Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

সেনাবাহিনী বান্দরবানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী,বলেছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

সেনাপ্রধান বলেন, গতকাল (শনিবার) রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময়মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার।

শফিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এর আগে সকাল ১০টার দিকে ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শনে যান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




ঈদ পর ফের বাড়লো হিলিতে আলু,পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১১৮জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে আলু আমদানি। তবে আমদানিতেও কমছে না ভারতীয় ও দেশীয় আলুর দাম। ভারতীয় আলু কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা আর দেশীয় আলু কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এদিকে ঈদের পর থেকে ফের দাম বাড়তে শুরু করেছে দেশীয় রসুন, পেঁয়াজ ও আদার দাম। দেশীয় রসুন কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা,আমদানিকৃত আদা কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা। আর দেশীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পণ্যগুলোর দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ। বিক্রেতারা বলছেন,টানা ছুটি থাকায় আমদানি বন্ধ ছিল ও সরবরাহ কমে যাওয়া দাম বেড়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগে দেশীয় আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে,আজ সেই আলু ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী রসুন আগে ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে,তা এখন ১০০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত চায়না আদা আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, তা এখন ৬০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন ১৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানিকৃত আলু বন্দর থেকেই দেশেরস্থানে পাঠানো হচ্ছে। তবে ক্রেতারা সাদ নেই বলে আমদানিকৃত আলু কিনতে চায় না।হিলি বাজারে আলু আদা,পেঁয়াজ ও রসুন কিনতে আসা ফরহাদ বলেন,বাড়িতে মেয়ে-জামাই এসেছে তাই বাজার করতে আসলাম। এসে দেখি সব জিনিসের দাম বেশি।

আমি ঈদের আগে দেশীয় আলু কিনেছি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে,আজকে সেই আলু ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনলাম। আগে রসুন কিনেছি ৮০ টাকা কেজি দরে, আজ সেই রসুনের দাম চাচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে,আদা কিনেছি ১৮০ টাকা কেজি দরে,আজ আদা কিনেছি ২৪০ টাকা কেজি দরে। কি আর করার নিতেই হবে আমাকে তাই অল্প অল্প করে নিলাম।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ,রসুন ও আদা বিক্রেতা ময়নুল ইসলাম বলেন,ঈদের আগে সরবরাহ বেশি ছিল তাই দামও কম ছিল। টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। আমরা গেলো শনিবারও আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে। গত তিন দিন থেকে কেজিতে আলুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এখন আমরা খুচরা বিক্রি করছি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। আদা কেজিপ্রতি বিক্রি করেছি ১৮০ টাকায়,এখন কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।রসুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি এখন সেই রসুন কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত তিন থেকে পাইকারী বাজারে দাম বেশি। আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি। আলুর দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশীয় আলু বেশি ভাগ ষ্টোর করেছেন কৃষকরা।আমদানিকৃত আলুর সাদ ভালো না হওয়ায় আমরা আমদানিকৃত আলু বিক্রি করিনা।যদিও দুই একজন নিয়ে আসে। তাও আবার সেইগুলো বিক্রি করতে অনেক সময় লাগে। টানা ৬ দিন ছুটি শেষে গতকাল সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে ২৭টি ভারতীয় ট্রাকে ৬৯৩ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত আলু বন্দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়। এর আগে ছিল ৩১ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।


আরও খবর



রাজশাহী পুঠিয়ায় এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image
পুঠিয়া ( রাজশাহী)প্রতিনিধি:রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার  বানেশ্বর থান্দার  পাড়া এলাকায় বস্তা বন্দী এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। 

শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৪: ২০ঘটিকার সময় এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশটি ঘিরে রাখে। এ সময় পুলিশ সি আই ডিকে খবর দেয়। রাজশাহী থেকে  সিআইডি এসে লাশটির নমুনা সংগ্রহ 

পুলিশ ধারণা করছে, গত ৪/৫ দিন  আগে বেদেনা বেওয়া( ৬০) নামের এক নারী নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ ছিলো। পরে তার পরিবার রাজশাহীর পুঠিয়া থানা লিখিত অভিযোগ জানান। 
খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিলো না। গতকাল ঈদের দিন উক্ত বৃদ্ধ ছেলে রিপন আলী  (২৭) পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ করে। 

আজ বিকালে এলাকাবাসী বাড়ির পাশে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেয়। স্থানীয়রা বলছে, মৃতের মুখে কসটেপ মারা ছিলো। গলা কাটার চিহ্ন ছিলো।  তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। 
পুলিশের ধারণা পারিবারিক বা স্থানীয় কোন কহলের কারণে এমন ঘটতে পারে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রাজ্জাক হোসেন দুলাল জানান। আমি এলাকার বাইরে ছিলাম এসে দেখি এই ঘটনা। মেয়েটা  নাকি চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিল আমি সেটা আজকে শুনলাম পুঠিয়া থানা পুলিশ এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুঠিয়া থানা ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানায় আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। দেখি বস্তাবন্দি একটি  লাশ পড়ে আছ।   পরে আমরা রাজশাহী সিআইডিকে খবর দিই সিআইডিএসে  নমুনা সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

আরও খবর



২৩ নাবিক জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত, বিস্তারিত জানাল মালিকপক্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর নানা আলোচনা চলছিল বিভিন্ন মহলে। এতে জাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে নানা দেনদরবার শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা হয় জাহাজের মালিকপক্ষের। এরপর মুক্ত হয় জাহাজ ও ২৩ বাংলাদেশি নাবিক।

বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

এ নিয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের করপোরেট কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাহাজে অস্ত্রধারী গার্ড না থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান।

তিনি বলেন, একটা কথা বার বার আসছে, কেন আমরা আর্মড গার্ড নেইনি। এটার কারণ হচ্ছে আমরা হাই রিস্ক অ্যারিয়ার বাইরে ছিলাম। সাধারণত ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতর হাইরিস্ক অ্যারিয়া হিসেব করা হয়। কিন্তু আমরা যাচ্ছিলাম মোটামুটি ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে দিয়ে। গত ৮-৯ বছরে ওই এলাকায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি, যেখানে আর্মড গার্ড নিতে হয়। একারণে আমরা আর্মড গার্ড নেইনি।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




রৌমারীতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ইমান আলী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম জেলায় প্রথমধাপে তফসিল ঘোষণার পরেও সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত উপজেলা পরিষদের গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, শোডাউন ও মহড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রৌমারী উপজেলা পরিষদের কর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইমান আলীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) উপজেলার টাপুরচর ও চরশৌলমারী এলাকায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে যাত্রা মঞ্চে ভোট চাওয়ায় কয়েকজন প্রার্থী এ অভিযাগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা, প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণার পরেও রৌমারী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো.ইমান আলী সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত গাড়ি ব্যবহার করে প্রতিনিয়তই উপজেলার টাপুরচর, চরশৌলমারী, লাউবাড়ি, খরানিরচর, শেখের বাজার, বাগুয়ার চরসহ বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনী উঠান বৈঠক, যাত্রা মঞ্চ, মেলা, ধর্মীয় সভা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রচার-প্রচারণা,শোডাউন মহড়া ও দোয়া থেকে শুরু করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী গতকাল সোমবার অনলাইনের মাধ্যমে তার প্রার্থীতা নিশ্চিত করেছেন।

অথচ নির্বাচণী পূর্ব সময়ে কোন প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি,সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোন সরকারি সুয়োগ সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণকে ব্যবহার করতে পারিবেন না বলে উল্লেখ রয়েছে।এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীকে মুঠোফোনে একাধীকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভির আহমেদ (অতি:) জানান, যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু বর্তমান চেয়ারম্যান সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারে না। তবে বিষয়টি খোজ নিচ্ছি।

এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেহেতু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন না। এ বিষয়ে আমি এখনি জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসারকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।


আরও খবর



ভয়ংকর দানবের আক্রমণ চলছে বিএনপির ওপর: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৪০জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:বিএনপির ওপর ভয়ংকর দানবের আক্রমণ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সরকার আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নেতাকর্মীদের গুম করা হচ্ছে, পঙ্গু করা হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। 

শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনে নিহত হওয়া ও নিখোঁজ নেতাকর্মীদের পরিবারের সম্মানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালি অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

মির্জা ফখরুল বলেন, এই মাস পবিত্র মাস। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি আমাদের ক্ষমা করে দিন। যে দানব সরকার আমাদের বুকে চেপে বসেছে তা থেকে মুক্তি দিন। এ সরকারকে সরাতে না পারলে ধ্বংস হয়ে যাবে দেশ। এদের বিতাড়িত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 


প্রতিটি বড় বিজয়ের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয় উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমাদের নবীজীও একদিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। আমাদের অত্যাচারিত নিপীড়িত নেতাকর্মীরাও হতাশ নয়। তারা বলছে আপনারা যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দেন, আন্দোলনের ডাক দেন, আমরা রাজপথে প্রাণ দিয়ে হলেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারের ভেতর ঢাকা মহানগরের হাজারো নেতাকর্মী আমি দেখেছি। পবিত্র রমজানেও তারা বিনাদোষে বন্দি জীবনযাপন করছে। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। 

বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর দুইদিনেই ৩৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসক তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। এর আগে তারা এই চেষ্টা করেছিলো। সফল হয়নি, এবারও সফল হবে না। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতিবিদদের জন্য জেলখানা সেকেন্ড হোম। আজকে গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা জানেন না তারা জীবিত নাকি মৃত। যার কারণে পারিবারিক সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। 

তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব চাই। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কারো সাথে আপস করে না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় না। সেই আপসহীন নেত্রী যখন বন্দি, তখন গণতন্ত্রও বন্দি। আজকে অন্যায় না করে জেলে যেতে হয়, খুন হতে হয়। সিপাহীদের হাতে মার খেতে হয়। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সদস্য রফিকুল আলম মজন এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ।

আরও খবর