স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তীব্র গরমে,জীবিকা নির্বাহে ব্যস্ত পথচারী,অটোরিকশা ও রিকশা চালকদের মধ্যে বিশুদ্ধ ঠাণ্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। মাগুরায় ৪১° উত্তপ্ত খরার হাত থেকে রেহাই পেতে,পথচারী ও জীবিকা নির্বাহে ব্যস্ত মাগুরা শহরের অটোরিকশা ও রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করে এলাকায় আলোচনায় উঠে এসেছে ফাউন্ডেশন। তারা এ ধরনের কাজ অব্যাহত রাখবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাগুরায় পথচারীদের মধ্যে ঠান্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ
একাধিক রেকর্ড গড়ে মায়ামিকে জেতালেন মেসি
রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি
রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বরে পিকআপ উল্টে নিহত ১, আহত ১৫ জন
আনারুল ভাইয়ের এজেন্ট ছাড়া আর কোন এজেন্ট থাকতে পারবেনা
শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
কালিয়াকৈরে মন্ত্রীর ভাতিজার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা, হতাশায় সমর্থক
শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক:বান্দরবানের বাসা থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় রোয়াল লিন বম নামে আরও এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিন সকালে বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছিলেন। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরপরই চেওশিম বমকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাব বলছে, রোয়াল লিন বম (৫৫) এবং চেওশিম বম (৫৫) বান্দরবানে প্রথম কেএনএফ গঠন করে। তাদের সঙ্গে কেএনএফ প্রধান নাথান বমের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজের সঙ্গে কেএনএফের যে চুক্তি হয়েছিল সেটি হয়েছিল চেওশিম বমের বাসায়।
শনিবার যেসব জেলায় বন্ধ থাকবে স্কুল-মাদরাসা
শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ
মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃচলতি মৌসুমে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুরের জনপদ। এমন অবস্থায় খরার কবলে পড়েছে বোরো ধানের আবাদ। সেচ দিতে দিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের জমি।
একদিকে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে আবার মাটি শুকনা থাকায় দ্রুত শুষে নিচ্ছে পানি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্পুরক সেচ দিয়ে বোরো ধান টিকিয়ে রাখার পরামর্শ কৃষি বিভাগের। তবে এতে চাষ খরচ বেড়ে যাচ্ছে দিগুন থেকে তিনগুণ। অনেকেই ধান ক্ষেত পরিপক্ক হবার আগেই কেটে ফেলছেন।
কৃষি বিভাগের হিসেবে মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে। তবে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর। বর্তমানে ধানে থোড় থেকে শীষে রুপ নিয়েছে। আবার অনেক এলাকায় ধানক্ষেত অর্ধ পরিপক্ক। এমন এক সময় খরার কবলে পড়েছে বোরো আবাদ। তীব্র তাপদাহে ধানের জমির মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।
কৃষকরা জানান, জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দেওয়া লাগছে। এদিকে অতি তাপদাহের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো ম্যাশিনে পানি উঠছে কম। ফলে সময় বেশি লাগায় এক লিটার ডিজেলের পরিবর্তে কোন কোন জমিতে প্রতিদিন দুই লিটার করে ডিজেল খরচ হচ্ছে। এতে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। ফলে এবার বোরো চাষে লোকসানের আশঙ্কা করছে চাষীরা। তাই ক্ষেতের ধান পরিপক্ক হবার আগেই অনেকেই কেটে ধানক্ষেত কেটে ফেরছেন।
সহড়াবাড়িয়া গ্রামের ধানচাষি গোলাম কিবরিয়া জানান, প্রচ- খরায় একদিকে যেমন ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে দেখা দিয়েছে পোঁকার আক্রমন। বালাইনাশক ব্যবহারেও কোন কাজ হচ্ছে না। মাস খানেক আগে যে জমিতে সপ্তাহে দুদিন সেচ দিতে হতো, সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ছে অনেক গুন। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।
বালিয়াঘাট গ্রামের চাষি নাহারুল জানান, রোদে ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়ে টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। কাচা ধান কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন।
গাংনীর জুগির গোফা গ্রামের কৃষক আবুল হাসেম জানান, ধান আবাদ করে এবার লোকসান গুনতে হবে। সেচের পানিতে এবার উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরোপুরি ধান পাকতে আরো ১৫/২০ দিন সময় লাগবে। প্রতিদিন পানি দেয়া সম্ভব না তাই অপরিপক্ক ধান কেটে নিচ্ছেন তিনি। একই কথা জানালেন বাথানপাড়ার আব্দুল মান্নান। তার আড়াই বিঘা জমির ধান বাধ্য হয়ে কেটে ফেলেছেন।
সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের চাষী আলামিন জানান, খরাতে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ পাশাপাশি বেড়েছে পোকার আক্রমন। বিষ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছেনা। যে জমিতে সপ্তাহে তিনদিন সেচ দিয়েই চলতো সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে এবার। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এবার দীর্ঘদিন খরার চলছে। ফলে জমির মাঝে মাঝে কিছু শীষ মরে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জমিতে সেচ দিয়ে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি জমিয়ে রাখার এবং পোকামাকড় দমনে কীটানাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আত্রাইয়ে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু, আবহাওয়া নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
বিরামপুরে কৃষকদের মাঝে সার-বীজ বিতরণ
মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদযাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।
তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...’
শনিবার যেসব জেলায় বন্ধ থাকবে স্কুল-মাদরাসা
শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
ঈদের ছুটিতে বিয়ের ধুম
আনারুল ভাইয়ের এজেন্ট ছাড়া আর কোন এজেন্ট থাকতে পারবেনা
শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
কালিয়াকৈরে মন্ত্রীর ভাতিজার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা, হতাশায় সমর্থক
শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪