Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের ১৬তম অধিনায়ক শান্ত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬৭জন দেখেছেন

Image

ক্রীড়া প্রতিবেদক:বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের ১৬তম অধিনায়ক হিসেবে মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস করতে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছুটিতে থাকায় কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে নেতৃত্ব পেয়েছিলেন লিটন দাস।

এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ছিলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। এশিয়া কাপে চোট পাওয়ায় সতর্কতার জন্য প্রথম দুই ম্যাচের দলে রাখা হয়নি তাকে। তবে প্রথম দুই ম্যাচ খেলে লিটন বিশ্রামে যাওয়ায় শান্তর কাঁধেই উঠল নেতৃত্ব ভার।

দলের ফিরে নেতৃত্ব পেয়ে যাওয়াটা হুট করে হলেও শান্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে বয়ঃভিত্তিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করার। এবার জাতীয় দলের নেতৃত্ব পাওয়াটাকে বললেন, নেতৃত্ব গর্বের ব্যাপার।

একজন ক্রিকেট প্লেয়ার হিসেবে এটা আমার জন্য অনেক গর্বের ব্যাপার। সঙ্গে আমার পরিবারের সদস্যদের জন্যও অনেক গর্বের।শান্ত কৃতজ্ঞ জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে। উপভোগ করবেন বলেই জানিয়েছেন ম্যাচটা।

ক্রিকেট বোর্ড আমাকে এই সুযোগটা তৈরি করে দিয়েছে। আমি খুবই উদগ্রীব এবং কালকে উপভোগ করবো ইনশাল্লাহ।

সাকিব আল হাসান ও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিজের অনুপ্রেরণা উল্লেখ করে শান্ত বলেন, ‘আমার সব সময়ের পছন্দের ক্রিকেটার সাকিব ভাই। যদি অধিনায়ক হিসেবে বলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখেছি আমরা। উনাকে সবাই পছন্দ করে। ব্যক্তিগতভাবে সাকিব ভাইয়ের অধিনায়কত্ব বলেন বা উনার প্ল্যানিং বা প্লেয়ারদের হ্যান্ডেল করা আমি খুব উপভোগ করি। বিপিএলে তার সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছিল। তখন অনেক কিছু শিখেছি। চেষ্টা করবো যতটুকু আমার অভিজ্ঞতা আছে যে জিনিসগুলো বড় ভাইয়ের কাছ থেকে শিখেছি সেই জিনিসগুলো ছোট ছোট ভাবে কাজে লাগানোর।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




রেললাইনের প্যাচানো ক্লিপ খোলার সময় দুই যুবক আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:রেললাইনের প্যাঁচানো ক্লিপ খোলার সময় দুই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্হানীয়রা। ওইসময় তাদের কাছ থেকে ১৬টি ক্লিপ উদ্ধার করা হয়।মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম নুরুল ইসলাম।সোমবার দিবাগত গভীর রাতে নীলফামারি সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খয়রাত নগর এলাকা থেকে ক্লিপ খোলার সময় তাদের আটক করা হয়। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন নাশকতার উদ্দেশ্যেই ক্লিপগুলো খোলা হচ্ছিল। তবে ঘটনার প্রায় ১৫ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও থানায় মামলা দায়ের না হওয়ায় ঘটনাটি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। আটককৃতরা হলেন সোনারায় ইউনিয়নের জয়চন্ডী পুটিহাট এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২৬) ও উত্তর মুসশুর কুখাপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ওরফে বেলাল।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটককৃত দুইজন উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবক। ওদিন রাতে তারা রেললাইনের ফাঁকা জায়গায় ক্লিপ খুলছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

সৈয়দপুর রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধা বলেন, যদি স্থানীরা বিষয়টি না দেখতেন তাহলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল । ধারনা করছি ওই দুই যুবক নাশকতার উদ্দেশ্যেই ক্লিপগুলো খুলেছে। তবে তাদের জিজ্ঞাসা করলেই সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি এম নুরুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পরে বলা যাবে তাদের উদ্দেশ্য নাশকতা নাকি অন্য কিছু। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

আরও খবর



সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল, আজ থেকেই কার্যকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজ থেকেই কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোজ্যতেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ গত ১৫ এপ্রিল শেষ হয়েছে। ফলে ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্যতেল (পরিশোধিত পাম তেল এবং পরিশোধিত সয়াবিন তেল) ভ্যাট অব্যহতি পূর্ববর্তী মূল্যে সরবরাহ করা হবে। মঙ্গলবার থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৭৩ টাকায়। এছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৮৪৫ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২ টাকা। এদিকে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স আয়োজনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, সয়াবিন তেলের দাম কমবে না। আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে, ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে একটি নতুন দাম বেঁধে দেওয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী জানান, সয়াবিন তেলের মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স কমানোর কারণে লিটারে তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা। তেল-চালের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে রাজস্ব আদায় যৌক্তিক না। এটির সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত।


আরও খবর



মাগুরায় চোরাই মটর সাইকেল ও চোরাই মালামাল উদ্ধার ৩ চোর আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় অভিযান চালিয়ে  চোরাই মটর সাইকেলসহ  ৩ চোরকে আটক করেছে মাগুরা থানা পুলিশ।

মাগুরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহ এক প্রেস রিলিজে জানান, ২৮ শে মার্চ বৃহস্পতিবার মাগুরা সদর থানা এলাকায় মাদক উদ্ধার ও চুরি প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাগুরা সদর থানার ইছাখাদা গ্রাম থেকে চোরাই মোটর সাইকেল ক্রয় বিক্রয় করাকালে মোঃ কদর মোল্যা (২৪), পিতা-মোঃ জাহাঙ্গীর মোল্যা, সাং-ইছাখাদা, থানা-মাগুরাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আসামীর নিকট থেকে চোরাই  এ্যাপাচি  ১৫০ সিসি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।  গ্রেফতারকৃত আসামীর স্বীকারোক্তি মতে চুরির সাথে জড়িত আসামী  মোঃ ইলিয়াস হোসেন (৪২), পিতা- জয়েন উদ্দিন ওরফে জয়নাল, সাং-মৌলি, থানা-মহম্মদপুর, জেলা-মাগুরাকে মহম্মদপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে চোরাইকৃত আর  ১৫০ সিসি মোটর সাইকেল উদ্ধার  করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ চোর এবং চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের অন্যতম সদস্য মোঃ হাসু খান (৪০), পিতা-মোঃ গোলাপ খান, সাং-খানপাড়া, থানা-মাগুরা সদর, থানা-মাগুরাকে  পৌর এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামীরা মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থানসহ আশপাশ জেলা হতে মোটর সাইকেল চুরি করে। নারায়নগঞ্জ/নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলার চোরদের সাথে আসামীদের যোগাযোগ রয়েছে। চুরি এবং চোরাই মোটর সাইকেল ক্রয় বিক্রয় করার ক্ষেত্রে তাদের সাথে একত্রে কাজ করে বলে জানা যায়। আসামীরা সংঘবদ্ধ চোর এবং  চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সক্রিয় সদস্য। এ ঘটনায় ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।


আরও খবর



রৌমারীতে হাট বাজারে টোল আদায় সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:স্থানীয় সরকার বিভাগ রৌমারী উপজেলার আওতাধীন সরকারি হাট-বাজার সমুহের ১৪৩১ বাংলা সনের টোল আদায়ের হার নির্ধারণ, পয়পরিস্কার, পেরিফেরি হাট-বাজারের বাইরে টোল আদায় না করা, হাটের শৃঙ্খলা রক্ষ করে চলাসহ নানাবিধ বিষয়ের লক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান, রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামান, এমপির প্রতিনিধি রেজাউল ইসলাম মিনু সহ-সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতি, হাট বাজার ইজারাদারগণ, ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় ও সাংবাদিকদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫ টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, সরকার নির্ধারণের বেশি টোল আদায় করা যাবে না, উভয় পক্ষ হতে টোল আদায় করা যাবে না এবং উভয় পক্ষ থেকে টোল আদায় প্রমানিত হলে দন্ডবিধি মোতাবেক আদায় কারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইজারাদ কর্তৃক টোল আদায়েল তালিকা লিখে হাট বাজারের প্রকাশ্য জায়গায় টানানোট নির্দেশ, ইচ্ছাকৃত ভাবে জনসাধারণকে ধোকা ও ঠকানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, হাট-বাজারের অলিগলিসহ কোন বিক্রয় স্থানকে সাব ইজারা বা এককালিন ইজারা দেয়া যাবে না, টোল আদায়ের রশিদে টাকার অংক উল্লেখ করে স্বাক্ষর থাকতে হবে, হাট-বাজারের পেরিফেরির বাইরে কোন টোল আদায় করা যাবে না, বাজার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং কোন অন্যায় ও অনিয়ম হলে তার দায়-দায়িত্ব হাট-ইজাদারের উপর বর্তাবেও বলে ব্ধসঢ়;ক্তাগণ উল্লেক করেন।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সরকারি নিয়ম মাফিক হাট-বাজার চালানো ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের টোল আদায়ের প্রস্তাবনা তালিকা প্রেরণের জন্য আলোচনা সভাটি করা হয়েছে। তবে সরকারি টোল আদায়ের হার নির্ধারণের বাইরে অতিরিক্ত টোল ও উভয় পক্ষের নিকট টোল আদায়ের কোন সুযোগ নাই।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন, সরকারের বাইরে কোন কিছু করার সুযোগ নাই। সরকারি ভাবে টোল আদায়ের নির্ধারিত তালিকার নিয়ম মাফিক টোল আদায় করতে হবে। 


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর