Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

নিজের ‘গোপন তথ্য’ ফাঁস করলেন মিঠুন চক্রবর্তী

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৪৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক; এক জুটিকে বিয়ে দিতে পেটব্যথার ভান করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তার সেই ‘সত্যিকারের অভিনয়’ বেশ কাজে দিয়েছিল। ১৯৮৬ সালে সেই জুটির বিয়ে করেছিল সেই জুটি।

নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া এমনই এক ঘটনা সম্প্রতি ফাঁস করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘এই তথ্য অনেকেই জানেন না। তবে আমি শুটিংয়ের দিনেই পদ্মিনীকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিলাম। সবার সামনে পেটে ব্যথার অভিনয় করি। যাতে ও দৌড়ে গিয়ে বিয়ে করে আবার ফিরে আসতে পারে। যতক্ষণ না ও ফিরে আসে, আমি অসহ্য পেটে ব্যথার ভান করেছি। আমি না বলা পর্যন্ত বিষয়টা কেউ টের পায়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জনপ্রিয় অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরীর সঙ্গে বেশ সখ্যতা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। অতীতের চমকপ্রদ সেই ঘটনা জানাতে গিয়ে মিঠুন বলেন, ‘শুটিং সেটের মধ্যে সমানে এক চোখ দেখাত পদ্মিনী। যেটা নিয়ে বাঙালিদের কুসংস্কার রয়েছে। এক চোখ দেখালেই ঝগড়া হয়। আর ও সমানে চোখ রাঙাতো। এটার জন্য আমিও খুব রেগে যেতাম। যথারীতি আমাদের ঝগড়া শুরু হয়ে যেত শুটিংয়ে।’

পদ্মিনী কোলাপুরীর সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী

 

অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরী জানান, ‘টম অ্যান্ড জেরির মতো খুঁনসুটিতে ভরা, সাপে-নেউলে সম্পর্ক তার ও মিঠুনের। মারপিট করলেও এক নিবিড় বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন তারা।

উল্লেখ্য, এক সময়ের সুপারহিট এই জুটিকে ‘পেয়ার ঝুকতা নেহি’, ‘স্বর্গ সে সুন্দর’, ‘হাম ইন্তেজার করেঙ্গে’র মতো একাধিক সুপারহিট ছবিতে দেখেছেন সিনেমাপ্রেমীরা।


আরও খবর



গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এই দিবসটি সামনে রেখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শতাধিক সংগঠন। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে দিবসটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে পালনের স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপি গণমাধ্যমকর্মীরা ও তাদের বিভিন্ন সংগঠন এই দিবসটি পালন করে আসছে। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো প্রভৃতি কর্মসূচি এই দিবসে পালন করা হয়।

গণমাধ্যম গণতন্ত্রের সদা জাগ্রত প্রহরী। কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে, গণতন্ত্রের মর্যাদা লুন্ঠিত হলে, কিংবা গণতন্ত্রের পবিত্রতা কোন কারণে কলুষিত হলে, গণমাধ্যমের নির্ভিক কন্ঠ সেখানে সোচ্চার হয়ে উঠে। গণমাধ্যম তাই জনগনের পবিত্র গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণে সর্বদা দায়িত্বশীল অভিভাবক। গণমাধ্যম জনগণকে সচেতন করতে সদা সচেষ্ট এবং জনগণ ও সরকারের মধ্যে গণমাধ্যম সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। জনসাধারণের মতামত/চিঠিপত্র প্রভৃতি প্রকাশের মাধ্যমে জাগ্রত জনমতকে প্রতিফলিত করে সংবাদপত্র পালন করে তার পবিত্র নৈতিক দায়িত্ব। তাই বলা হয় “ওঃ রং ঃযব চবড়ঢ়ষবং চধৎষরধসবহঃ ধষধিুং ংবংংরড়হং” মন্তব্যটি সর্বোতভাবে স্বার্থক। সংবাদপত্র আক্ষরিক অর্থেই সদা জাগ্রত জাতীয় সংসদ।

গণমাধ্যম একটি সমাজ বা জাতির সামগ্রিক জীবনের প্রাত্যহিক দলিল। তাই গণমাধ্যমকে অবশ্যই স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে। গণমাধ্যম হতে হবে জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। জনগণের স্বার্থে গণমাধ্যম যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তেমনি ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্যে করবে সংগ্রাম। গণমাধ্যমকে নির্ভীক ও অকপট হতে হবে। আমাদের দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আশানুরুপ নয়। ক্ষমতাসীন প্রতিটি সরকারই স্বীয় দলের স্বার্থে গণমাধ্যমের উপর আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে বারবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ ৫৩ বছরেও গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম কোনটাই শক্তিশালী হতে পারেনি। কারণ দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪৪ মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর বারবার সামরিক অভ্যুত্থান, হত্যা, রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, যুব সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা, বেকারত্ব, জনস্ফীতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, ঘুষ-দুর্নীতি, দলীয়করণ ইত্যাদি অবক্ষয় স্বাধীনতার মুল লক্ষ্য গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারকে বিপন্ন করে চলেছে। দেশের সবক্ষেত্রেই ব্যবসায়িক মানসিকতা বিদ্যমান। তোষামোদ, সুবিধাবাদিতা আর মিথ্যাচার সুবিধাভোগী সমাজকে স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। বেশীর ভাগ গণমাধ্যম গণমানুষের মুখপত্র না হয়ে সুবিধাবাদী তল্পিবাহক, দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক গোষ্ঠির ক্ষমতারোহন কিংবা ক্ষমতাকে পাকাপোক্তকরণের হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে।
দেশের গণতন্ত্র দুর্বল থাকলে চেষ্টা করলেও গণমাধ্যম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে না। কোন সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম অথবা গণমাধ্যমকর্মী সমাজে ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেই নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তবে শত ঝুঁকির পরেও গণমাধ্যম তাদের দায়িত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সাথে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর দেশের গণমাধ্যম ও তার কর্মীরা যত দলনিরপেক্ষ, নির্ভীক, শিক্ষিত ও সৎ হবেন, ততই দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

গণতন্ত্র বলতে জনসাধারণের শাসন ব্যবস্থাকে বুঝায়। যে শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে তাকে গণতন্ত্র বলে। গণতন্ত্র অর্থ জনসাধারণের শাসন। জনগণ যখন সকল ক্ষমতার অধিকারী হয় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ভার জনগণের ওপর ন্যস্ত থাকে তখন তাকে গণতন্ত্র বলা হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রের সকলে অংশ গ্রহণ করতে পারে এমন এক ব্যবস্থা বলেছেন। কাজেই বলা যায়, যে সরকার বা শাসন ব্যবস্থায় জনমতের প্রধান্য স্বীকৃত হয় এবং জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালিত হয় তাই গণতন্ত্র। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের একটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা দিয়েছেন “উবসড়পৎধপু রং ধ এড়াবৎহসবহঃ ড়ভ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব, নু ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব) তাঁর মতে “জনসাধারণের জন্য, জনসাধারণের দ্বারা পরিচালিত এবং জনসাধারণেই সরকারই হল গণতন্ত্র।

গণতন্ত্র নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে, ফলে গণতন্ত্রে নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ ও স্বাধীনতা থাকে। গণতন্ত্র আর গণমাধ্যম একটি আরেকটি পরিপূরক। যেখানে গণমাধ্যম যতবেশী শক্তিশালী যেসখানে গণতন্ত্র বেশী শক্তিশালী। পরমত সহিষ্ণুতাই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় কথা। আলোচনা, মতপ্রকাশ, ঐক্য, সংহতি হলো গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ সিঁড়ি। অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। মৌলিক অধিকার হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা। বাংলাদেশের সংবিধানের ধারার ৩৯(১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে এবং ৩৯ (২) সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।

গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ, জাতির বিবেক, জনতার কন্ঠস্বর, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ইত্যাদি নানা নামে গণমাধ্যমকে অভিহিত করা হয়। কিন্তু সেই জাতির বিবেকের উপর চলে নানা জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার, গণমাধ্যমকর্মীদের উপর করা হয় নির্যাতন, এমনকি তাদের হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু খুনি ও নির্যাতনকারীরা আইনের আওতায় আসছে না, তাদের শাস্তি হচ্ছে না। এই বিষয়ে সাংবাদিক ইউনিয়ন বা সংগঠনগুলোর ঐক্য প্রয়োজন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত মর্যাদার জন্যে রাজনৈতিক বিশ্বাসের উর্ধ্বে উঠে সকল সাংবাদিক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের পেশাগত ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
পরিশেষে বলা যায় যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা অপরিহার্য। তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি জানানো হয় যে, তথ্য মন্ত্রণালয় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যমের সহায়তায় জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, গণমাধ্যম শিল্পের মানোন্নয়ন, সম্প্রচার ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির লালন, বিকাশ ও সংরক্ষণ এবং গণমাধ্যমকর্মীর পেশাগত দক্ষতা ও সেবার মানোন্নয়নের কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছেন। কিন্তু সাংবাদিকগণ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় হামলা ও নানা রকম হুমকীতে শিকার হতে হয়। গত ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার। নিহতদ্বয় স্বামী-স্ত্রী। ছয় বছর বয়সী একমাত্র শিশু পুত্র মাহির সরোয়ার মেঘের সম্মুখে এই সাংবাদিক দম্পত্তি খুন হয়েছেন। কিন্তু আজো খুনীদেরকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরতে পারেনি, কিংবা চিহ্নিত করতে পারেনি। ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি পল্টনের নিজ বাসায় খুন হন দৈনিক জনতার সহ-সম্পাদক ফরহাদ খাঁ ও তাঁর স্ত্রী রহিমা খাতুন। বিগত খালেদা-নিজামীর আমলে খুন হন সাংবাদিক মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ আরো অনেকে। বর্তমান সরকার গণমাধ্যম কর্মী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট’ গঠনসহ সাংবাদিকদের কল্যাণে কতিপয় প্রসংশনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যম কর্মী আইনটি সংসদে উপস্থাপিত হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়  স্থায়ী কমিটিতে আইনটি যাচাই-বাচাইয়ের জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জারি করেন নিউজপেপার এমপ্লয়ীজ (কন্ডিশন অব সার্ভিস) অডিন্যান্স জারি করেন। এই আইনের অধীনে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বোর্ড কর্মচারীদের  ওয়েজ বোর্ড  হয়ে আসছিল। কিন্তু ৬ষ্ঠ ওয়েজ বোর্ড গঠনের সময় ধরা পড়লো বিএনপি সরকার কোনো অংশীজনের সাথে আলোচনা না করে এই আইনটি বাতিল করে দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সনের আইনটি সাংবাদিকতা পেশাকে কয়েকটি বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। এই আইনে সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমের কর্মচারীদের অধিকার ও বিরোধ নিস্পত্তির বিষয়গুলো শ্রম আইনের মধ্যে রেখেও কিছু বিশেষ মর্যাদা নিশ্চিত করেছিল। এই গুলো হচ্ছেঃ সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমে কর্মচারীদের জন্য পৃথক ওয়েজ বোর্ড গঠন, পেশার সংজ্ঞায়ন,  বিশেষায়িত বলে কতপিয় বিশেষ সুবিধা  নিশ্চিতকরণ। প্রক্রিয়াধীন  নতুন আইন ১৯৭৪ সালের আইনের মূল চেতনা ধারণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। নতুন আইনে বিশেষ অধিকারগুলো সুনির্দিষ্ট করবে, প্রচলিত শ্রম ও সংশ্লিষ্ট আইনের সাথে বিশেষায়িত বিষয়গুলো সমন্বয় করবে, যেগুলো বিধিতে আনা সম্ভব সেগুলো বিধির জন্য পাঠাবে, যেগুলো ওয়েজ  বোর্ড নির্ধারিত হবে সেগুলো পৃথক করবে, ‘যা বাহুল্য তা’ বাতিল করবে। এভাবেই নতুন আইনটি সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন,  বেসরকারি বেতার মাধ্যমে সাংবাদিক, আলোকচিত্র সাংবাদিকসহ গণমাধ্যমের সকল কর্মচারীদের অধিকার, নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এই নতুন আইনটি দ্রুত প্রণয়ন ও গেজেট আকারে প্রকাশ এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বর্তমানে বিদ্যমান আইনসমূহের কার্যকর প্রয়োগ অপরিহার্য। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও খবর



রূপসীতে ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা,ভাংচুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:রূপগঞ্জের রূপসীতে শের ই আলম ভুইয়া নামক এক সিমেন্ট ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে সন্ত্রাসী জজ মিয়ার বাহিনী। গত ১২ মে সকালে রূপসী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত "মেসার্স হেরা ট্রেডার্স" নামক দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে গত ১৩ মে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শের ই আলম ভুইয়া। 

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে রূপসী এলাকার জজ মিয়া (৫৮) ও তার ছেলে রিপনসহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন হাতে দা, চাকু, ছুরি, লোহার রড, চাপাতি, লাঠিসোটা ইত্যাদি দেশীয় তৈরি অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হইয়া রূপগঞ্জ থানাধীন রূপসী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন স্কয়ার টয়লেট্রিক্স লিঃ এর পূর্ব পার্শ্বে তার প্রতিষ্ঠানে অনধিকার প্রবেশ করিয়া দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করিয়া হুমকি ধামকি প্রদান করে। 

শের ই আলম ভুইয়া জানান, ২নং আসামী রিপন আমার প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বাক্সের ড্রয়ার ভাঙ্গিয়া ক্যাশ বাক্সে রক্ষিত নগদ-২,০০,০০০/-টাকা চুরি করিয়া নেয়। আমার ডাক-চিৎকার শুনিয়া আশপাশ হইতে লোকজনসহ পথচারিরা আগাইয়া আসিতে থাকিলে উপরোক্ত আসামীরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ প্রাননাশের হুমকি প্রদান করিয়া দ্রুত পালাইয়া যায়। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় আহত অবস্থায় উদ্ধার হইয়া স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি।

  -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মেহেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স বিতরণ, ব্যালট যাবে কাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:আগামীকাল বুধবার মেহেরপুরে সদর ও মুজিবনগর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে জেলা নির্বাচন অফিস। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় জেলা পুলিশ লাইন মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেয় পুলিশ, এপিবিএন ও আনছার ব্যাটলিয়নের সদস্যরা। দুপরে নির্বাচন অফিসের কার্যালয় থেকে শুরু হয় স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স বিতরণের কাজ। দু’টি উপজেলার ১১৯ টি কেন্দ্রর প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যালট ব্যাক্স গ্রহণ করেন।

পুলিশ সুপার এস.এম নাজমুল হক বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশ, সদস্য, এপিবিএন সদস্য, র‌্যাব, আনছার সদস্যরা কাজ করবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে থাকবে পুলিশ। ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের একটি দল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। তাদের নেতৃত্বে থাকবে বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। যে কোন মূল্যে সাধারণ মানুষকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রিটানিং কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ব্যালট পেপার দেওয়া হবে আগামীকাল ভোর থেকে। দুরবর্তী কেন্দ্রগুলোর জন্য ৪ টি ইউনিয়নের মধ্যবর্তী একটি ইউনিয়ন পরিষদে ব্যালটবাক্সগুলো রাখা হবে। ভোরে সেখান থেকে ঐ ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপারগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। 


আরও খবর



বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে আসতে যাচ্ছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার ফুটবল একাডেমি। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-আইএসডি ক্যাম্পাসে আয়োজিত হতে যাচ্ছে তাদের ট্রেনিং ক্যাম্প। বার্সা একাডেমির কোঅর্ডিনেটর ফ্রানসেস্ক পুইগডোমিনেক ও কোচ হেক্টর আলবিনানা সরাসরি তত্ত্বাবধানে আগামী ১৯-২৩ জুন এ ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হবে।

এফসি বার্সেলোনার প্রতিষ্ঠান বার্সা একাডেমি এর শিক্ষার্থীদের ফুটবলের মাধ্যমে কেবল খেলোয়াড় হওয়ার প্রশিক্ষণই দেয় না; একইসাথে, ভালো মানুষ হিসেবেও গড়ে তোলার চেষ্টা করে। এটি বার্সার তৈরি নিজস্ব পদ্ধতি দ্বারা অনুপ্রাণিত স্কুল মডেলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। দক্ষতা উন্নয়ন, দলগত কাজ ও খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তরুণ মেধাবীদের ফুটবলে দক্ষ ও আগ্রহী করে তোলার ক্ষেত্রে একটি প্রতিশ্রুতিশীল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখছে আইএসডি’র বার্সা একাডেমি ফুটবল ট্রেনিং ক্যাম্প।

বার্সা একাডেমি ফুটবল ট্রেনিং ক্যাম্প সামগ্রিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়, যেখানে প্রতিটি খেলোয়ারকে কেবল প্রায়োগিক দক্ষতা বাড়ালেই হবে না; পাশাপাশি দলগত কাজের গুরুত্ব, সততার সাথে খেলা (ফেয়ার প্লে) এবং খেলার প্রতি মর্যাদার বিষয়টিও শিখতে হয়। আইএসডি ও অন্যান্য স্কুলের ৬-১৭ বছর বয়সী আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই ক্যাম্পে অংশ নিতে পারবে।

বয়সভিত্তিক ৩টি গ্রুপে সেশনগুলো আয়োজিত হবে - অনুর্ধ্ব ১১ বছর বয়সীদের জন্য সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, অনুর্ধ্ব ১৪ বছর বয়সীদের জন্য বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এবং অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের জন্য বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। ক্যাম্পের জন্য নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে আগামী ২১ মে পর্যন্ত।


আরও খবর



জয়পুরহাটে জুয়ার টাকাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত, থানায় মামলা, আটক -১

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী তেঘরবিশা মেলায় জুয়ার আসর কে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের হামলায় ছুরিকাঘাতে যুবলীগের দুই কর্মী আহত হয়েছে। 

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের আজাদ অটো রাইস মিলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।   এ  ঘটনায় গত  ২০ এপ্রিল রাতে জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- জেলা যুবলীগের কর্মী শহরের আদর্শপাড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম মন্ডল ও একই এলাকার কাজেম উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন।

মামলার আসামী হলেন- জয়পুরহাট কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও শহরের আদর্শপাড়া এলাকার বাবুর ছেলে পিয়াস আহমেদ পৃথিবী (২৮), একই এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে আল আমিন (২৫), ওসমান আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৪), হানিফের ছেলে হাসিব (২২), রফিকুল ইসলামের ছেলে রঞ্জু (২৮)। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সনাতন ধর্মালম্বীদের শিবপূজা উপলক্ষে তেঘরবিশায় মেলা বসে। প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসন দরপত্র আহবান করে মেলাটি ইজারা দেয়। এ বছরও দরপত্র আহবান করা হয়েছিল। তবে কেউ দরপত্রে অংশ নেয়নি। উপজেলা প্রশাসন মেলা থেকে খাস আদায় করে। মেলাটি গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়। মেলা শুরুর পর থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালী আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চালু করে। দুদিন পর অশ্লীল নৃত্য বন্ধ হলেও চলতে থাকে জুয়া। মেলায় পুলিশের পাহারাও ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই জুয়া চালিয়ে গেছেন প্রভাবশালীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মেলায় জুয়া চলার সময় গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ছাত্রদলের পিয়াস নামের এক নেতা তার কিছু ছেলেপেলে নিয়ে মেলায় জুয়া বোর্ড হইতে টাকা দাবি করে এবং ভিডিও ধারনের চেষ্টা করে। এসময় জুয়া বোর্ডের পাশে অবস্থিত দোকানদার তাকে বাধা দিলে পিয়াস দোকানদারকে চড় থাপ্পড় মারেন এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে খোরশেদ তাদের ডেকে নিয়ে শাসিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে মেলা থেকে বের করে দেন। এরপর রাতে বাড়ি ফেরার পথে খোরশেদ ও ফারুকের গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করার ঘটনার ঘটে।

মামলার বাদী মোসলেম উদ্দীন বলেন, আমার ছেলে খোরশেদ ও ভাতিজা ফারুককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে খোরশেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া মেডিকেলে রেফার্ড করেন। আর ফারুক হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছি।

 জয়পুরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল জান্নাত শাহ্ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর রুহুল আমিন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর