
রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরে স্নেহা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে মেহেদী হাসান (২৫) নামের এক রোগীর মুত্যু হয়েছে।বুধবার ওই কেন্দ্রের কক্ষ থেকে মেহেদী হাসান নামের ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার স্বজনদের অভিযোগ তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ শরীরে আঘাতের চিহৃ পেয়েছে। মেহেদীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগরীর তাজহাট থানাধীন ধর্মদাস মুসলিমপাড়া এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫) কে গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাদক থেকে বাঁচতে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছিলো মাদক নিরাময় কেন্দ্রে। গতকাল মঙ্গলবার তার পরিবারের লোকজন তার সাথে দেখা করে। আজ বুধবার সকালে পরিবারকে সংবাদ দেয়া হয় মেহেদী মারা গেছে। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা¯’লে এসে শুনতে পায় সে আত্মহত্যা করেছে। এঘটনায় মেহেদীর পরিবারে শোকের মাতম চলছে। আত্বীয়- স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুরা শোকে মর্মাহত হয়ে
পড়েছেন। তবে স্বজনরা দাবি করেন, মেহেদীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তারা এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
মেহেদীর বাবা মশিউর রহমান ও ভাই পুলিশ সদস্য মিলন দাবি করেন, তারা মেহেদীকে চিকিৎসার জন্য ওই কেন্দ্রে ভর্তি করেছিলেন। কিš‘ু কেন্দ্রের চিকিৎসক-কর্মকর্তারা তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। মেহেদীর শরীরে ক্ষতের আঘাত পেয়েছে পুলিশ। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার এস আই মিঠু আহমেদ বলেন, মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যব¯’া গ্রহণ করা হবে বলে জানান