Logo
আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কুম্ভ, সামাজিক সংকট এড়ান ধনু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৩৩৩জন দেখেছেন

Image

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)

আধ্যাত্বিক চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধি আসতে পারে। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বোধ করতে পারেন। মন ভালো থাকবে। বিলাস দ্রব্য কেনাকাটা হতে পারে। আবেগ সংযত রাখুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে)

প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা নিন। কারো সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানো ঠিক হবে না। পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে ছিলেন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন)

আর্থিক দিক ভালো যেতে থাকতে পারে। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তাগাদা দিন। মূল্যবোধ বজায় রাখুন। পুরনো কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে যোগযোগ হতে পারে।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই)

শরীর ভালো থাকবে। অসুস্থদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে। ভালো ব্যবহার দিয়ে কাজ আদায় করার চেষ্টা করুন। ব্যক্তিত্ব বিকাশের সুযোগ পেতে পারেন। জ্ঞাতিশত্রু সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট)

দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। গোপন শত্রু ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। গোপন শত্রু সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। শারীরিক অসুস্থতাকে অবহেলা করবেন না ব্যয় কমানোর চেষ্টা করুন।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর)

জ্যেষ্ঠ ভাইবোনদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা পেতে পারেন। কোনো আশা পূরণ হতে পারে। ভবিষ্যতের জন্য কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। আর্থিক দিক ভালো যাবে।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর)

পিতৃস্বাস্থ্য ভালো যাবে। সামাজিক কাজে অংশ নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেতে পারে। কর্ম পরিবেশ অনুকূল থাকবে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর)

আধ্যাত্মিকতার প্রতি অনুরোধ করতে পারেন। তীর্থযাত্রা হতে পারে। মন ভালো থাকবে। পেশাগত দিক ভালো যাবে। ভাগ্যোন্নয়নের প্রচেষ্টা জোরদার করুন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর)

ব্যবসায়িক দিক খুব একটা ভালো যাবে না। বিক্রয়-বাণিজ্যে লোকসান হতে পারে। সামাজিক সংকট এড়িয়ে চলুন। রিপুকে সংযত রাখুন। কোনো ব্যাপারে ঝুঁকি নিতে যাবেন না।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি)

পারস্পারিক সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখুন। ব্যবসায়িক দিক ভালো যাবে। বিক্রয় বাণিজ্যে লাভযোগ আছে। সকলের প্রতি সদাচরণ করুন। রোমান্টিক প্রস্তাবে সাড়া পেতে পারেন।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)

শত্রুরা ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। শত্রুদের দুর্বল ভাবা ঠিক হবে না। শত্রু সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। শরীর ভালো না-ও থাকতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)

সৃজনশীল কাজে অংশ নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। সন্তানের কোনো সাফল্য আনন্দদায়ক হতে পারে। পড়াশোনায় মন বসাতে চেষ্টা করুন। রোমান্স ও বিনোদন শুভ।


আরও খবর



বিরামপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image
মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদেশজুড়ে তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে জনজীবন হাঁসফাঁস  এবং অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ জীবজন্তুসহ কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ জন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদেশ মোতাবেক বৃষ্টি প্রার্থনা করে দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী আর্দশ হাইস্কুল মাঠে বিরামপুর ইমাম পরিষদের উদ্যোগে বৃষ্টি জন্য সালাতুল ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন সকল শ্রেণি বয়সের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। পরে নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার নামাজে ইমামতি করেন বিরামপুর শিমুলতলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিরামপুর সহ সারাদেশে বৃষ্টি নেই। তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মহান আল্লাহতালা যেন বৃষ্টির মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে সবাইকে পরিত্রাণ করেন–এটাই প্রার্থনা।

আলহাজ্ব মাওলানা আশরাফুল ইসলাম  বলেন, যখন দীর্ঘদিন বৃষ্টি হতো না, তখন নবী করিম (সা:) সাহাবাদের নিয়ে যে বিশেষ সালাত আদায় করতেন, তাকে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ বলে। ইসতিসকা মানে বৃষ্টি প্রার্থনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।

বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)  মকছেদ আলী জানান, তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি কামনা করে নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে দোয়া করেছেন তারা। প্রায় এক হাজারেরও অধিক মুসল্লি ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন। 

এই সালাতুল ইসতিসকার নামাজে সকল শ্রেণি বয়সের ধর্মপ্রাণ মুসল্লির পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্র , ব্যবসায়ী, কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

আরও খবর



গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে দুই কমিটি, বরখাস্ত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরের জয়দেবপুরে দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেনের ধাক্কার ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, আবগোমটি স্টেশনের মাস্টার মো. হাশেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

দুর্ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেলওয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিতে সিওপিএস মো. শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আঞ্চলিক কমিটি করা হয়েছে। আর রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন) সৌমিক শাওন কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উল্লেখ করে জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া জানান, ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এর কিছু সময় পর একইভাবে একতা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এখন এক লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। বাকি লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।

তিনি জানান, সকালে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী ছিল না। সে কারণে হতাহতের সংখ্যা কম হয়েছে। কমিউটার ট্রেনের লোকো মাস্টারসহ (ট্রেনের চালক) চার জন আহত হয়েছে।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জয়রাজ হোসেন জানিয়েছেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় শরীফ মাহমুদ, সবুজ হাসান, হাবিবুর রহমান নামে তিনজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে মহানগরের কাজীপাড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন ধাক্কা দেয়। এ সময় মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত ও চারজন আহত হন। এর পর থেকে লাইন বন্ধ হয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।


আরও খবর



রৌমারীতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ইমান আলী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম জেলায় প্রথমধাপে তফসিল ঘোষণার পরেও সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত উপজেলা পরিষদের গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, শোডাউন ও মহড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রৌমারী উপজেলা পরিষদের কর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইমান আলীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) উপজেলার টাপুরচর ও চরশৌলমারী এলাকায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে যাত্রা মঞ্চে ভোট চাওয়ায় কয়েকজন প্রার্থী এ অভিযাগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা, প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণার পরেও রৌমারী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো.ইমান আলী সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত গাড়ি ব্যবহার করে প্রতিনিয়তই উপজেলার টাপুরচর, চরশৌলমারী, লাউবাড়ি, খরানিরচর, শেখের বাজার, বাগুয়ার চরসহ বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনী উঠান বৈঠক, যাত্রা মঞ্চ, মেলা, ধর্মীয় সভা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রচার-প্রচারণা,শোডাউন মহড়া ও দোয়া থেকে শুরু করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী গতকাল সোমবার অনলাইনের মাধ্যমে তার প্রার্থীতা নিশ্চিত করেছেন।

অথচ নির্বাচণী পূর্ব সময়ে কোন প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি,সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোন সরকারি সুয়োগ সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণকে ব্যবহার করতে পারিবেন না বলে উল্লেখ রয়েছে।এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীকে মুঠোফোনে একাধীকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভির আহমেদ (অতি:) জানান, যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু বর্তমান চেয়ারম্যান সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারে না। তবে বিষয়টি খোজ নিচ্ছি।

এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেহেতু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন না। এ বিষয়ে আমি এখনি জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসারকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।


আরও খবর



কবে খনন করা হবে ফুলবাড়ী যমুনা নদী,পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাজার বছরের ছোট যমুনা নদীটি খনন না করায় এখন পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। নদীতে এখন ধুধু বালুচর। পানি নেই নদীতে। নদীটি প্রায় প্রস্তে ৩০০ ফিট থেকে ৪০০ ফিট। এক সময় এই ছোট যমুনা নদীটি খর¯্রােত ছিল। এই নদী দিয়ে পানি পথে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা নৌকায় করে ধান, পাট সহ বিভিন্ন পন্য আনা নেওয়া করত। কালের বিবর্তনে এখন আর ছোট যমুনা নদীতে নৌকা চলে না । ছোট যমুনা নদীতে এখন কৃষকেরা রবিশস্য সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে। প্রায় ৩০ কি. ছোট যমুনা নদীটি এখন পানি শুন্য। এই নদীটি উত্তর থেকে এসে চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, বাংলা হিলি, পাঁচবিবি ও জয়পুরহাট হয়ে বয়ে গেছে।এর মধ্যে নদীর কিছু অংশ ভারতরে মধ্যে পড়ে যায়। বর্তমান ছোট যমুনা নদীটি খনন না করার কারণে বর্ষ কালে পানিতে অতিরিক্ত ভরার হয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে। এতে গ্রামগুলো সহ ফসলের ব্যপক ক্ষতিসাধন হয়। হাজার বছেরের পুরাতন এই ছোট যমুনা নদীটি পুনরায় খনন করা হয়ে একদিকে যেমন বর্ষকালে নদী সংলগ্ন গ্রামগুলি পানিতে প্লাবিত হবে না। অন্য দিকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে আবদী জমি ও গ্রামগুলি। খনন করা হলে সারা বছর নদীতে পানি থাকবে এই পানি ব্যবহার করে কৃষকেরা জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারেবে। জেলেরা সারা বছর জীবন জীবিকা জন্য মাছ অহরন করতে পারবে। দীর্ঘ এক হাজার বছর ধরে এই নদীটি খনন করার কোন উদ্দ্যেগ নেই। সারা দেশে এমন নদী গুলি খনন কাজ শুরু হলেও ফুলবাড়ী ছোট যমুনা নদীটির খনন কাজ কবে শুরু হবে তা অনিশ্চিত।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান এর সাথে ০১৭৫৪৪৯৫৭১১ এ নম্বরে কথা বললে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি গত মাসে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অতি শিগ্রই প্রায় ১৫ কিলো মিটার নদীর খনন কাজ শুরু হবে। নদীটির খনন কাজ শুরু হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।


আরও খবর



ঈদ পর ফের বাড়লো হিলিতে আলু,পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে আলু আমদানি। তবে আমদানিতেও কমছে না ভারতীয় ও দেশীয় আলুর দাম। ভারতীয় আলু কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা আর দেশীয় আলু কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এদিকে ঈদের পর থেকে ফের দাম বাড়তে শুরু করেছে দেশীয় রসুন, পেঁয়াজ ও আদার দাম। দেশীয় রসুন কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা,আমদানিকৃত আদা কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা। আর দেশীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পণ্যগুলোর দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ। বিক্রেতারা বলছেন,টানা ছুটি থাকায় আমদানি বন্ধ ছিল ও সরবরাহ কমে যাওয়া দাম বেড়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগে দেশীয় আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে,আজ সেই আলু ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী রসুন আগে ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে,তা এখন ১০০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত চায়না আদা আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, তা এখন ৬০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন ১৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানিকৃত আলু বন্দর থেকেই দেশেরস্থানে পাঠানো হচ্ছে। তবে ক্রেতারা সাদ নেই বলে আমদানিকৃত আলু কিনতে চায় না।হিলি বাজারে আলু আদা,পেঁয়াজ ও রসুন কিনতে আসা ফরহাদ বলেন,বাড়িতে মেয়ে-জামাই এসেছে তাই বাজার করতে আসলাম। এসে দেখি সব জিনিসের দাম বেশি।

আমি ঈদের আগে দেশীয় আলু কিনেছি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে,আজকে সেই আলু ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনলাম। আগে রসুন কিনেছি ৮০ টাকা কেজি দরে, আজ সেই রসুনের দাম চাচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে,আদা কিনেছি ১৮০ টাকা কেজি দরে,আজ আদা কিনেছি ২৪০ টাকা কেজি দরে। কি আর করার নিতেই হবে আমাকে তাই অল্প অল্প করে নিলাম।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ,রসুন ও আদা বিক্রেতা ময়নুল ইসলাম বলেন,ঈদের আগে সরবরাহ বেশি ছিল তাই দামও কম ছিল। টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। আমরা গেলো শনিবারও আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে। গত তিন দিন থেকে কেজিতে আলুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এখন আমরা খুচরা বিক্রি করছি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। আদা কেজিপ্রতি বিক্রি করেছি ১৮০ টাকায়,এখন কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।রসুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি এখন সেই রসুন কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত তিন থেকে পাইকারী বাজারে দাম বেশি। আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি। আলুর দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশীয় আলু বেশি ভাগ ষ্টোর করেছেন কৃষকরা।আমদানিকৃত আলুর সাদ ভালো না হওয়ায় আমরা আমদানিকৃত আলু বিক্রি করিনা।যদিও দুই একজন নিয়ে আসে। তাও আবার সেইগুলো বিক্রি করতে অনেক সময় লাগে। টানা ৬ দিন ছুটি শেষে গতকাল সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে ২৭টি ভারতীয় ট্রাকে ৬৯৩ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত আলু বন্দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়। এর আগে ছিল ৩১ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।


আরও খবর