Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী, কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের পর বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজরা। আ  এই চোরাচালান করতে গিয়ে গত ৩ মাসে প্রায় ২৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

খোঁজ জানা গেছে- আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ২শ টন কয়লা, ৫শ বস্তা চিনি ও পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া ও নজির মিয়াগং গত ২দিনে প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এজন্য ১ বস্তা (৫০কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা ও অন্যান্য মালামাল থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করেছে সোর্স পরিচয়ধারী আইনাল মিয়া, সোহেল মিয়া ও বাবুল মিয়া। অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বিজিবির নামে ৫০টাকা, থানা ও সাংবাদিকদের নামে ১টন অবৈধ কয়লা থেকে ২হাজার টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি চুনাপাথর (৫০ ফুট) থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন কয়লা ও ৩শ মেঃ টন চুনাপাথর পাচাঁর করে বড়ছড়া-জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন কাঠের ব্রিজ ও আশেপাশের একাধিক ডিপুতে মজুত করেছে। একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারো ছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া, নজরুল, জামাল মিয়া, হারুন, জম্মত আলীগং ৩শ মেঃ টন কয়লা, ২০টি গরু, ২শ বস্তা চিনি, ৩৫০বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করেছে। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম ও লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পর করে চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। একারণে সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ধান কাটার সময় কিন্তু চোরাচালানের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই চোরাচালানের কারণ আমরা প্রায় ৩হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না।

এব্যাপারে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানাতে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬), চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) সহ বালিয়াঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৭) ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে বারবার কল করার পর ফোন রিসিভ না করে তারা আমার মোবাইল নাম্বার (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) ব্লক করে দেয়।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর



হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউপির পাতরাপাড়া গ্রামে অবস্থিত মানব কল্যাণ ভোগ্য পণ্য সমবায় সমিতির উদ্যোগে দিনাজপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি’র সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পাতরা পাড়া গ্রামে সমবায় সমিতির কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানব কল্যাণ ভোগ্য পণ্য সমবায় সমিতির সভাপতি হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফয়েজ উদ্দিন মন্ডল এর পুত্র নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে শতাধিক গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করেন। দোয়া মাহফিলে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি’র সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বর্তমানে তিনি ভারতের ভেলোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন, তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন গ্রামবাসী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাতরাপাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাধারণ গ্রামবাসী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ বিষয়ে নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় এ্যাড: মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি আমাদের বাড়িতে অবস্থান গ্রহণ করেন। তখন থেকেই আমাদের পরিবারের সঙ্গে অত্যন্ত সু-সম্পর্ক রয়েছে। তিনি এই এলাকার ৮ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক সফল মন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য আ্যডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আমরা তার সুস্থতা কামনা করে আজকে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি, তার জন্য দোয়া করছি আল্লাহ্ধসঢ়;;আলা যেন তাকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা রইস উদ্দিন। এ সময় প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বুধবার (১০ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদুল ফিতর আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক সীমাহীন আনন্দ, সুখ ও শান্তি।

আপনারা সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন। ঈদ মোবারক।’ এ কথা বলে শেখ হাসিনা তার ঈদের বার্তা শেষ করেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাওয়ালের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।


আরও খবর



নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদযাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...’


আরও খবর



দুই উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দ, একটির যাচাই বাছাই সম্পন্ন মেহেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।আজ মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেওয়া হয়। প্রতীক পেয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার- প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে হাসেম আলী আনারস, ইব্রাহিম শাহীন কাপ পিরিচ, আব্দুল মান্নান ঘোড়া এবং আনারুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসেম আলী লড়বেন চশমা প্রতীক এবং মোঃ শাহিন লড়বেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে।এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহেরপুর সদর উপজেলায় তিনজন প্রার্থীর মধ্যে লতিফুন্নেসার লতা পেয়েছেন বৈদ্যুতিক পাখা মার্কা। সামিউন বাছিরা পলি ও রোমানা আহমেদ পেয়েছেন যথাক্রমে হাঁস ও কলস প্রতীক।

মুজিবনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে আমাম হোসেন মিলু আনারস, র‌ফিকুল ইসলাম ক‌পি পি‌রিচ, মাহবুব হোসেন মোটরসাইকেল এবং কামরুল ইসলাম চান্দু পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক। এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুজিবনগর উপজেলায় রাজিব হোসেন পেয়েছেন টিউবওয়েল ও মতিয়ার রহমান পেয়েছেন চশমা প্রতীক।মুজিবনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তকলিমা খাতুন কলস ও আফরোজা খাতুন লড়বেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে।

অপরদিকে গাংনী উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে দশ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় প্রার্থীর সকলেরই মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গণ্য হয়েছে। ‌

প্রসঙ্গতঃ আগামী ৮ মে প্রথম দফায় সদর এবং মুজিবনগর এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ মে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর