Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

এ আর রহমানের স্টুডিও দেখে আসিফের আক্ষেপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর নতুন গানের রেকর্ডিং করতে ভারতের মুম্বাইয়ে অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রাহমানের স্টুডিওতে গিয়েছে। তারপরই সামাজি যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন এই গায়ক।

রেকর্ডিং শেষে আসিফ আকবর ফেসবুকে লিখেছেন, মুম্বাই এসেছি কিছু রেকর্ডিংয়ের কাজে। গতকাল দুটো গানের ভয়েস দিলাম শ্রদ্ধেয় এ আর রাহমান স্যারের কে এম স্টুডিওতে। কমপক্ষে ১৫ হাজার স্কয়ার ফিটের সুবিশাল স্টুডিও।

তিনি আরও লিখেছেন, ভেতরে ঢুকেই মনটা ভালো হয়ে গেল, কী চমৎকার পরিবেশ! যারা উনার কাছে মিউজিক ক্লাস করেন, তাদের জন্য ছাদে শেড দেওয়া সুন্দর খোলামেলা স্কুল। তার ব্যক্তিগত স্টুডিওতে গাওয়ার অনুমতি পেয়েছি, এটা পরম সৌভাগ্য আমার জন্য। ভয়েস রুমের টেম্পারেচার কেমন হওয়া উচিত সেটার অভিজ্ঞতাও পেলাম।

নতুন উপলব্ধির কথা জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, এখানে শিল্পী–মিউজিশিয়ানদের পেশাগত নিরাপত্তার চমৎকার সুরক্ষাব্যূহ তৈরি করে রাখা হয়েছে। আমাদের দেশ এসবের ধারেকাছেও নেই।

আসিফ আরও লিখেন, সমিতি আর নির্বাচনি কাবাডি খেলা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। আস্তে আস্তে ক্ষয়ে গেছে সব প্রতিষ্ঠান। আমারও খুব একটা কিছু করার সক্ষমতা নেই। বিভক্তি বিভাজনের করাল গ্রাসে কোমায় চলে গেছে ইন্ডাস্ট্রি। সংগীতকে ভালোবেসে ফেলেছি, তাই টিকে থাকার সংগ্রামে আছি। বয়সও বেড়েছে, হইচই করতে আর ভালো লাগে না। শৌখিন এবং মৌসুমি প্রযোজকদের সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি, মান নিয়ন্ত্রণ করতেই হচ্ছে।

আসিফের ভাষ্যে, একসময়ের পেশাদার সব রেকর্ডিং স্টুডিও বাংলাদেশে এখন বন্ধ। যদিও নতুন রেকর্ডিং স্টুডিও তৈরি হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে কিছুই না। বেশির ভাগ স্টুডিও এখন ঘরকেন্দ্রিক, তা–ই উঠে এসেছে আসিফের কথায়।

তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে পেশাদার রেকর্ডিং স্টুডিওগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে তৈরি হয়েছে সুউচ্চ বিল্ডিং। বাসাবাড়িতে কিংবা ছোট খুপরির মতো সব স্টুডিও বানিয়ে মাটি কামড়ে মিউজিক করছে মিউজিশিয়ানরা। যেখানে ইন্ডাস্ট্রি আরও বিশাল হওয়ার কথা, সেখানে সংকুচিত হয়ে এসেছে আমাদের পৃথিবী।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা,কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ শনিবার দিবাগত রাত ২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়ে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ এবার অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ-সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।

মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



ইবিতে দেড়শো শিক্ষার্থীর মাঝে বই-বিহঙ্গের বই বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান,ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গ্রীণ আর্কিটেক্ট নিবেদিত বই-বিহঙ্গ বই দিবস-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নং রুমে বই-বিহঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। এসময় প্রায় দেড়শো শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সায়েম আহম্মেদের সঞ্চালনায় বই-বিহঙ্গ ইবি শাখার শাখা প্রতিনিধি মামুন শেখের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বই-বিহঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সজিব শিকদার,সহ-প্রতিষ্টাতা ফাহিম মুনতাছির আসাদুজ্জামান জিলানী সহ-প্রতিষ্ঠা উম্মে হাবিবা হ্যাপি, ঢাকা শাখার সক্রিয় সদস্য রিফা তাসনিম প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখার প্রতিনিধি মো:সাব্বির খান, মামুন  ও তমা খাতুন প্রমুখ। 

বই -বিহঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সজিব শিকদার বলেন,  বই দিবসকে ঘিরে এমন আয়োজন করার জন্য বই-বিহঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমরা আশা করি পরবর্তী বছর গুলোতে বই দিবসের এই আয়োজন আমাদের সকল শাখায় বিস্তৃত হবে।

সহ-প্রতিষ্ঠাতা উম্মে হাবিবা হ্যাপি বলেন, 'বই-বিহঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় শাখা। এভাবে সবাই বই-বিহঙ্গের পাশে থাকবেন ও সাহায্য করবেন এটাই প্রত্যাশা।  

সহ-প্রতিষ্ঠাতা আসাদুজ্জামান জিলান বলেন, 'এত গরমের মধ্যেও বইকে ভালোবেসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কারণে শুভেচ্ছা। আমাদের স্বপ্ন ছিল সারাদেশব্যপী বই-বিহঙ্গের শাখা ছড়িয়ে দিব, সেই লক্ষ্য নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আজ এই আয়োজনে দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। সকলের জন্য শুভেচ্ছা। আপনারা বই-বিহঙ্গের যুক্ত হবেন এবং সারা বাংলাদেশের সেরা শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এটাই প্রত্যাশা।

ইবি শাখা প্রতিনিধি সাব্বির খান বলেন, মাত্র ৩ দিনে আমরা এত পরিমাণ আপনাদের সাড়া পাবো কখনও ভাবতে পারি নাই। সকলকে একসাথে করতে আমরা বই বিহঙ্গ ইবি আশা আনন্দিত।  

ইবি শাখা প্রতিনিধি তমা বলেন, ইবিতে এত পরিমাণ বই প্রেমী মানুষ আছে কল্পনা করতে পারি নাই আমাদের ইচ্ছা থাকলেও আমরা ১৫০ এর বেশি আসন দিতে পারি নাই তবে ইবিয়ান বই প্রেমীদের নিয়ে সামনে আরও বড় আয়োজন করব। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কাউটের ইউনিট কাউন্সিল সভাপতি মুসা হাসেমী বলেন, 'ইবিতে এই প্রথম বই নিয়ে এত বড় কোনো প্রোগ্রাম হলো। বই- বিহঙ্গ ইবি শাখাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই ধারা যেন অব্যবহৃত থাকে সেই প্রত্যাশায় করি। '
 
ইবি মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিরব বলেন, 'বই -বিহঙ্গ  ইবি শাখা হওয়ার পর থেকে তাদের কার্যক্রম দেখে আসছি। শুরু থেকে সাথে ছিলাম থাকব।'

সভাপতির বক্তব্যে ইবি শাখা প্রতিনিধি মামুন বলেন, আজকের আয়োজনে সফল করতে যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন বিশেষ করে ইবি শাখা প্রতিনিধি মো:সাব্বির খান ও আখি খাতুন তমার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আশা করি আপনাদের সাথে নিয়েই এগিয়ে যাবে বই-বিহঙ্গ ইবি শাখা।

সার্বিক বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, 'বই মানুষের আলোকিত করে। আমি চাই, বই পড়ার মাধ্যমে দেশে আলোকিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাক। এভাবে সকল বইপ্রেমীদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।' 

আরও খবর



তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী, কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের পর বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজরা। আ  এই চোরাচালান করতে গিয়ে গত ৩ মাসে প্রায় ২৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

খোঁজ জানা গেছে- আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ২শ টন কয়লা, ৫শ বস্তা চিনি ও পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া ও নজির মিয়াগং গত ২দিনে প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এজন্য ১ বস্তা (৫০কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা ও অন্যান্য মালামাল থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করেছে সোর্স পরিচয়ধারী আইনাল মিয়া, সোহেল মিয়া ও বাবুল মিয়া। অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বিজিবির নামে ৫০টাকা, থানা ও সাংবাদিকদের নামে ১টন অবৈধ কয়লা থেকে ২হাজার টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি চুনাপাথর (৫০ ফুট) থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন কয়লা ও ৩শ মেঃ টন চুনাপাথর পাচাঁর করে বড়ছড়া-জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন কাঠের ব্রিজ ও আশেপাশের একাধিক ডিপুতে মজুত করেছে। একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারো ছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া, নজরুল, জামাল মিয়া, হারুন, জম্মত আলীগং ৩শ মেঃ টন কয়লা, ২০টি গরু, ২শ বস্তা চিনি, ৩৫০বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করেছে। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম ও লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পর করে চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। একারণে সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ধান কাটার সময় কিন্তু চোরাচালানের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই চোরাচালানের কারণ আমরা প্রায় ৩হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না।

এব্যাপারে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানাতে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬), চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) সহ বালিয়াঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৭) ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে বারবার কল করার পর ফোন রিসিভ না করে তারা আমার মোবাইল নাম্বার (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) ব্লক করে দেয়।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আসন্ন ৬ষ্ঠ পর্যায়ে আগামী ৫ জুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ বৃহসপতিবার (০৯/০৫) মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন,ভাইস চেয়ারম্যান(পুরুষ)পদে ৯জন,ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ৪ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন চেয়ারম্যান পদে-সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস(আওয়ামীলীগ),কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু(আওয়ামীলীগ), মোহাম্মদ শাহ আলম (আওয়ামীলীগ), মোঃ ফারুক আহমেদ (বিএনপি সমর্থক),এইচ এম আল আমিন আহমেদ (আওয়ামীলীগ),আবদুল মতিন(দলীয় পরিচয় জানা যায়নি) ,মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান (আওয়ামীলীগ),মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির (আওয়ামীলীগ),মোছাম্মৎ নুরুন্নাহার বেগম(আওয়ামীলীগ)। 

২১ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩১০জন।মনোনয়ন পত্র জমা শেষে বিকেলে রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল্লা আল মামুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।


আরও খবর



টেকনো স্পার্ক ২০সি এখন পাওয়া যাচ্ছে অভাবনীয় নতুন দামে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২৫এপ্রিল, ঢাকাঃ বাংলাদেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুর্দান্ত নতুন অফার নিয়ে এসেছে তরুণদের প্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড, টেকনো। জনপ্রিয় টেকনো স্পার্ক ২০সি স্মার্টফোনটি এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১১,৯৯৯ টাকায়।

টেকনো স্পার্ক ২০সি স্মার্টফোনটি এর স্লীক ডিজাইন এবং নতুন ফিচারের জন্য জনপ্রিয়। মিনিমালিস্ট স্কয়ার আকৃতির ডিজাইনে তিনটি ভিন্ন কালারে টেকনোর এই স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে। গ্রাভিটি ব্ল্যাক, মিস্টারী হোয়াইট এবং ম্যাজিক স্কিন এই তিন কালারের ফোনটি ব্যবহারকারীদের দিবে আভিজাত্য এবং সৌন্দর্যের নিশ্চয়তা।

এই ফোনটির অন্যতম ফিচার হলো এর ৬.৬ ইঞ্চি এবং ৯০ হার্জের হোল স্ক্রিন। ফোনের স্ক্রিন ও বডির অনুপাত ঠিক রেখে এটি ব্যবহারকারীকে প্রদান করবে ফুল স্ক্রিন অভিজ্ঞতা। স্ক্রিন ডিসপ্লের সাথে সংযুক্ত ডাইনামিক পোর্ট ব্যবহারকারীকে দিচ্ছে ফোন আনলক না করেই নোটিফিকেশন চেক করার সুবিধা যা ফোনের ব্যবহারকে করবে সহজতর ও অধিক কর্মক্ষম।

ফটোগ্রাফির সৌখিন ব্যবহারকারীদের জন্য এই স্মার্টফোনে রয়েছে ৫০ মেগা পিক্সেল আল্ট্রা সেনসিটিভ ক্যামেরা যা ভিন্ন ভিন্ন আলোক ব্যবস্থায় সুনিপুন ছবি ধারণ করতে পারে। এআর শটের মতো ফিচারের সাহায্যে ফোনটির ব্যবহারকারীরা অতি সহজেই তৈরী করতে পারবেন মজাদার কার্টুন অবতার এবং ব্যাকগ্রাউন্ড।

এছাড়াও, এই ফোনটিতে রয়েছে ডিটিএস সাউন্ড টেকনোলজি চালিত স্টেরিও ডুয়েল স্পিকার যা ব্যবহারকারীর অডিও শোনার অভিজ্ঞতাকে করবে আরো প্রানবন্ত এবং শ্রুতিমধুর। এছাড়াও এর ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জ ৫০০০ এম এ এইচ ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিশ্চিত করে, যা ব্যবহারকারীদের সারাদিন সংযুক্ত থাকতে এবং বিনোদনের সুযোগ দেয়।

অক্টা-কোর প্রসেসর চালিত টেকনো স্পার্ক ২০সি স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১২৮ জিবি স্টোরেজ এবং ৮ জিবি র‍্যাম (৪ জিবি+ ৪ জিবি) । এই ফিচার গুলো ব্যবহারকারীদের জন্য নিশ্চিত করে বাধাহীন মাল্টিটাস্কিং এবং গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা৷

মাত্র ১১,৯৯৯ টাকা মূল্যের টেকনো স্পার্ক ২০সি স্মার্টফোনটি বর্তমানে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সহজলভ্য। যা ব্যবহারকারীদের অর্থের বিনিময়ে নিশ্চিত করে সেরা পণ্যের। টেকনো মোবাইলের সাথে আপনার স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা আপগ্রেড করার এই সুযোগটি হাতছাড়া করবেন না।


আরও খবর