Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস

টাঙ্গাইলের মধুপুরে শান্তিপূর্ণ ভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পূর্ণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৩২জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর প্রতিনিধিঃহাজারো জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অত্যান্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে শেষ হলো ১ম ধাপে মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।মধুপুরের লালমাটির অঞ্চলের মানুষ প্রায় দীর্ঘ ৩৪ বছর পর ২য় বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান পেলেন।৯০ দশকে বৃহত্তর মধুপুর ধনবাড়ী নিয়ে গঠিত উপজেলায় পাহাড়ি অঞ্চলের সরকার পরিবার থেকে  প্রথমবারের মতো  আব্দুল বাছিদ সরকার মোমবাতি প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় লাভ করেন।

হিন্দু, বোদ্ধ, খৃষ্টান আদিবাসী মিলে রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে এক কাতারে সবাই চলে আসেন আব্দুল বাছিদ সরকার কে বিজয়ী করতে।এবারেও উপজেলা নির্বাচনে জাতী ধর্ম, দলমত ভুলে সবাই একজন মানুষ গড়ার কারিগর এডভোকেট ইয়াকুব আলীকে বেছে নিয়েছেন। এ নির্বাচনে হাজারো ভিন্ন মতের মানুষ রয়েছেন যারা নির্বাচন করেছেন অন্যের কিন্তু বাড়ি পরিজনের ভোটটি দিয়েছেন ইয়াকুব আলীকে। তিনি একজন সৎ সাদা মনের মানুষ বলেই সর্বস্তরের ৭৩৩২৮ জন ভোটার ব্যালটের মাধ্যমে তার প্রমান দেখিয়েছে। 

এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ২১৮ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের একজন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৭ হাজার ৪১৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৮ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ছিলো ৯০টি এবং ভোটকক্ষ ৬০৪টি।নির্বাচনের পরিবেশ অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নিয়োজিত ছিলো  সাত প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন র‍্যাব, প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ।

১৫ জন আনসার সদস্য এবং একজন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন।নির্বাচন পরিদর্শনে আসেন, টাঙ্গাইল জেলা সহকারী পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। তার দিকনির্দেশনায় মধুপুর সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি ও থানা ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান   তাঁর চৌকস পুলিশ অফিসারদের নিয়ে   মধুপুর উপজেলাকে  নিরাপত্তার চাদরের প্রাচীর তৈরি করেন। যেকারণে  কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।এখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে এডভোকেট ইয়াকুব আলী ৭৩৩২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ৪৪৪১৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন মো. সজীব এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ৭২৯৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নিগার সুলতানা রুবি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় এ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হওয়ায় দেশে  আবারও নতুন করে ভোটের পরিবেশ খোঁজে পেয়েছে সর্বস্তরের জনগণ। প্রতিহিংসা, আক্রোশ, বিভেদ ভুলে নতুন এই উপজেলা চেয়ারম্যান হোক সকল মানুষের, প্রতিটি নাগরিকের এমন প্রত্যাশা সকলের।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মা দিবসে ইবি সিআরসির ব্যতিক্রমী আয়োজন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪৮জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান,ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাম ফর রোড চাইল্ড (সি আর সি) এর উদ্যোগে মা দিবস উপলক্ষ্যে ১০ জন হত দরিদ্র মাকে শাড়ি এবং সামান্য কিছু উপহার প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (১২ মে) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্ত্বর এলাকায় এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সংগঠনটির সভাপতি মোঃ শাহীদ কাওসারের সভাপতিত্বে এবং সাইফুন্নাহার প্রেমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোভার স্কাউট গ্রুপের ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি মুসা হাশেমী। 

এছাড়া এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক রাবেয়া খাতুন এবং ঐক্যমঞ্চের সদস্য সচিব এস এইচ এ ওয়ালীউল্লাহ, তারুণ্যের সভাপতি মারুফ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক রিফাত মাশরাফি প্রত্যয়। 

আরও উপস্থিত ছিল কাম ফর রোড চাইল্ড সংগঠনের সাবেক সভাপতি রনি শাহা, সহ সভাপতি এস এম সৌরভ, হাসিবুর রহমান, স্কুল পরিচালক মশিউর রহমান, প্রচার সম্পাদক সাইফুল, জেরিন আক্তার উর্মি,  উপ তথ্য-যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রেখা খাতুন, , দপ্তর সম্পাদক মুরছালিন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ফারিহা আখি, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক  মিতা খাতুন,আনোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রমজান আলিসহ সি আর সি সংগঠনের অর্ধশত সদস্যবৃন্দ। 

জানা যায়, ক্যাস্পাসের আশেপাশে থাকা কিছু অতি দরিদ্র বৃদ্ধা মায়েদের নিয়ে মা দিবসে যেখানে  অনলাইনে পোস্টের ছড়াছড়ি সেই সময়ে মায়েদের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত সংগঠনটি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি মুসা হাশেমী বলেন, 'দিবসটিকে যখন গতানুগতিক ধারায় পালন করে  সবাই । সেখানে এমন ব্যতিক্রম আয়োজনে প্রশংসার দাবি রাখে।' 

ঐক্যমঞ্চের সদস্য সচিব এস এইচ এ ওয়ালীউল্লাহ বলেন, 'আমাদের  নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিত। এর মাধ্যমে নিজদের নৈতিকতা জাগ্রত হলে কোনো একদিনকে  ঘিরে মায়েদের পাশে দাড়ানোর প্রয়োজন পরবে না। প্রতিদিন মায়েদের পাশে দাড়াতে পারবো।'

সার্বিক বিষয়ে সিআরসির সভাপতি মোঃ শাহীদ কাওসার বলেন, 'প্রতিবছর মা দিবসে সবাই নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করেন। তবে এসব হত দরিদ্র মায়েরা সেই মা দিবসের দিনেও বিভিন্ন বিষয়ে বঞ্চিত থাকেন। আমরা সেই মায়েদের মাঝে ভালোবাসা ভাগাভাগি করতে আজ খাবার, বস্ত্র, ঔষধ ও সময় দিয়ে  এই দিবসটি  উদযাপন করছি। আমরা এখানে যারা উপস্থিত আছি মা দিবসের প্রত্যাশা আমাদের এটাই হোক, অন্তত আমাদের আশপাশের কোন মা যেন অবহেলিত ভাবে দিন না কাটায়।'

প্রসঙ্গত, এসময় মায়েদের নিয়ে খাবার খাওয়া ও উক্ত মায়েদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

উল্লেখ্য, ‘থেকে একসাথে যুক্ত, করবো পৃথিবী পথশিশু মুক্ত’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৬ সাল থেকে ইবিতে সিআরসি’র কার্যক্রম শুরু হয়। পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নানা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে সংগঠনটি।

আরও খবর



তানোরে সেচ অরাজকতা ও প্রচন্ড তাপমাত্রায় কমেছে ধানের ফলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে কৃষি ভান্ডার খ্যাত, খরা প্রবন এলাকা রাজশাহীর তানোর উপজেলাটি। এবারে চলতি বোরো মৌসুমে গভীর অগভীর নলকূপের সেচ অরাজকতা এবং প্রচন্ড তাপমাত্রার কারনে বিঘায় ৬ থেকে ৭ মন করে ধানের ফলন কমেছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। গত মৌসুমে বিঘায় যদি ২৬ মন ফলন হয়েছে,  এবার কমে প্রকার ভেদে ১৮ থেকে ২০ মন করে ফলন হয়েছে। অথচ গত মৌসুমেের চেয়ে এবারে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে প্রতি বিঘায়। অতিরিক্ত সেচ, সার কীটনাশকের বাড়তি দাম এবং শ্রমিক সংকটের জন্য  উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রচুর পরিমানে। যাদের নিজস্ব জমি তাদের কোন রকমে খরচের টাকা উঠেছে, তবে যারা টেন্ডার নিয়ে  জমি চাষ করেছেন  তাদের বিঘায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হয়েছে।তানোর পৌর সদর এলাকার কৃষক সাহেব আলী বলেন বিল কুমারী বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়ে সেচ না পাওয়া এবং তীব্র তাপদহের কারনে বিঘায় ৬ থেকে -৭ মন ধান কম ফলন হয়েছে। গত মৌসুমে ৬ বিঘায় রোপন করে বিঘায় ৩০ থেকে- ৩২ মন করে ফলন হয়েছিল।  এবার বিঘায়  ২৪-২৫ মন করে ফলন হয়েছে। তিনি আরো বলেন শাওন বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করে তারও একই অবস্থা। আব্দুস সালাম সাড়ে তিন বিঘা জমিতে রোপন করে ফলন কম পেয়েছে । প্রতি বিঘায়  রোপন থেকে মাড়ায় পর্যন্ত ১৯ হাজার টাকা  থেকে ২০ হাজার টাকা  আবার যাদের জমি দূরে তাদের ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। কোন রকমে উৎপাদন খরচ উঠে আসছে।তানোর পৌর সদর এলাকায় সাড়ে ২৮ কেজিতে এক মন হিসেব ধরা হয়। আর পৌর এলাকার বাহিরে ৩৮ কেজিতে এক মন হিসাবে সবকিছু হয়।সাহেব জানান, গত সপ্তাহে এক মন ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে। গত দুদিন ধরে কমে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘায় ২২ মন ফলন হলে ৯০০ টাকা মন ধরা হলে ১৯ হাজার  ৮০০ টাকা আসে। আবার যাদের বিঘায় উর্ধ্বে ২৫ ফলন হয়েছে ৯০০ টাকা মনে ২২ হাজার ৫০০ টাকা আসে।

কৃষক মফিজ জানান, ধান কাটার সময় তীব্র তাপমাত্রার সাথে ছিল প্রচন্ড খরতাপ। কোনভাবেই জমিতে টিকে থাকা যেত না। খাবার স্যালাইন পানি খেয়ে কোন কাজ হত না। কিন্তু জমিতে পাকা ধান কাটতেই হবে। এত কষ্ট করার পর যদি দিনের দিন সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমে যায় তাহলে কৃষকরা যাবে কোথায়। মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারনে ধানের দাম কমছে। অথচ প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। তাহলে যে কৃষক ফসল উৎপাদন করে দেশকে খাদ্যে ভরপুর করছে সেই কৃষকদের সাথে কেন এমন প্রতারনা করা হচ্ছে। কার ইশারায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। একদিকে সেচের অভাবে কমেছে ফলন অন্যদিকে দিনের দিন কমতেই আছে ধানের দাম। আর কৃষি দপ্তর ঠান্ডা রুমে বসে রিপোর্ট দিচ্ছেন। যত মরন পা ফাটা কৃষকের। কৃষকের কথা কেউ ভাবেনা। তাহলে সেচ পানি সার কীটনাশক নিয়ে ইচ্ছে মত সিন্ডিকেট হত না।তবে কৃষি অফিসের এমন কাল্পনিক তথ্য মানতে নারাজ কৃষক রা। কারন উপজেলায় দুভাগে মনের হিসাব চলমান। ৩৮ কেজিতে একমন আবার সাড়ে ২৮ কেজি তে একমন হিসেবে ফলন কেনা বেচা হয়ে থাকে। আর কৃষি অফিস ৪০ কেজিতে এক মনের হিসাব করে থাকে। সুতরাং স্থানীয় হিসেবের সাথে কৃষি অফিসের হিসেবে অনেক ফারাক দেখছেন কৃষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক ব্যক্তি জানান এবার সেচ এবং প্রচন্ড খরতাপ, অতিরিক্ত তাপদহের কারনে বিঘায় ফলন কম হয়েছে এমন হিসেব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত মৌসুমের হিসেব বলবত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,  এবারে উপজেলায় ১৪ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এপর্যন্ত  ৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ফলন ধরা হয়েছে বিঘায় হাইব্রিড সাড়ে ২৬ মন এবং উপশী বিঘায় ২৩ মন করে।স্বর্ন প্রদক প্রাপ্ত আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে ব্যাপক অরাজকতা চলে। সময় মত সেচ দিতে চায় না। আবার অতিরিক্ত সেচ হার। আবার ছিল রেকর্ড পরিমাণ  তাপমাত্রা একারনে ফলন কম হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর



মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান ইউএনও: ডেজী চক্রবর্তী

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৬জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে একই পরিবারের ৪ জনসহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের দেখতে মাটিরাঙ্গায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে ছুটে যান মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।

রোববার (১৯ মে) বিকালের দিকে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের জুম্মাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেন।

আহতরা হলেন, আনছর আলীর স্ত্রী সরবানু বেগম (৫০), আনছর আলীর ছেলে শরাফত আলী (৩২) ও মো. আনিসুল হক (৩৫), আনিসুল হকের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩০) ও প্রতিবেশী আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মোস্তফা (৩০)

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিকালের দিকে নিজেদের খামার বাড়িতে ধান সংগ্রহ করছিল তারা। এসময় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত সবাই খামার বাড়ির ঘরে আশ্রয় নেয়। এসময় বিকট শব্দে ঘরের উপর বজ্রপাত ঘটলে ঘরে আশ্রয় নেয়া লোকজন আহত হয়।

প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় আহতদের উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনিছুল হক ও মো. মোস্তফাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাহাদ।

এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বজ্রপাতে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। একইসাথে তাদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

আরও খবর



কুমিল্লায় বাস উল্টে নিহত ৫, আহত ১০

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (১৭ মে) সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের রসুলপুরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পাঁচজন নিহত হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন।

সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।

বিস্তারিত আসছে....


আরও খবর



ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারের যাত্রীদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।

সোমবার (২০ মে) পৃথক বার্তায় তারা শোক জানিয়েছেন।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি দেশটির নাগরিক ও প্রেসিডেন্টের স্বজনদের গভীর সমবেদনা জানান।

পৃথক এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাইসিকে একজন বড় মাপের নেতা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, তিনি সারাজীবন তার দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার কাজের উপকার ভোগ করছেন দেশটির নাগরিকরা।

তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ মে) কয়েকজন সহযোগীসহ আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের পাশাপাশি হেলিকপ্টারটিতে ইরানের আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাও ছিলেন।


আরও খবর