Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

শেখ কামাল ক্রীড়া প্রতিযোগীতার উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা : মাগুরায় শেখ  কামাল আন্ত: স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা ২০২৩ উদ্ভোদনী, সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান রবিবার ৫ ফেব্রুয়ারী সকালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের। অনুষ্ঠানে বিশেষ  অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের  সভাপতি বীর মুক্তি যোদ্ধা আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহ,  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিফ উল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া কর্মকর্তা, জেলা যুবলীগের আহবায়ক ফজলুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক আলী আহাম্মদ আহাদ ক্রীড়ামেদী ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।


আরও খবর



দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজানের পবিত্রতা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ব্যক্তি এবং সমাজ জীবনে এর সঠিক প্রতিফলন ঘটানো ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মধ্যে সমাগত। এ উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।

‘বরকতময় মাহে রমজান মাস মহান আল্লাহর নৈকট্য এবং তাকওয়া অর্জনের অপূর্ব সুযোগ এনে দেয়’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ক্ষমালাভের জন্য যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় মাসটি পালন করে থাকে। সিয়াম সাধনা ধনী-গরিব সবার মধ্যে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় পতিত। বাংলাদেশও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন। এ অবস্থায় দেশে দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে সমাজের বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।

সমাজের সচ্ছল জনগোষ্ঠীকে অসহায়, দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে আমি দেশের ব্যবসায়ী সমাজকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রমজানের মহান শিক্ষা সমাজের সব স্তরে ও সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। রমজানের পবিত্রতায় সবার জীবন ভরে উঠুক। মহান আল্লাহ আমাদের রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত দান করুন - আমিন।


আরও খবর



গলাচিপায় এসএসসি ও দাখিল প্রস্তুতি মূলক পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে এবং গলাচিপা স্কিল ল্যাব এর বাস্তবায়নে এসএসসি ও দাখিল প্র¯‘তিমূলক পরীক্ষা-২০২৩ এর কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলালের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহম্মদ সাহিন এবং জেলা সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হাসান সৌরভ।

অন্যান্যের মধ্যে উপ¯ি’ত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মীর রেজাউল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী প্রমুখ। এছাড়াও সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা অনুষ্ঠানে উপ¯ি’ত ছিলেন।





আরও খবর



সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কোনো আপস নয়, প্রয়োজনে পদত্যাগ: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কোনো কম্প্রোমাইজ (আপস) করব না। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে আমরা সরে যাব। আমাদের কম্প্রোমাইজ করতে হলে এ চেয়ারে দেখবেন না। আমরা যে কাজের জন্য শপথ করেছি সেটা যদি না-ই করতে পারি তাহলে এই চেয়ারে থাকব কেন

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমাদের কমিশনে যারা আছি সকলের মনোভাব একইরকম। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না, এটা বিশ্বাস করি না। প্রয়োজনে দায়িত্ব থেকে সরে যাব। দেশি-বিদেশি কেউ কোনো চাপ দেয় না।

দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে না- এ ধারণা ভাঙার দায়িত্ব কার? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ভাঙার দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। এটা রাজনৈতিক সমস্যা। রাজনৈতিক সমস্যা, রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। এ বিষয়টিতে আমাদের কিছু করার নেই। সংবিধানও সেই দায়িত্ব আমাদের দেয়নি।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সম্পর্কে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন তারা যেন স্বাধীনভাবে প্রচার করতে পারেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ইচ্ছেমত পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, ভোট গণনা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, নির্বাচনের ফলে যাতে ভোটারদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে, সেসব বিষয় নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, ‘আমরা সে দায়িত্ব পালনের প্রতি শতভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছি। আমরা সেটা করব। আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি, যে ধরনের সরকারই থাকুক না কেন বর্তমান ইসি শতভাগ সৎ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে।’


আরও খবর



প্লাষ্টিক পণ্যের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে হাঁড়ি পাতিল, ভাল নেই কুমাররা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ২১জন দেখেছেন

Image

আবু মোতালেব হোসেন (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ বাপ দাদার হাতে খুঁটি, হাঁড়ী, পাতিল, সারোয়া, কলস, শ্লিম, পেচি, ব্যাংক, প্লেট, রুটি বানা তাওয়া, চারি, কান্টা, ফুলের টপ, থালা, মাটির খেলনা বানা (তৈরী) শিখছি। এখন স্মামীর সংসারে ২১ বছর থাকি এই কাম (কাজ) করি। স্বামী, বেটি দুইটা ছেলে একটা ওরাও এই কামই করে। তাও সংসার চলে না। কথা গুলো বলেন, নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর মুসরত কুকাপাড়া গ্রামের কুমার পাড়ার নমিতা পাল (৩৯)।

স্বামী খগেন্দ্র পাল (৪৫) জানান, ‘প্লাস্টিকের ভাড়া পাতিল বের হয়ে হামার মাটির জিনিশ কেউ নেয় না। বছরে একবার পহেলা বৈশাখ, হিন্দুর বিয়া বাড়ী ও বিভিন্ন পুজা পার্বনে একটু বেচাকেনা হয় এখন তাও হয় না। এক সময় এই ব্যবসার যতেষ্ট কদর ছিল। বাড়ীতে এসে পাইকাররা বায়না দিয়ে যেত এখন আর সেই দিন নাই। কামাই খুব হইত। কিন্ত এখন পেটে চলে না।’ 

ওই ইউনিয়নের মুসরত কুকাপাড়ায় রয়েছে এই শিল্পের প্রায় ৬৫ পরিবার। এ ছাড়াও জেলায় বিছিন্নভাবে ২৩০ পরিবার এই পেশায় জীবন যাপন করে। কিন্ত মাটির অভাব, প্রয়োজনীয় পুঁজি ও পরিকল্পিত উদ্যোগের অভাবে চরম অস্তিত্ব সংকটে নীলফামারীর মৃৎশিল্পিরা। উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর ন্যায্য মুল্য না থাকায় এই শিল্পের সাথে জড়িতরা অন্য পেশায় যেতে বাদ্য হ”েছ। সাত পুরুষের ঐতিহ্যবাহী পেশাকে কোন রকমে ধরে রেগেছেন তারা। বাজারে প্রচলিত প্লাস্টিক সামগ্রীর সাথে পাল্লা দিতে না পেরে তারা এখন কোনঠাসা। ফলে গ্রাম বাংলার এই শিল্পের ঐতিহ্য হারানোর পাশাপাশি তাদের দুর্দিন যা”েছ। 

একই গ্রামের মৃৎশিল্পি বিকাশ চন্দ্র পাল (৪০) জানান, ‘পুরুষদের প্রধান কাজ মাটি কিনে সেগুলো কাদা করা ও ভাটায় পোড়ানো। এরপর এসব সামগ্রী নিজ হাতে তৈরী করেন বাড়ীর নারী ও ছেলেমেয়েরা। আর এসব তৈরী সামগ্রী বাজারে বিক্রি করি আমরা। কিন্ত দিন দিন চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন হাত পড়েছে কপালে।’ 

জেলা শহরের ওইসব সামগ্রী বিক্রি করতে এসে কৈলাস চন্দ্র পাল (৪৫) বলেন, ‘মাটির তৈরী হাঁড়ি, পাতিল,কলস, সারোয়া, পেচি, তাওয়ার এক সময় খুব চাহিদা ছিল। বাজারে আসার সাথে সাথে ক্রেতা সামলাই যেত না। এখন হাটে আসা যাওয়া ভ্যান ভাড়াই উঠে না। আগে গরমে পানি রাখার একটি কলস বিক্রি হতো ৩০-৪০ টাকা। এখন ফ্রিজ বের হয়ে কলসের কোন চাহিদা নাই। হঠাৎ এক-আধটা বিক্রি হয়, তাও পানির দামে দিতে হয়।’

সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ তালুকদার জানান, ‘কুমারপাড়ার ওই পরিবার গুলো বিছিন্নভাবে বসবাস করায় তাদের কোন সমবায় সমিতি নাই। তাদের এক জায়গায় করে সমবায় সমিতির মাধ্যমে সহযোগিতা করা যেতে পারে। তিনি বলেন, প্লাষ্টিকের উৎপাদিত পণ্যের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কুমার শিল্প।’

এ ব্যাপারে, নীলফামারী ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের ব্যব¯’াপক (বিসিক) হোসনে আরা খাতুন জানান, এ শিল্পের লোকজনদের সমিতির মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহায়তা করা যেতে পারে। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মাটির তৈরী জিনিশপত্রের আদলে তৈরী করছেন প্লাস্টিক পন্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রতিনিয়ত ব্যবহার কমছে মাটির তৈরী পন্য সামগ্রীর। এতে বিপাকে পড়েছে এই শ্রেনী পেশার মানুষ। তিনি বলেন, আমাদের শর্ত পুরণের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা করা যেতে পারে। 

এ ব্যাপারে, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ জানান, মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারীভাবে কোন ধরনের সহায়তার সুযোগ থাকলে তা অবশ্যই করা হবে। এটি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য আর ওই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কুমাররা (মৃৎশিল্পিরা)।



আরও খবর



মধুপুরে ৫ মাস পর চুরি যাওয়া গরু ফেরত দিয়েছে চোর

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: প্রায় ৫ মাস আগে দিনদুপুরে চুরি যাওয়া গর্ভবতী কালো রঙের একটি গরু রাতের আঁধারে বাছুরসহ ফেরত দিয়ে গেছে চোর। এমন অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের মহন গ্রামে। গরুর মালিক ওই গ্রামের মৃত মসলিম উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান আলী। তিনি নরসিংদী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে চাকরি করেন।

রোববার (১২ মার্চ) ভোরে বাড়ির পেছনে  একটি গাছে কালো রঙের ওই গাভী ও তার দুই মাস বয়সি বাছুর বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে।  স্থানীয়রা মনে করছেন  চোরের মনে সুমতি আসায় বা রহস্যজনক কোনো কারণে চোর গরু ও বাছুর ফিরিয়ে দিয়ে গেছেন।  পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ মাস আগে শুক্রবার জুমা নামাজের আগে অথবা পরে বাড়ির পাশে বেঁধে রাখা ক্রস জাতের মোটাতাজা গরুটি চুরি হয়ে যায়। চুরি হওয়ার সময় গাভীটি ৫ মাসের গর্ভবতী ছিল। প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের ওই গরু হারিয়ে পরিবারটি বেশ বেকায়দায় ও চিন্তিত হয়ে পড়ে।

স্বজনরা মিলে বাজার ও গ্রামে গ্রামে খোঁজ করেন। অনেক দিন খোঁজ করে এবং অর্থ ব্যয় করে চেষ্টা বন্ধ করা হয়। ৫ মাস পর গরু ফিরে পাওয়ার এমন অলৌকিক ঘটনায় ওই পরিবার এবং আশপাশের লোকজন অবাক।  আশে পাশের উৎসক লোকজন গাভী ও বাছুর  দেখতে আসছেন। তবে গরুটির স্বাস্থ আগের মত নেই। যত্নের অভাবে অনেকটা শুকিয়ে গেছে। গরু ফিরে পাওয়ার এ খবর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর