Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া

ভোলার লালমোহনে বোমার তৈরীর সময় বিস্ফোরণ: নিহত-১, আহত-২

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২২২জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:ভোলা লালমোহনে বোমা তৈরীর কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কারখানার কারিগর বোমা মনির বয়াতি নিহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহত হয়েছেন তার সহযোগী ফিরোজ নামের আরো এক যুবক। সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন আজাহার মাঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে পুরো এলাকা কম্পনের সৃষ্টি হয়। চারিদিক হয়ে যায় ধুয়াচ্ছন্ন। এরপর ওই বাড়ি ও আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখতে পায় আজাহার মাঝির বাড়ির পাশেরই একটি পরিত্যক্ত ঘরে পুরো শরীর রক্তাক্ত ও মূমুর্ষ অবস্থায় পড়ে আছে মনির বয়াতি ও তার সহযোগী ফিরোজ।

এরপর সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ভোলা সদল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু বোমার বিস্ফোরণের আঘাতে তাদের মুখম-লসহ শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ ঝলসে যাওয়ার কারণে আশঙ্কাজনক ভেবে ভোলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকও তাদের দুজনকেই বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এরপর বরিশাল নেয়ার পথেই ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় মনির বয়াতির মৃত্যু হয়। সাথে থাকা গুরুতর আহত ফিরোজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকায়। নিহত মনির ধলীগোর নগর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তালেব আলীর ছেলে। আহত ফিরোজ একই ইউনিয়নের বাসিন্দা অজিউল্লাহ মাজির ছেলে। এছাড়াও জাহাঙ্গীর নামে অপর এক ব্যক্তি সামান্য আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মনির ও তার সহযোগী আহত ফিরোজ সহ একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, মান্নু দালাল (কালা মান্নু), জাফর মাঝি (মোটা জাফু) এরা সবাই ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবত এরা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ওই বাড়িতে বোমা তৈরীর কারখানা বানিয়ে সেখানেই চলে আসছে তাদের মাদকের আড্ডা সহ সকল ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ। এলাকাবাসী আরো জানান, জাহাঙ্গীরের ভাই আবু স্থানীয় মেম্বার। ভাই মেম্বার এই সুবাদে তারা এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত। তাদের ভয়ে কেউ তাদের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা এই এলাকাকে জিম্মি করে রেখেছেন। তাদের কর্মকা-ে অতিষ্ঠ হয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও তাদেরকে হতে হয়েছে নানাভাবে হেনস্থার শিকার। এ ব্যাপারে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহবুবুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তারা পর্যবেক্ষণ করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।


আরও খবর



পুকুর থেকে দেড় লক্ষ টাকার মাছ চুরি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১৮জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নানঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বেরুইন গ্রামের মৃত সফিকুল ইসলাম খানের ছেলে তারিকুল ইসলাম,দুর্লব রায়, স্বদেশ মল্লিকে পুকুর থেকে বিষ প্রয়োগ করে জাল দিয়ে ধরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে গেছে পুকুর পাড়ের লোকজনে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সকাল অনুমান সাত ঘটিকার সময় কুন্ডা ইউনিয়নের রানিয়াচং গ্রামে।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে বেরুইন গ্রামের তারিকুল ইসলাম ও তার দুই বন্ধু দুর্লব রায় আর স্বদেশ মল্লিক মিলে রানিয়াচং গ্রামে একটি পুকুর লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে।পুকুরে মাছ বড় হলে ঘটনার দিন সকালে গ্রামের আজিজুল ২৫ পিতা আহাম্মদ আলী আজিলক ৩০ পিতা পারছু মিয়া রফিকুল ইসলাম ৩৬ পিতা জায়দুলসাইদুল ইসলাম ৫০ পিতা হেলাল ৩৮ পিতা আব্দুল মিয়া আল্লাদি বেগম ২৮ স্বামী রাসেল মিয়াজিল্লুরা বেগম ৩০ স্বামী সাইদুলআশিক মিয়া ৪৭ পিতা সোহেল ৩০ পিতা আবু বক্কররিপন ৪৫ পিতা আবিদ মিয়ারাবিয়া বেগম ২৫ স্বামী সোহেল মিয়া মোখলেছ মিয়া ৩৫ পিতা পারছু মিয়া পারছু মিয়া ৬০ পিতা ইয়াজুল ইসলাম ৩৭ পিতা আহাম্মদ আলী সহ আরো অনেকেই মিলে চুরি করে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে জাল দিয়ে ধরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মাছ নিয়ে যায়।

মালিকরা জানায় ওই ঘটনাটি গ্রামের সর্দাররা সালীশে বসে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া এখন মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



শিগগির আসছে আরিফিন শুভর ‘নীলচক্র’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ। গতবছর ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা মুক্তির পর দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেয়েছেন প্রশংসা। আর এবারে নতুন সিনেমার খবর দিলেন শুভ।

আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন সিনেমার ফাস্টলুক পোস্টার প্রকাশ করেছেন তিনি। সিনেমার নাম ‘নীলচক্র’।

পোস্টারে প্যাজেলের মাঝে দেখা গিয়েছে শুভর মুখ। কালো শার্টে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তালিয়ে আছেন তিনি। তার এক পাশে অসংখ্য খবরের কাগজ, তবে সেগুলো ঝাপসা। 

কী রহস্য আছে সিনেমাটি ঘিরে- তা অবশ্য এখনই বলছেন না অভিনেতা। নতুন সিনেমার খবর দিয়ে শুভ একটু রহস্য রেখে দিলেন। কারণ পোস্টারের সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘নীলচক্র কি নীল হবে না রক্তের রঙ লাল হবে সেটা দেখার অপেক্ষায়। শিগগির আসছে নীলচক্র।’ 

গতবছরই সিনেমাটির খবর জানিয়েছিলেন অভিনেতা। সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন তিনি। ‘নীলচক্র’ পরিচালনা করেছেন মিঠু খান। চিত্রনাট্য ও কাহিনি বিন্যাস করেছেন নাজিম উদ দৌলা ও মিঠু খান। 

বরাবরই শুভ চুপচাপ কাজ করতে পছন্দ করেন। তাই গতবছর শুটিং শুরুর আগে নতুন সিনেমার খবর দিলেও এর বেশি কিছু বলেননি।

অভিনেতা বলেন, ‘দর্শক সমসাময়িক একটি গল্প দেখতে পাবেন। গল্পের প্যাটার্ন ডার্ক, সঙ্গে আরো কিছু আছে।’

ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন প্রযোজিত ও ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন নিবেদিত এই সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান, ডলার প্রমুখ।


আরও খবর



বাংলাদেশের সাইবার জগতকে আরো নিরাপদ করতে কাজ করে যাচ্ছেন আহনাফ আল মিরাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৪৭জন দেখেছেন

Image

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক ঃসাইবার নিরাপত্তার জন্য নির্ভর যোগ্য আহনাফ আল মিরাজ জন্ম চাদপুর জেলায় মতলব থানায় ।ছোট বেলা থেকে ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে তার ছিলো অসীম আগ্রহ। সেই আগ্রহ থেকে তিনি ইন্টারনেট ব্যাবহার নিয়ে ছিলেন সচেতন।আহনাফ আল মিরাজের সাইবার যাএা শুরু হয় এক নাটকীয়তার মাধ্যমে।

২০১৫ সালে আহনাফ আল মিরাজের ফেসবুক আইডি হ্যাকের স্বীকার হয় এবং তার ফেসবুক আইডিতে বেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিলো, তখন থেকে আহনাফ আল মিরাজের দেশের হয়ে কাজ করার চিন্তা করে,একজন সোস্যালিস্ট হিসাবে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে মানুষদের সাহায্য করতে তার উদ্যোগ নেয়, এরপর বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন দেন একটা গ্রুপ ছিল রাশিয়ার সেইখানে কাজ শিখতে থাকি এরপর নিজেকে দক্ষ করে ,অনলাইনে এসে সাধারণ মানুষদের সেবা দেওয়া চালু করলাম কাজের বিনিময়ে সে তার সামর্থ্য অনুযায়ী গরিব মানুষকে খাওয়াতে হবে , এইভাবেই আমি দেশের মাঠিতে বসে আমি আমার দেশের হয়ে কাজ করে যাচ্ছি ২০১৬ থেকে দেশের অধিকাংশ মানুষ সাইবার সম্পর্কে জ্ঞান কম আহনাফ আল মিরাজ এই বিষয় সচেতনভাবে বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন সেলিব্রিটি রাজনৈতিক ব্যক্তি তাদের সাইবার নিরাপত্তার জন্য আহনাফ আল মিরাজের সরাপ্পন হন।

এইভাবে হয়ে উঠেছেন সাইবার নিরাপত্তা এক আস্তার নাম। আহনাফ আল মিরাজের ইচ্ছে আছে একদিন দেশের সবাই সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হবে।


আরও খবর



সকল শ্রেনীর মানুষের জীবন মানের উন্নয়নই এ সরকারের লক্ষ: সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬৫জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:সকল শ্রেনীর মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের এ পদক্ষেপ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র জাতিসত্বা নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জীবন মান উন্নয়নে এবং মেধাবী গরিব অসহায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে সরকারি অনুদান বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এ কথা বলেন। মাগুরা সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সোমবার সকালে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেণ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল। প্রধান অতিথি বলেন, দেশের জনগনের সকল দুর্যোগ দুর্বিপাকে বর্তমান সরকার তাদের পাশে রয়েছে। জনগনের ভাগ্য উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে আন্তিরকতার সাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। প্রধান মন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে জনগনকে আহবান জানান। তিনি শতাধীক ব্যক্তি মধ্যে মোট ৫ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে বিতরণ করেণ। সংসদ সদস্য সাবিব আল হাসান পরে মাগুরা সদর উপজেলার কসুন্দি সরকারি প্রাথমামিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন, বেলনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন, শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন, লস্করপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন, নরসিংহাটি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন, ভাবনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন,মঘীর ঢাল - রাঘবদাইড় বাজার সড়ক প্রসস্থকরণ এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন,আলমখালী - শ্রীরামপুর রাস্তা প্রসস্থকরণ উদ্বোধন ও বালিয়াডাঙ্গা বাজার - মালঞ্চ সড়ক উন্নয়নের উদ্বোধন করেন। এসময় মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই,বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপ্রধান এ কথা বলেন।

তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং সর্বস্তরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ৭১ এর পরাজিত শক্তি ঘাতক-দালালদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর দর্শন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতার বোধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ারও তাগিদ দেন।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডিজিটাল মাধ্যম ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। মনন, বোধ ও জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বুকে লালন করে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ২১ বছর পর ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে শুরু হয়ে এ আন্দোলনের প্রাজ্ঞ নেতারা প্রায় ৩৩ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এ সংগঠনকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই নয়, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এ মহাসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি আশা করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও ঘাতক-দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাসহ আমাদের সাফল্য ম্লান করে দিতে অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হলেও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কাজ কখনো শেষ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে উজ্জ্বলভাবে কার্যকর থাকবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ও তথ্য-প্রযুক্তির নানা সূচকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। এ অগ্রযাত্রার পথে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব এবং জঙ্গিবাদের প্রতি তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও ডিজিটাল বিপ্লবের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।


আরও খবর