Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী শত্রুতা নয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র, অংশীদারত্ব চান শি জিনপিং ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় আজ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ: কর্মীদের সুরক্ষায় রেলের নির্দেশনা বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায়

ফখরুল-আব্বাসের জামিন আবেদন, শুনানি কাল

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পক্ষে ফের জামিন আবেদন করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।

এই আইনজীবী জানান, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন। আরও কয়েকজন আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়েছে যা আগামীকাল শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগেও গত ১২ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন করা হয়েছিল।

নয়াপল্টনের এই মামলায় ৪৫১ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। কারাগারে থাকা উল্লেখযোগ্যরা হলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস ছালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা হাবিব।

গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত তিনটায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। পরদিন নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর তাদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অন্যদের ৭ ডিসেম্বর সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে আটক করা হয়। তাদের ৮ ডিসেম্বর আদালতে আনার পর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৮ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতা কর্মীকে আসামি করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায়।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিএনপি জড়ো হয়েছিল পার্টি অফিসের সামনে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পল্টন, রমনা, শাহজাহানপুর ও মতিঝিল থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়।


আরও খবর



হিলিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলিতে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে ১৭ ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি আব্দুল লতিফ মাস্টার,আশরাফ আলী প্রধান,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী,বোয়ালদাড় ইউপি চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাহাঙ্গির আলম ও মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিদুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।আলোচনা সভা শেষে চিত্রাংকন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



মাগুরার শ্রীপুর থানায় আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুয়া সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:র‍্যাব ফোর্সেস  মাতৃভূমির  অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করত এবং  নাগরিকদের  টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে র‍্যাব  ৬, সিপিসি- ২, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রাপ্ত হয় যে, মাগুরার শ্রীপুর থানার কালিনগর গ্রাম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুয়া উধর্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারনাসহ অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়বিক্রয় করে আসছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে উক্ত আভিযানিক দলটি মঙ্গলবার বিকেলে জেলার শ্রীপুর থানার কালিনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুয়া উধর্বতন কর্মকতা পরিচয়ে প্রতারনাসহ স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী আসামী-  মোঃ সাইফুল ইসলাম(৩২), পিতা- মৃত আরব আলী, সাং- কালিনগর, থানা- শ্রীপুর, জেলা- মাগুরাকে গ্রেফতার করে। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ২০০ পিস ইয়াবা,০১ টি ভুয়া র‍্যাব আইডি কার্ড, ০১ টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আইডি কার্ড,০১ টি বাংলাদেশ পুলিশের আইডি কার্ড,০২ টি ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র, ০১ সেট র‍্যাবের ইউনিফর্ম, ১ সেট সেনাবাহিনীর ইউনিফর্মসহ উদ্ধার করে।
জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে  শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করে আসামীর বিরুদ্ধে মামলা করে।

আরও খবর



সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত-৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃরাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পল্টুনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার আশিক সাঈদ বলেন, 'এ ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর আহন হন। পরে তারা মারা যান।

তিনি বলেন, 'পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় দুটি লঞ্চের ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, এমভি তাশরিফ–৪ ও এমভি পূবালী–১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। লঞ্চ দুটির মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। ঠিক তখন লঞ্চে ওঠার সময় এক শিশু ও এক নারীসহ পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা নদী বন্দর, সদরঘাটের যুগ্ম-কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেনকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।



আরও খবর



মাগুরায় দুইমাথা বিশিষ্ট শিশুর জন্ম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় দুই মাথা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জন্ম  হয়েছে।মাগুরা জাহান প্রাইভেট হাসপাতালে সোমবার রাতে সিজার করা হলে এ শিশু দেখা যায়। হাসপাতালের মালিক ডাক্তার মাসুদুল হক এর হাতে একটি গর্ভবতী মহিলা সিজার হন।ডাক্তার মাসুদুল হক, গর্ভবতী মায়ের সিজার কার্য শেষ করার পর জানান ।  উক্ত গর্ভবতী মায়ের পেট থেকে কণ্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় ।  উক্ত কন্যা একটি হলেও তাার দুইটা মাথা। এবং তাহার দুইটা হাত দুইটা পা স্বাভাবিকভাবে হয়েছে, কিন্তু তাহার পায়খানা এবং প্রস্রাবের রাস্তা একই স্থানে । জাহান হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার মাসুদুল হক জানান । বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের শিশু দেখা যায়। তবে  মাগুরা জেলায় এটাই সর্বপ্রথম এ ধরনের শিশু জন্মগ্রহণ করল।  মা ও শিশুর সুস্থতার ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন তাঁরা উভয়ে সুস্থ আছেন।


আরও খবর



স্বাগত ১৪৩১, আজ পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। বাংলা ১৪৩১ সালের প্রথম দিন আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল)। এ দিনটির মাধ্যমে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গতকাল (শনিবার)। একই সঙ্গে দিনটি ছিল বাংলা ১৪৩০ সালের শেষ দিন।

জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ - এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কূপমুণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়।

আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় এ নববর্ষ।

এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রতি বছরের মতো বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ পহেলা বৈশাখের ভোর থেকেই রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেছে।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ....’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস এবং এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা সাল।

বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব অতীতে ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয় আজও।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।


আরও খবর