Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রবৃদ্ধিশীল ফ্রিল্যান্সিং খাতে গুরুত্বারোপ করে কুমিল্লায় ফ্রিল্যান্সার মিটআপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ফ্রিল্যান্সিং খাতের প্রবৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করে সম্প্রতি ফ্রিল্যান্সার নিয়ে এক মিটআপ আয়োজন করে জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উপায় ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। অনুষ্ঠিত এ সভায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে সম্পর্কিত নানারকম প্রতিবন্ধকতা এবং ব্যাংকিং সেবা ও সময়োপযোগী সমাধানের মাধ্যমে সেসব চিহ্নিত করার কথা উঠে আসে।  

কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে অবস্থিত কুমিল্লা ক্লাবে সম্প্রতি এই সভার আয়োজন করা হয়। খাতসংশ্লিষ্ট প্রায় ১শ’ জন ফ্রিল্যান্সার এ সভায় অংশ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড (উপায়) ও ইউসিবির স্থানীয় শাখার কর্মকর্তাগণ।

‘ফ্রিল্যান্সার্স কন্ট্রিবিউশন টু বিল্ডিং স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যান্ড এমএফএস অ্যাজ গ্রোথ ফ্যাসিলিটেটর’ শীর্ষক এই সভায় ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত নানান প্রাসঙ্গিক বিষয় উঠে আসে। ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পর্কিত বিষয় ও স্বীকৃতির অভাবসহ নানাধরনের প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন। সভায় বক্তারা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ফ্রিল্যান্সারদের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ এবং একইসাথে, তাদের সহায়তার ক্ষেত্রে ব্যাংক ও এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

উক্ত সভায় উপস্থিত সবার আলোচনায় ফ্রিল্যান্সারদের কঠোর পরিশ্রম এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও তাদের উল্লেখযোগ্য অবদানের বিষয়টি উঠে এসেছে। উপস্থিত ফ্রিল্যান্সারদের বক্তব্যে জানা যায় যে, প্রায়শই পেমেন্ট ও স্বীকৃতি সম্পর্কিত নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাদের সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের পাশে থাকার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপায় এবং ইউসিবির কর্মকর্তাগন। উদাহরণ হিসেবে, ইউসিবি স্বাধীন অ্যাকাউন্ট (ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট) ও এমএফএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যা চিহ্নিত করতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাওয়ার পাশাপাশি এই প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন তারা।

এছাড়া সভায় ফ্রিল্যান্সিং খাতের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ খাতের সম্ভাবনা, উন্নয়নের সুযোগ এবং কীভাবে উপায় ও ইউসিবি নানারকম সেবার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের প্রচেষ্টাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয় সভায়।

উল্লেখ্য, ইউসিবি-উপায় কো-ব্র্যান্ডেড প্রিপেইড কার্ড নিয়ে এসেছে উপায়। এই কার্ড দিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে ফান্ড ব্যবহার, অনলাইন ও অফলাইনে মার্চেন্ট পেমেন্ট এবং বিশ্বের যেকোনো এটিএম থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে তারা পেওনিয়ার থেকে পেমেন্ট গ্রহণ এবং উপায় অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সবচেয়ে কম খরচে ক্যাশআউট করতে পারবেন। বিশেষায়িত এই ফিচারগুলো ফ্রিল্যান্সারদের জীবনকে সহজ ও স্বাচ্ছদ্যদায়ক করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।


আরও খবর



রূপগঞ্জে প্রার্থীতার বৈধতা হরিয়েছেন সেলিম প্রধান, পাচ্ছেন না প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেলিম প্রধানের প্রার্থীতা ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য দেয়া উচ্চ আদালতের আদেশের উপর স্থিতি অবস্থা জারি হয়েছে। ফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতার বৈধতা হারিয়েছেন সেলিম প্রধান।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত উচ্চ আদালতের আদেশের উপর এই স্থিতি অবস্থা জারি করে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহিন এম রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহিন এম রহমান জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন সেলিম প্রধান। গত ২৩ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়ন বাতিল করে। পরে মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সেলিম প্রধান আপিল করলে গত ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক আপিল খারিজ করে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন।
৩০ এপ্রিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের প্রার্থীতার বৈধতা ও প্রতীক বরদ্দ চেয়ে রীট করেন সেলিম প্রধান। রীটের প্রেক্ষিতে সেলিম প্রধানের প্রার্থীতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেয় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। আপিলের প্রেক্ষিতে আদালত সেলিম প্রধানের করা রীটের বিষয়বস্তুর উপর স্থিতি অবস্থা জারি করে। আগামী ৫ মে এবিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।

হাবিবুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এসময় তাঁর সহকারী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক উচ্চ আদালতের আদেশের উপর স্থিতি অবস্থা জারি করে। আগামী ৫ ই মে এ বিষয়ের পরবর্তী শুনানির অপেক্ষায়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ব্যবসায়ীর ২৪ লক্ষ টাকা লুট, ৬ লাখ টাকাসহ মূল হোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:জুসের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তা খাইয়ে এক ব্যবসায়ীর ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা লুট হওয়ার ঘটনায় মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানা থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ। তার নাম ইয়াকুব আলী মাসুদ (৬৫)। সে নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানার চর জব্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ মিয়ার বাড়ির মৃত আবদুল হালিমের ছেলে। এসময় তাঁর কাছ থেকে নগদ ৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, স্বর্ণের তাবিজ ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

মিরসরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩ টায় চট্টগ্রামের গরিবুল্লাহ শাহ থেকে ছেড়ে আসা সেন্টমার্টিন ইয়াছিন এক্সপ্রেস বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক কাজে রওয়ানা হন আবুল কালাম। পথিমধ্যে মিরসরাই থানার মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে পাশের সিটে বসা অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে জুসের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ালে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার সাথে ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় ওই ব্যক্তি। এরপর ভুক্তভোগী আবুল কালাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি হাতে পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সহিদুল ইসলামের নির্দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করেন মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায়। নোয়াখালী জেলার ডিবি পুলিশের সহায়তায় গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী আবুল কামাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার থান্ডাচড়ি ইসলামপুর ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদের বাড়ির মৃত আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম শহরের টেরিবাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন।

আবুল কালাম বলেন, সেদিন আমি চট্টগ্রাম নগরীর গরিবুল্লাহ শাহ এলাকার বাস স্টপেজ থেকে সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস এসি বাসযোগে ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা যাচ্ছিলাম। শহর থেকে আমার পাশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিও বসেন। মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে কিছু বুঝে উঠার আগে তিনি আমাকে একটি জুস পান করান। সেটা খেয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমার সাথে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় সেই ব্যক্তি। এই ঘটনায় আমি মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরসরাই থানার ওসি তদন্ত দীপ্তেশ রায় জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা কাজ করতে থাকি। সনাক্তপূর্বক গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নোয়াখালীর চর জব্বর থানা এলাকায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় আমরা ইয়াকুব আলী মাসুদ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার নিজ বাড়িতে রাতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত নগদ ৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, একটি সুজুকি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল ও একটি সোনার তাবিজ, হারসহ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করেছি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আপাতত সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই সরকারের,জানিয়েছেন জাতীয় সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সোমবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় সম্পূরক প্রশ্নে চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিন চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চান।

রফিকুল ইসলাম তার প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগদানের যে বয়সসীমা রয়েছে তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মানুষের আয়ুকাল ৬২ বছর থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এখন এটা অত্যন্ত যৌক্তিক হবে সরকারি চাকরিতে যোগদানের বর্তমান বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যান। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে আমাদের হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুবসমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবে।

জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়স ছিল ২৭ বছর, সেখান থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। আমরা সবসময় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনবল কাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করে থাকি। যুগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা পরিবর্তনও করে থাকি।

বয়স বাড়ানো প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সবসময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট যারা তাদের রিক্রুট করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি। আমরা বিসিএস-এর মাধ্যমে দেখে থাকি ২২/২৩ বছর বয়স থেকেই তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারা ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকেন। এজন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে সেটা চিন্তা-ভাবনা করে থাকি। তবে আমি মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স-আগামীতে বাড়াব কী বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা?— এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

সংরক্ষিত আসনের ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন। সরকারের এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের একটি পত্র আমরা এরইমধ্যে পেয়েছি। আগেই বলেছি এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা করব। তবে আপাতত চাকরির প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখব।


আরও খবর



ট্রেনের ভাড়া মে থেকেই বাড়ছে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ৪ মে থেকে বাড়ছে সব রকমের ট্রেনের ভাড়া।রেয়াদ সুবিধা প্রত্যাহার করায় এই ভাড়া বাড়ানো হবে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে কত টাকা বাড়ানো হচ্ছে তা এখনও জানানো হয়নি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাদে অন্যান্য রুটের যাত্রীরা ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ভাড়ায় ২০ শতাংশ রেয়াত পান। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে রেয়াত পান ২৫ শতাংশ। ৪০০ কি‌লো‌মিটা‌রের বে‌শি ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত পান। দূরত্ব‌ভি‌ত্তিক এই রেয়াত সুবিধা আর থাকছে না এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে জা‌নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তখন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ।


আরও খবর



হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে তৃতীয় রুয়েট

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাক এই চারটি গ্রুপে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পরবর্তীতে তাঁদের মধ্য থেকে শীর্ষ বারোজন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে, আরেকটি দল যোগ দেয় কম্পিউটিং ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আরও একটি দল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল যোগ দেয় ক্লাউড ট্র্যাকে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে।

বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাঁদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

রুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। ষ্টেজে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ান আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিলো। এমন অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা হুয়াওয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।“

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ”হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাঁদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবো।”

রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাকার্তার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্বিত বোধ করছি। আমি লক্ষ্য করেছি যে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।”

গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের ৫০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে। শুরুর পর এটি হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অফলাইন গ্লোবাল ফাইনালে পরিণত হতে যাচ্ছে। “কানেকশন, গ্লোরি, অ্যান্ড ফিউচার” থিমের এই ইভেন্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।


আরও খবর