পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ সংরক্ষণের জন্য এর জরিপ করা প্রয়োজন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:তিন বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিন বিচারপতি হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫ (১) ধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন বিচারপতি হিসেবে তাদের নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। তিনজনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবে আটজনে।
‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক গ্রেপ্তার
বুধবার ০৮ মে ২০২৪
১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ: সিইসি
বুধবার ০৮ মে ২০২৪
রাজধানীর চার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি : ডিএমপি কমিশনার
নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি,বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান । ঢাকার ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে৷ এছাড়া যারা কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা তাদেরও তালিকা করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।
হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে। কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়টি নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি’র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়। কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জি এম তসলিম, জিয়া খান, অনিমেষ কর ও কাওসার সোহেলী।
‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক গ্রেপ্তার
বুধবার ০৮ মে ২০২৪
১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ: সিইসি
বুধবার ০৮ মে ২০২৪
দেশে গ্লোবাল কাস্টমার কেয়ার চালু করল হায়ার
নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে “হায়ার গ্রুপ গ্লোবাল লিডিং ডিজিটাল সার্ভিস সিস্টেম গ্লোবাল কাস্টমার কেয়ার (জিসিসি)” প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে গ্লোবালি সেরা অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হায়ার।বুধবার (১৭ এপ্রিল) গুলশান এভিনিউয়ের হায়ার বাংলাদেশ কর্পোরেট অফিসে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই কাস্টমার কেয়ারের উদ্বোধন করা হয়।
জিসিসি হচ্ছে হায়ার গ্রুপের সবচেয়ে উন্নত গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্ট ইন্টারেক্টিভ সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বব্যাপী অগ্রণী ডিজিটালাইজড সিস্টেম। জিসিসি চালু হওয়ার পর, হায়ারের গ্রাহকরা ফোন, ইমেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মতো একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে সহজেই পরিষেবা পেতে পারেন। হায়ার সার্ভিস টিম অন-সাইট সার্ভিস টেকনিশিয়ানদের জন্য আরও ভালো প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেক বেশি দক্ষ এবং প্রতিক্রিয়াশীল পরিষেবা প্রদান করবে, ফলে প্রযুক্তিবিদরা হায়ার গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও দক্ষভাবে পেশাগতভাবে পরিষেবা দিতে সক্ষম হবে। জিসিসি সিস্টেম পুরো পরিষেবা প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ এবং দৃশ্যমান করে তুলবে, গ্রাহক অভিযোগের পুরো প্রক্রিয়াটি ট্র্যাক করতে এবং সন্তুষ্টি না হওয়া পর্যন্ত রিয়েল টাইমে আপডেট পেতে পারেন।জিসিসি সিস্টেম চালু করে বিশ্বের অনেক দেশে হায়ার গ্লোবালের সেরা গ্রাহক সমাধান হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হায়ার ইন্ডিয়া, হায়ার পাকিস্তান, হায়ার থাইল্যান্ড এবং আরো অনেক দেশে। সেরা পরিষেবার অভিজ্ঞতা এবং সর্বোত্তম প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার লক্ষ্যে এবার হায়ার বাংলাদেশে জিসিসি চালু করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
হায়ার গ্রুপ ওভারসিজ সার্ভিসের জেনারেল ম্যানেজার মিঃ ওয়াং ইয়ান তার বক্তিতায় বলেন, জিসিসি প্রকল্প হায়ারের পরিষেবার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ এবং পুরো পরিষেবা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। বিদেশে প্রায় বিশ বছরের উন্নয়ন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, হায়ার ব্যবহারকারীদের দ্রুত এবং উচ্চ-মানের পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ৫০ টিরও বেশি দেশে স্থানীয় বিক্রয়োত্তর পরিষেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য পরিষেবাটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টাচপয়েন্ট এবং গ্রাহকদেরও হায়ার-এর যত্নের অভিজ্ঞতা নেওয়ার একটি সুযোগ৷
হায়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের ডিএমডি মিঃ ওয়াং শিয়াংজিন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের কোম্পানি কাস্টমার ইজ অলওয়েজ রাইট নীতি মেনে চলে। আমাদের কাছে গ্রাহকের সন্তুষ্টিই প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার এবং আন্তরিক চিরকাল। আমরা ব্যবহারকারীর চাহিদাকে সর্বদা প্রথম অগ্রাধিকার হিসাবে বিবেচনা করি। আমরা ডিজিটালাইজেশন এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে সর্বোত্তম পরিষেবার অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্য রাখছি।হায়ার একটি উদীয়মান বাজার হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছরে দ্রুত প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
হায়ার বাংলাদেশ ‘সিনসিয়ার ফরএভার’ কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করে এবং ‘কেন্দ্রিয় গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও ব্র্যান্ডের সুনাম তৈরি পরিষেবা নীতি মেনে চলে। ডিজিটাল পুনরাবৃত্তি এবং আপগ্রেডিংয়ের মাধ্যমে, প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের দ্রুত, দক্ষ,এবং এককালীন পরিষেবা প্রদানের জন্য একটি পেশাদার, ব্র্যান্ডেড, এবং ভিন্নমাত্রার পরিষেবা ব্যবস্থা তৈরি করেছে।হায়ার বাংলাদেশে বিশাল গ্রাহকশ্রেণির জন্য আরও ভাল পরিষেবা নিশ্চিতের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। ফলে ‘গুড কোয়ালিটি’ এবং ‘গুড সার্ভিস’ হায়ারের একটি সমার্থক শব্দ হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করছে ওয়ানপ্লাস
বুধবার ০৮ মে ২০২৪
ইনফিনিক্স হট ৩০ নিয়ে এলো তাসকিন স্পিড মাস্টার এডিশন
সোমবার ০৬ মে ২০২৪
মহান মে দিবস, বঙ্গবন্ধু ও শ্রমিক অধিকার
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা বিশ্ব পরিমন্ডলে ‘মহান মে দিবস’ বা শ্রমিক দিবস হিসেবে গুরুত্বসহকারে পালন করা হয়। বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী, পেশাজীবী, মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম, সাফল্য ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস। মে দিবস এলেই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে ঘর্মাক্ত মেহনতি-শ্রমজীবী মানুষের প্রতিচ্ছবি। আর এই শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের প্রশ্নটিও সাথে সাথে উঠে আসে এই ঐতিহাসিক দিনে। এই দিবসের তাৎপর্য অনেক, এর পেছনে রয়েছে একটি রক্তস্নাত ইতিহাস। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আট ঘণ্টা শ্রম দিবস, মজুরী বৃদ্ধি, কাজের উন্নতর পরিবেশ ও শ্রমের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে আত্মহুতি দান করেছিলেন শ্রমিকরা, ১ মে তারিখে বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট সমাবেশে পুলিশের গুলি বর্ষণে ৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়। এর প্রতিবাদে পরদিন হে মার্কেটে শ্রমিকরা মিলিত হলে কারখানার মালিকরা সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এতে ৪ শ্রমিক নিহত হয়। শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন করার দায়ে অগস্ট স্পাইস নামে এক শ্রমিক নেতাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট কংগ্রেসে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষিত হয় এবং তখন থেকে অনেক দেশে দিনটি শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক উদযাপিত হয়ে আসছে।
১৯৭২ সালে ১ মে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১ মে-কে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা সহ রাষ্ট্রপতি আদেশ ২৭(ক) ধারা মোতাবেক এদেশের সকল ব্যাংক, বীমা, শিল্প- কলকারখানা, রেল, নৌ-পরিবহনসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্ব ঘোষণা করেন। ফলে এর সুফলও ঐ সকল শিল্প কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগণ ভোগ করতে থাকেন। সরকার নীট মুনাফার ৫% শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সমহারে বন্টনের ঘোষণা দেয়, ফলে বেশ কিছু শিল্পে উৎপাদন ও মুনাফা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ১৯৭৭সালে প্রথম পাকিস্তানী অবাঙালিদের রেখে যাওয়া কিছু কিছু শিল্প কলকারখানা ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া শুরু করেন, পরবর্তীতে জেনারেল এরশাদ ও বেগম খালেদা জিয়ার সরকার কম-বেশী সবাই ব্যক্তি মালিকানায় মিল কলকারখানা হস্তান্তর করেন। আটের দশকের শেষের দিকে পূর্ব-ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পর তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো অতিদ্রুত সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কর্মসূচী পরিত্যাগ করে বাজার অর্থনীতি তথা মুক্তবাজার অর্থনীতি রাষ্ট্রীয় পলিসি হিসেবে ঘোষণা করেন।
এই সব কারণে একদিকে যেমন শোষণ- নির্যাতন বেড়েছে অপর দিকে ব্যক্তির লুটপাটে পানির দামে ক্রয়কৃত চালু মিল কলকারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। দেশ আজ আমদানি নির্ভর একটি সিন্ডিকেট চক্রের হাতে জিম্মি । বাংলাদেশে আজ শ্রমিকদের অবস্থা খুবই নাজুক । নারী-পুরুষের মুজুরী বৈষম্যতো আছেই, এছাড়াও প্রায় সকল সেক্টরে ৮ ঘন্টার বেশী শ্রম দিতে হয়। হোটেল- রেস্তোরায় ও পরিবহন সেক্টরে ভোর ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত শ্রমিক খাটানো হয়, তারপরও নেই কোন নিয়োগপত্র, নেই কোন মজুরী কাঠামো, নেই কোন উৎসব ভাতা কিংবা চিকিৎসাভাতা, এই সব সেক্টরে অধিকাংশ শিশু শ্রমিক নিয়োজিত আছে। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প , চাউলের কল, চাতাল, চিংড়ী ঘের ও কৃষি কাজে হাজার হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মরত আছে। এখানেও তাদের নেই কোন মজুরী কাঠামো বা নির্ধারিত শ্রম ঘন্টা অথবা কর্মের উপযুক্ত পরিবেশ, এমনকি শ্রমিকদের নেই নিজের জীবনের নূন্যতম নিরাপত্তা, অথচ তাঁরাই নিজের শ্রম দিয়ে, ঘাম দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা চালু রেখেছেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে শ্রমিক হত্যাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১,৫০০ শ্রমিক নিহত এবং দুইসহস্রাধিক শ্রমিক আহত হয়ে পঙ্গুবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাহ্যিকভাবে এটি দুর্ঘটনা। একটি ভবন ধসে লোক হতাহত হয়েছেন।
আসলে এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা? কথিত দুর্ঘটনার আগের দিন ভবনটিতে ভয়াবহ ফাটল দেখা যায়। লোকজন ভবন ছেড়ে চলে যায়। পরের দিন ভবনে অবস্থিত কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দুর্ঘটনার আশংকায় খোলেনি। সেখানে গার্মেন্টস শিল্পে কাজ করার জন্যে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিককে চাকরির ভয়ভীতি দেখিয়ে ঐ ভবনের ভেতরে নেয়া হয়। তারপর এই দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনটি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে সিলগালা করে বন্ধ করতে অসুবিধা কোথায় ছিল? ভবনটি নির্মাণে রাজউকের কোন অনুমোদন ছিল না। ভবন মালিক পৌরসভা থেকে ছয় তলা করার অনুমোদন নিয়ে, সেখানে নয় তলা ভবন তৈরী করলো কিভাবে? এই ভবন ধসের বিষয়টি মানবসৃষ্ট, কাজেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি নিছক দুর্ঘটনা নয়, ইহা হত্যাকান্ড। ফলে ভবন মালিক সোহেল রানাসহ দায়ী সব পোশাক শিল্পের মালিকদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ী পোশাক শিল্পের মালিকদের বাঁচানোর যে চেষ্টা অতীতে বিজিএমইএ করে এসেছে, তা থেকে তারা সরে আসবে বলে আশা করছি। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প খাতকে বাঁচানোর স্বার্থেই এটা করতে হবে।কর্মস্থলে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রানা প্লাজা হতাহত শ্রমিকদের অনেকেই আজও তাদের ক্ষতিপূরণ পায়নি।
এমনকি নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা শত চেষ্টা করেও খোঁজ কিংবা নিহত শ্রমিকের লাশও পায়নি। এই ভবন ধসের ঘটনার অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুরূপ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি অন্যান্য কারখানায় না ঘটে সেরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম-আন্দোলনে বাংলাদেশের শ্রমিকদের আত্মত্যাগ ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। বাংলাদেশের শ্রমক্ষেত্রে যত আইন, নীতি, বিধি-বিধান ও নীতিমালা রয়েছে তা মূলত দেশের শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা তথা শ্রমক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমিজীবী মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশী। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের একাগ্রতা ও শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সুসম্পর্ক অপরিহার্য। টেকসই উন্নয়ন ও শিল্প-বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাদের ন্যায্য অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে হবে।
ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের গ্লোবাল রাউন্ডে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা
বুধবার ০৮ মে ২০২৪
রাণীশংকৈলে কুলিক নদী থেকে বালু উত্তোলনের অপরাধে ২ ব্যাক্তিকে ১৫ দিনের কারাদন্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্র দখলে ব্যর্থ হয়ে পোলিং অফিসারকে মারধরের অভিযোগ
বুধবার ০৮ মে ২০২৪
টাঙ্গাইলের মধুপুরে ভোট দেয়া হলো না মাসুদের
বুধবার ০৮ মে ২০২৪