Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে বাস খাদে, নিহত ৩৬

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৮জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :একটি বাস খাদে পড়ে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন। বুধবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

জম্মুর বিভাগীয় কমিশনার রমেশ কুমার জানিয়েছেন, ডোডার বাটোতে-কিশতওয়ার জাতীয় সড়কের ত্রুঙ্গল-আসারের কাছে বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে ৩০০ ফুট নীচে পড়ে যায়।

 প্রতিবেদনে  বলা হয়েছে, আহতদের ডোডা ও কিশতোয়ারের সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

 ভারতের ইউনিয়ন মন্ত্রী ডা. জিতেন্দ্র সিং এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে বলেছেন, ‘ডোডার দুর্ঘটনায় ৩৬ জন নিহতের খবর কষ্টদায়ক। আহতদের ডোডা ও কিশতোয়ারের সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।’

 আহতদের স্থানান্তরের জন্য একটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় বাস দুর্ঘটনা দুঃখজনক। যারা নিকটাত্মীয়দের হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের সুস্থতা প্রার্থনা করছি।’

 তিনি আরও লেখেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। আর আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে।’

সূত্র: এনডিটিভি


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর



ফরিদপুরে নিহতদের পরিবার পাচ্ছে ৫ লাখ টাকা, আহতরা ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফরিদপুরে নিহতদের স্বজনদের পাঁচ লাখ করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসক। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের তিন লাখ এবং মরদেহ দাফনের জন্য আরও ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।

তিনি বলেন, সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরতলীর কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনা নিহতদের স্বজনদের ৫ লাখ, আহতদের ৩ লাখ এবং মরদেহ দাফনের জন্য আরও ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

এর আগে সকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরা ইউনিক পরিবহনের একটি বাস মাগুরা যাচ্ছিল। পথে ফরিদপুরের কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতদিক থেকে আসা পিকআপভ্যানের সঙ্গে ওই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় পিকআপভ্যানটি। এতে ঘটনাস্থলে পিকআপভ্যানের চালকসহ ১৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন দুজন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুল আলম।

তিনি বলেন, পিকআপভ্যানটি ভাড়া করে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহরে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। পথে মাগুরাগামী বাসের সঙ্গে ওই পিকআপভ্যানের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর



বিরামপুরে নকল পণ্য সরবরাহের অপরাধে দু’জনের কারাদন্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুরে নকল’জুস, চকলেট ও পাউডার’জুস সরবরাহ করার সময় দুই ব্যবসায়ীকে এক মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ র্মাচ) দুপুর ৩টার দিকে বিরামপুর পৌরশহরের ঢাকামোড় নাবিল কাউন্টার এর সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.  মুরাদ হোসেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে লিটন ইসলাম(২৬) ও একই এলাকার সুরেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে গৌতম কুমার (২৫)।

জানা যায়, ঢাকা থেকে নকল বোতলজাত জুস,  চকলেট ও পাউডার’জুস সরবারহ করে করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর  পৌরশহরের ঢাকামোড় নাবিল কাউন্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে দুই’জনকে আটক করা হয়। এসময় জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে চার হাজার ১শত ৫০টি বোতলজাত নকল জুস, দুই কার্টুন পাউডার জুস ও দুই কার্টুন চকলেট।

 ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন জানান, জুস,  চকলেট ও পাউডার’জুস সরবারহের অপরাধে  দুই’জনকে একমাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, জনসার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



এবার ঈদুল ফিতরে যশোরের প্রায় সাড়ে তিন লাখ পরিবার চাল পাচ্ছে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:এবারের ঈদুল ফিতরে যশোরে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৪৭ দুস্থ ও অসহায় মানুষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন।  ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭০টি কার্ডে আট উপজেলায় ১৫৪৭ দশমিক ৭০০ মেট্রিক টন চাল দেয়া হবে। ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৭টি কার্ডে আটটি পৌরসভায় দেয়া হবে ১৮৫৫ দশমিক ৭৭০ মেট্রিক টন চাল।

চাল বিতরণে কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো স্বচ্ছল বা এক পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ডে চাল নিতে পারবে না। ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম এমনটি জানিয়েছেন।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, আট উপজেলায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭০টি কার্ডের মধ্যে অভয়নগর উপজেলায় ৯ হাজার ৮৩ কার্ডে দেয়া হবে ৯০ দশমিক ৮৩০ মেট্রিকটন চাল। বাঘারপাড়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৩৬৩ কার্ডে দেয়া হবে ১৬৩ দশমিক ৬৩০মেট্রিক টন চাল। চৌগাছা উপজেলায় ১২ হাজার ৪৬৫ কার্ডে দেয়া হবে ১২৪ দশমিক ৬৫০ মেট্রিকটন চাল। ঝিকরগাছায় উপজেলায় ১৫ হাজার ২২৫ কার্ডে দেয়া হবে ১৫২ দশমিক ২৫০ মেট্রিকটন চাল, কেশবপুর উপজেলায় ১৬ হাজার ৯৫২ কার্ডে দেয়া হবে ১৬৯ দশমিক ৫২০ মেট্রিকটন চাল, সদর উপজেলায় ৩১ হাজার ৩৩০ কার্ডে দেয়া হবে ৩১৩ দশমিক ৩০০ মেট্রিকটন চাল, মণিরামপুর উপজেলায় ২৯ হাজার ৭৫০ কার্ডে দেয়া হবে ২৯৭ দশমিক ৫০০ মেট্রিকটন চাল ও শার্শা উপজেলায় ২৩ হাজার ৬০২ কার্ডে দেয়া হবে ২৩৬ দশমিক ২০ মেটিকটন চাল।

সূত্রমতে, আট পৌরসভার ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৭ কার্ডের মধ্যে যশোর পৌরসভায় ৪৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, নওয়াপাড়া পৌরসভায় ৪৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, কেশবপুর পৌরসভায় ৪৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, বেনাপোল পৌরসভায় ৪৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, মণিরামপুর পৌরসভায় ৪৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, ঝিকরগাছায় পৌরসভায় ৩০৮১ কার্ডে দেয়া হবে ৩০ দশমিক ৮১০ মেট্রিকটন চাল, চৌগাছা পৌরসভায় ৩০৮১ কার্ডে দেয়া হবে ৩০ দশমিক ৮১০ মেট্রিকটন চাল ও বাঘারপাড়া পৌরসভায় ১৫৪০ কার্ডে দেয়া হবে ১৫ দশমিক ৪০০ মেট্রিক টন চাল।


আরও খবর



যশোরে প্রেমিকাকে হত্যা : প্রেমিক আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে প্রেমিকাকে হত্যা করেও শেষ রক্ষা হয়নি এক প্রেমিকের। ডিবির পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছে প্রেমিক। বুধবার সকালে যশোর সদর উপজেলার বুকভরা বাওড়ের পাশ থেকে প্রেমিকা মিতুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, আজ বুধবার সকালে শাড়ি পড়া এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা। এ সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পরবর্তিতে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

ডিবির এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজীব জানান, নিহত মিতু এক সময় মুসলমান ছিলেন। বাড়ি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায়। তার নাম ছিলো খাদিজা। পরে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু ধর্মগ্রহণ করেন। তার এলাকার এক যুবকের সাথে তিনি যশোরে ঘুরতে আসেন। এক পর্যায় তাকে ওই যুবক শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার নেতৃত্বে একটি টিম ওই যুবককে আটক করে। ওই যুবকের নাম ও ঠিকানা চানতে চাইলে মাইদুল বলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে, হালসা গ্রামের একটি সূত্র জানায় আটক প্রেমিকের নাম মৃণময়। তিনিও পাটকেলঘাটার বাসিন্দা। সকাল ১১টায় হালসা গ্রাম থেকে ডিবির একটি টিম মৃণময়কে আটক করে।


আরও খবর