Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৯৩জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



কাফরুল থানার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওসি ফারুকুল আলমের নানামুখী উদ্দ্যোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৯৬জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃপ্রাচীন কালে পুলিশের সৃষ্টি হয়ে ছিলো খাজনা আদায়ের জন্য। যার কারনে প্রাচীন কালে পুলিশ মানুষের ঘাড় ধরে সরকারের খাজনা আদায় করে দিত জনগনের কাছ থেকে। সময়ের পরিক্রমায় সেই পুলিশ আস্তে আস্তে হলেও যথেষ্ট জনবান্ধন পুলিশে পরিণত হয়েছে। জনসেবায় পুলিশের মনোজগতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী, আড্ডাবাজ ও মানবিক ছেলে-মেয়েগুলো দলেদলে এই বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। সুতরাং পুলিশে গুণগত পরিবর্তন এখন সাদাচোখেও দৃশ্যমান, যদিও যথেষ্ট ব্যতিক্রম রয়েছে এবং ব্যতিক্রম সবসময় উদাহরণও নয়।

আজ আপনি ৯৯৯ এ ফ্রি ডায়াল করলেই পুলিশ আপনার দরজায় গিয়ে হাজির হচ্ছে। আপনি গহীন অরণ্য বা মাঝ নদীতে কোনো সমস্যায় পড়ে জাস্ট একটা কল করলেই আপনার পাশে পৌঁছে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। করোনাকালে পুলিশ তার ইতিহাসের সেরা মানবিক ও সাহসী গল্প রচনা করেছে।

আর এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের তত্ত্বাবধান ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি)চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এর দক্ষ নেতৃত্বের ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি)কে ঢেলে সাজাতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের এক অনন্য পথিকৃৎ,জনমনে প্রশংসিত এক কিংবদন্তি,বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর ভাবমূর্তি যিনি উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ডাইনামিক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিরপুর  জোনের আওতাধীন কাফরুল  থানায়  ডাইনামিক ও মানবিক অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ফারুকুল আলম ।যোগদানের মাত্র ৮ মাসেই   থানার সেবামূলক বিষয়গুলো করেছেন ত্বরান্বিত,এনেছেন গতি।

এখন পুলিশ টহল দিনরাত সব সময় দেখা যায়। কিশোর গ্যাং আড্ডার জায়গাগুলো এখন পুলিশের নজরদারির মধ্যে আছে,ছিনতাই  কাফরুল এলাকায় নাই বললেই চলে ।দৌরাত্ব কমেছে ছিনতাইকারী, মাদকব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের। 

কাফরুল থানা এলাকার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জনকল্যান মুখি পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি ফারুকুল আলম  বলেন,বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সোনার বাংলার অসমাপ্ত কাজগুলো করে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,তার অংশ হিসেবে ডিজিটাল বাংলার পরে,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন আমরা তার হাতিয়ার হিসেবে দেশ ও দেশের জনগণের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার লক্ষ্যে যে কোনো প্রতিকুলতার মোকাবেলা করে জনগণের মুখে হাসি ফোঁটানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি,যেমন এখন সামাজিক উন্নয়নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে, কিশোর গ্যাং এর উৎপাত, মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, মারামারি, রাহাজানি,চুরি ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কাফরুল   থানা এলাকায় অনেকটাই কমে গেছে।আমার কাছে কোনো দুষ্কৃতীকারীদের ছাড় নাই,সে ক্ষেত্রে আমি যে কোনো প্রতিকুলতার মোকাবেলা করে কাকরুল  বাসীদের নিশ্চিন্তে বসবাস করার অভয় দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ।

আরও খবর



চেয়ারম্যান ফরাদের জানাযার নামাজ ও দাফন সম্পন্ন, বিভিন্ন মহলের শোক

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২৩জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) চেয়ারম্যান ও ইউপি দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরহাদ মিয়ার জানাযার নামাজ ও পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হাতিশাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী ১-(তানোর -গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী, নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন,   উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।

জানাযার নামাজে অংশ গ্রহন করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার,  থানার  অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাবেক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান, তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক, জেলা বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, সরনজাই ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক খাঁন, বাধাইড় ইউপির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, চান্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, পাচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, কলমা ইউপির চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী, তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু, শিক্ষক নেতা জিল্লুর রহমান, কামারগাঁ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন প্রামানিক, ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ হ্নদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসা ধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। 

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এমপি ফারুক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার, চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবুল বাসার সুজন। শোক বার্তায় তারা বলেন, সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এটাই বাস্তবতা। মরহুমের জীবদ্দশার গোনাহগুলো মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করে তাঁকে যেন জান্নাতবাসী করেন এবং মরহুমের পরিবারকে যেন মহান রব ধৈর্য ধারন করার তৌফিক দান করেন। 
আরো শোক জানান, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যানরা।

আরও খবর



যশোরে হিট স্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৭৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত আহসান হাবিব যশোর আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক। আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার  দিকে স্কুলে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার হাবিবুর রহমান শিক্ষক আহসান হাবিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমদাবাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের এ জেড এম পারভেজ মাসুদ জানান, শিক্ষক আহসান হারিব সকালে মাঠে কাজ করে ৯টার দিকে স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে যশোরে হিট স্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এর আগে যশোর সদর ও মনিরামপুরে হিট স্ট্রোকে একজন করে মারা যান।

আজ রবিবার যশোরের সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি এবং দুপুর দেঢ় টায় এই তাপমাত্রার পারদ দাঁড়ায় ৪২.৫ ডিগ্রিতে। অব্যাহত তাপপ্রবাহে তীব্র  গরমে যশোরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।


আরও খবর



ঈদযাত্রা ট্রেনে নির্বিঘ্ন করতে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: মন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানিয়েছেন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে । বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, বিনা টিকিটে যাতে কেউ রেল ভ্রমণ করতে না পারে তা তদারকি করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চত করতেও রেলের আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সতর্ক ও তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন গন্তব্য যাতে সময় মতো ট্রেন চলাচল করে সেজন্যও আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ফিরতি যাত্রাও যাতে নিরাপদ ও আরামদায়ক হয় সে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেলের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে আশা করছি।

প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে রেল যাত্রীদের ঈদযাত্রা শুরু হয়ছে। সকালের দিকে যাত্রীদের ভিড় স্বাভাবিক সময়ের মতো হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। তবে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসবে ততই যাত্রীর ভিড় বাড়বে বলে জানিয়েছেন রেলওেয়ের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



হিলি স্থলবন্দরে আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৮জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:আলোচনা সভা,র‌্যালী ও পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আন্তার্জাতিক মে দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় হিলি চারমাথা মোড়ে স্থলবন্দর শ্রমিক সংগঠন কার্যালয়ে জাতীয় ও মে দিবসের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে একটি র‌্যালি বের হয়ে বন্দরের প্রধান প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ করে।

এরপর সেখানে মে দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ইদ্রিস আলী মিঠু এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন।

এতে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন,বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শাহেদ মল্লিক বাবু,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াত আলী,মে দিবস উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক

মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীসহ স্থলবন্দর কুলি শ্রমিক,ইমারত নির্মাণ শ্রমিক,ট্রাক ট্যাংকলরী শ্রমিক,হিলি-বগুড়া-দিনাজপুর বাস মালিক সমিতি,স্থলবন্দর ট্রাক ড্রাইভার সমিতি, ইজিবাইক, অটোরিকশা,ভ্যান চালকসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন মে দিবসে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,আগামীতে হিলি স্থলবন্দর এলাকার যে কোন সংগঠনের শ্রমিকদের সকল প্রকার সমস্যার দ্রুত সমাধান করার দেন। সেই সাথে সকল শ্রমিক সংগঠন মিলে একটি সংগঠন তৈরির আহবান জানানও তিনি।


আরও খবর