Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায় তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই পানি-স্যালাইন বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানা পুলিশ আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী টেকনো স্পার্ক ২০সি এখন পাওয়া যাচ্ছে অভাবনীয় নতুন দামে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের বিষয়ে যে নির্দেশ দিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

সব ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে আমরা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, সব ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে আমরা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব? এটা কি হয়? আদালত আরও বলেন, এসব অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যা করছে, তাতে মনে হয় আমরা নাটক দেখছি। হাততালি দেওয়া ছাড়া আর কী করার আছে, না হয় বসে থাকতে হবে। গতকাল সোমবার বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।

আদালতে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম আবুল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

শুনানিতে আইনজীবী এসএম আবুল হোসেন বলেন, ‘পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও দুদক এ মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে না। তাই বিচারও শেষ হচ্ছে না। আমার মক্কেল একজন কেরানি হিসেবে কাজ করেছেন। এখানে তার অপরাধ কী দুদক সেটিও সুনির্দিষ্ট করতে পারেনি। মামলায় টাকা ও সম্পদের যে বিবরণ এসেছে, সেখানে আমার মক্কেলের নিয়ন্ত্রণে কিছুই ছিল না। এখানে বিশ্বাসভঙ্গেরও কিছু ছিল না।’ দুদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এ মামলায় এখনো ১০৪ জন আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে। অথচ আমার মক্কেল ২০১৯ সাল থেকে কারাগারে আছেন।

এ সময় হাইকোর্ট বলেন, আমার তো মনে হয় নাটক দেখছি। নাটক দেখে হাততালি ছাড়া আর তো কিছু দেওয়ার নেই। হয় হাততালি দিতে হবে, না হয় বসে থাকতে হবে। আদালত বলেন, জজ, আইনজীবী আর যে লাখ লাখ চোখ চেয়ে আছে। কেউ কোনো কাজ করতে পারছেন না। কেন সবাই নীরব? সব ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব?

পরে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান আদালতে এসে তার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য সময় প্রার্থনা করেন। পরে আদালত দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার দিন ধার্য করেন।

এর আগে গতকাল সকালে বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আলামত চেয়ে মালয়েশিয়ায় অনুরোধ পাঠানোর তথ্য হাইকোর্টকে জানায় দুদক। হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে দুদক জানায়, পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তির (এমএলএআর) আওতায় অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা ৫৬ মামলার মধ্যে ১২ মামলার আসামি ব্যাংকটির সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর জামিন শুনানিতে গত ৮ নভেম্বর হালনাগাদ তথ্য চায় হাইকোর্ট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক।


আরও খবর



রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করেনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রকাশিত ৩৭ বছর আগে করা এক রিট খারিজের পুর্ণাঙ্গ রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

১৯৮৮ সালে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তখনই হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

রিট আবেদনের ২৩ বছর পর ২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের মার্চে শুনানি শেষে রিট সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে ৩ বিচারপতি।

আদালত বলেন, এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার রিটকারীদের নেই।


আরও খবর



নয় মাস ধরে আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ: দুর্ভোগে লঞ্চ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:যাত্রী সংঙ্কটে গত নয় মাস ধরে আমতলী-ঢাকা রুটে নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ যাত্রী ও অল্প খরচে মালামাল আনা-নেয়ার নিরাপদ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরেছে। এর প্রভাব পরছে দ্রব্য মুল্যের উপরে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। তারা খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। দ্রুত এ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন তারা।

জানাগেছে, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর যাত্রী সংঙ্কটে পড়ে লঞ্চ মালিকরা। এতে আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চলাচলে বিঘœ ঘটে। যাত্রী সংঙ্কট চরম আকার ধারন করায় আমতলী-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ছয় মাস ধরে অনিয়মিতভাবে একটি লঞ্চ চলাচল করলেও গত বছর ২০ জুলাই মালিক কর্তৃপক্ষ একেবারেই বন্ধ করে দেয়। এতে দক্ষিণাঞ্চল আমতলী, তালতলী, বরগুনা, কলাপাড়া ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার নৌপথের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরছে। বাধ্য হয়েই তারা সড়ক পথে চলাচল শুরু করে। এদিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে স্বল্প খরচে দক্ষিণাঞ্চলে মালামাল আনা- নেয়া করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে বেশী খরচ দিয়ে তাদের মালামাল আনতে হচ্ছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপরে এর প্রভাব পরছে। অপর দিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন।

এছাড়াও লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। তারা খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। বুধবার আমতলী লঞ্চঘাট ঘুরে দেখাগেছে, সুনসান নিরাবতা। নেই কোন যাত্রীর কোলাহল। লঞ্চ টামিনাল ফাঁকা। টার্মিনালে জেলেরা নৌকা ও বালু ব্যবসায়ীরা বলগেট বেঁধে রেখেছে। লঞ্চঘাটের সিঁড়িতে ছাগল শুয়ে আছে।

লঞ্চযাত্রী জুয়েল, কামরুল, সাকিলা ও মামুন বলেন, কাজের সন্ধানে ঢাকা যেতে হয়। কিন্তু লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ার যেতে খুব সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার দাবী জানান তারা।কেয়ামনি বলেন, অসুস্থ্য থাকায় গাড়ীতে উঠতে পারি না। তাই লঞ্চে ঢাকায় যেতাম কিন্তু লঞ্চের নিরাপদ যাত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুবই সমস্যা পরেছি।

আমতলী মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের মালিক জিএম মুছা বলেন, লঞ্চে অল্প খরচে ঢাকা থেকে মালামাল আনা যেত কিন্তু সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশী খরচে সড়ক পথে মালামাল আনতে হচ্ছে। এর প্রভাব পরছে দ্রব্য মুল্যের উপরে। দ্রুত লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানান তিনি।

আমতলী লঞ্চঘাট সুপার ভাইজার শহীদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আমতলী লঞ্চঘাটের অন্তত অর্ধ শতাধিক শ্রমিক কঠিন সঙ্কটে পরেছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

ইয়াদ লঞ্চ মালিক মামুন-অর রশিদ বলেন, যাত্রী সংঙ্কটে লোকসানের মুখে গত নয় মাস ধরে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে রেখেছি। লঞ্চ চালালে ওই রুটে দৈনিক এক লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হয়। এতো লোকসান আর গুনে পারছি না। তিনি আরো বলেন, যাত্রীদের দাবীর মুখে আগামী শুক্রবার ঢাকা থেকে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে।

বরগুনা বিআইডব্লিউটি’র সহকারী নৌ বন্দর কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন মুঠোফোনে (০১৮১৯৬৬১৬৪৩) বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকায় ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

১১টি প্রকল্প অনুমোদন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত)।

কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ)।

বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়)। ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারজি ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প।

বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়)। ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (১ম সংশোধিত)-সহ মোট ১১টি প্রকল্প।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



শার্শায় র‌্যাবের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের শার্শায় র‌্যাবের অভিযানে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রায়হানকে আটক হয়েছে। বুধবার ভোররাতে শার্শার নাভারন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামী রায়হান শার্শার যাদবপুর গ্রামের মোহাম্মদ আহম্মদের ছেলে।

র‌্যাবের একটি সুত্র জানায়, রায়হান ২০১৭ সালের ০৮ মে ৫শ’গ্রাম হেরোইন সহ আটক হয়। ওই মামলায় সাত মাস হাজত বাস করে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে যায় সে।

২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়হানের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় যশোরের একটি আদালত। এরপর থেকেই সে পলাতক ছিলো। র‌্যাব তাকে ধরতে অভিযানে নামে। এক পর্যায় তথ্য প্রযুক্তি সহযোগীতা অবস্থান শনাক্ত করে তাকে আটক করা হয়। আজ বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


আরও খবর



পানি নিষ্কাশনের মুখে নন্দন পার্কের বাঁধ, উৎসবেও জলবদ্ধতায় দুর্ভোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পানি নিষ্কাশনের মুখে ঈদের আগে নন্দন পার্কের মাটির বাঁধে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ঈদ ও বৈশাখী উৎসবে পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও চরম দুর্ভোগে পড়েন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। নিজেরা মেশিন দিয়ে সেচে কোনরকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবজনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো। এখান থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী। এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড়ইছুটি গ্রামে প্রায় দেড়শতাধিক বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা- ময়লাযুক্ত পানি যুগের পর যুগ ধরে কৃষি জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু উপজেলার বাড়ইপাড়া ও বড়ইছুটি এলাকার পাশ^বর্তী ঢাকার সাভার উপজেলার কৃষি জমি ভরাট করে গড়ে উঠেছে নন্দন পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিই বড়ইছুটি গ্রামের মানুষের। এছাড়াও ওই পার্কের বিরুদ্ধে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের পাশে বনবিভাগের জমিও জবর-দখলের অভিযোগ রয়েছে। ওই পার্কের পশ্চিম পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেষে অবস্থিত বড়ইছুটি গ্রামটি। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ওই পার্ক প্রতিষ্ঠা হলেও র্দীঘদিন ধরে পার্কের এক পাশ দিয়ে এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের আগে ওই পানি নিষ্কাশনের মুখে উচু মাটির বাঁধ দেয় নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একমাত্র রাস্তাসহ বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ছে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি। ওই পানি ঠেকাতে কেউ ঘরের পাশে দেয় বাঁধ, আবার কেউ উঠানের পানি সেচে ফেলছেন বাইরে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামবাসী। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিশু ও রোগীরা। সৃষ্টি হচ্ছে মশা, মাছিসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই। এর সমধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। এর সমাধান চেয়ে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। এরই মধ্যে চলে আসে বড় দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ। এ দুটি উৎসবে ওই পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও পার্কের বাধের কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন ওই গ্রামের ইফাজাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, আফাজ উদ্দিন মোল্লা স্কুল এনড কলেজ, মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসুল্লি ও কারখানার শ্রমিকরা। তাদের ঘরে যেন নেই দুটি উৎসবের আমেজ, আছে চরম দুর্ভোগ আর হতাশা।নিজেদের উদ্যোগে মেশিন দিয়ে সেচে কোন রকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো।স্থানীয় জালাল উদ্দিন, সিলুম উদ্দিন, ফয়সাল সরকার, লিয়াকত সরকারসহ অনেকেই বলেন, এখানে আমাগো বাপ-দাদার বাড়ি। এ পর্যন্ত ময়লাযুক্ত পানি এ দিক দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আগে এ জমি নন্দন পার্কের ছিল না, পরে কিনে নিয়েছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। দুটি উৎসবেও আমাদের মধ্যে কোনো আমেজ নেই। ভাড়াটে মর্জিনা বেগম বলেন, আমি এখানে ৫ বছর ধরে ভাড়া থাকি। আগে এ রকম ময়লাযুক্ত পানির কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু পার্কের বাঁধের কারণে ময়লাযুক্ত পানির জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ওই পানি আমাদের একটি ঘরেও ঢুকে যায়। ওই পানি সেচে কোন রকমে ঘরে থাকি। আবার ভরে গেলে আবার সেচে ফেলি। এছাড়া টয়লেট ও টিউবয়েলেও যেতে পারি না। দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগে এই জলাবদ্ধতা থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী।

এব্যাপারে নন্দন পার্ক কোম্পানি সচিব খাইরুল ইসলাম জানান, আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি পার্কে ঢুকে যাচ্ছে। এতে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এর সমাধানের জন্য দুই বছর ধরে চেষ্টা করতেছি। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমাদের জমি এভাবে কতদিন ফেলে রাখবো। তাই মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়ে আমাদের জমি উন্নয়ন করতেছি। ইউএনও স্যার পরিদর্শন শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরাও তাদের সাথে আছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সব ধরণের বজ্রপানি ঐদিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়াল ভাবে বক্তব্য দিতে রাজি নন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ।


আরও খবর