
কিন্তু রক্তের গ্রুপ জানলে নাকি স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কতটা তা আগেই বোঝা সম্ভব- এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা। পিয়ার রিভিউ মেডিক্যাল জার্নাল নিউরোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
গবেষকরা যাদের স্ট্রোক হয়েছে এমন প্রায় ১৭ হাজার রোগীর উপরে ৪৮ রকমের জিনের পরীক্ষা করেছেন। যাদের সবার বয়স ছিল ১৮ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। এতে দেখা গেছে, ৬০ এর নিচে যাদের বয়স তাদের মধ্যে ‘এ’ রক্তের গ্রুপের মানুষদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১৬ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ‘ও’ গ্রুপের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি ১২ শতাংশ কম।
কিন্তু কেন এই ঝুঁকির তারতম্য? সেকথা এখনো গবেষকদের ধারণায় নেই বলেই জানাচ্ছেন গবেষণাপত্রটির অন্যতম লেখক নিউরোলজিস্ট স্টিভেন কিটনার।
তার কথায়, ‘আমরা এখনো জানি না কেন ‘এ’ গ্রুপের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। তবে সম্ভবত এখানে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা একটা ভূমিকা পালন করছে। সেখানে অণুচক্রিকা, কোষের মতোই রক্তে উপস্থিত প্রোটিন এদের সকলেরই ভূমিকা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, রক্তনালি দিয়ে রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছায়। কিন্তু কোনোভাবে রক্তনালি ফেটে গেলে কিংবা তাতে জমাট বাঁধলে স্ট্রোক হয়। সে ক্ষেত্রে যত দ্রুত আক্রান্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে, তার উপরে নির্ভর করছে রোগীর অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টা।
তবে গবেষকদের নতুন এ গবেষণাকে ঘিরে আশাবাদী চিকিৎসক মহল। ধারণা করা হচ্ছে, এ বিষয়ে আরও বেশি গবেষণা হলে স্ট্রোকের আশঙ্কা কমানোর ও তাকে রুখে দেওয়ার পথ খুঁজে পাবেন চিকিৎসকরা।