Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সাকিব নৌকা প্রতীক গ্রহন করলেন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২১৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:ক্রিকেট সুপার ষ্টার সাকিব আল হাসান মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীক গ্রহন করেই ভোটারদের কে আগামী ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আহবান জানান। তিনি সোমবার ১৮ ডিসেম্বর সকালে  মাগুরার  রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ এর হাত থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সময় তার সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, সহ সভাপতি মুন্সী রেজাউল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমীর ওসমানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতীক পেয়ে সাকিব বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে  টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

সাকিবের সাথে চার জন প্রতিদন্দ্বি প্রার্থীরা হচ্ছেন জাতীয় পার্টির মো: সিরাজুস সায়েফিন সাইফ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো: রেজাউল হোসেন, তৃণমূল বিএনপির সঞ্জয় কুমার রায় রনি ও বিএনএফ’র কে এম মোতাসিম বিল্লাহ।এ ছাড়া মাগুরা-২ আসনে নৌকা প্রতিক গ্রহন করেছেন এড  বীরেন সিকদার এমপি। তার চার প্রতিদন্দ্বী প্রার্থী হলো বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ রেজাউল হোসেন, জাতীয় পার্টির মো: মুরাদ আলী, তৃণমূল বিএনপির মো: অখিদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোঃ আছাদুজ্জামান।


আরও খবর



অর্থের অভাবে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:টাকার অভাবে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারেননি মোসলেমা আক্তার। এবার বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা শাখার এক দায়িত্বশীলকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিষয়টি জানান মোসলেমা। তখন নগদ অর্থ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। 

আজ রবিবার (৫ মে) বেলা ১১ টায় দিনাজপুরের হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ওই শিক্ষার্থীর হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর শাখার সদস্যরা।এসময় সেখানে হিলিবার্তার প্রতিবেদক মোস্তাকিন হোসেন,বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর উপজেলা শাখার সহসভাপতি মুনিরা আক্তার,কোষাধ্যক্ষ সুমি আক্তার ও কর্ম ও পরিকল্পনার মৌ আক্তার।

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোসলেমা আক্তার বলেন,আমার বাবা পানামা পোর্টে কাজ করেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে পোর্টে তেমন কাজ নেই। সারা দিনে কাজ করে যে টাকা পান,তাতে আমাদের সংসার ঠিকমতো চালাতে কষ্ট হয়।

তাই আমার এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকাও বাবা দিতে পারছিলেন না। আমি অনেকের কাছে ধার হিসাবে টাকা চাইলেও কোথাও পাইনি।এমনকি একজন জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। তখন আমি কোনো উপায় না পেয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিনকে বিষয়টি জানাই।

তখন তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং পরদিন কলেজে যেতে বলেন। আজ রোববার কলেজে গেলে তারা আমার হাতে ফরম পূরণের টাকা তুলে দেন। তখন আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না,এত অল্প সময়ে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার পাশে না থাকলে এবারও টাকার অভাবে পরীক্ষা দিতে পারতাম না। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক এই কামনা করি। 

ওই পরীক্ষার্থীর বাবা বলেন,আমি একজন দিনমজুর মানুষ। সারাদিন পোর্টে কাজ করি। এতে যে টাকা পাই তা দিয়ে চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়।আমার দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। মোসলেমা আমার ছোট মেয়ে। তার  পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছা। কিন্তু আমার তো তেমন সামর্থ্য নেই। আজ আপনারা আমার মেয়ের পাশে এভাবে দাঁড়াবেন তা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।আপনাদের সবার জন্য দোয়া করি,মহান আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক। আপনারা যেন অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিন বলেন,একটি কল রিসিভ করতেই কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। কল করা মোসলেমাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলল,আপনারা তো শুভসংঘ করেন। আমাকে একটু সহযোগিতা করেন। আমাদের সংসার ঠিকমতো চলে না। দিন এনে দিনে খাই। তাই গেল বছর টাকার জন্য ফরম পূরণ করতে পারিনি।এবারও টাকার জন্য করতে পারছি না। শুভসংঘ থেকে সহযোগিতা পেলে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারব। তখন আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম। এরপর বিষয়টি আমি বসুন্ধরা শুভসংঘের দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রাসেল ও সাংবাদিক মোস্তাকিন ভাইকে বলি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেন। আর রাসেল ভাই রাতেই টাকাগুলো পাঠিয়ে দেন। আজ আমরা সেই টাকা মোসলেমার হাতে তুলে দিই।


আরও খবর



বগুড়ায় এবার পিতার চাকুর আঘাতে প্রাণগেল শিশুকন্যার,পিতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image
বগুড়া বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়ার কাহালু পৌর এলাকার মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সাগাটিয়া গ্রামে পিতা আব্দুর রহিমের চাকুর আঘাতে প্রাণ গেল শিশুকন্যা রাহী মনি (৭)। বগুড়ার কাহালু থানা পুলিশ রাহী মনির পিতা আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করেছে।

এলাকা সূত্রে জানা যায়: বগুড়ার কাহালু পৌর এলাকার সাগাটিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র আব্দুর রহিম তার শিশু কন্যা রাহী মনিকে পড়তে বসতে বললে সে পড়তে না বসায় দিনমজুর আব্দুর রহিম রাগান্বিত হয়ে অসাবধানতা বসত তার হাতে থাকা ব্যাগ দিয়ে শিশুকন্যা রাহী মনিকে আঘাত করলে ব্যাগের ভিতর থাকা চাকু রাহী মনির শরীরের উরুতে ঢুকে যায়।গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে কাহালু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। রাহী মনি কাহালু সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার ১ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। 

বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম-সার্কেল) ওমর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, রাহী মনির পিতা আব্দুর রহিম উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন তবে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও খবর



নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image
নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০হাজার টাকার অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। 

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। 

আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন স্ত্রী তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুড়বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১জুলাই সালাউদ্দিন তাঁর স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নৌ দুর্ঘটনায় তিউনিসিয়া উপকূলে মারা যাওয়া আট বাাংলাদেশির মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানা যায়। এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিউনিসিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশার ও দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির। মরদেহগুলোর মধ্যে রয়েছে মাদারীপুর জেলার ৫ জন। তারা হলেন- সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা। অবশিষ্ট ৩ জন গোপালগঞ্জ জেলার। তারা হলেন- রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে ডুবে যায়। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিলেন নৌকার মাঝি। দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিসরের তিন জন ও নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন,মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তারা সবাই মাদারীপুরের বাসিন্দা।

ব্র্যাকের সহযোগি পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে তারা। তাদের মধ্যে মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার দুজন ব্র‍্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা অভিযোগ করেন, ওই আটজন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২/৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে গত ১৯ এপ্রিল মামলা দায়ের করার দুইদিন পরই তাঁদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। সজলের পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁকে বৈধ পথে ইতালি প্রেরণের প্রস্তাব দেন। সজল বৈরাগী ও তাঁর পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়।

দুই পক্ষের সম্মতিতে গত বছর ১৭ নভেম্বর যুবরাজ কাজীর গোপালগঞ্জের বাসায় আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর তাঁকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়।

বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে গাড়ি থেকে নামার আগেই সজলের কাছ থেকে আরও নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ছয়টায় দুবাই রওনা হন তিনি।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়ে আসেন পিতা সুনীল বৈরাগী। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীল।

এরপর গণমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর চারটার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে নিহতদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন। তাঁরা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উত্তাল সাগরে ছোট নৌকায় তুলে দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে তাদের মৃত্যু ঘটান।


আরও খবর



তাহসানের সঞ্চালনায় ফ্যামিলি ফিউড-এর বাংলাদেশি সংস্করণ বঙ্গতে!

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের অন্যতম শীর্ষ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে শীঘ্রই আসছে  জনপ্রিয় মার্কিন টিভি শো ‘ফ্যামিলি ফিউড’-এর বাংলাদেশি সংস্করণ! বিশ্বের ৫০টিরও দেশে সাড়া জাগানো প্রতিযোগিতামূলক পারিবারিক অনুষ্ঠানটি এই প্রথমবারের মত বাংলাদেশে আয়োজিত হতে  যাচ্ছে।

টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে দু’টি পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন, এবং একশ’ জনের ওপর পরিচালিত বিভিন্ন জরিপের ফলাফল অনুমানের চেষ্টা করেন। প্রতিযোগিদের মূল লক্ষ্য থাকে জরিপে পাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় উত্তরগুলো খুঁজে বের করা, এবং এর ভিত্তিতে তাদের পয়েন্ট বন্টন করা হয়। প্রথম যে পরিবারটি ৩০০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়, তার সদস্যরা বোনাস রাউন্ড “ফাস্ট মানি”তে অংশ নেওয়ার বিশেষ সুযোগ পান। দেশে ফ্যামিলি ফিউড’এর আয়োজনকে আরো জমজমাট করে তুলতে এর সঞ্চালকের আসনে থাকছেন তারকা মিউজিশিয়ান ও অভিনেতা তাহসান  রহমান খান।

“বঙ্গ’র প্রযোজনায় বাংলাদেশে ফ্যামিলি ফিউড-এর মত দূর্দান্ত একটি অনুষ্ঠানের প্রথম সিজনে  যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত”, জানান তাহসান। “আশা করছি আমরা একটি সফল আয়োজন উপহার দিতে পারব, যেখানে সব দর্শকরা অংশ নিতে পারবেন এবং পারিবারিক বিনোদনের অভিজ্ঞতা নতুন করে ফিরে পাবেন”।

মূল আয়োজনের খ্যাতনামা সঞ্চালক স্টিভ হার্ভি’র হাস্যরসাত্মক পরিবেশনা ফ্যামিলি ফিউড’কে বিশ্বের দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। বিজয়ীর মুকুট অর্জনের জন্য পরিবারের সদস্যদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মজার পাশাপাশি অনুষ্ঠানটি পারিবারিক সম্পর্কের উষ্ণতা ও ভালোবাসা উদযাপনেরও উপলক্ষ তৈরি করে। বাংলাদেশেও অনুষ্ঠানটি একইরকম উত্তেজনা আর বিনোদন উপহার দিতে যাচ্ছে, সেই সাথে দেশি সংস্করণে আরো থাকছে আলাদা কিছু চমক। আগ্রহীরা শীঘ্রই বঙ্গ’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.bongobd.com এর মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আবেদন জানাতে পারবেন।

অনন্য উদ্ভাবনী আর সৃজনশীলতার কারণে দেশের বিনোদন পরিসরে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। ফ্যামিলি ফিউড আয়োজন প্রসঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বঙ্গ’র চিফ অপারেটিং  অফিসার ফায়াজ তাহের বলেন, “আমরা এমন একটি আয়োজন নিয়ে আসছি যেখানে পরিবারের সদস্যরা সকলে মিলে উপভোগ করতে পারবেন। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য বিশেষ আনন্দের উপলক্ষ। বাংলাদেশে এখনো অনেক যৌথ পরিবার রয়েছে। আমরা তাদেরকে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরির সুযোগ দিতে চাই”।


আরও খবর