নিজস্ব প্রতিবেদক:তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিরোধীদল ও দেশবাসীর মতামত উপেক্ষা করে জনধিকৃত ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। সমগ্র জাতি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের অধিকাংশ বিরোধীদল তথাকথিত নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফরমায়েশি তফসিল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
তিনি বলেন, বিরোধীদলের মতামত অগ্রাহ্য করে ঘোষিত তথাকথিত তফসিল দেশকে অস্থিতিশীল ও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে। সংলাপের পথ রুদ্ধ করবে। রাজনীতিতে ঘোর অমানিশা নেমে আসবে। একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের ফলে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির দায় ষড়যন্ত্রকারী সরকার এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে বলেন জামায়ের এই শীর্ষ নেতা।
এটিএম মাছুম বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার নাগরিকদের ভোট দিতে দেয়নি। সাজানো প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে। জামায়াতসহ বিরোধীদলকে সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ বিরোধীদলের বহু শীর্ষ নেতাকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। বিরোধীদলের অসংখ্য নেতাকর্মী এখনো বন্দি। মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে হাজারো নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হচ্ছে। সরকারি দল সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও বিরোধীদলকে কোনও গণতান্ত্রিক স্পেস দেওয়া হচ্ছে না। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনও পরিবেশ নেই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ বিরোধীদলের সব শীর্ষ নেতা এবং গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশবাসী মনে করে, ষড়যন্ত্রমূলক নীল-নকশার তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন মূলত বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে অতীতের মত শাসক দলকে জিতিয়ে আনার কৌশল নিয়েছে। গণতন্ত্রকামী সংগ্রামী জনতা সরকারের বিনা ভোটে ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্ন পূরণ হতে দেবে না। জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে কমিশনকে অবশ্যই এ তফসিল প্রত্যাহার করতে হবে।