Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

পরীমণি-বুবলী একসঙ্গে খেলবেন!

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:শবনম বুবলী ও পরীমণি প্রথমবারের মতো এক সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছেন । ছবির নাম ‘খেলা হবে’। ছবির পরিচালক তানিম রহমান অংশু। আর প্রযোজনা করবে টিএম ফিল্মস। 

জানা গেছে, আগামী অক্টোবরে সিনেমাটির শুটিং হওয়ার কথা আছে ভারতে। এ কারণে টিএম ফিল্মসের পক্ষে ফারজানা মুন্নি তথ্য মন্ত্রণালয়ে ভারতে যাওয়া ও সেখানে শুটিংয়ের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের অনুমতিও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। 

তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এতে দেখা যায়, সিনেমার পরিচালকসহ ১২ জনকে ভারতে গিয়ে শুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৫ দিন ভারতে শুটিং করার অনুমতি পেয়েছেন তারা।

এতে আরও অভিনয় করবেন মুশফিক ফারহান, আবুল কালাম আজাদ, শহিদুল আলম সাচ্চু প্রমুখ।

এদিকে সদ্যই শরিফুল রাজের সঙ্গে দাম্পত্যজীবনের ইতি টেনেছেন পরীমণি। অন্যদিকে শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না বুবলীর। আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ না হলেও তারা এক ছাদের নিচে থাকছেন না। তাই ব্যক্তিজীবনে সাদৃশ্য থাকা এই দুই নায়িকার একই ছবিতে অভিনয় নিয়ে বেশ আগ্রহী অনুরাগীরা।  


আরও খবর

"এক বউয়ের দুই স্বামী "

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




ফুলবাড়ী খাদ্য গুদামে আমন ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামে ধান ও চাউল সংগ্রহের ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামে আমন ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান মিল্টন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফুলবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জাফর আরিফ চৌধুরী। উদ্বোধন শেষে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া ও মোনাজাত করেন মওলানা রোস্তম আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান মিল্টন।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমিন অটো রাইস মিলের সত্ত্বাধিকারী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব রুহুল আমিন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মঈনুদ্দিন, উপজেলা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ মোঃ ইমরান, মাদিলাহাট খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী, ফুলবাড়ী চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোঃ সামছুল মন্ডল, ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণ কোম্পানীর ডিজিএম মোঃ জাকারিয়া জাকির, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী সহ স্থানীয় মিল মালিক গ্রুপের সকল সদস্যগণ ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছর সরকার কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও মিল মালিকদের কাছ থেকে চাউল ৪৪ টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করবেন। চলতি বছর ফুলবাড়ী খাদ্য গুদামে ছয়শত পঁচাত্তর মেট্রিক টন ধান ও ২৬৬১ মেট্রিকন টন চাউল ক্রয় করবেন। আয়োজনে ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য বিভাগ।


আরও খবর



ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্পের জটিলতা কাটছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :অনুমোদনের দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা ফাইভ–জি সরবরাহ করার জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান ও উপযোগী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জটিলতা যেন কাটছেই না।

আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা এবং পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার মতো নানা অভিযোগের মধ্যে গেল ৮ নভেম্বর প্রকল্পের দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচন করা হয়। যেখানে দরপত্রে অংশ নেয়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে চুক্তির পর এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপত্রের মাধ্যমে সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা ক্ষেত্রে যেমন দীর্ঘসূত্রিতা করা হয়েছে, একইভাবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করার ক্ষেত্রেও সেটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’  বাস্তবায়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দ্রুতই বাস্তবায়ন জরুরি।

দেশে ফাইভজি চালুর জন্য ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া হয় ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এতে সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয় ৪৬৩ কোটি টাকা। সরঞ্জাম সরবরাহে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে দরপত্রের প্রি-বিডিং মিটিং হয়। পরে সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত তিন সদস্যের দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্রটি উন্মুক্ত করে।

দরপত্রে প্রস্তাব দাখিল করে তিনটি কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড, জেডটিই করপোরেশন এবং নকিয়া সলিউশন। আর্থিক প্রস্তাবের তথ্য অনুযায়ী, ফাইভজি প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য হুয়াওয়ে ৩২৬ কোটি টাকা দরপত্র দাখিল করে। জেডটিই দাখিল করে ৪১৫ কোটি টাকা এবং নকিয়া ৫৭৯ কোটি টাকার। সেই হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেডটি’র তুলনায় ৯০ কোটি টাকা কমে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারবে হুয়াওয়ে। আর প্রকল্পে সরকারের অনুমোদিত ব্যয়ের তুলনায় ১৩৭ কোটি টাকা কমে দরপত্র দাখিল করেছে হুয়াওয়ে, যার পুরোটাই সরকারের সাশ্রয় হবে।

কারণ দীর্ঘজটিলতার মধ্যে দিয়ে আসা প্রকল্পটি এখনই আলোর মুখ দেখবে কিনা সেটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। কারণ হিসেবে প্রকল্পের শুরু থেকেই চলা জটিলতাকে দায়ী করছেন তারা। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে আইন ও বিধি লঙ্ঘন, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা ও পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগের বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন তারা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর তথ্যমতে, দরপত্র আহ্বানের সব শর্ত পূরণ করার মাধ্যমেই তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তিনটি কোম্পানির সবাইকে যোগ্য হিসেবে মূল্যায়ন করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটিও। তবে এরপরই শুরু হয় জটিলতা। দরপত্রগুলোর মূল্যায়ন করে গত ৬ এপ্রিল বিটিসিএলের কাছে প্রতিবেদন পাঠায় কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি)। প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়ে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার অনুমতির জন্য সুপারিশ করে তারা। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকল্প কার্যালয় প্রধান (হোপ) অর্থাৎ বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আসাদুজ্জামান চৌধুরী দুটি দরদাতার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠান টিইসির কাছে।

সরকারি ক্রয় নীতিমালা-২০০৮ এর নিয়ম অনুযায়ী, কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন করতে হবে প্রকল্প পরিচালককে। কিন্তু ২৪ দিন পর তিনি টিইসির কাছে ব্যাখ্যা চান।

টিইসি ব্যাখ্যা দিলেও গত ১৮ মে প্রকল্প পরিচালকের অফিস জানায়, প্রাপ্ত উত্তর সন্তোষজনক নয়। এরপর কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন না করে ক্রয়কারী কর্তৃক বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে নির্দেশনা দেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী।

এরপর ৪২ দিন পার হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত ২৫ মে প্রকল্প কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককের কাছে নথি পাঠানো হয়। তিনি এখতিয়ার এবং বিধি বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের ‘দরপত্র পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের’ নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ (এ ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ) দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুমোদন বা কারণ ব্যাখ্যা ছাড়া দরপত্র বাতিল করে পুনঃমূল্যায়ন বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের নির্দেশ দিতে পারেন না।

আবার, তিন জন দরদাতার মধ্যে দুই জনের সার্টিফিকেটের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তিনি পুরো দরপ্রস্তাবই বাতিল করেন, যা বিধি বর্হিভূত।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী পিপিআর-২০০৮ -এ বর্ণিত সময়সীমা ১৫ দিন না মেনে ৫৫ দিন পরে পুনঃদরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হলেও সেটি অনুসরণ করেননি তিনি।

গত ২৪ জুলাই বিটিসিএলের বোর্ড সভায় এ সংক্রান্ত কার্যপত্রের ওপর আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, হোপের মাধ্যমে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিধি ও প্রক্রিয়াগত স্পষ্ট বিচ্যুতি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালার আলোকে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে দরপত্র প্রক্রিয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে দরপত্র বাতিলের বিষয়ে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর আদেশের বিরুদ্ধে হুয়াওয়ে অভিযোগ দাখিল করে। গত ৯ অক্টোবর এই অভিযোগের ওপর শুনানি করে সেন্ট্রাল প্রকিওরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)।

সব পক্ষের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেওয়ার পর ২২ অক্টোবর সিপিটিইউ দরপত্র বাতিলের আদেশ অকার্যকর ঘোষণা করে। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে রেসপন্সিভ ঘোষণা করে। আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার পর আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। প্রকল্পের ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রধান আসাদুজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যদের (যদি থাকে) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়সহ বিটিসিএল বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে আসাদুজ্জামানকে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিটিসিএল থেকে তার মূল প্রতিষ্ঠান টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে বদলি করা হয়।

রিভিউ প্যানেল এবং বোর্ডের নির্দেশনার পর দরদাতাদের আর্থিক প্রস্তাব ২৬ অক্টোবর খোলা হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ওই নোটিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হলে ২২ অক্টোবর আদালত সিপিটিইউ-এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সংক্ষুব্ধ হিসেবে আসাদুজ্জামান রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত সিপিটিইউ এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ দেওয়া রুল আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। আদালতের এই আদেশের পর ৮ নভেম্বর আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়।

জানা গেছে, কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি সম্মতি দিলেও মন্ত্রীর পরামর্শে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দরপত্র বাতিল করে দেন। কেননা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাতিলের পক্ষে ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  এটা বিধির লঙ্ঘন। কারণ, দুজনের কেউই মূল্যায়ন কমিটিতে ছিলেন না। তারা কীভাবে বাতিলের পক্ষে মত দেন, সে প্রশ্ন ওঠে।

আগের দরপত্র বাতিলের পক্ষে থাকা ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বরাবরই বলে আসছেন এ দরপত্রের মাধ্যমে আসলে ২০১৫ সালের পুরনো মডেলের যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে, যা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অচল হয়ে যা্বে বলে আশঙ্কা তার। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথের চাহিদা হবে ২৯.৮ টেরাবাইট।  সে তুলনায় টেন্ডারে সেকেন্ড-প্রতি ১২৬.২ টেরাবাইট ক্যাপাসিটি’র সংস্থান রাখা হয়েছে।  সুতরাং, এই ক্যাপাসিটির ব্যান্ডউইথ দিয়ে ২০৩০ সালের চাহিদা মিটিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

ফলে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ দরপত্র বাতিল করা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না বলে মনে করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট অধিকাংশই। তাদের মতে,  প্রকল্প প্রণয়নের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রায় ২৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দরপত্রটির কারিগরি নির্দেশ প্রণয়ন হতে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯ মাস সময় লেগেছে। এখন যদি দরপত্র বাতিল করে নতুন করে সব কিছু করা হয়, তা শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। যা একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় এবং অপরদিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্য অর্জন বিলম্বিত হবে।


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে অবরোধ সমর্থনকারীদের হামলায় দুটি ট্রাকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অবরোধ সমর্থনকারীদের হামলায় দুটি ট্রাকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালের দিকে উপজেলার সোনাদিঘি নামক জায়গায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চাউল ভর্তি ট্রাক সোনাদিঘি মোড় পার হলে হঠাৎ করেই বেশ কিছু যুবক ট্রাকের সামনে ইট ছুড়ে আঘাত করে। এতে করে ট্রাকটির কাচ ভেঙে যায়। অপর দিকে সকাল ১১টার দিকে একই স্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাকে হামাল চালালে সেই ট্রাকটিরও কাচ ভেঙে যায়। এসময় ট্রাকের চালকরা দ্রুত গাড়ী চালিয়ে পালিয়ে আসলে রক্ষা পায়। গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, ট্রাকে হামলার ঘটনার শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েি ছলো। তবে দুটি ট্রাক নয়, একটি ট্রাকে ইট-পাটকেল মারার খবর আমরা জানি। ট্রাকটির তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। পুলিশ যাওয়ার আগে কাউকে পাওয়া যায়নি ফলে কাউকে সনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। ইতোমধ্যে অনেক রাষ্ট্র থেকে কারা কারা নির্বাচন দেখতে আসছেন তার তালিকাও পেয়েছি।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মাদারীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, শুরু থেকেই নিবন্ধিত ৪৪টি দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছি। এখনও আহ্বান জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনের সময় সীমা হেরফের করা হবে। তারপরেও চাই প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেক।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক রাষ্ট্র থেকে কারা কারা নির্বাচন দেখতে আসছেন, তার তালিকা পেয়েছি। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ নেই। আমাদের নির্বাচনের সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সঠিক সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কোনও কর্মকর্তা যেন পক্ষপাতদুষ্ট না হয়, সেদিকেও আমাদের কঠোর নজরদারি থাকবে।

ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনের দিন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ রিটার্নিং কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ অন্যান্য জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সেনাবাহিনী মাঠে ছিল এবারও সেনাবাহিনী মাঠে থাকার বিষয় সিদ্ধান্ত রয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনুদ্দিন।


আরও খবর



মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া শহর ও সদর শাখার কমিটি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃমুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুস্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক শেখ মোঃ সুভীন আক্তার ১১ নভেম্বর ২০২৩ইং আজ সকাল ১০ঃ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউজের সামনে জেলা কার্যালয়ে উপস্হিত সকলের সর্ব সম্মতিতেই আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয় এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ কমিটি করার জন্য বলা হয়েছে ।অন্যথায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হবে । ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কুষ্টিয়া শহর শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ আতিকুজ্জামান বাবু ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইয়াছুনউর রহীম উত্তর ।১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কুষ্টিয়া সদর উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আল-আমিন মিজানুর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মহিউদ্দিন বাসার ।

আরও খবর