Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ঢাকায়

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা ঢাকায় এসেছেন। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তিনি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়, সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব একটি বিশেষ ফ্লাইটে আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় ঢাকা আসেন। আগামীকাল তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করবেন। এছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে বার্তায় আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভার‌তের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার। ত‌বে হঠাৎ কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থ‌গিত করেছে নয়াদি‌ল্লি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পৌঁছে দিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা সফর করেন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।


আরও খবর



সদরে আনারুল, মুজিবনগরে মিলু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯৩জন দেখেছেন

Image
মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর:মেহেরপুর-১ আসনের অর্ন্তভুক্ত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে সদর ও মুজিবনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের পাচঁজন নেতা। 

প্রথম ধাপে আজ বুধবার উপজেলা নির্বাচনে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আমদহ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম ৩০ হাজার ৪১৬ ভোটের ব্যবধানে  জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম শাহীনকে পরাজিত করেন।

মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু আনারস প্রতিক ১৭ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতাকেে এক হাজার ৯৬৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে। রফিকুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০০।

এদিকে সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাশেম আলী চশমা প্রতীকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে লতিফুন্নেছা বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে মুজিবনগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বি.এম জাহিদ হাসান রাজীব টিউবয়েল প্রতীকে তকলিমা খাতুন কলস প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রে ৭টি অস্থায়ী বুথ সহ ২৩৬ টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ভোটার ৮৫ হাজার ২৫৯ জন। এর মধ্যে ৪২ হাজার ৫৩৮ জন পুরুষ এবং ৪২ হাজার ৭২১ জন নারী ভোটার।

আরও খবর



রুয়েট ও আহসানুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (আবিপ্রবি) ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে। এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় দুইটি থেকে প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়ের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই রিক্রুটমেন্ট ইভেন্ট পরিচালনা করেন হুয়াওয়ের সিনিয়র ম্যানেজার মো. সাইফুল আলম, এইচআর ম্যানেজার ওমর হায়দার মাশফিক আহমেদ, অ্যাসিসট্যান্ট এইচআর ম্যানেজার মো. শরিফুল ইসলাম, সিনিয়র লিডার গাও জিয়ানগাও, সিনিয়র এইচআর ম্যানেজার মো. ফারা নেওয়াজ এবং এইচআর এক্সিকিউটিভ মো. খালিদ হোসেন।

হুয়াওয়ের সিনিয়র এইচআর ম্যানেজার মো. ফারা নেওয়াজ বলেন, ”বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনা অনেক। তাদের মেধাকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করা প্রয়োজন। হুয়াওয়ে দেশের এই তরুণদের জন্য কর্মক্ষেত্রে সুযোগ তৈরিতে মনোযোগী যাতে তারা সঠিক দক্ষতা, কর্মপরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে নিজেদের মেধাকে আরও বিকশিত করতে পারে। সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য হুয়াওয়ের রয়েছে, তা এই তরুণরা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের তরুণদের জন্য আমরা এই ধরনের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে থাকবো।”

রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ”কর্মক্ষেত্রে নতুন এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক আশা ও আকাঙ্খা রয়েছে। রুয়েট ক্যাম্পাসে গুরুত্বপূর্ণ এই আয়োজন করায় আমি হুয়াওয়ে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই। এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করে তুলবে।”

আবিপ্রবির ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তারেক আজিজ বলেন, ”দেশের উন্নয়নে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এই কারণে যখন দেখি আমাদের শিক্ষার্থীরা সেখানে কাজ করছে, আমরা গর্ববোধ করি। পেশাগত লক্ষ্য অর্জনের  জন্য হুয়াওয়েতে ভালো কর্মপরিবেশ থাকায় আমাদের শিক্ষার্থীরাও অনেক খুশি। হুয়াওয়ের ধারাবাহিক এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। একই সঙ্গে আবিপ্রবিতে ক্যাম্পাস ‍রিক্রুটমেন্ট আয়োজন আমাদের প্রতি হুয়াওয়েরও আস্থার প্রতীক।”

দেশের আইসিটি খাতে মেধার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হুয়াওয়ে কর্মক্ষেত্রে নতুন শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন সুযোগ দিচ্ছে। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ধারাবাহিকভাবে এই ধরনের আয়োজন করে যাবে হুয়াওয়ে।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা,কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ শনিবার দিবাগত রাত ২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়ে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ এবার অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ-সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।

মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



রাণীশংকৈল রাজবাড়ি'র পূর্ণরূপ ফিরে পেতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে: যুগ্ন সচিব আতাউর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গতকাল শনিবার (১০ মে)  বিকেলে উপজেলার পৌর শহরের অবস্থিত শতাধিক বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক নিদর্শন, রাজা টংকনাথের রাজবাড়িটি সংরক্ষণের কাজ পরিদর্শন করলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আতাউর রহমান। 

এসময় ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে সচিব সহ সফর সঙ্গীগনকে বরণ করেন, ঠিকাদার মাহফুজ হাসান বকুল,উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা তামিম হোসেন, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান, খালিদ মাহমুদ সুজন, তাহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইস ইমাম। 

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ডক্টর নাহিদ সুলতানা, সহকারি প্রকৌশলী মুরাদ হোসেন, সহকারি কাস্টোডিয়ান সিহাব হোসেন, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক মাহবুব আলম ও রাজবাড়ি কেয়ারটেকার কাজল ইসলাম সহ স্থানীয়রা। 

উল্লেখ্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বরাদ্দে রাজা টংকনাথের রাজবাড়িটি সংরক্ষণের কাজ প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স বকুল ইলেকট্রনিক্স শুরু করে। টংকনাথের রাজবাড়ী সংস্কার কমিটির আংশিক সদস্যগণ এবং কমিটির পক্ষ থেকে রাজবাড়ী সংস্কারের জন্য ১০(দশ) টি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুগ্ন সচিব বলেন, আগামিতে রাজা টংকনাথের রাজবাড়িটি পুরনো রুপ ফিরে দিতে সংরক্ষণে জন্য বড় আকারের বরাদ্দে সংরক্ষণের কাজ হবে।

আরও খবর



তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী মেহেরপুরবাসীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃতাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী হতে চলেছে মেহেরপুরবাসীর। টানা কয়েক দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার আজ রোব্বার বিকেল তিনটায় মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

রোব্বার বেলা চারটা পর্যন্ত শহর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জনগণের চরম অস্বস্তি ভাব চোখে পড়েছে। ষোলটাকা ইউনিয়নের বানিয়াপুকুর গ্রামে বেলা দুইটার দিকে তপ্ত দুপুরে মাথায় মাথাল দিয়েভুট্টা মাড়াই করছিলেন নজরুল ইসলাম কালাম আবুছদ্দীন ও মনিরুল। পাশের জমিতে ভুট্টা কাটছেন ইমদাদ আর কাউছার। তাদের ভাষায়, রোদির মদ্দি কাজ করতি সমেস্যা তো এট্টু হচ্চেই। কাজ না কল্লি তো আর হচ্চে না। কাজের ফাঁকে পর এট্টু জিড়িটিড়ি নিতে হচ্ছে। আমাগের হাত না নড়লিতো প্যাট চলবি না।

করিমপুর মোড়ে টং দোকানের সামনে কথা হয় কৃষক আবু বক্করের সাথে। তার ভাষায়, ‘জীবনকালে এমন গরম কখনো দেখেননি। এ গরম তো না মনে হচ্ছে গজপ। আমরা আগে দেকিচি এইরাম রোইদ পড়েচে, কিন্তু এইরাম তাপ ছিলুনা। সেই সুমায় খালে-বিলি পানি থাকতু। অ্যাকন কুথাও পানি নেই, রোদির ঝলক পড়চে। আমাদের বয়সে বহু কিচুই দেকিচি, অ্যারাম গরম দেকিনি।’

গোপালনগর চারচারা মোড়ে বটগাছের নীচে দেখা হয় কৃষক আকরাম আলীর সাথে। তিনি জমিতে সেচ দিচ্ছেন। একটু জিড়িয়ে নিতে গাছ তলায় বসেছেন। তার ভাষায় “ এমন গরম বাপের জন্মেও দেকিনি।আগে একঘন্টায় যে জমিতি পানি দেয়া হতো এখন লাগছে চারঘন্টা। সময় আর তেল দুটোই অপচয়।

কয়েকদিন আগে একটার মটরও পুড়ি গিছে। ইবার ধানে লুকসান হতি পারে।গাংনী রেজাউল চত্ত্বরে জুতা মেরামতকারী (মুচি) ভগত দাস রোদের মধ্যে ফাঁকা জায়গাতে ছাতির নীচে কাজ করছেন। সারা দিনে মাত্র ১২০ টাকার কাজ করেছেন। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে সংসার চালাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তিনি জানান, দিন পনের আগেও এত তাপ ছিল না। সেসময় ৫/৬শত টাকা হতো।

এখন লোক সমাগম নেই তাই কাজও নেই। খদ্দেরের আশায় রোদের মাওেঝও বসে থাকতে হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। তার ভাষায়, ‘আগের তাপ-গরমের সাতে অ্যাকনকার আকাশপাতাল তপাত। ঋতুর রদবদল হয়ে গিয়েচে। এই রোদি আর গরমে পারা যাচ্চে না। বয়স হয়ে গিয়েচে, অল্প পরিশ্রমেই কাহিল হয়ে যাচ্চি।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, আজ রোব্বার ৩২ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৮ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ৩০ জন। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই।

রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, তাপদাহ বা বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকেই রাস্তার পাশে বা যেখানে সেখানে বিক্রি হওয়া আখের রস, শরবত, লেবুপানি খাচ্ছেন। এগুলো অস্বাস্থকর। খাওয়া যাবে না। কারণ, একই গ্লাসে একাধিক ব্যক্তি শরবত পান করছেন। এতে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসসহ সংক্রামক রোগব্যাধি ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। হালকা পাতলঅ পোশাক পরতে হবে।


আরও খবর