Logo
আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম
টাঙ্গাইলের মধুপুরে শান্তিপূর্ণ ভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পূর্ণ রূপগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (দোয়াত-কলম) পক্ষে গণসংযোগ ৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত তরুণদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে কার্ভড ডিসপ্লের সেরা স্মার্টফোন বিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা মাগুরায় রানা আমীর ওসমানের বিজয় মিছিলে সাকিব আল হাসান কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল চুরান্ত জয়পুরহাটে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন ধরে রাখতে চায় জাতীয় পার্টি পুনরুদ্ধারে মরিয়া আওয়ামী লীগ-জামায়াত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ৩২৪জন দেখেছেন

Image

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা), প্রতিনিধিঃভোটের দিনক্ষন গণনা শুরু হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ২৯'গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের রাজনীতির মাঠ বেশ সরগরম। ভোটের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির (জাপা) শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে নির্বাচনের সমীকরণ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি আর জামায়াতে ইসলামীর জ্যামিতিক ত্রিভুজে ঘুরপাক খাচ্ছে। জাপা চায় আসনটি নিজেদের দখলে ধরে রাখতে আর আওয়ামী লীগ-জামায়াত আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া।

এ আসনে ইতোমধ্যেই সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের ফিরিস্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। জয়ের আশা করছে জাতীয় পার্টিও। আন্দোলনে সক্রিয় হয়েও নির্বাচনের নীরব প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। নিজেদের একক প্রার্থী ঠিক করে ভোটের মাঠে রয়েছে জামায়াত। সবাইকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ভোটারদের দোয়া চেয়ে রং-বেরংয়ের ব্যানার ফেষ্টুন ছাপিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

জোটগত সমীকরণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলেও এবার কী হবে তার হিসেব হচ্ছে নানা দিক থেকে। ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে দাবী করে আগামী নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে জাতীয় পার্টি আশাবাদী হলেও এবার মাঠ ছাড়তে নারাজ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এ আসনে দলের একক প্রার্থী চান তারা। এদিকে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে গড়া দল জাতীয় পার্টি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় ধরনের চমক দেখাতে চায়। আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী জাপা চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের সম্প্রতি দলের জেলা সম্মেলনে জানান- ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দলটি। পাশাপাশি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ভাবনাও উড়িয়ে দিতে নারাজ জাতীয় পার্টি। অপরদিকে জামায়াত তাদের একক প্রার্থী নির্ধারণ করে ভোটের মাঠে তলে তলে নিজেদের গুছিয়ে নিতে ‘গ্রাউÐওয়ার্ক’ সেরে ফেলছেন। জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হিসিবে পরিচিত সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। দলের মজবুত সাংগঠনিক ভিত্তির উপর দাড়িয়ে এবার এ আসনটি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা দেখছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এছাড়া রাজপথের আন্দোলনে চ‚ড়ান্ত সফলতায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। সরকার পতনের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সক্রিয় দলটির নেতাকর্মীরা। তবে আপাতত তাদের মূল ভাবনায় আন্দোলন থাকলেও নির্বাচনের প্রস্তুতিও যে একেবারে নেই তা বলা যাবে না। এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো তৎপরতা না থাকলেও চলছে নির্বাচনি হোমওয়ার্ক। 

জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভা ও পনেরটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-১ সংসদীয় আসন। এখানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৪৬ জন। এই আসনে স্বাধীনতার পর থেকে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ছয়বার জাতীয় পার্টি, দুইবার আওয়ামী লীগ, , একবার ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) ও একবার জামায়াতে ইসলামী জয়লাভ করেছে। রাজনৈতিক কারণে বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে এখানে জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ আর জামায়াতের মধ্যেই ত্রিমূখী প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে বলে সাধারণ ভোটারদের ধারণা।

এ আসনে ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ শামসুল হক সরকার, ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় নির্বাচনে ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগের (আইডিএল) মোহাম্মদ রেজাউল আলম খন্দকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া হাফিজুর রহমান প্রামাণিক ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের (১৫ ফেব্রæয়ারি) ষষ্ঠ নির্বাচনে বিএনপির বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকারিয়া হোসেন খন্দকার এবং ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ওহায়েদুজ্জামান সরকার বাদসা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মাওলানা আব্দুল আজিজ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আব্দুল কাদের খান আসনটি পুনরুদ্ধার করে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একচল্লিশ বছর পর এ আসনটি পুনরুদ্ধার করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিহত হলে আসনটি শুন্য হয়। ২০১৭ সালের ২২ মার্চ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা আহমেদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গোলাম মোস্তফা আহমেদ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ পুনরায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বিজয়ী হন। সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জাপা নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা মোহসীন সরদারও মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। 

শামীম হায়দার পাটোয়ারী নির্বাচিত হয়ে সুন্দরগঞ্জে সুশাসন নিশ্চিত করতে পেরেছেন। চেষ্টা করেছেন সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করলেও করোনার কারণে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প ব্যাহত হয়েছে। নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন। এমনটাই বলছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকরা।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহ -সভাপতি সৈয়দা মাসুদা খাজা,

প্রয়াত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বোন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী এবং লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু, এছাড়াও সহসভাপতি উপাধ্যক্ষ আবদুল হান্নান,সহসভাপতি সৈয়দ মশিউর রাব্বানী আপেল, প্রচার সম্পাদক আখতারুজ্জামান আকন্দ শাকিল সহ আরো অনেকে  মনোনয়ন চাইতে পারেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে সুন্দরগঞ্জ। আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করে এলাকার উন্নয়নকে বেগবান করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই।

অন্যদিকে আন্দোলনে বিএনপির নজর থাকলেও প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচনেরও। মামলা আর গ্রেফতার আতঙ্ক কাটিয়ে স্থানীয় রাজনীতির মাঠে এখন সাংগঠনিক তৎপরতায় বিএনপি অনেকটাই সুসংগঠিত। রাজনীতির মাঠের বিপর্যয় কাটিয়ে নতুন কৌশল নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। বাস্তবতার নিরিখে পথ চলতে চান দলের নেতারা। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষিত না হলেও ভোটের মাঠে রয়েছেন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক মো. বাবুল আহমেদ, সদস্যসচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিক ও পৌর বিএনপি নেতা ইফতেখার হোসেন পপেল।

এছাড়া আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবি এবং জনসম্পৃক্ত নানা ইস্যুতে কর্মসূচি দিয়ে মাঠে শক্তি দেখাতে চাইছে। একই সঙ্গে নির্বাচনেরও প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যে এ আসনে তারা প্রার্থীও ঠিক করেছে। তবে আপাতত দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনেই থাকতে চায়। এ জন্য তারা নানা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির জেলা নেতারা।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দলটির গাইবান্ধা জেলা শাখার নায়েবে আমির ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান এর নাম শোনা যাচ্ছে।


আরও খবর



মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১৩০০ পিস ইয়াবা, ৬২ গ্রাম হেরোইন ও ২ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭টি মামলা করা হয়েছে।


আরও খবর

৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪




রাজশাহী পুঠিয়ায় এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
পুঠিয়া ( রাজশাহী)প্রতিনিধি:রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার  বানেশ্বর থান্দার  পাড়া এলাকায় বস্তা বন্দী এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। 

শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৪: ২০ঘটিকার সময় এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশটি ঘিরে রাখে। এ সময় পুলিশ সি আই ডিকে খবর দেয়। রাজশাহী থেকে  সিআইডি এসে লাশটির নমুনা সংগ্রহ 

পুলিশ ধারণা করছে, গত ৪/৫ দিন  আগে বেদেনা বেওয়া( ৬০) নামের এক নারী নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ ছিলো। পরে তার পরিবার রাজশাহীর পুঠিয়া থানা লিখিত অভিযোগ জানান। 
খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিলো না। গতকাল ঈদের দিন উক্ত বৃদ্ধ ছেলে রিপন আলী  (২৭) পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ করে। 

আজ বিকালে এলাকাবাসী বাড়ির পাশে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেয়। স্থানীয়রা বলছে, মৃতের মুখে কসটেপ মারা ছিলো। গলা কাটার চিহ্ন ছিলো।  তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। 
পুলিশের ধারণা পারিবারিক বা স্থানীয় কোন কহলের কারণে এমন ঘটতে পারে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রাজ্জাক হোসেন দুলাল জানান। আমি এলাকার বাইরে ছিলাম এসে দেখি এই ঘটনা। মেয়েটা  নাকি চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিল আমি সেটা আজকে শুনলাম পুঠিয়া থানা পুলিশ এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুঠিয়া থানা ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানায় আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। দেখি বস্তাবন্দি একটি  লাশ পড়ে আছ।   পরে আমরা রাজশাহী সিআইডিকে খবর দিই সিআইডিএসে  নমুনা সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

আরও খবর



রৌমারীতে এলডিডিপি প্রকল্পে দুর্নীতি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব শেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। তাদের অভিযোগ, নিজেদের একাউন্টে টাকা আসলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৌশলে তাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে ছাগল ও মুরগির পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সিংহভাগ টাকা পকেট অস্ত্র করেন।

সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রের মতে, উপকারভোগীদের একাউন্টে প্রেরিত অর্থ দিয়ে তাদের নিজেদের পরিবেশ বান্ধব ঘর তৈরির কথা থাকলেও সংশিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের সে সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই এসব ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজের শুরুতেই এলডিডিপি প্রকল্পের প্রস্তাবিত পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার শুরু করলে দুর্নীতিপরায়ণ ওই কর্মকর্তা দ্বয় উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ বরাদ্দ দেয় । 

অভিযোগ উঠেছে , এসব পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণের জন্য ৯৭ জন উপকার ভোগীর জন্য ২৫ হাজার করে এবং ৩৪ জন উপকারভোগীর জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র সাত আট হাজার টাকায় প্রতিটি সেড নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এভাবেই অবশিষ্ট সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপকারভোগী জানান, "আমাদের কাছ থেকে প্রথমেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি  নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন। পরবর্তীতে ওই একাউন্টে সেড নির্মাণের বরাদ্দ আসলে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তারা ছাগল রাখার ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্পের অর্থে শেড নির্মাণের জন্য উপকারভোগীদের সাথে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া হয়। এছাড়াও সেড ঘরের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শ থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। এসব অর্থ খরচের বৈধ কোন ভাউচার পাওয়া যায়নি।  

উপকারভোগীদের বরাদ্দে টাকার পরিমানে কমবেশি থাকলেও সরজমিন ঘুরে ১৩১ টি ঘর একই রকম পাওয়া গেছে। যার প্রতিটি ঘর তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। সংশিষ্ট সূত্র জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৪ টি ঘর নিমার্ণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

একাধিক উপকারভোগীর দাবী, "বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে আমরা সেড নির্মাণ করলে শেডগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং টেক সই হতো। যা অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেত। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা শেড গুলো অল্পদিনের মধ্যেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন উপকারভোগীকে ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন ঠিকাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অত্যন্ত কৌশলে উপকারভোগীদের নামে আসা বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেছেন। 

এদিকে প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম ব্যবহার না করায় উপকারভোগীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার কথা থাকলেও  ওই কর্মকর্তারা তা না করে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার জন্য উপকারভোগীদের কাছে দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে আমাদের কাছ থেকে চেকে সই করে তারা টাকা উত্তোলন করেন। যে ঘর নিমার্ণ করে দেন তা একে বারেই নি¤œমানের।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমরা বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। নি¤œমানের শেড নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। শেড নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এগিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।



আরও খবর



শার্শায় সড়ক দুর্ঘটনায় গৃহবধূর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের নাভারণ সাতক্ষীরা সড়কে মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী রিতা রাণী(২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মিলন গোলদার ও তাদের শিশু কন্যা প্রিয়া (২) সহ মোট ৩ জন আহত হয়েছে।

আহতদের উদ্ধার করে বাগআঁচড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার(৫ মে) দুপুর ১ টার দিকে নাভারন-সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা মবিল ফ্যাক্টোরীর সামনে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত রিতা রাণী সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড় কুমারপুর গ্রামের মিলন গোলদারের স্ত্রী এবং শার্শার গোড়পাড়া গ্রামের কিনা মন্ডলের মেয়ে।

আহতরা হলো, নিহত রিতা রাণীর স্বামী মিলন গোলদার (৩০) ও তাদের শিশু কন্যা এবং শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড় কুমারপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুছ সানার ছেলে মোটরসাইকেল চালক আসমাতুল্লা(৩৫)।

আহত মিলন গোলদার জানান, আমরা শ্যামনগর থেকে মোটরসাইকেল যোগে আমার শশুরবাড়ি শার্শার গোড়পাড়া'য় যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে বাগআঁচড়া জামতলা মবিল ফেক্টোরির সামনে পৌছালে মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর আমাদের চাপা দিলে আমরা ট্রাক্টরের চাকার নিচে চাপা পড়ি। এ সময় আমার স্ত্রী মারা যায় এবং আমার ছোট মেয়ে সহ আমরা আহত হলে স্থানীয় পথচারীরা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

প্রতাক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন নাভারণের দিকে যাচ্ছিলো হঠ্যাৎ মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর তাদের চাপা দিলে তারা সকলে আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় একজন মারা যায় এবং অন্যদের ভর্তি করা হয়।

নাভারণ হাইওয়ে থানার সাব ইন্সপেক্টর মফিজুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘটনাটি জানার সাথে সাথে আমি সহ একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে  লাশ উদ্ধার করি এবং কোন্ মাটিবাহী ট্রাক্টর এর সাথে এ সংঘর্ষ হয়েছে সেটি খুজে বের করার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।


আরও খবর



মধুপুরে ছরোয়ার আলম খান আবু'র নির্বাচনী কর্মীসভা জনসভায় পরিনত

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃটাঙ্গাইলের মধুপুরে আগামী ৮মে বুধবার আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু'র এক বিশাল নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৪মে) সন্ধায় দোয়াত কলম প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও সাবেক মেয়র মাসুদ পারভেজ এর আয়োজনে মধুপুর পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের পুন্ডুরা সেওড়াতলা এলাকায় এই নির্বাচনী কর্মী অনুষ্ঠিত হয়। 

মধুপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক খন্দকার আব্দুল গফুর মন্টু এর সভাপতিত্বে উক্ত কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়ছার।অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু। এ-সময় আরও বক্তব্য রাখেন, মধুপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও দোয়াত কলম মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মাসুদ পারভেজ, পৌর কাউন্সিলর বাবলু আকন্দ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।বিকেল হতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলেদলে মিছিল নিয়ে কর্মী সভায় যোগ দেয়ার জন্য নারী পুরুষ সহ দোয়াত কলম মার্কার হাজার হাজার সমর্থকগন সভাস্থলে এসে উপস্থিত হতে থাকেন। সন্ধার মধ্যেই পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিনত হয়।অনুষ্ঠান শুরু হয় মধুপুরের বিখ্যাত বাউল শিল্পী সানোয়ার হোসেনের নির্বাচনী গানের মধ্য দিয়ে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগ সহ আরও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।উক্ত নির্বাচনী কর্মীসভায় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী আমরা একটি সুন্দর নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে ভোটারগন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে র্নিভিঘ্নে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।তারা অভিযোগ করে বলেন, আমরা বিভিন্ন স্থানে কর্মীসভা, পথসভা ও প্রচার প্রচারনায় প্রতিপক্ষের দ্বারা বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি।

আমাদের বিভিন্ন পথসভায় নেতাকর্মীদেরকে শতশত মোটরসাইকেল দিয়ে শোডাউন করে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন।এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারের সুদৃষ্টি কামনা সহ সর্বস্তরের জনগণকে ছরোয়ার আলম খান আবুকে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করার  আহবান জানান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর