Logo
আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

শীতে স্বাস্থ্য রক্ষায় চায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৩১১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: শীত দ্বারপ্রান্তে। দেখা দিতে শুরু করেছে শীতজনিত সব ধরনের অসুখ। নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি-কাশিতে ভুগতে হয়। অনেকের আবার শীত এলেই শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায়।এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখা খুব জরুরি। শীতের সময় আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাদ্য রাখুন যা আপনাকে সুস্থ সবল রাখবে।

স্বাস্থ্য রক্ষায় চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শীতকালে চা পানের তৃপ্তি আরও বেশি। শরীর গরম রাখার পাশাপাশি অন্যান্য অস্বস্তি কাটাতে এই পানীয় অপরিহার্য। বিশেষ কিছু ধরনের চা রয়েছে যেগুলি এই মৌসুমের জন্য উপকারী। শীতের শুরুতেই জেনে রাখা ভাল কোন কোন চা এই সময়ের সবচেয়ে ভাল সঙ্গ হতে পারে।


ফাস্ট ফ্লাশ চা:  দার্জিলিং বা যেকোনও জায়গার চা উৎপাদনের প্রথম মৌসুমে যে চায়ের পাতা গজায়, সেই পাতা হল ফার্স্ট ফ্লাশ চা। অর্থাৎ চায়ের ফলনের সঠিক সময় (ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চ মাসে উৎপাদন শুরু হয়) যেটা সেই সময়ের চা। এই চা সবচেয়ে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যপ্রদ।

বাঙালির সবচেয়ে বড় সমস্যা হল অ্যাসিডিটি বা গ্যাস-অম্বল। সেই সমস্যা নিরাময়ে দার্জিলিং ফার্স্ট ফ্লাশ টি দারুণ কাজ দেয়। শরীরের মেটাবলিজম বা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এই চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বয়সের ছাপ পড়ে না, কোষের ড্যামেজ প্রতিহত করে। ক্যানসার প্রতিহত করে, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হাড় শক্ত রাখতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি : এই চা নিয়মিত পান করলে শুধু যে হার্ট ভাল থাকবে তাই নয়, তার সঙ্গে এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। ওবেসিটি কাটাতে এই চা দারুণ কাজ করে। তাই এই চায়ের অন্য নাম স্লিমিং টি। এই চা ফ্লাভোনয়েড, ক্যাথেচিন ও এপিগ্যালোক্যাথেচিন সমৃদ্ধ হওয়ায় তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আর এতে উপস্থিত পলিফেনলস নামক উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ফিউশন চায়ে টেনশন যায়: আজকাল ফার্স্ট ফ্লাশ, সেকেন্ড ফ্লাশ ইত্যাদি চা নানা রকমের স্বাদে মিলছে। তার সঙ্গে নানা প্রকার ফ্লেভার মিশিয়ে তাকে আরও সুস্বাদু করা হচ্ছে। এতে চা পানের ইচ্ছেটাও যেমন বাড়ে, তেমনই চা-এর চিরাচরিত স্বাদেরও বদল আসে। তাই গরম গরম চায়ের বদলে আজকাল ঠান্ডা চা বা আইস টি-ও অনেকেই পছন্দ করছেন। শীতকালে এই বিশেষ চা গরম পান করলে বেশ উপকার মেলে।

কাশ্মীর কাওয়া টি: হিমাচলপ্রদেশের পালমপুরের গ্রিন টি-এর সঙ্গে কিছু দেশীয় মশলা মিশিয়ে তৈরি করা হয় কাশ্মীর কাওয়া। এই বিশেষ চায়ের স্বাস্থ্যগুণ অনেক। এই শীতকালে এই চা পান করলে অনেক উপকার। সাধারণত শীতকালে ঠান্ডায় অনেক কোষ-কলা ঝিমিয়ে পড়ে, কনকনে ঠান্ডাতেও শরীর গরম রাখতে এই চা ভীষণ ভাল কাজ দেয়। এছাড়া মানসিক চাপ ও স্ট্রেস কমাতেও উপকারী। এই চায়ে অ্যান্টিএজিং উপাদান অনেক বেশি মাত্রায় রয়েছে। তাই পান করলে ত্বকের জৌলুস বাড়ে, বয়সের ছাপ পড়ে না।

ক্যামোমাইল টি: ক্যামোমাইল এক ধরনের চা, কিন্তু চা গাছের পাতা নয়, ক্যামোমাইল ফুল এটি। সেই ফুলের শুকনো অংশ দিয়ে এই চা হয়। তারও স্বাস্থ্যগুণ অনেক। বিশেষত খুব চিন্তায় বা টেনশনে মধ্যে থাকলে, কোনও সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হলে সেক্ষেত্রে ক্যামোমাইল চা পান খুব কাজ দেয়। প্রয়োজনে অফিসের কাজের চাপে দুপুরে লাঞ্চের পর এককাপ ক্যামোমাইল চা পান করলে চাপ সামলানো কিংবা মেজাজ ঠিক রাখা অনেকটাই সহজ হতে পারে। এছাড়াও মাসিকের ব্যথা নিরাময়ে কার্যকর।

হার্বাল ইমিউনিটি টি:  শীতকালে সর্দি – কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। ঠান্ডা লেগে বুকে সর্দি বসে গেলে, গলা খুশখুশ করলে এই চা পান করলে নিমিষে উপশম মেলে। আসলে এই চায়ে চা পাতার সঙ্গে বিভিন্ন উপকারী হার্বস (লবঙ্গ, তেজপাতা, এলাচ ইত্যাদি) মেশানো হয়। যা কিনা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। জ্বর, সর্দি, কাশি প্রতিরোধে ও প্রতিকারে কার্যকর।

আলফানসো মনসুন ফ্লাশ টি:  দার্জিলিং মনসুন বা বর্ষাকালে যে চা উৎপাদন হয় সেই চায়ের ন্যাচারাল সুগন্ধ অনেকটা কম। এই চায়ের সঙ্গে আলফানসো আমের পাল্প বা শাঁসের শুকনো অংশ মিশিয়ে চা তৈরি করা হয়। তারপর সেটা হট টি বা কোল্ড টি বানিয়ে পান করলে তার স্বাদ অপূর্ব। সারাবছরই গ্রীষ্মকালীন একটা মেজাজ অনুভব করতে, আমের স্বাদ পেতে এই চা অপূর্ব। ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ, ওজনও কমায়।


আরও খবর



ঢাবির হল থেকে লাফিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় ৭১ হল থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিক্ষার্থীর নাম ফিরোজ কাজী (২২)। তিনি ঢাবির চাইনিজ এজ এ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। 

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ফিরোজ কাজীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ঢাবি শিক্ষার্থী মাহিম খান বলেন, ফিরোজ মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে থাকতেন। আমরা বিজয় ৭১ হলে থাকি। আজ রাতে আমরা হঠাৎ একটি শব্দ শুনতে পাই। গিয়ে দেখি ফিরোজ কাজী নিচে পড়ে আছেন। পরে আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ফিরোজ বিজয় ৭১ হল থেকে লাফিয়ে পড়েছেন নাকি অসাবধানতাবশত পড়ে গেছেন, সে বিষয়টি বলতে পারছেন বলে জানান ওই শিক্ষার্থী। তার শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তিনি বিজয় ৭১ হলে কার কাছে এসেছিলেন, সে বিষয়টিও জানা নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, নিহতের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি শাহবাগ থানাকে জানিয়েছি।


আরও খবর



বিরামপুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার পেলেন টিন ও আর্থিক সহায়তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

বিরামপুর (দিনাজপুর)  প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুরে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ২৮টি পরিবারকে মাননীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার, চাল, টিন ও নগদ আর্থিক সহায়তা পেলেন।গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ে  দিনাজপুর জেলার  বিরামপুর উপজেলার ৪ নং দিওড় ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া সরকারি আবাসন  প্রকল্পের ঘর-বাড়ি এবং বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৭ টার দিকে দিনাজপুর- ৬ আসনের মাননীয় সংসদ  সদস্য মো. শিবলী সাদিক এমপি মহোদয়ের পক্ষ থেকে ২নং কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস আলী মন্ডল সরকারি  ৫টি আবাসন  প্রকল্পের ঘর-বাড়ি মালিকদের মাঝে নগদ পাঁচ হাজার টাকা  বিতরণ সহ বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ২৩টি ঘর-বাড়ি  মালিকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা বাবদ নগদ পাঁচ হাজার টাকা  বিতরণ  করেন।  সেই সঙ্গে  দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. শাকিল আহমেদ মহোদয়ের পক্ষ থেকে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন  ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি আবাসন প্রকল্পের পাঁচটি ঘর-বাড়ি  মালিকদের মাঝে  আর্থিক সহায়তা বাবদ নগদ তিন হাজার টাকা ও দুই বান্ডিল ঢেউটিন এবং বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ ২৩টি ঘর-বাড়ি মালিকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা বাবদ তিন হাজার টাকা সহ দুই  বান্ডিল ঢেউটিন সহ শুকনো খাবার ও ৩০ কেজি চাল বিতরণ করেন।

এ সময়  বিরামপুর উপজেলার ৪নং দিওড় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল, ৮নং পলিপ্রয়াগপুর ইউপি চেয়ারম্যান রহমত আলী, বিরামপুর উপজেলা যুবলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাজু, উপজেলা যুবলীগের সহ দপ্তর সম্পাদক এহসানুল হক, বিরামপুর ছাত্রলীগের যুগ্নু সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন সহ স্থানীয় সুধীজন সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, অত্র উপজেলায় কয়েকদিন থেকে ভারী  বৃষ্টি ও ঝড় বাদলে ক্ষতি গ্রস্থ হয়। উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের সরকারি আবাসন প্রকল্পের কয়েকটি ঘর-বাড়িসহ  বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায়,মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মো. শিনলী সাদিক এমপি মহোদয়ের পক্ষ থেকে এবং দিনাজপুর  জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক মো. শাকিল আহমেদ মহাদয়ের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা সহ অন্যান্য উপকরণসহ বিতরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



তানোর পৌর মেয়রের উন্নয়ন চমক মাস না যেতেই পিচ পাথর উঠা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হকের উন্নয়ন চমক মাস না যেতেই নতুন ভাবে কার্পেটিং রাস্তার পিচ পাথর উঠা শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত প্রায় একমাস আগে পৌর এলাকার তালন্দ বালিকা স্কুল মোড় থেকে সরদার পাড়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন শো মিটার রাস্তায় ঘটে রয়েছে পিচ পাথর  উঠার ঘটনাটি। মাটির রাস্তা কার্পেটিং করার প্রথম থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী যতটুকু প্রয়োজন ব্যবহার না করা এবং বিটুমিন পিচ খোয়া বালু তেমনভাবে না দেওয়ার কারনে উঠা শুরু হয়েছে। ফলে রাস্তাটি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। এতে করে মেয়রের ভাবমূর্তি নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর টু তালন্দ রাস্তার মুল সড়ক হতে বালিকা স্কুল মোড়ে কয়েক হাত রাস্তার পিচ পাথর উঠে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু এক জায়গায় না পুরো রাস্তার ১০ থেকে ১২ জায়গার এমন দশার সৃষ্টি হয়ে আছে। স্থানীয়রা জানান, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাস্তাটি মাটির ছিল। আমরা অনেক বার বলেছিলাম। সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান রাস্তাটি পাকা করে দিবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন বরাদ্দ এসেছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে করতে পারেননি।তারপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪ তারিখে ভোট হয়। ভোটে নৌকার প্রার্থী ইমরুল হক উন্নয়নের ফুলঝুরি নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এমন উন্নয়নের চমক দিয়েছেন যা মাস না যেতেই পিচ পাথর উঠে যাচ্ছে। 

সুত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৭১৮ অর্থ বছরে নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তানোর পৌরসভায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু করোনা ভাইরাসসহ নানা কারনে ওই সময় কাজ করতে পারেন নি সাবেক মেয়র মিজান। তবে ইমরুল হক মেয়র নির্বাচিত হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। কিন্তু পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য লাইসেন্স নবায়ন করে দিচ্ছিল না। এজন্য পুরো কাজের উপর আদালতে মামলা করেন বিএনপি নেতা ঠিকাদার ইয়াসিন, যুবদল নেতা ঠিকাদার আতিকুর রহমান লিটন ও নজরুল ইসলাম। তারা সবাই পৌর সদর এলাকার বাসিন্দা। তাদের কে  কাজ দেওয়ার শর্তে আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। কোন ধরনের দরপত্র আহবান ছাড়াই মেয়র নিজ ক্ষমতা বলে কাজগুলো করিয়ে নিয়েছেন। সাবেক মেয়রের সময় ও বর্তমান মেয়রেরা মিলেমিশে কমিশন খেয়েছেন। যার কারনে এত নিম্মমানের কাজ। অথচ যে অর্থ বছরের কাজ সেই অর্থ বছরে করতে না পারলে সরকারি কোষাগারে টাকা ফেরত দিতে হয়। কিন্তু মেয়র ইমরুল হক কিভাবে এত সময় পর্যন্ত কাজ না করে এত টাকা কোন একাউন্টে রাখল এমন প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।কাজ করা ঠিকাদার ইয়াসিন বলেন, তালন্দ বালিকা স্কুল থেকে তালন্দ সরদার পাড়া,বেলপুকুরিয়া ও গুবিরপাড়া থেকে সিন্দুকাই পর্যন্ত রাস্তাটি আমরা করেছি।তার সহপাঠী ঠিকাদার নজরুল ইসলাম বলেন, কাজ করার পর পিচ উঠতেই পারে। কিভাবে কাজ করলেন মাস পার হতে পিচ পাথর উঠে যাচ্ছে প্রশ্ন করা হলে ব্যস্ত আছি পরে কথা বলা হবে বলে দায় সারেন।অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী সরদার জাহাঙ্গীরের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি। অবশ্য তিনি নিয়োমিত অফিস করেন না। ফাইল পত্র সাক্ষরের দিন কার নিয়ে আসেন অফিসে।

পৌর মেয়র ইমরুল হক বলেন, কাজ না করলে টাকা ফেরত দিতে হত।এজন্য আপোষ মিমাংসা করে মামলার বাদিদের কিছু কাজ দেয়া হয়েছিল। যে সময় বরাদ্দ পায় সে সময় রাস্তার কাজের মালামালের দাম ছিল কম। কিন্তু এখন দ্বিগুন দাম। এজন্য ঠিকাদারদের বলা হয়েছিল যে ভাবে হোক রাস্তার কাজ করে উঠতে হবে। পিচ পাথর উঠার বিষয়টি আমার নজরে আছে, মেরামত করা হবে।

আরও খবর



বাজার পরিস্থিতি সবসময় স্থিতিশীল থাকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে: বাণিজ্য সচিব

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭৯জন দেখেছেন

Image
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয় বা দ্রæত  বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয় তখন যেনো আমরা ব্যবস্থা নিতে পাড়ি।মনিটরিং টা বেশী বাড়ানো। সে ক্ষেত্রে দাম কেনো বেড়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে পাড়ি।বাজার পরিস্থিতি সবসময় যেনো স্থিতিশীল থাকে  আমাদের  সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পণ্য বিপণন মনিটরিং কমিটির সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শুধু বাজার সুবিধা থাকলে হবে না, যখন আমরা পণ্যের মান ঠিক রেখে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাজার পরিচালনা করতে যাই, তখন দাম বাড়তে পারে। এটা ভোক্তাদের বুঝতে হবে। একটা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের সবদিকে নজর রাখতে হয়। ভোক্তারা সবসময় দামে কম কিন্তু মানে ভালো পণ্য চান। দুটো সবসময় একসঙ্গে হয় না।

মতবিনিম সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিলুর রহমান ভুঁইয়া,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইশতিয়াক আলমসহ প্রমুখ।
 
এ সময় পণ্য মনিটরিং কমিটির সদস্যরা নিত্যপণ্যের আমদানিতে শুল্ক হ্রাস এবং কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পরামর্শ দেন।

আরও খবর



হল ছাড়তে বলায় গেটে তালা দিলেন ছাত্রলীগ নেত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজের দখলে অবৈধভাবে রাখা সিট ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ায় হল গেটে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমাতুন্নেসা হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না আক্তার তন্নির বিরুদ্ধে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমতুন্নেসা হলে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য গেলে তালা খুলে দেন তারা।

এ ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাসনা হেনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একাডেমিক পড়ালেখা শেষ। তারপরেও সে হলে সিট ধরে রেখেছে। এমনকি কক্ষের আলাদা একটি সিটেও কাউকে ওঠতে দেয় না। এদিকে অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী হলে সিট পাচ্ছে না। তাকে বিষয়টি একাধিকবার বলা হলেও সেটা মানেনি। সে পদের বলে হলে থাকতে চায়। ওই ছাত্রী বলে সে এমফিল করবে কিন্তু এখানে এমফিল শিক্ষার্থীর জন্য কোনো সিট নেই।

জানা গেছে, তন্নী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি রহমতুন্নেসা হলের ৪৫৯নং কক্ষে থাকেন। ছয় মাস আগে তার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হয়েছে। ফলে তার সিটে অন্য ছাত্রীকে এলোট দিয়েছেন হল প্রশাসন। তবে সিট ছাড়তে রাজি নন এই নেত্রী। এ নিয়ে একাধিকবার তাকে নোটিশ করেছে হল প্রশাসন।

হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না তন্নি বলেন, আমি হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছি। বিভিন্ন প্রয়োজনে ছাত্রীরা আমার কক্ষে আসে। তাই প্রাধ্যক্ষই একটি সিট ফাঁকা রাখতে বলেছিলেন। এখন তিনি ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে এসব করছেন। এমনকি হলের জুনিয়র ছাত্রীদের দিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিতর্ক ছড়ান তিনি।

হলে এমফিল শিক্ষার্থীদের থাকার সুযোগ না থাকলেও সিটে ধরে রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে এ নেত্রী জানান, আমি হলে রাজনীতি করি। এ হলে না থাকলে কর্মীদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। তাই সংগঠনকে গতিশীল রাখতে এ সিটে থাকার কথা বহুবার প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি।


আরও খবর