Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই) এর ৩৩-তম মৃত্যু বার্ষিকী' তে তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়নের শ্রদ্ধা ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন দেশে ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৬ কোটি ডলার মিরপুরের কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন, যান চলাচল বন্ধ বাংলাদেশি ছাত্র কিরগিজস্তানে খুব জখম হয়েছে এমন খবর নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত 'সব দল অংশগ্রহণ করলেও ভোটের হার বাড়ার নিশ্চয়তা নেই' বিএনপি নেতা ইশরাক জামিন চেয়ে কারাগারে মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে এক মেয়ের বাড়িতে আরেক মেয়ে হাজির! মেট্রোরেলে ভ্যাট বসলে সুনাম নষ্ট হবে : ওবায়দুল কাদের

শাকিব খান ভিসা জটিলতায় ভারত যেতে পারলেন না

প্রকাশিত:রবিবার ২২ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৯৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:শাকিব খান প্রথমবার প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছেন। অনন্য মামুন পরিচালিত ছবির নাম ‘দরদ’। গেল ২০ অক্টোবর ভারতের উত্তর প্রদেশের বেনারস ও এলাহাবাদে এর শুটিংয়ের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছিল। সেজন্য ১৫ অক্টোবর মুম্বাই উড়াল দেওয়ার কথা ছিল এ নায়কের। কিনি এখন পর্যন্ত যেতে পারেননি ঢালিউড সুপারস্টার।

জানা গেছে, ভিসা জটিলতায় ভারতে যেতে পারেননি শাকিব খান। এখন কবে সেখানে যাবেন, সেটাও ঠিক হয়নি।

ছবির অন্যতম প্রযোজক কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ভিসা পাওয়ার ওপর শাকিব খানের ভারত যাওয়া নির্ভর করছে। তিনি বলেন, ‘শাকিব খানসহ বাংলাদেশে যেসব শিল্পী এই ছবির শুটিংয়ে ভারত যাবেন, তাদের সবার ওয়ার্ক পারমিটের ভিসার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা আছে। কিন্তু এখনও ভিসার অনুমতি হয়নি। কারণ, এই আবেদনের সঙ্গে ভারতের মন্ত্রণালয়েরও অনুমতি লাগে। সেটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ২০ অক্টোবর ভারত সরকার সেই অনুমতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভারত থেকে অনুমতি মেইল করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই ভিসা হয়ে যাবে।

তাহলে কবে নাগাদ শাকিব খান শুটিংয়ে ভারতে যাচ্ছেন জানতে চাইলে ওই প্রযোজক বলেন, ‘এখন ভারতের অনুমতিপত্র জমা দেব। এরপর তথ্য মন্ত্রণালয় এটি বিচার–বিশ্লেষণ করে ভিসা দেবে। আশা করছি এ সপ্তাহেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যাবে। শাকিব খান কবে ভারতে যাচ্ছেন, তা ভিসা পাওয়ার ওপরই নির্ভর করছে।

কিবরিয়া জানান, আজ রোববার ছবির ভারতীয় কারিগরি টিম, কলাকুশলী শুটিং লোকেশন বেনারস পৌঁছে যাবে।

ছবির বাংলাদেশি পরিচালক অনন্য মামুন এই মুহূর্তে ভারতের মুম্বাইতে আছেন। ভিসার ব্যাপারে সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘ভারতের উত্তর প্রদেশে শুটিং করতে হলে ভারতের মিনিস্ট্রি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড বোর্ড কাস্টিং, দিল্লি থেকে অনুমতিপত্র নিতে হয়। ২০ অক্টোবর সেটি আমরা পেয়েছি। এই অনুমতিপত্র বাংলাদেশে মন্ত্রণলায়ে জমা দেওয়ার পর বাংলাদেশি শিল্পীদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হয়ে যাবে। আশা করছি ২৬ অক্টোবর থেকে শুটিং শুরু করতে পারব।’

ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে ভারতের এসকে মুভিজ, ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ, বাংলাদেশের অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট ও কিবরিয়া ফিল্মস। এতে আরও অভিনয় করছেন বাংলাদেশের শহীদুজ্জামান সেলিম, এলিনা শাম্মী, জেসিয়া ইসলাম, ভারতের রাহুল দেব প্রমুখ। বাংলা, হিন্দি, তামিল, মালয়ালম—এই চার ভাষায় ছবিটি তৈরির কথা।


আরও খবর



গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কা, আহত অনেকে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী একটি ট্রেন ধাক্কা দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এতে অনেকেই আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

জানা যায়, টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বেলা ১১টায় জয়দেবপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে আউটার সিগন্যালে পৌঁছানোর পর লাইন ক্রসিং করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা জয়দেবপুর আউটার সিগন্যালের কাজীবাড়ি ছোট দেওড়া এলাকায় একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকসহ আহত চারজনকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও আহত থাকতে পারে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি অনেকটা খালি অবস্থায় ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ঘটনার পর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং রেলওয়ে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ২জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় পৃথক ঘটনায় ২জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতরা হলো- জেলার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের সুরেশ রবি দাস (৪০) ও তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিকখিলা গ্রামের নুর হোসেন (২৮)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন হাসন নগর ভুবির পয়েন্ট এলাকায় মাহিন্দ্র ট্রাক ও সিএনজি চালিতো অটোরিক্সার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় সিএনজিতে থাকা যাত্রী সুরেশ রবি দাস ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এঘটনায় আহত হয় চালক জীবন মিয়া (২০) ও যাত্রী কৃঞ্চ রবি দাস (৩২)। তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রাতেই সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর মৃত সুরেশ রবি দাসের লাশ ময়না তদন্তে জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে এদিন সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক নুর হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

এর আগে গত রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৮টায় তাহিরপুর উপজেলার সন্তুষপুর গ্রামের পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নুর হোসেনসহ ১৫জন আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৫জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর নুর হোসেনের অবস্থা আশংকাজন হওয়ার কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পরদিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সিলেট পাঠানো হয়। এঘটনায় এঘটনা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত নুর হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী ও তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন পৃথক ঘটনায় ২জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃমেগাসিটি ঢাকার যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে রেখে এবং নগরবাসীর সড়কে চলাচলকে নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে সকল ট্রাফিক বিভাগ। যানজটকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সৃজনশীলতা ও বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিয়ে ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ ইমামের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ। 


ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগে জনসংখ্যার ঘনত্ব অধিক হওয়ায় এবং অধিক সংখ্যক যানবাহনের তুলনায় রাস্তাঘাট অপ্রতুল হওয়ায় মাঝে মাঝেই বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে পরিবহনের চালক, হেলপার, যাত্রী এবং সড়কের পথচারীবৃন্দ। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা এবং লেগুনার চলাচল। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের অধীনে কাপ্তান বাজার, দয়াগঞ্জ, জুরাইন, পোস্তগোলা, লাল মসজিদ, ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, মুন্সিখোলা, যাত্রাবাড়ী, কাজলা, স্টাফ কোয়াটার, কুতুবখালী এবং দনিয়া এলাকায় লেগুনা স্ট্যান্ড রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ যাচাই করে দেখা যায়, লেগুনার লুকিং গ্লাস না থাকা, অপরিপক্ক চালক দিয়ে লেগুনা চালানো এবং যান্ত্রিক ত্রুটি থাকা। পর্যায়ক্রমে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের লেগুনাগুলোকে সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করার লক্ষ্যে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের পক্ষ থেকে সকল লেগুনার মালিককে তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লুকিং গ্লাস লাগানোর জন্য কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়। গত ১৬/০৫/২৪ খ্রিস্টাব্দ উক্ত সতর্কবার্তা তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার পরে লেগুনার বিরুদ্ধে অভিযানে নামে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের সদস্যবৃন্দ। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ ইমামের প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় এডিসি (ট্রাফিক-ওয়ারী) বিভাগ সুলতানা ইশরাত জাহান এর নেতৃত্বে কাজ করে এসি (ট্রাফিক ওয়ারী) জোন কপিল দেব গাইন, এসি (ট্রাফিক যাত্রাবাড়ী) জোন তানজিল আহমেদ এবং এসি (ট্রাফিক ডেমরা) জোন মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস এর টিম। 

অভিযান শেষে লক্ষ্য করা যায় যে, ৬৮৪টি লেগুনা তাদের গাড়ির দুই সাইডে লুকিং গ্লাস লাগিয়েছে, লুকিং গ্লাস না লাগানোর জন্য ৪৩টি লেগুনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ। অন্যান্য যারা লুকিং গ্লাস লাগায়নি তারা আইনের আওতায় শাস্তির ভয়ে স্ট্যান্ডে আসেনি। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ আশা করছে লেগুনার লুকিং গ্লাস থাকাতে তাদের দ্বারা দুর্ঘটনার হার কমে যাবে। এরপরে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ লেগুনার গাড়ির চালকগণ যাতে বৈধ লাইসেন্স নিয়ে লেগুনা ড্রাইভ করেন তার বিরুদ্ধে প্রচারণাপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে ডিসি (ট্রাফিক ওয়ারী) বিভাগ জানান।


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে নামের মিলে জেল খাটলেন কলেজছাত্র, আসল আসামি ভারতে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদক মামলার আসামির সঙ্গে নিজের ও বাবার নামের মিল থাকায় বিনা দোষে একদিন জেল খাটলেন এক কলেজছাত্র। গতকাল সোমবার ভোরে এই কলেজছাত্রকে ধরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আসামি শনাক্তে ভুল হওয়ার ব্যাপারে পুলিশ বুঝতে পেরে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিলে মঙ্গলবার(১৪মে) আদালত এই কলেজছাত্রকে মুক্তি দিয়েছেন। এই কলেজছাত্রের নাম ইসমাইল হোসেন (২১) তিনি গোদাগাড়ী পৌরসভার ফাজিলপুর মহল্লার আব্দুল করিমের ছেলে।

তাঁর মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। ইসমাইল হোসেন গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক ওই আসামির নামও ইসমাইল হোসেন (২০)।তাঁর বাড়ি গোদাগাড়ী পৌরসভার লালবাগ হেলিপ্যাড মহল্লায়। বাবার নাম আবদুল করিম। তাঁর মায়ের নাম মোসা. বেলিয়ারা। আসামি ইসমাইল পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মাদক মামলায় জামিন নেওয়ার পর তিনি ভারতের চেন্নাই গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন। মাদক মামলার এই আসামি এবং ওই কলেজছাত্রের দুজনের নিজের নাম এবং তাদের বাবার নামও একই। মহল্লা এবং মায়ের নাম আলাদা হলেও পুলিশ এই কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।কলেজছাত্র ইসমাইল হোসেনের ভাই আব্দুল হাকিম রুবেল জানান, গত রোববার (১২ মে) এশার নামাজের সময় গোদাগাড়ী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান তাদের বাড়ি যান। এ সময় তিনি একটি মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে তার ভাই ইসমাইল হোসেনকে ধরে নিয়ে যান। ওই সময় তাঁরা পুলিশকে জানান, তার ভাইয়ের নামে কোনো মাদক মামলা নেই। কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও নেই।

পুলিশ কোনো কথা না শুনেই ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে গোদাগাড়ীর মাদারপুর জামে মসজিদ মার্কেটের সামনে থেকে রাজমিস্ত্রি ইসমাইল হোসেনকে ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন ডিবির এসআই ইনামুল ইসলাম। এরপর দিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর এক মাস পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ইসমাইল হোসেন জামিনে মুক্তি পান। কিছুদিন পর তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজে চেন্নাই চলে যান। তার বাবা ছয় বছর ধরেই সেখানে আছেন।

এই মামলায় কলেজছাত্র ইসমাইলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিনকে পরিবারের সদস্যরা অবহিত করলেও তিনি তাকে ছাড়েননি। তিনি তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানাকে অবগত করেন। পরে সোহেল রানা বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পায়, আসামি ইসমাইলের বদলে অন্য ইসমাইলকে ধরা হয়েছে।গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন বলেন, ‘আমরা সোমবার(১৩ মে) এই ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাই। দুজনের নিজের এবং বাবার নাম একই থাকার কারণে ভুলটা হয়ে গেছে। পরে ভুল বুঝতে পেরে সোমবার বিকেলেই আমরা একটা প্রতিবেদন দিয়েছি। আজ আদালত এই ইসমাইলকে মুক্তি দিয়েছেন। আসল আসামি ভারতে পালিয়ে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। দেশে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।


আরও খবর



গাজায় নিহত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েল অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে।টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। এই আগ্রাসনে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এবার জাতিসংঘও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

মূলত গাজা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত বলেছে, উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’।

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে। তারপরও এটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ হাজার হাজার মানুষ এখনও সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক নারী এবং শিশু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ নারী ও শিশুরাই সাধারণত বাড়িতে অবস্থান করে থাকেন। সুতরাং ‘ন্যূনতম পরিসংখ্যানগত গণনা’ থেকে বলা যায়, গাজায় নিহতদের ৬০ শতাংশ নারী এবং শিশু হতে পারে।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১৯০ জনেরও বেশি জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়েছেন। ক্যাথরিন রাসেল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘সেবা করার সময় মানবতাবাদীদের অবশ্যই সবসময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।’

মূলত গতকাল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর জাতিসংঘের প্রথম কোনও বিদেশি কর্মীকে হত্যা করেছে। রাফাতে পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত জাতিসংঘের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা।


আরও খবর