Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র দ্রুতই বন্ধ হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে আমরা নিরপেক্ষতা প্রমাণ করে দেব। এরপর দেশি-বিদেশি নানা জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র বন্ধ হবে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে নমিনেশন দেওয়া হলেও শরিকদের জন্য ১০০ আসন ছেড়ে দেওয়া হবে।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




রাজাকার নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস;সাংবাদিক পীর জুবায়েরকে প্রাণ নাশের হুমকি!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

আনোয়ার হোসেন রনি,ছাতক(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের সাংবাদিক পীর জুবায়েরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সে বর্তমানে দৈনিক সুনামকণ্ঠে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।জানা গেছে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) পীর জুবায়ের তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে রাজাকার নিয়ে একটি পোস্ট করেন। তার সেই পোস্টে জেলার ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের আজাদ মাওলানার ভাতিজা আব্দুল খালিকের ছেলে মামুন আহমদসহ আরও বেশ কয়েকজন কমেন্ট বক্সে এবং আলাদা ফেসবুক আইডি থেকে তাকে এবং তার পরিবার নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন ভাষায় মন্তব্য করেন। যেগুলোর ছবি সংরক্ষণ রয়েছে। পাশাপাশি প্রাণ নাশের হুমকিও প্রদান করেন তারা।

এ বিষয়ে সাংবাদিক পীর জুবায়ের জানান, “আমি আমার পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করিনি। তাছাড়া আজাদ মাওলানার নাম জেলার অন্যতম মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বজলুল মজিদ খসরু ‘রক্তাক্ত ৭১ সুনামগঞ্জ’ প্রকাশিত বইয়ে রাজাকারের নামগুলোর মধ্যে রয়েছে। এ বইয়ের ২০৪ পৃষ্ঠার ৩৮ নম্বর সিরিয়ালে আজাদ মিয়া, পিতা আনফর আলি রাজাকার হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বইয়ের রাজাকারদের নামের তালিকা অনুযায়ী তিনি রাজাকারে পরিচয় থেকে বাঁচতে আওয়ামী লীগের বেশে দাপটের সাথে চলাফেরা করেছেন। তিনি আরও বলেন, “সরকার রাজাকারদের তালিকা তৈরি করলেও রাজনৈতিক বিভিন্ন মহলের সুযোগ সুবিদায় সে বারবার সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ে যান। ফলে এলাকায় তিনি একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। সেজন্য তার নাম নিয়ে পোস্ট করতে সাহস হয়নি। তবুও তার দলবলের হুমকি থেকে রেহাই পাইনি সে। প্রাণ নাশের হুমকি পেয়ে সে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি পীর মাহবুব ও সাধারণ সম্পাদক ইমরানুল হক চৌধুরী বলেন, “আমরা প্রথমে পীর জুবায়েরের কাছ থেকে বিষয়টি সম্পর্ক জেনেছি। তিনি ফোনে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

পাশাপাশি তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয় সেই দাবী জানাই। তারা আরও বলেন, আমরা এই বিষয়ে নিয়ে কাজ করবো। এবিষয়ে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ধসঢ়; আলম জানান, আমরা এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যু,একজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যজন এখনো নিখোঁজ। রোববার গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম উসমান আলী (১৩), সে মহিশালবাড়ি সাগরপাড়া মহল্লার ওমর আলীর ছেলে। অপর নিখোঁজ শিশু সুলতান মুহাম্মদ সাইফ (১৫), সে একই এলাকার প্রবাসী নাসির উদ্দিনের ছেলে। দুজনই মহিশালবাড়ি আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, সকালে আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির পাঁচ ছাত্র পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় দুজন ডুবে যায়। পরে অন্য তিনজনের কান্নাকাটি দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। তারা উসমান আলীর মরদেহ উদ্ধার করে।

সাইফকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়।রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনজন ডুবুরি বেলা ১টা থেকে নদীর তলদেশে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ৩ টা) নিখোঁজ সাইফের সন্ধান পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিখোঁজ শিশুকে খুঁজে পেতে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। এরপরও সন্ধান না পাওয়া গেলে পরদিন অভিযান শুরু হবে।’গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশু উসমানের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।জানা যায়, চলতি মাসে তীব্র গরমে রাজশাহীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার মোহনপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে ২৩ এপ্রিল পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুঘাট এলাকায় পদ্মায় ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। ২১ এপ্রিল একই উপজেলার হরিপুরে নদীতে ডুবে এক কিশোর ও এক তরুণের মৃত্যু হয়। ২০ এপ্রিল বাঘা উপজেলায় নদীতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। ১৯ এপ্রিল একই উপজেলায় এক শিশু নদীতে ডুবে মারা যায়। তার আগে ১৪ এপ্রিল আরও দুই শিশু পদ্মা নদীতে ডুবে মারা যায়। সবশেষ গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাট এলাকায় নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে চেয়ারম্যান সমর্থককে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃবরগুনা জেলার আমতলীতে ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক হিরন গাজী (৫০) কে ছুরিকাঘাতে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকার হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মেতাহার মৃধার সমর্থক মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার এমন অভিযোগ করেন।  পুলিশ নিহত হিরন গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নের পুর্ব মহিষডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে অনিল সাজ্জাল বাড়ীর সামনে বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে। 

জানাগেছে, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অভিযোগ রয়েছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও আবুল বাশার নয়ন মৃধা ভোটারদের টাকা বিতরন করছেন । বুধবার রাত ১১ টার দিকে আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৪০-৪৫ জন পুর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের টাকা দিচ্ছিল। এ সময় মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে টাকা দিতে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় নয়ন মৃধার সমর্থকরা। এক পর্যায় আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৬-৭ জন তাকে ছুিরকাঘাত করে। ওই ছুরিকাঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষনিক হিরনের সহযোগী মিলন সরদার, ও দেলোয়ার সরদারসহ ১০/১২ জনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। ওই রাতেই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার রুহল আমিন ও ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে আবুল সরদারের ছেলে কাদের সরদার ও তার লোকজন হিরনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থকরা গ্রামে টাকা বিতরন করতেছিল। এতে মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে বাঁধা দেয়। এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে নয়ন মৃধার সমর্থক শহীদ মালাকার, ইউসুফ মাতুব্বর ও কাদের সরদারসহ ৬/৭ জনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আমাদেরকেও তারা ধাওয়া করেছে। 

নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, মোর কিছুই রইলো না। ওরা মোর স্বামীরে মাইর‌্যা হালাইছে। মুই এ্যাইয়ার বিচার চাই।  

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার নেতৃত্বে তার ভাই পান্নু মৃধা ও  আজাদসহ ৪০-৫০ জন গ্রামে ঢুকে টাকা বিতরন করছিল। ওই সময় আমার লোকজন ঘোড়া ঘোড়া বলে ডাক চিৎকার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সমর্থক হিরন গাজীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি।

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি গতকাল আমার ব্যবসার কাজে বাসায় সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিলাম। মোতাহার মৃধা ও তার লোকজন দিয়েই হিরনকে হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে আমার উপর দায় চাপাচ্ছেন। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি। 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে আনার পুর্বেই ছুরিকাঘাতে আহত হিরন নামের একজন মারা গেছে। 

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ভোটারদের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় হিরন গাজী নামের একজনকে ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।  তিনি আরো বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



মিরসরাইয়ে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে পানিতে ডুবে জাকারিয়া (৭) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শরিয়তপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী ওই এলাকার রহিম উল্ল্যাহ হাজী বাড়ির কৃষক শিপনের ছেলে। সে স্থানীয় শরিয়তপাড়া ফজলুল উলুম তালিমুল কোরআন মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী।

নিহতের চাচা কামরুল ইসলাম জানান, জাকারিয়া মাদ্রাসার বিরতির সময় বাড়িতে এসে পুকুরে গোসল করতে নামার একপর্যায়ে সে ডুব দিলে পুকুরে তলিয়ে যায়। পরে ৮-১০ জন মিলে পুকুরে খুঁজে তার সন্ধান পেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

শরিয়তপাড়া ফজলুল উলুল তালিমুল কোরআন মাদরাসার সুপার মাওলানা আতাউর রহমান বলেন, জাকারিয়া মাদ্রাসার টিফিনের বিরতির সময় হওয়ায় বাড়িতে যায়। দুপুরে খাবার খেয়ে আবার মাদ্রাসায় ফেরার কথা। এর মাঝে পরিবারের অগোচরে গোসল করতে পুকুরে নামে। পরে খবর পাই সে আর নেই!


আরও খবর



১৯ রমজানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণার দাবী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়েছে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’। আজ ৩০ মার্চ, ২০২৪ রোজ- শনিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর সংলগ্ন ঐতিহাসিক শাহবাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে অনুসন্ধিৎসু একদল তরুণের সংগঠন ‘শেকড় সন্ধানী’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।   সভায় আলোচকগণ হিজরী সনের ১৯ রমজানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণা ও পালনের দাবী জানান। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ শফিউর রহমান চৌধুরী এবং অতিথি সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ নিজামুদ্দিন।

শেকড় সন্ধানী’র আহবায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ আসাদুজ্জামান দিবসটির ঐতিহাসিক পটভূমি নিয়ে আলোচনায় বলেন, মধ্যযুগে বাংলা ছিলো এ অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা। কিন্তু ব্রাহ্মণ্যবাদী সেন শাসকরা ক্ষমতা দখলের পর সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়, নিষিদ্ধ করে বাংলা ভাষাকে।   সেন শাসকরা প্রচার করে, “যে বাংলা ভাষায় কথা বলবে সে নরকে যাবে।  সাধারণ মানুষকে দেবতার ভাষা সংস্কৃতিতে কথা বলতে হবে। ” এর মাধ্যমে সেন রাজারা বাংলা ভাষাকে পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ করে।  কিন্তু ৬০১ হিজরী সনের ১৯ রমজান তারিখে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সেন শাসক লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে বাংলাকে মুক্ত করেন।  এর ফলে শুধু ‘বঙ্গ বিজয়’ হয় না, বরং সেন শাসকরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে যে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিলো, তাও উঠে যায়।  অর্থাৎ বাংলা ভাষা আযাদ বা মুক্তি লাভ করে, সাধারণ মানুষ আবারো বাংলা ভাষা ব্যবহার করার স্বাধীনতা পায়।  তাই এ দিনটি বাংলা ভাষার আজাদী’ দিবস, যা সকল বাংলাভাষী মানুষের জন্য স্মরণীয় একটি দিন। 

মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত একটি মধ্যযুগীয় স্বর্ণমুদ্রা থেকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি (রহমতুল্লাহি আলাইহি) কর্তৃক বাংলা বিজয়ের দিন ৬০১ হিজরীর ১৯ রমজান বলে জানা যায়। ঐ সময় এ অঞ্চলে মাস গণনায় হিজরী সন প্রচলিত ছিলো, বাংলা বা গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার ছিলো না। তাই হিজরী সন অনুসারে দিবসটি পালন অধিক যৌক্তিক।

আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট বাংলা ভাষা গবেষক ও গ্রন্থ প্রণেতা মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ যদি না আসতো, তবে হয়ত আমরা এখন বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না, নিজেদের বাঙালী বলে পরিচয় দিতে পারতাম না।  অনেক প্রাকৃত ভাষার মত বাংলা ভাষাও হয়ত হারিয়ে যেতো।  তাই এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।  দিনটির গুরুত্ব অনুধাবন করে তাই আমরা এ দিনটি পালন করছি ।  আমরা চাই, আমাদের মত রাষ্ট্রীয়ভাবেও এ দিনটি পালন করা হোক।  ১৯ রমজান তারিখকে জাতীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণা করা হোক।

আলোচনায় শেকড় সন্ধানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য, ঢাবির অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, বর্তমান নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা নেই বললেই চলে।  আমরা আমাদের সংগঠন শেকড় সন্ধানীর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বাঙালী জাতির শেকড়ে নিয়ে যেতে চাই।  খুঁজে বের করতে চাই, আমাদের প্রকৃত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে।   মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, ঐতিহাসিক ১৯ রমজান দিনটি উদযাপন তাই আমরা কোন হল বা অডিটোরিয়ামে না করে বেছে নিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থিত মুঘল স্থাপত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহাসিক নির্দশন হযরত হাজী খাজা  শাহবাজ রাহ: জামে মসজিদ প্রাঙ্গণকে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে দোয়েল চত্বর সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৪শ’ বছরের পুরাতন এমন একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা আছে, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জানেন না।  আমরা চাই, নতুন প্রজন্ম এসব ঐতিহাসিক নির্দশনগুলো সম্পর্কে জেনে তাদের শেকড়ের সন্ধান লাভ করুক।

আলোচনা সভা শেষে প্রায় ৪শ’ অতিথিকে নিয়ে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় দেশ, জাতি ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

আরও খবর