Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সাবেক ডিআইজি মিজানের যে সাজা হতে পারে

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪৩জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ ৪ আসামির বিরুদ্ধে চলমান অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় আগামী ২১ জুন রায় ঘোষণা করবেন আদালত।

আজ সোমবার মামলাটির শুনানি শেষে ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মনজুরুল ইমাম রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন। মামলাটির চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলাটিতে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল এবং আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। মামলায় মিজানুর রহমানসহ চার আসামির সর্বোচ্চ ২৫ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানান দুদকের প্রসিকিউটর।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানকে কারাগার রয়েছেন। অপর দুই আসামি মিজানের তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত বছর ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে  মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এ চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার পর আত্মগোপনে থাকা সাবেক ডিআইজি মিজান ২০১৯ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয়। পরদিন  আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঘুষ লেনদেনের মামলায় মিজানুর রহমানের ৩ বছর এবং দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের ৮ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।


আরও খবর



মান্দায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা: মামলা দায়ের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মান্দায় তুচ্ছ ঘটনায় এক সন্তানের জনক সাদেকুল ইসলাম ওরফে ছোটন (২৬) নামে এক যুবকের পিটিয়ে  হত্যার ঘটনায় অবশেষে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক সোমবার (১৫ এপ্রিল) অভিযুক্ত সাগর হোসেনকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের বাদলঘাটা গ্রামে ঘটেছে।

নিহত সাদেকুল ইসলাম ছোটন বাদলঘাটা গ্রামের চা বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। রোববার রাত আড়াইটার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি । হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত সাগর হোসেন (৩০) একই গ্রামের হযরতুল্যাহ মন্ডলের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সাগরের পরিবারের  সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।স্থানীয়রা জানান,নিহতের বাবা একজন চা বিক্রেতা।তিনি চা বিক্রি করেই জীবন-যাপন করেন। তিনি গ্রামের একজন অসহায় মানুষ। এ কারণে প্রতিবেশি আশরাফ আলী’র ছেলে জামাল উদ্দিন নামে এক আ’লীগ নেতা তাকে দোকানঘর করার জন্য কিছু জমি দেয়। তার দেওয়া জমিতে দোকানঘর তৈরি করে চা- ব্যবসা করে আসছিলেন। আশরাফ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অভিযুক্ত সাগর গত (১১ এপ্রিল) শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাকের দোকান উচ্ছেদের জন্য ভাংচুর শুরু করেন। ওইসময় দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন নিহত ছোটন। এরই এক পর্যায়ে নিহত ছোটনের শরীরে একটি বাঁশের কাবাড়ি’র সজোরে আঘাত লাগে।  ওইসময় তিরি প্রতিবাদ করলে তার মাথায় কাঠের বাটাম (লাঠি) দিয়ে সজোরে আঘাত করে অভিযুক্ত সাগর । এতে ঘটনা স্থলেই মাটিতে লুটে পড়েন নিহত সাদেকুল ইসলাম ছোটন। পরবর্তীতে তাকে আরো একাধিক আঘাত করা হয় বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করার জন্য পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে রামেকে নেওয়ার পর তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মর্ডান ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে দেন। ঘটনার ৩ দিনপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন,এঘটনায় নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত সাগরকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



বিডিইউ এর সাথে টোকিও গোগাকু গাক্কো (টিজিজি) এর এমওইউ স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (বিডিইউ) এবং টোকিও গোগাকু গাক্কো (টিজিজি) এর মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, জাপানি ভাষা শিক্ষা, জাপানি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ ও চাকুরির ব্যবস্থাসহ অন্যন্য বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইওটি এন্ড রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভা কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আতাউর রহমান খান এবং টোকিও গোগাকু গাক্কো (টিজিজি) এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস এডভাইজার সাকামোতো তাকাউকি এতে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, পিইঞ্জ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, টোকিও গোগাকু গাক্কো (টিজিজি) এর জাপানি ভাষার শিক্ষক আয়ানো তাকেউচি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির আইওটি এন্ড রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, পিইঞ্জ বলেন, প্রযুক্তির সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজন দক্ষ তরুণ জনশক্তি। জাপানে বয়স্ক জনসংখ্যা বেশি এবং তরুণ জনসংখ্যা তুলনামূলক কম তাই তাদের দক্ষ তরুণ জনশক্তি প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সাথে এই সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর।অনুষ্ঠানে টোকিও গোগাকু গাক্কো (টিজিজি) এর বিজনেস এডভাইজার সাকামোতো তাকাউকি বক্তব্য রাখেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্গণ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্গণের অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ছাত্রীদের নিয়ে এক প্রার্থীর অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল। এসব বিষয় তদন্ত করছেন নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিজানুর রহমান।

এলাকাবাসী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার গোসাত্রা এলাকায় গোসাত্রা ডাঃ জলিলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় একটি সুনামধন্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। পূর্বের ধারাবাহিকতায় আগামী ৬ই এপ্রিল ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে পাড়া মহল্লায়, আশপাশের বাজার ও চা দোকানগুলোতে জমে উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য নির্বাচন। নির্ধারিত চারটি অভিভাবক সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৩ জন। হঠাৎ করে ওই এলাকায় ঢুকলে মুহুর্তের মধ্যে মনে হবে এটা কোনো জাতীয় বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। কিন্তু এসব প্রার্থীদের মধ্যে সোহেল চৌধুরী, স্বপন, বেলাল হোসেন বিল্লাল, জাহাঙ্গীর আলম ও বজলুর রহমান নামে অভিভাবক সদস্য পদ প্রার্থীরা নিয়ম বহিঃভূত দেয়ালে স্টিকার লাগানোসহ নানাভাবে নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্গণ করছেন।

এরই মধ্যে ছাত্রীদের নিয়ে এক প্রার্থীর অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল। তিনি নির্বাচিত হলে ছাত্রীরা অনিরাপত্তায় থাকবে বলেও মন্তব্য করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। এসব ঘটনায় অভিভাবক সদস্য প্রার্থী ফিরোজ কবীর বাদী হয়ে ওই পাঁচ অভিভাবক সদস্য পদ প্রার্থীর নামে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার থেকে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছেন নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিজানুর রহমান।

অভিযুক্তদের মধ্যে বজলুর রহমান জানান, ওই স্ট্রিকারগুলো আমি লাগাইনি। আমার শত্রুপক্ষরা স্টিকারগুলো লাগিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সমাজসেবা অফিসে ডেকেছে, সেখানে এ নিয়ে আলোচনা হবে। আর ছাত্রীদের নিয়ে অশ্লীল ভিডিও বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এ বিষয়ে আপনাদের সামনে গিয়ে কথা বলবো।

ওই নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিজানুর রহমান জানান, আচরণ বিধি লঙ্গণের বিষয়ে পাঁচজন প্রার্থীর নামে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওই অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি প্রমাণিত হলে নির্বাচন বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শিশু হাসপাতালের ভবনে আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাঁচটি ইউনিট।এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি বলেন, আজ শুক্রবার ১টা ৪৭ মিনিটে শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

এদিকে, আগুনের ঘটনায় হাসপাতালে থাকা রোগীর স্বজনদের ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি হাসপাতালে থাকা বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।


আরও খবর



পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় সমন জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি: ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।

 ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ নির্দেশ দেন। এদিন পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল।

শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছিলেন। এদিন এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আদালত পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদনও গ্রহণ করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীপক্ষ। এ বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানান আদালত। পরে তাকে আদালতে হাজির হতে আদেশ দেশ আদালত।

সম্প্রতি এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মামলায় নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোটক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোটক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন। এর আগে ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমণি। এদের মধ্যে ছিলেন বোট ক্লাবের তৎকালীন সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৪ জন। তদন্তের পর ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ।


আরও খবর