Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

"গ্রামে যারা উৎপাদন করছেন তাদের কষ্ট নেই"

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষদের কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে, তবে গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টিবিসির কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিসিবিতে যে লোকবল আছে সেটা দিয়ে আমরা মানুষের যে সেবা করে যাচ্ছি সেটাই যথেষ্ট। আর সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের তাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে, গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।

তিনি বলেন, তারপরও আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা থাকে দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এজন্য যে যে পণ্যের প্রয়োজন সেটা যথাযথভাবে দেশে উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছি। পাশাপাশি আমদানিও করে যাচ্ছি। সেটা যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি। আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। মানুষের কল্যাণটা হচ্ছে আমাদের সব থেকে বড় কথা। সেদিকে আমরা লক্ষ রাখছি।

সরকারদলীয় এমপি মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং জনসাধারণ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সুফল ভোগ করতে পারছেন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব প্রকারের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের কয়েকটি পণ্য, যেমন- জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বাড়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ পরিস্থিতিতেও আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, টাকার বিনিময় হারের সাম্প্রতিক পতন অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শিগগিরই ক্রলিং পেগভিত্তিক মুদ্রাবিনিময় নীতি গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত করিডোরভিত্তিক এ ব্যবস্থা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন রোধ করবে বলে আশা করা যায়। ফলে এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

মূল্যস্ফীতির ওপর বাহ্যিক প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিলাসদ্রব্য বা অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে:ফায়ার সার্ভিস পরিচালক

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:পূর্ব সুন্দরবনের লতিফের সিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। সোমবার বেলা ১০.৪০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন ও মেইনটেনেন্স লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বরেন, '১০.৩৫ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। 

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার মো. বাশারুল ইসলাম, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক(এসিএফ) রানা দেব, মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো৷ আশিকুর রহমান,  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান, থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম হাওলাদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আরও বলেন, আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। কোথাও আগুনোর ফুলকি বা ধোঁয়া নেই। তবে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও ২ দিন কাজ করবে কালো ছাই সাদা করার জন্যে। এর পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বন ত্যাগ করবে

তিনি বলেন, ১০.৩৫ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। রবিবার থেকে টানা ৪৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বনবিভাগ, বিমানবাহিনী ও স্থানীয় শতশত স্বেচ্ছাসেবক। 

গত শনিবার(৪ মে) দুপুরে আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের অধীন লতিফের সিলা এলাকায় অগ্নিকান্ডের খবর পান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

আরও খবর



জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৫৯জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় প্রায় ২২ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। 
সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। 

দন্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ির জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামে। এদের মধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছেন। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে ধানের জমি থেকে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে আসামী আলামের বাড়িতে ধরে নিয়ে যায় অন্যান্য আসামীরা। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে বিভিন্ন অস্ত্র দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে ও পা দিয়ে বুকে ও পেটে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন। 

সিংকঃ এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), জজ কোর্ট, জয়পুরহাট।

আরও খবর



কাফরুল থানা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভা (এল ও সি সি) অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার : কাফরুল থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভা (এল ও সি সি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাফরুল থানাধীন মিরপুর ১৩তে  ৪ নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন কমিউনিটি সেন্টারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাফরুল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার (পল্লবী জোন) ডিবি মিরপুর মো: রাশেদ হাসান।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে কাজ করতে হবে। আপনারা যারা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন তারা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। আপনাদের কাজ শুধু তথ্য দিয়ে সহায়তা করা। বাকি কাজ পুলিশ প্রশাসন করবে। আর পুলিশের পাশাপাশি আমাদের যারা ডিবি রয়েছেন তারাও কাজ করবে। কিশোর গ্যাং রোধে অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। আপনার সন্তান কোথায় যায় সেটি আপনাকে নজর রাখতে হবে। আপনার পাশে যেই ছেলেটি খারাপ আছে তার তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। একটা কথা মনে রাখবেন আপনার ছেলে ভালো কিন্তু যেই ছেলেটা খারাপ সেই ছেলে কিন্তু আপনি ছেলেকেও খারাপ বানিয়ে ফেলবে। তাই আপনার ছেলে হোক বা পরের ছেলে হোক খারাপ হলে  তার ব্যাপারে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। 

এ সময় বিশেষ অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এসি ট্রাফিক পল্লবী (জোন) তানিয়া সুলতানা, এসি পেট্রোল (পল্লবী জোন) মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ  স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি  গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু,  কাফরুল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)   মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এস আই বাদশা। 

অনুষ্ঠান শেষে সভাপতির বক্তব্যে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুকুল আলম বলেন, আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করুন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি। পুলিশের একার পক্ষে সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব না। সকল সমস্যার সমাধান করতে হলে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আর আপনারা যারা হুজুর রয়েছেন তারা প্রত্যেক জুমার দিন সকল মসজিদে এসকল কথা বলবেন। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। তিনি ৩০তম পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন এবং ৩৪ বছর ৭ মাস পর অবসরে গেছেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসম। দৈনিক কালের কণ্ঠ গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৬টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল- লা মেরিডিয়ান ঢাকা-র শেয়ার, গোপালগঞ্জের ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট’, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমালের বিশাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উপরোক্ত তথ্য ও পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন করার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি।

তিনি আর বলেন, সাবেক আইজিপির যদি এতো সম্পদ থাকে তাহলে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। যারা সৎ আছেন তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা অসৎ, তারা অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় নামবেন। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকলে অসৎ কর্মকর্তারা বলবেন- আমরা বেনজীর হতে চাই। যদি দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে যাব।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। এখন আইজিপির ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে বেতন হয় প্রায় পৌনে দুই কোটির টাকা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শত শত কোটি টাকার মালিকানা উনার আছে, যা কাগজের হিসাবে এসেছে। আর বেহিসেবে যে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের আয়ের কোনো উপায় ছিল না। এরপরও ছয়টি কোম্পানি থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। গোপালগঞ্জে ১৪শ’ বিঘা জমি করেছেন। আরকিছু দিন সময় পেলে মনে হয় তিনি গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন। বৈধ না অবৈধ তা পরের বিষয়। যে হারে তিনি সম্পদ বানিয়েছেন, আর কিছুদিন হলে হয়ত উনার জমির ওপর দিয়েই আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে হতো।

সুমন বলেন, এতো সম্পদের রিপোর্ট আসার পর ভেবেছিলাম দুদক নিজেই হয়ত একটা উদ্যোগ নেবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এতো বড় দুর্নীতির বিষয়ে কি আর কেউ কোনো কথা বলবে না? দুদক নিজে কাজ না করলে নাগরিক হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব দুদককে একটু নড়েচড়ে বসার কথা বলা। আমরা বলছি না যে, বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করেছেন। যে অভিযোগটা এসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের সামনে, জাতির সামনে পরিষ্কার হোক। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই সম্পদ গড়েছেন। দুদক যদি এই আবেদন আমলে না নেয় তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে হবে। আমি এমপি হিসেবে এই প্রথম দুদকে এসেছি। যেসব জায়গায় দুর্নীতির বিষয়ে অন্যরা কথা বলবে না, আমার সাহস-সামর্থ্য থাকলে আমি কথা বলব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ আইন প্রণয়নের জায়গা। সুযোগ পেলে সংসদে আমি দুদকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, একজন অপরাধী নিজে তার দোষ স্বীকার করেন না। দুদক বলুক যে, বেনজীরের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। কোনো দুর্নীতি করেননি। সব সম্পদ সাদা পানির মতো। দুদক নিজে স্টার্ট নেয় না। দুদককে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করে দিতে হয়। কিছু পুরাতন গাড়ি আছে যা সেল্ফ স্টার্ট নেন না। দুদকও তেমন। এখন আমরা ও সাংবাদিকরা পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করলে তখন চলতে পারবে। দুদক চেয়ারম্যান এক ইন্টারভিউয়ে বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটে। শুধু এ কথা বললেই উনার দ্বায়িত্ব শেষ হবে না। দুর্নীতিবাজরা যেন বুক ফুলিয়ে হাঁটতে না পারে সেই ব্যবস্থা উনাকে গ্রহণ করতে হবে। আর যদি একেবারেই কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমাদের সবার দেশ ছাড়তে হবে।


আরও খবর



সৈয়দপুরে অপরিপক্ব লিচু ও আম বিক্রি, স্বাস্থ্যঝুকির শঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর শহরে অপরিপক্ব লিচু ও মিসরি ভোগ আম উঠতে শুরু করেছে। দেখতে আধপাকা মনে হলেও  জম্মের টক। একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা আর এক কেজি মিসরি ভোগ আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। স্বাস্হ্য  ঝুকি জানার পরেও অপরিপক্ক ওইসব লিচু আর আম কিনছেন  অসচেতন ক্রেতারা। যা খেয়ে পেটের পিরায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।প্রচন্ড গরমে অপরিপক্ক এসব ফল কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে ব্যাবসায়িরা বলছেন, মৌসুমের নতুন ফল খাওয়ার সবারই আগ্রহ থাকে,এরফলে দামও পাওয়া যায় ভালো। একারনে,গ্রামের যেসব বাগানে লিচু হলকা লাল হয়েছে,সেগুলো বাগান মালিকদের বেশি দাম দিয়ে সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন। 

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বলছে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু হলো উত্তরবঙ্গের সুস্বাদু লিচু। এই লিচু পরিপক্ব হতে এখনো ২০/২৫ দিন বাকি। আর মিসরি ভোগ আম সুস্বাদু হয় বদরগন্জের খাগরাবন ও রাজশাহীর। তেমনি হাড়ি ভাংগা আমের জন্য বিখ্যাত রংপুর। এসব আম পরিপক্ব হয়ে পাকতে এখনো ২০/২৫ দিন সময় লাগবে।বাজারে যেসব লিচু ও আম বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলির কোনটাই পরিপক্ব নয়। আইন প্রয়োগ কারি সংস্হার উচিত অভিযান চালায়ে মোটা অংকের জরিমানা করা। 
সৈয়দপুর ১০০ বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, অপরিপক্ক যে কোন ফল খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সহ মারাত্মক ভাবে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তিনি অপরিপক্ক কোন ফলই বিক্রি না করার জন্য ব্যবসায়িদের অনুরোধ জানান। 

দুলাল নামের এক আড়তদার বলেন, সৈয়দপুর শহরের সব আড়তদারদের বদনাম করে ছেড়েছেন গিয়াস নামের এক ফল আড়তদার। তিনি বলেন, যেখানে কৃষি অধিদপ্তর, ও ডাক্তার বলছেন অপরিপক্ক ফল খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে, সেখানে তিনি তাদের কথার তোয়াক্কা না করে, অতিরিক্ত লাভের আশায় অপরিপক্ক লিচু ও মিসরি ভোগ আম বিক্রি করে চলেছেন। এসব ব্যবসায়ির মোটা অংকের জরিমানা সহ জেল দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাদেক পাগলা নামের এক ক্রেতা বলেন,বছরের প্রথম ফল তো তাই কিনলাম। বিক্রেতা বললেন ফল গুলো মিষ্টি হবে, এখন দেখছি জম্মের টক।

ফল বিক্রেতা গিয়াস জানান, লাভের আশায় আম ও লিচু সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। তিনি বলেন সব মাছই ময়লা খায় শুধু নাম হয় নাড়িয়া মাছের। অনেকের আড়তেই অপরিপক্ক ফল আছে এবং তারা দাপটের সাথেই তা বিক্রি করছেন। কিন্তু তাদের প্রশাসন সহ কেউই কিছু বলেন না। অভিযান যদি চালাতেই হয়, তাহলে সকল অবৈধ ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়ার দাবী করেন তিনি। 

আরও খবর