Logo
আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

উপসচিব পদমর্যাদার চার কর্মকর্তাকে বদলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপসচিব পদমর্যাদার চার কর্মকর্তাকে বদলি করে, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জনশক্তি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূইয়াকে প্রেষণে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গীকে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক, সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেনকে সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ছাদেক আহমেদকে জনশক্তি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিচালক পদে প্রেষণে পদায়ন করা হয়েছে।

জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।


আরও খবর



হরিরামপুর ইউনিয়নে অবরুদ্ধ নির্যাতিত গৃহবধূ কে ৯৯৯ ফোন দিয়ে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী,ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা হরিরামপুর ইউনিয়নে স্ত্রী মোহসীনা বেগমকে মারপিট করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে পাসন্ড স্বামী শাহরিয়ার রহমান রুবেল। অবরুদ্ধ স্ত্রী বন্দিদশা থেকে মুক্ত হতে প্রতিবেশীর সহায়তায় ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের নিকট বাঁচার আকুতি জানায়। অপরদিকে নির্যাতিতা গৃহবধূর পরিবার ও একই সময়ে তাকে উদ্ধারে পুলিশী সহায়তার জন্য স্ধসঢ়;হানীয় মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে শরণাপন্ন হলে দ্রুত সময়ে পুলিশ নির্যাতিতা গৃহ বধুকে উদ্ধার করে।

শারীরিক নির্যাতনের শিকার এক সন্তানের জননী গৃহবধূ মোহসীনা এখনো রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চার দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত সোমবার দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ১০নং হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের আনারুল হকের ছেলে শাহরিয়ার রহমান রুবেল এর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে ২৩/৪/২১ সালে রংপুর জেলার বদরগনজ উপজেলার রামকৃষ্ণপুর মাসানডোবার মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে মোহসীনা বেগমের সঙ্গে শাহরিয়ার রহমান রুবেল এর বিবাহ হয়। বিবাহের পর হতেই তুচ্ছ ঘটনায় শশুর শাশুড়ী নন্দিয়া রশিদুল ইসলাম নানা ভাবে শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে শশুর আনারুল হক পুত্র বধু মোহসীনার হাতের আঙুল কেটে দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন আমার স্বামী আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করেছে আমার বাবা সহ আত্মীয় স্বজন আসলে তাদেরকে খুন করার হুমকি দেয়। আমি আমার একমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে মুখ বুঝে সব যন্ত্রনা নীরবে সহ্য করে আছি। এখন দিন দিন শারীরিক মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে।

মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এসআই বাবুল হোসেন জানান নির্যাতিত গৃহবধু কে ৯৯৯ এর ফোনের আলোকে এএস আই খালেক সঙ্গিয় পুলিশ সহ উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে এনে তার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন মোহসীনা বেগম এর বাবা মোসলেম উদ্দিন বলেন মেয়ের চিকিৎসা চলছে একটু সুস্থ হলেই আইনানুগ প্রতিকার চেয়ে মামলা করব।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে কুলিক নদী থেকে বালু উত্তোলনের অপরাধে ২ ব্যাক্তিকে ১৫ দিনের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কুলিক নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে আকাশ আলী (৩৩) ও রাশেল (২৩) নামে দুই বালু ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান। এ সময় ইউএনও অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী মকলেসুর রহমান ও থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার উমড়াডাঙ্গী কুলিক নদীর ঘাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনরত অবস্থায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ধারায় তাদেরকে এ কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আকাশ উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে এবং রাশেল একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে মহেন্দ্র ট্রাক্টরের মাধ্যমে কুলিক নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন,জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকবে। 

আরও খবর



বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম, যা আগামী ০১ জুলাই ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। বিএটি বাংলাদেশের ১১৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে যাচ্ছেন তিনি। এফএমসিজি (ফাস্ট-মুভিং কনজ্যুমার গুডস) ও তামাক সহ বিভিন্ন খাতে বিপণন ও সাধারণ ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৩০ বছরের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে মনীষার।

মনীষা গত বছরের মার্চ থেকে বিএটি বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে একজন অ-নির্বাহী পরিচালক (নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিএটি গ্রুপের অংশ সিলন টোব্যাকো কোম্পানি পিএলসি থেকে বিএটি বাংলাদেশে যোগ দিচ্ছেন। সিলন টোব্যাকো কোম্পানিতে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কর্মজীবনে তিনি এশিয়া প্যাসিফিক, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের একাধিক দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৫ সালে আবুধাবিতে কর্মজীবন শুরু করার আগে মনীষা ভারতের জ্যোতি নিবাস কলেজ থেকে বি.কম ও বিরলা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে মার্কেটিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিষয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন।

এক বার্তায় নতুন এই দায়িত্বের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মনীষা বলেন, “১১৪ বছর ধরে এই অঞ্চলে কাজ করার ক্ষেত্রে সফলতা ও ইতিবাচক প্রভাবের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান (বিএটি বাংলাদেশ) নেতৃত্বের জন্য আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

বিএটি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির যাত্রা এগিয়ে নিতে ও সর্বোচ্চ সততার সাথে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বজায় রাখতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ করদাতা ও সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদার হিসেবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। আমার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সকলের জন্য একটি সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী আমি।”

মনীষা আব্রাহাম শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ব্যবসায়িক সফলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বিএটি বাংলাদেশে একটি দৃঢ় পরম্পরা তৈরি করেছেন। শেহজাদ মুনিম বিএটি বাংলাদেশের একজন টেরিটরি অফিসার হিসেবে ১৯৯৭ সালে যোগদান করেন এবং ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। অবিচল নেতৃত্বের মাধ্যমে শেহজাদ কেবল তার প্রতিষ্ঠানের মানুষদেরই অনুপ্রাণিত করেননি, একইসাথে দেশের করপোরেট খাতের বাকিদের মধ্যেও স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার বুনন করেছেন। মনীষা আগামী ০১ জুলাই থেকে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। অসাধারণ জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি তার নেতৃত্ব গুণাবলী প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও দেশের প্রবৃদ্ধি অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।


আরও খবর



থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে,থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, সাক্ষাতকালে তারা কুশল বিনিময় করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এর আগে সকালে জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে যান। সফরকালে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুদেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষরিত হবে।

বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে, শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে।


আরও খবর



রৌমারীতে এলডিডিপি প্রকল্পে দুর্নীতি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব শেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। তাদের অভিযোগ, নিজেদের একাউন্টে টাকা আসলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৌশলে তাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে ছাগল ও মুরগির পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সিংহভাগ টাকা পকেট অস্ত্র করেন।

সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রের মতে, উপকারভোগীদের একাউন্টে প্রেরিত অর্থ দিয়ে তাদের নিজেদের পরিবেশ বান্ধব ঘর তৈরির কথা থাকলেও সংশিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের সে সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই এসব ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজের শুরুতেই এলডিডিপি প্রকল্পের প্রস্তাবিত পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার শুরু করলে দুর্নীতিপরায়ণ ওই কর্মকর্তা দ্বয় উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ বরাদ্দ দেয় । 

অভিযোগ উঠেছে , এসব পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণের জন্য ৯৭ জন উপকার ভোগীর জন্য ২৫ হাজার করে এবং ৩৪ জন উপকারভোগীর জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র সাত আট হাজার টাকায় প্রতিটি সেড নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এভাবেই অবশিষ্ট সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপকারভোগী জানান, "আমাদের কাছ থেকে প্রথমেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি  নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন। পরবর্তীতে ওই একাউন্টে সেড নির্মাণের বরাদ্দ আসলে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তারা ছাগল রাখার ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্পের অর্থে শেড নির্মাণের জন্য উপকারভোগীদের সাথে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া হয়। এছাড়াও সেড ঘরের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শ থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। এসব অর্থ খরচের বৈধ কোন ভাউচার পাওয়া যায়নি।  

উপকারভোগীদের বরাদ্দে টাকার পরিমানে কমবেশি থাকলেও সরজমিন ঘুরে ১৩১ টি ঘর একই রকম পাওয়া গেছে। যার প্রতিটি ঘর তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। সংশিষ্ট সূত্র জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৪ টি ঘর নিমার্ণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

একাধিক উপকারভোগীর দাবী, "বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে আমরা সেড নির্মাণ করলে শেডগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং টেক সই হতো। যা অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেত। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা শেড গুলো অল্পদিনের মধ্যেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন উপকারভোগীকে ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন ঠিকাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অত্যন্ত কৌশলে উপকারভোগীদের নামে আসা বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেছেন। 

এদিকে প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম ব্যবহার না করায় উপকারভোগীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার কথা থাকলেও  ওই কর্মকর্তারা তা না করে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার জন্য উপকারভোগীদের কাছে দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে আমাদের কাছ থেকে চেকে সই করে তারা টাকা উত্তোলন করেন। যে ঘর নিমার্ণ করে দেন তা একে বারেই নি¤œমানের।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমরা বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। নি¤œমানের শেড নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। শেড নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এগিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।



আরও খবর