিয়ে শহিদুল ইসলাম শালু ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদন্দি (টেলিফোন) প্রতীকে মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদা আক্তার সৃতি, হাস প্রতিকে বিজয়, তার প্রতিদন্দদ্ধী আয়শা সিদ্দিকা পরাজয় হয়। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান সামসুল দোহা,বিজয়ী,তার পতিদ্বন্ধী প্রার্থী মোজাফর হোসেন (মাইক) প্রতীকে পরাজয় হয়।

রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বেসরকারিভাবে জয় পরাজয় ঘোষনা দেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমদাদুল হক ।


আরও খবর



রোববার খুলছে স্কুল-কলেজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্কুল-কলেজ আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে খুলছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও চলবে শ্রেণি কার্যক্রম এবং তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। একইসঙ্গে শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিয়ে না করানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

প্রজ্ঞাপনে চারটি সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

২. তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৩. শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

৪. তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

প্রসঙ্গত, পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। তবে ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ঈদের ছুটি শেষে আরও এক সপ্তাহ বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরও খবর



যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল মন্তব্য করেছেন, উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধানসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। এই ধাপে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল, নিষ্পত্তি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।


আরও খবর



নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৩০জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আবুল হাসান (২৫) নামে এক আরবী শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের আরবী শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে আরবী পড়তে যান একই গ্রামের ভুক্তভোগী ৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। ওইদিন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে দেরী করায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়ে সবাইকে আরবী পড়াতে শুরু করেন আবুল হোসেন। পড়া শেষে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল হক। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা এমন জঘন্য ন্যাক্কার অসামাজিক ঘটনা ঘটানোর আগে অন্তত হাজার বার ভাববে।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষক আবুল হাসান ন্যায় বিচার পাননি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


আরও খবর



যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতিদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-৫

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতিদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছে।শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কারাগারের নিউ জেলে এঘটনা ঘটে। এসময় সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে দু’কাররক্ষী সামান্য আহত হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারা অভ্যন্তরে হুইসেল বাজিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা কারা উপমহাপরিদর্শক অসীম কান্ত পাল। জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টা যশোর কেন্দ্রীয় কারা অভ্যন্তরের নিউজেল এলাকার সামনে যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব ও আরেক সন্ত্রাসী সম্রাটের মধ্যে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় দু’গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। শেষ মেষ তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সঙ্গে সঙ্গে হুইসেল বাজানো হয়। পরবর্তীতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার ও জেলার শরিফুল আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে খুলনা কারা উপমহাপরিদর্শক অসীম কান্ত পাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে, কারাগারের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দু’কারারক্ষী জখম হয়েছেন। তাদেরকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আহত হাজতিদেরও সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক কারাকর্তৃপক্ষ জড়িত সাত-আটজনকে চিহ্নিত করেছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে পৃথক স্থানে রাখা হয়েছে। তাদের সাথে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দু’কারারক্ষী ও ৬-৭ জন হাজতি কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা আশঙ্কামুক্ত ও সুস্থ রয়েছেন।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, ঘটনাটি সামান্য। তবে, আকস্মিকভাবে তাদের একজন কারারক্ষী অ্যালার্ট হুইসেল বাজিয়ে ফেলেন। এতে করে বিষয়টি বড় আকারে রূপ নেয়। তিনি বলেন, মূলত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে শহরের দাগী কয়েকজন সন্ত্রাসী রয়েছে। তাদের মধ্যে ভাইপো রাকিব অন্যতম। এদের দু’টি গ্রুপের সদস্যদের বাইরেই কোন্দল ছিল। যা কারাগারের ভেতরে ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করেছে। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, কারারক্ষীদের উপর হামলা চালানো হয়নি। মূলত তাড়াহুড়ো করে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।


আরও খবর



নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেচ মটরে সংযোগ তোপের মুখে ডিজিএম!! মাসিক সভায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অধিক টাকার বিনিময়ে সেচ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জহুরুল ইসলাম। নিষেধ থাকার পরও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কারনে উপজেলা মাসিক সাধারণ সভায় তোপের মুখে পড়তে হয় ডিজিএমকে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে সাধারণ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান। 

ইউএনও পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে বলেন মার্চ মাসের সভায় সিদ্ধান্ত হয় নতুন ভাবে কোন সেচ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবেনা। কিন্তু আপনি সেই নিষেধ অমান্য করে কেন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন জানতে চাইলে ডিজিএম কোন সদ উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গিয়ে বলেন বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রত্যায়ন দিয়েছেন বলেই সংযোগ দেয়া হয়েছে। ডিজিএমের এমন কথায় ইউএনও বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করার কোন সুযোগ নেই। আপনি ক্ষমতা প্রয়োগ করে সংযোগ দিয়েছেন। আপনি সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে কিসের ভিত্তিতে সংযোগ দিলেন সেটা সভায় পরিস্কার করে বলেন, তানাহলে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইউএনওর এমন কথায় কোন জবাব দেননি ডিজিএম। ইউএনও বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চান সংযোগ দেয়ার ব্যাপারে আপনি অবহিত কিনা, তিনি জানান আমি কিছুই জানিনা। এসব নিয়ে আমার দপ্তরেও অভিযোগ আসছে। ইউএনও উপজেলা চেয়ারম্যান কে এবিষয়ে বলার জন্য অনুরোধ করেন। চেয়ারম্যান বলেন, গভীর বা অভীর নলকূপের স্কীমের এরিয়ায় সংযোগ দেয়া সঠিক না। আপনারা বিভিন্ন খামারের নামে বানিজ্যিক সংযোগ দিয়েছেন সেই সংযোগ নিয়ে সেচ দিচ্ছে। বানিজ্যিক সংযোগ কতট আছে, অনুমোদিত কতটা এবং আবাসিক সংযোগ থেকে সেচ দেয়া হয় সব মিলে কত সংযোগ আছে ডিজিএমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এমুহূর্তে এতথ্য দেয়া অসম্ভব। পুনরায় ইউএনও ডিজিএমকে বলেন আগামী সভায় এসব সংখ্যার হিসেব দিবেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম, কলমা ইউপির চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী, পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁন, তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু, টিএইচও বার্নাবাস হাসদাক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: ওয়াজেদ মিয়া, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরা বেগম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এম ফজলুর রহমান, তানোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আরব আলী, কামারগাঁ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন প্রামানিক প্রমুখ। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ভূগর্ভের পানি দিনের দিন তলিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভের পানি রক্ষার জন্য বিগত ২০১৩-১৪ সালের দিকে কৃষি মন্ত্রণালয় সেচ পাম্প বসানো নিষিদ্ধ করে দেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের একশ্রেণী অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপজেলা জুড়ে খামার ও বাগানের নামে শতশত সেচ মটরে সংযোগ দিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে ইউএনও হিসেবে যোগদেন বেলাল হোসেন। তিনি অতিগোপনে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রায় ৫০ টির মত সেচ মটর বা ( STW) এর অনুমতি দেন। বিষয়টি প্রকাশ পেলে ভূগর্ভের পানি রক্ষার জন্য স্থানীয় সংসদ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে নিষেধ করেন কর্তৃপক্ষকে। সংসদের নির্দেশ ও উপজেলা মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পল্লী বিদ্যুৎ তানোর জোন সংযোগ দিতেই আছেন।
নাম প্রকাশে না করে বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, সংসদের কথা অমান্য এবং সভার সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করে কোন ক্ষমতা বলে সংযোগ দিলেন ডিজিএম। যারা এসবের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আর উপজেলায় যে পরিমান জমি আছে সে অনুযায়ী গভীর অগভীর পাম্প আছে। বরং গভীর নলকূপ গুলো রিবোরিং করলে কোন সেচ সংকট হবেনা। নতুন ভাবে সেচ মটর দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এসব নিয়ে মোটা বানিজ্য হয়েছে বলেই সব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। 

ডিজিএম জহুরুল বলেন, আমি ৫১ অনুমোদিত মটরের চিঠি পেয়েছে। কে কি বললো সেটা কোন বিষয় না, আমি আইনগত ভাবে সঠিক আছি।

আরও খবর