Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় ৩ নম্বরে পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী শত্রুতা নয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র, অংশীদারত্ব চান শি জিনপিং ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় আজ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ: কর্মীদের সুরক্ষায় রেলের নির্দেশনা বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু

নাসিরনগর হরিপুরের কুখ্যাত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী জীবনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী হুসন আলীর ছেলে জীবন (৩৫)কে গতকার বিকেলে হরিপুরের মাঠ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ জানায় আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মুলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।জানা গেছে জীবন ডাকাত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক ছিল।গতকাল বিকেলে নাসিরনগর থানা পুলিশের এস আই রুপন নাথ সঙ্গীয় এ এস আই মোঃ কামরুল ইসলাম,কনষ্টেবল মোঃ জাফর ও রানাকে সঙ্গে নিয়ে হরিপুর ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে মাঠ থেকে ডাকাত জীবন কে গ্রেপ্ততার করে।এস আই রুপন নাথ জানায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।জীবন ডাকাত প্রেপ্তারের ফলে এলাকায় স্বস্তির নিশ্বাস বইছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে তৃতীয় রুয়েট

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাক এই চারটি গ্রুপে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পরবর্তীতে তাঁদের মধ্য থেকে শীর্ষ বারোজন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে, আরেকটি দল যোগ দেয় কম্পিউটিং ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আরও একটি দল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল যোগ দেয় ক্লাউড ট্র্যাকে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে।

বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাঁদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

রুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। ষ্টেজে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ান আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিলো। এমন অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা হুয়াওয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।“

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ”হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাঁদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবো।”

রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাকার্তার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্বিত বোধ করছি। আমি লক্ষ্য করেছি যে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।”

গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের ৫০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে। শুরুর পর এটি হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অফলাইন গ্লোবাল ফাইনালে পরিণত হতে যাচ্ছে। “কানেকশন, গ্লোরি, অ্যান্ড ফিউচার” থিমের এই ইভেন্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।


আরও খবর



দোয়ারাবাজারের এক কিশোরী ধর্ষন ক‌রে গুম করার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

র‌নি ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:সুনামগ‌ঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক কিশোরী ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগের ঘটনায় জেলাজু‌ড়েই ব‌্যাপক তোলপাড় সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।  এ ঘটনায় জনম‌নে নানা প্রশ্ন দেখা দি‌য়ে‌ছে।

কি‌শোরী নিযাত‌নের ঘটনার ছয় দিন অতিবাহিত হলেও এখ‌নো কি‌শোরী সন্ধান মিলছে না ব‌লে এলাকাবাসীর অ‌ভি‌যোগ ক‌রে‌ছেন।  গত ১১ এপ্রিল রাতে দোয়ারবাজার উপ‌জেলার বাংলাবাজার ইউপির মৌলার পাড় আপনের টিলা নি‌য়ে পালাত্রু‌মে  কি‌শোরী্র উপর অমানবিক নিয়া‌ত‌নের ঘটনা ঘ‌টে।

এলাবাসীর সুত্রে জানা যায় ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার  বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়ে বাঘমাড়া বাজারে
চ‌লে যায়। প‌রে কি‌শোরী‌কে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কালামের বাড়িতে নিয়ে যান।  সেখানে কালাম মেম্বার কিশোরীর ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে এ সময়  কিশোরী জানায় তার বাড়ি বাঁশতলা শহীদ মিনার কলোনীর মৃত- সাইফুল ইসলামের কন‌্যা ।

তখন কালাম মেম্বারের পাশে বাড়ির ছেলে আব্দুল কুদ্দুছ ওরফে মটোকে মোবাইল ফোনে মেয়ের বিষয়টি অবগত ক‌রেন।

আব্দুল কুদ্দুছ ঐ কিশোরীর পরিচয় নিশ্চিত করে   ১১ এপ্রিল কিশোরীকে আব্দুল কুদ্দুছের মাধ্যমে তার বাড়িতে পৌছি‌য়ে দেয়ার দায়িত্ব দেন ইউপি সদস্য।

আব্দুল কুদ্দুছ এ কিশোরীকে বাড়ি না দি‌য়ে এলাকার কুখ‌্যাত চোরাকারবা‌রি বখাটে জনৈক জুটনের কাছে তো‌লে দেন।

এরপর জুটন মেয়েটাকে তার বা‌ড়ি না দি‌য়ে  মৌলারপাড়স্ত আপনের টিলার উপরে নি‌য়ে জোরপু্বক ঐ কিশোরীকে সন্ধ্যা থেকে রাত ভর পালাত্রু‌মে ধর্ষন ক‌রেন জুটন সহ তার দুই সহযোগিরা।

সেখান থেকে রাত ৩টার দিকে  মেয়েটা পালিয়ে পুনরায় সা‌বেক কালাম মেম্বার বাড়িতে এসে অবস্থান নেন।  এরপর কালাম মেম্বারেকে তার স‌ঙ্গে সব কিছু খুলে বলেন কি‌শোরী। তাৎক্ষনিক সা‌বেক কালাম মেম্বার স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের খবর দিলে সে কয়েকজন সংবাদ কর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে এ কিশোরীর জবানবন্দী রেকর্ড করেছি‌লেন।

পরে তাদের মাধ‌্যমে দোয়ারবাজার থানায় নিয়ে যান। থানায় যাওয়ার পর আসামির পক্ষ নেন পু‌লিশ।  থানার ও‌সির স‌ঙ্গে আসামী‌দের বড় অংকের টাকার বি‌নিময় রফা দফার মাধ‌্যমেই অ‌লি‌খিত চু‌ক্তি হয়। পু‌লিশ ঘটনা‌টি চাপা দি‌য়ে নিযা‌তিত কি‌শোরীকে ভয়‌ দে‌খি‌য়ে তার চাচার জিন্মায় দেয়া হয়। এরপর থেকে ঐ ধর্ষিতা কি‌শোরীকে আড়াল করে রাখা হচ্ছে। এলাকাাসীর ধারনা করা হচ্ছে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি থানায় পু‌লিশ ধামাচাপা দেয়ার অ‌ভি‌যোগ ক‌রেন। ধর্ষনের মত এ ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে ডাক্তারী পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া মা বাবা বিহিন অসহায় কিশোরীকে গুম করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ক‌রেন এলাকাবাসী লোকজন।

এব‌্যাপা‌রে ছাতক দোয়ারবাজার সা‌কেল সহকা‌রি পু‌লিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক, জানান,এঘটনার খোজ খবর নি‌য়ে ভিকটিম উদ্ধার ক‌রে আইনানুগত ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে।


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image
সহিদুল আলম বাবুল, কুড়িগ্রাম ব্যুরো চিফ :ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থল বন্ধর হয়ে নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।আজ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ দুপুর ২ টার দিকে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে বিশেষ ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন ভুটানের রাজা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, স্ত্রী রানি জেৎসুন পেমাসহ রাজ পরিবার ও মন্ত্রীসভার সদস্যরা এবং রাজার সফর সঙ্গী ভুটানের সরকারি অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।

এর আগে ভুটানের রাজা দুপুর ১২টার দিকে সফর সঙ্গীদের নিয়ে আকাশপথে সৈয়দপুর বিমানবন্দর পৌঁছান। সেখান থেকে সড়ক পথে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে আসেন ভুটানের রাজা ও তার সফর সঙ্গীরা। দুপুর দেড়টার দিকে তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রীয় এ অতিথিরা।

সেখানে অল্প সময় অবস্থানের পর সড়ক পথেই  সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে নিজ দেশের উদ্দেশ্যে ভারতে প্রবেশ করে রাষ্ট্রীয় এ অতিথিরা।গত সোমবার সকালে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে  ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক ও তার স্ত্রী রানি জেৎসুন পেমা।
 শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ওই সময় ভুটানের রাজাকে দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। 

আরও খবর



গাফিলতীতে রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়ক এখন মরন ফাদঁ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের কুড়িগ্রামের রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়কের দুপাশে যেভাবে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সামনেই ঈদ।নারীর টানে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগী করতে আসছেন ঘরমুখী যাত্রীরা। এসময় মহাসড়কের যে মরণ ফাদ দেখলেই যেন ভয় লাগে। ২০১৮/১৯ অর্থবছরের পূর্ণমেরামত এখন পর্যন্ত সর্ম্পূণ করতে পারেনি রৌমারী ঢাকা রোডের নির্মান কাজ।

২০১৮/২০১৯ ইং সালে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলাসহ এই অবহেলিত অঞ্চলটিকে সচল করতে রৌমারী হইতে জামালপুরের নন্দীর বাজার পর্যন্ত রাস্থাটি দুৃই লাইনে উন্নতি করার লক্ষে ৩শত ৩২ কোটি টাকার টেন্ডার দেওয়া হয়। এতে ৪ টি প্যাকেজ করা হয়েছে যাতে দূরত্ব নির্মান কাজ শেষ হয়। জনসাধারণের সুবিধার্থে সরকারের যে পরিকল্পনা ৫ বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি রোডের কাজ। রৌমারী উপজেলার শালুর মোর হইতে রাজিবপুর উপজেলার শেষ পর্যন্ত এখানে দুটি প্যাকেজ করা হয়েছে। যার দূর্গ ৩২ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। ঢাকা সংযোগে একই বরাদ্দে সর্বমোট ৫৯ কিলোমিটার রাস্তা দু লাইনে উন্নতি করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩২ কোটি টাকা। ৫৯ কিলোমিটার রাস্তা নির্মানে ৩৩২ কোটি টাকার কাজে ৪ টি প্যাকেজ করা হয়। এরমধ্যে জামানপুর জেলা সংলগ্ন কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার সুইজগেইট এলাকা হইতে রৌমারী উপজেলার দাতভাঙ্গা ইউনিয়নের শালুর মোর পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটা নির্মানে ১৫০ কোটি টাকা সড়ক উন্নয়নে টেন্ডার দেয় (সওজ) ১৮/১৯ অর্থবছরে। দুটি প্যাকেজের ঠিকাদার মীর হাবিবুল আলম, ও রানা কির্ন্ডাস কাজে গড়িমসি করায় বৃষ্টির পানির ¯্রােতে সড়কের দু সাইটে অনেক অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দূর্বল হয়ে পড়েছে সড়কের জীবন। সামনে ঈদ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পেটের দায়ে চাকুরী করছেন। বিভিন্ন কর্মে যারা নিয়জিত রয়েছেন তারা কিন্ত ছুটির পথ চেয়ে অপেক্ষা করছে কখন ছুটি পাবো আর পারিবারের সাথে ঈদ আনন্দটা ভাগাভাগি করবেন এনিয়েই ঈদের একয়দিন ব্যস্তসময় পার করছেন ঘরমূখী মানূষ গুলো। এদিকে ঘরমুখী যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌছাতে অসাবধানতায় অনেক দূঘর্টনার শিকার হয় এটি আমরা সবাই জানি। রৌমারী টু ঢাকা সড়কের যেঅবস্থা অনেকেই বলছেন দূরর্ত্ব গামী গাড়ির ড্রাইভাররা ঈদ আসলে যেভাবে গাড়ী ড্ধসঢ়;্রাইভ করে এনিয়ে আস্কায় রয়েছেন সচেতন মহলরা। গর্তের ধরন ৪ থেকে শুরু করে ১০ ফিট পর্যন্ত বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এতে পরো গাড়ীটাই এসব গর্তে লুকিয়ে রাখা যাবে।এবিষয় কুড়িগ্রাম সড়কজনপদের (সওজ) প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান বিষয়টি শুনেছি ইদের আগেই গর্ত গুলো ভরাট করা হবে পাশাপাশি রাজিবপুরের শেষ মাথা হইতে ফিনিশিং কাজ শুরু হয়েছে। এবিষয় ঠিকাদারের কাউকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর