Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ব্যবসায়ীর ২৪ লক্ষ টাকা লুট, ৬ লাখ টাকাসহ মূল হোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:জুসের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তা খাইয়ে এক ব্যবসায়ীর ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা লুট হওয়ার ঘটনায় মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানা থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ। তার নাম ইয়াকুব আলী মাসুদ (৬৫)। সে নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানার চর জব্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ মিয়ার বাড়ির মৃত আবদুল হালিমের ছেলে। এসময় তাঁর কাছ থেকে নগদ ৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, স্বর্ণের তাবিজ ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

মিরসরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩ টায় চট্টগ্রামের গরিবুল্লাহ শাহ থেকে ছেড়ে আসা সেন্টমার্টিন ইয়াছিন এক্সপ্রেস বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক কাজে রওয়ানা হন আবুল কালাম। পথিমধ্যে মিরসরাই থানার মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে পাশের সিটে বসা অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে জুসের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ালে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার সাথে ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় ওই ব্যক্তি। এরপর ভুক্তভোগী আবুল কালাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি হাতে পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সহিদুল ইসলামের নির্দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করেন মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায়। নোয়াখালী জেলার ডিবি পুলিশের সহায়তায় গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী আবুল কামাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার থান্ডাচড়ি ইসলামপুর ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদের বাড়ির মৃত আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম শহরের টেরিবাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন।

আবুল কালাম বলেন, সেদিন আমি চট্টগ্রাম নগরীর গরিবুল্লাহ শাহ এলাকার বাস স্টপেজ থেকে সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস এসি বাসযোগে ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা যাচ্ছিলাম। শহর থেকে আমার পাশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিও বসেন। মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে কিছু বুঝে উঠার আগে তিনি আমাকে একটি জুস পান করান। সেটা খেয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমার সাথে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় সেই ব্যক্তি। এই ঘটনায় আমি মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরসরাই থানার ওসি তদন্ত দীপ্তেশ রায় জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা কাজ করতে থাকি। সনাক্তপূর্বক গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নোয়াখালীর চর জব্বর থানা এলাকায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় আমরা ইয়াকুব আলী মাসুদ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার নিজ বাড়িতে রাতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত নগদ ৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, একটি সুজুকি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল ও একটি সোনার তাবিজ, হারসহ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করেছি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখ: প্রাণের উৎসবে জেগেছে আত্রাই

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই(নওগাঁ) প্রতিনিধি:চির নতুনের ডাক দিয়ে বাঙালির জীবনে আবার এসেছে পহেলা বৈশাখ। প্রাণের এ উৎসবকে ঘিরে নওগাঁর আত্রাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৈশাখী শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নতুন বর্ষ ১৪৩১ কে বরণ করা হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে উপজেলা চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।

শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসাবে নেতৃত্বদেন সাংসদ অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন। এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক, ইউএনও সঞ্চিতা বিশ্বাস,সহকারী কমিশনার (ভূমি) অঞ্জন কুমার দাস, ওসি জহুরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম ও শেখ হাফিজুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতি আজিজুর রহমান পলাশ, পল্লী বিদ্যুৎ আত্রাই এর ডিজিএম আব্দুল আলীম লিটন, মহিলা বিষয়ক অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন, যুব উন্নয়ন অফিসার এস এম নাসির উদ্দিন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার সরকার, উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি জুয়েল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফিল উদ্দিন, স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



মোবাইল নিয়ে ঝগড়া, মা ও সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করলো বাবা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জে ছেলে-মেয়ের মোবাইলে গেম ও ভিডিও দেখাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে মাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বাবা। এ সময় ছেলে-মেয়েকে ও বাবা পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে আফরিন আক্তার (৫) ও মারা যায়। আর ছেলে আল আমিন (১২) এখন দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে দিনাজপুর জেলার  নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর (চিনির চড়া) গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটেছে। পরে হত্যার অভিযোগে বাবা শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে নবাবগঞ্জ পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে মা মর্জিনা বেগম (৩০) রান্না করছিলেন। এ সময় ছেলে আল আমিন(১২) ও মেয়ে আফরিন আক্তার (৫) মোবাইল দেখছিল। এ সময় হঠাৎ দুই ভাইবোন মোবাইল নিয়ে ঝগড়া শুরু করে। মা মর্জিনা বেগম দুইজনকে ঝগড়া বন্ধ করতে বলেন। তবে তারা থামছিল না। একপর্যায়ে তিনি গিয়ে ছেলে ও মেয়েকে চড়থাপ্পড় দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন শিশু দুটির বাবা শহিদুল। এসময় শহিদুল ও স্ত্রীর মধ্যে তর্ক ও ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী শহিদুল ইসলাম চৌকাট দিয়ে স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে পেটান। এতে তিনি মারা যান। এসময় তিনি ছেলে-মেয়েকেও পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করে। পরে স্থানীয়রা শিশু দুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে আফরিন আক্তার(৫)ও মারা যায়।

এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম জানান, রাতেই নিহত মর্জিনার মা গোলাপি বেগম বাদী হয়ে জামাই শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে  নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত  জামাই শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার ১ কাপ চায়ের দাম ৫শত টাকা- লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়-কাশিপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) রেজাউল করিমের ২২ সেপ্টেম্বরের পর আবারও উৎকোচ গ্রহনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। 

জানা গেছে, গত রবিবার ঐ ভুমি অফিসে এক ব্যাক্তি ১০টাকা খাজনা দিতে যায়। এতে ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা নেন সংশ্লিষ্ঠ্য ভূমি কর্মকর্তা। টাকা লেনদেনের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অথচ ভূমি অফিসের দেওয়ালে লেখা রয়েছে আমি এবং আমার অফিস দুর্নীতি মুক্ত। যেখানে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন, টাকা না হলে খারিজ হবে না,বাধ্য হয়ে আমি সোমবার খারিজ বাবদ ৮হাজার টাকা দিয়েছি সংশ্লিষ্ঠ্য তহসিলদারকে। 

এছাড়াও ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঐ কর্মকর্তার নামে টাকা লেনদেনের আরএকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। রবিবার (২১ এপ্রিল) ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ শত টাকা নিয়ে খাজনা রশিদ দিয়েছে সহকারী ভুমি কর্মকর্তা রেজাউল করিম। অথচ দেশের সকল ইউনিয়ন ভুমি অফিস কে ক্যাশলেস অফিস ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমি অফিস সূত্রে জানাগেছে, ঐ ভ‚মি কর্মকর্তা ভদেশ্বরী মৌজার ১৩৪ নম্বর হোল্ডিং এর ৫২৫/১ খতিয়ান ভুক্ত ২০.০০ (বিশ) একর পরিত্যক্ত সম্পত্তির ভুমি উন্নয়ন কর আদায় করে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। বিষয়টি তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা ১৪-০৮-২২ সালে ৪৯৫ নম্বর স্বারকে ভুমি কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশের জবাব এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

স্থানীয় সুত্রে আরো জানাযায়,তাঁর কর্মকালীন সময়ে তিনি কমপক্ষে ১০০.০০ (একশত) একর এর অধিক সরকারি সম্পত্তিকে ব্যক্তিমালিকানা সম্পত্তি দেখিয়ে সেগুলির নামজারির প্রস্তাব প্রদান, ভুমি উন্নয়ন কর গ্রহন, অথবা হোল্ডিং অনুমোদন এর মাধ্যমে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। অনুমোদিত খারিজ কেসসমুহ এবং তাঁর মাধ্যমে ইস্যুকৃত খাজনার দাখিলা ও অনুমোদিত হোল্ডিংগুলি যাচাই করলে এর সঠিক পরিমান জানা যাবে।

এলাকার কিছু ভুমি জালিয়াত চক্র উক্ত খাজনা-খারিজের কাগজ দেখিয়ে চলমান আর এস জরিপে সে সকল সরকারি সম্পত্তি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নিচ্ছেন। তিনি ২৭-০৩-২০১৯ সাল হতে দীর্ঘ ৫বছর একই অফিসে কর্মরত থাকার দাপটে তিনি কাউকে কোন কিছুই তোয়াক্কা করছেন না। ধর্মগড় ইউনিয়নের বেংপোখর গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জল বলেন,আমি একটা খারিজ বাবদ অনেক দিন ধরে ঘুরতেছি, আজ নয় কাল এই ভাবে দিন ক্ষেপন করতেছে। এইটা কাগজ লাগবে ঐটা লাগবে,বলে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে শেষে মোটা অংকের টাকা চেয়েছে আমার কাছে টাকা না দিলে খারিজ হবে না মর্মে জানিয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম গত সোমবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, ১০ টাকা খাজনা বড় বিষয় নয় তিনি আমাকে ৫শ টাকা চা খেতে দিয়েছেন। ক্যাশল্যান্ড অফিসে টাকা লেনদেন বিষয়ে তিনি বলেন, জমি মালিকদের বিকাশ নাম্বার থাকেনা তাই তারা আমাকে টাকা দেয় আমি ক্যাশ প্রেমেন্ট করে থাকি। ২২ সালে টাকা লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,তখন অফিসে হাতে হাতে টাকা লেনদেন হতো তাই সে ভিডিওটি কেবা কাহারা করেছে। ভদেশ্বরী মৌজার ১৩৪ নম্বর হোল্ডিং এর ৫২৫/১ খতিয়ান ভুক্ত ২০.০০ (বিশ) একর পরিত্যক্ত সম্পত্তির ভ‚মি উন্নয়ন কর আদায় করে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগেও তহসিলদারা নিয়েছে আমিও নিয়েছিলাম এবং এসিল্যান্ড স্যার আমাকে শাস্তি সোরুপ শোকজ নোটিশ প্রদান করেছিলেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সহকারি কমিশনার ভূমি রাকিবুল হাসান বলেন, ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। সংশ্লিষ্ঠ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



নীলফামারীতে কৃষি বিষয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীতে জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম-জানো প্রকল্পের সহায়তায় কৃষক ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের নিয়ে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নীলফামারী পরিবার পরিকল্পনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক পোরশিয়া রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও গবেষনা কেন্দ্র রংপুর আঞ্চলিক শাখার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, কেয়ার বাংলাদেশ এর পাবলিক এন্ড প্রাইভেট সেক্টর কনসালটেন্ট মাহামুদুল ইফতেখারুল ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার নিহার কুমার প্রামানিক, প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার শরিফ আহম্মেদ শাহ্ধসঢ়; প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ৮০ জন সফল খামারী, কৃষক ও প্রকল্পের উদ্দোক্তাসহ সুধীজন  অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য- জানো প্রকল্পটি ইউরোপিয় ইউনিয়ন এর অর্থায়নে অষ্ট্রিয়ান ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এর সহায়তায় কেয়ার  ইন্টারন্যাশনাল ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরী সহায়তায় জাতীয় পর্যায়ের বে-সরকারী সংস্থা ইকো সোশ্যাল  ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১সেপ্টেম্বর হতে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ, কাউনিয়া,গংঙ্গাচড়া এবং নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, জলঢাকা ও ডোমার উপজেলায় একযোগে প্রকল্পটি  সরকারের সমম্বিত পুষ্টি কার্যক্রমকে সহায়তা করে এলাকায় ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর