Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নয় মাস ধরে আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ: দুর্ভোগে লঞ্চ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:যাত্রী সংঙ্কটে গত নয় মাস ধরে আমতলী-ঢাকা রুটে নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ যাত্রী ও অল্প খরচে মালামাল আনা-নেয়ার নিরাপদ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরেছে। এর প্রভাব পরছে দ্রব্য মুল্যের উপরে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। তারা খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। দ্রুত এ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন তারা।

জানাগেছে, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর যাত্রী সংঙ্কটে পড়ে লঞ্চ মালিকরা। এতে আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চলাচলে বিঘœ ঘটে। যাত্রী সংঙ্কট চরম আকার ধারন করায় আমতলী-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ছয় মাস ধরে অনিয়মিতভাবে একটি লঞ্চ চলাচল করলেও গত বছর ২০ জুলাই মালিক কর্তৃপক্ষ একেবারেই বন্ধ করে দেয়। এতে দক্ষিণাঞ্চল আমতলী, তালতলী, বরগুনা, কলাপাড়া ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার নৌপথের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরছে। বাধ্য হয়েই তারা সড়ক পথে চলাচল শুরু করে। এদিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে স্বল্প খরচে দক্ষিণাঞ্চলে মালামাল আনা- নেয়া করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে বেশী খরচ দিয়ে তাদের মালামাল আনতে হচ্ছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপরে এর প্রভাব পরছে। অপর দিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন।

এছাড়াও লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। তারা খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। বুধবার আমতলী লঞ্চঘাট ঘুরে দেখাগেছে, সুনসান নিরাবতা। নেই কোন যাত্রীর কোলাহল। লঞ্চ টামিনাল ফাঁকা। টার্মিনালে জেলেরা নৌকা ও বালু ব্যবসায়ীরা বলগেট বেঁধে রেখেছে। লঞ্চঘাটের সিঁড়িতে ছাগল শুয়ে আছে।

লঞ্চযাত্রী জুয়েল, কামরুল, সাকিলা ও মামুন বলেন, কাজের সন্ধানে ঢাকা যেতে হয়। কিন্তু লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ার যেতে খুব সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার দাবী জানান তারা।কেয়ামনি বলেন, অসুস্থ্য থাকায় গাড়ীতে উঠতে পারি না। তাই লঞ্চে ঢাকায় যেতাম কিন্তু লঞ্চের নিরাপদ যাত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুবই সমস্যা পরেছি।

আমতলী মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের মালিক জিএম মুছা বলেন, লঞ্চে অল্প খরচে ঢাকা থেকে মালামাল আনা যেত কিন্তু সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশী খরচে সড়ক পথে মালামাল আনতে হচ্ছে। এর প্রভাব পরছে দ্রব্য মুল্যের উপরে। দ্রুত লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানান তিনি।

আমতলী লঞ্চঘাট সুপার ভাইজার শহীদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আমতলী লঞ্চঘাটের অন্তত অর্ধ শতাধিক শ্রমিক কঠিন সঙ্কটে পরেছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

ইয়াদ লঞ্চ মালিক মামুন-অর রশিদ বলেন, যাত্রী সংঙ্কটে লোকসানের মুখে গত নয় মাস ধরে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে রেখেছি। লঞ্চ চালালে ওই রুটে দৈনিক এক লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হয়। এতো লোকসান আর গুনে পারছি না। তিনি আরো বলেন, যাত্রীদের দাবীর মুখে আগামী শুক্রবার ঢাকা থেকে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে।

বরগুনা বিআইডব্লিউটি’র সহকারী নৌ বন্দর কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন মুঠোফোনে (০১৮১৯৬৬১৬৪৩) বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




রানা প্লাজা ধস: সাক্ষ্যগ্রহণেই পার ১১ বছর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১১ বছর ধরে সাক্ষ্যগ্রহণেই ঘুরপাক খাচ্ছে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির অবহেলাজনিত হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় । এ মামলায় মোট ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে সর্বোচ্চ আদালতের বেঁধে দেওয়া ৬ মাসের মধ্যে মামলা শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় আইনজীবীদের।

রানা প্লাজার দুর্ঘটনা পুরো বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর কারখানার কর্মপরিবেশ ঠিক করতে চাপ পড়ে দেশের পোশাক শিল্পের ওপর।

এ ঘটনায় অবহেলায় হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলে। ২০১৫ সালে সিআইডি ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। বিচার শুরু হয় পরের বছর। এরপর একের পর এক আসামি হাইকোর্টে যাওয়ায় মামলাটির বিচার থমকে থাকে ২০২২ সাল পর্যন্ত।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার জানান, মূল আসামি রানা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকেন। আবার তাকে জেলখানা থেকে আনলে তার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে চিৎকার-হট্টেগোল করেন।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। কবে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে কেউ জানে না।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার আরও জানান, সাক্ষী যদি না আসে তাহলে বিচারকের কিছু করার থাকে না। এখানে আদালত নিরূপায়। তারপরও আমরা সবরকম চেষ্টা করছি, যতো দ্রুত সম্ভব মামলা শেষ করতে।

এদিকে গেলো ১৫ জানুয়ারি রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার পক্ষে আপিল বিভাগে জামিন চান তার আইনজীবী। সেখানে আপিল বিভাগ সাফ জানিয়ে দেন জামিন হবে না রানার। তবে এ মামলা ৬ মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

সঠিক বিচারে সবার সাজা হবে জানিয়ে অবস্থায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, এখানে জড়িত মালিক থেকে শুরু করে দেখভালের দায়িত্বে থাকা পৌরসভা সবার বিচার হবে। কেউ ছাড় পাবে না। তাদের গাফিলতিতে এতো মানুষের প্রাণ গেছে।

রানা প্লাজা মামলায় আসামিদের পক্ষে কথা বলতে রাজি হয়নি কোনো আইনজীবী। গেলো ২১ এপ্রিল এ মামলায় সবশেষ ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। ২৮ জুন এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ১৬৯ জন গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে যান। এ ঘটনায় মোট মামলা হয় ২০টি। এর মধ্যে তিনটি হচ্ছে ফৌজদারি মামলা। শ্রমিক নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করে পুলিশ। অন্যদিকে ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খুনের মামলা ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ইমারত আইনের মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে। এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে।


আরও খবর



পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ সম্পর্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত,আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এবং পরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫-এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। তার দাবি, খুনিদের মদদ দিয়েছে জিয়াউর রহমান ও মোশতাক চক্র। এর মধ্যদিয়ে দেশে হত্যা ও ষড়যন্তের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে সেগুলো বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন।

ওবায়দুর কাদের আরও বলেন, বর্তমানে সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।

এ সময় তিনি দাবি করেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কোন বিদেশি শক্তির প্রভাব ছিল না। জাতীয় পার্টি কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে তা তাদের পরিষ্কার করতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও আফজাল হোসেনসহ অনেকে।


আরও খবর



প্যানেল চেয়ারম্যান জহুরুলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মরিয়া একটি মহল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলামের রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি মহল। জহুরুল ইসলাম জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কুষ্টিয়া জেলার উন্নয়নের রুপকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম - সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর ৩  আসনের সংসদ সদস্য মাটি ও মানুষের নেতা কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের মানুষের আস্থার প্রতীক মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি’র নির্দেশনায় জেলা পরিষদের সকল আর্থিক অনুদান সদর উপজেলার মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজ উদ্যেগে পৌছে দিচ্ছেন। এছাড়াও অসহায় গরীব মানুষের মাঝে চিকিৎসা খরচ সহ বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে চলেছেন। বিগত দিনে সরকারের দেওয়া সকল আর্থিক সহযোগিতা আসলে সাধারণ মানুষের অজান্তেই চলে যেত তাদের কাছে। জহুরুল ইসলাম একজন তরুন জনপ্রতিনিধি হিসেবে অল্প সময়ের মধ্যেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান আতার পরিচালনায় যখন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করে চলেছেন ঠিক সেই মূহুর্তে তার এই ভাল কাজ ও রাজনৈতিক দক্ষতার প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে পাশাপাশি তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য একজন তরুন দক্ষ প্রতিনিধি ও দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। তার বিষয়ে জহরুলসহ কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিক এ ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আরও খবর



মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন প্রার্থী আনারুল ইসলামকে শোকজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে আচরনবিধি লংঘনের অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগটনিক সম্পাদক ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন সদর-মুজিবনগর রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ওয়ালিউল্লাহ। আজ শনিবার বিকেলের মধ্যেই স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তার জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। 

নোটিশে বলা হয়, নির্বাচনী আচরনবিধি মালা ২০১৬ এর বিধি ১৮ এর (ঘ) এবং বিধি ৩১ অনুযায়ী তাহার পক্ষে উস্কানীমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি, অর্থ, অস্ত্র, পেশিশক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না। আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে মতবিনিময় সভায় আপনার কর্মী সমর্থকেরা উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছে। যা ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন করেছে। 

উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬ এর ১৮ (ঘ) এবং ৩১ বিধি লংঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনুনাগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী ০৪.০৫.২৪ তারিক বিকেল ৪টার মধ্যে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে স্বশরিরে হাজির হয়ে লিখিত আকার বাখ্য প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল বলেছিলেন, ৮ তারিখের নির্বাচনে শুধুমাত্র আনারুল ইসলামের ( মোটরসাইকেল প্রতিক) ছাড়া অন্য কোন এজেন্ট থাকতে পারবে না। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভায়ের মার্কায় সিল মারা হবে। আর কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।

ইকবাল হোসেন তাঁর ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, নির্বাচন কার্যালয় থেকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া গেছে। নোটিশের ব্যপারে আইননুসারে বাখ্যা দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত: আগামী ৮ মে প্রথম দফায় সদর এবং মুজিবনগর এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ মে গাংনী উপজেলায় ভোট গ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



কেএনএফের সহযোগী লিয়ান বম গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

বুধবার (১০ এপ্রিল) বান্দরবানের রুমার বেথেলপাড়া থেকে,পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সহযোগী লাল লিয়ান সিয়াম বম (৬৫) নামে এই কেএনএফ উপদেষ্টাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার শাহিন সৈকত এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কুকি-চিনের ‘গুরু’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন লাল লিয়ান। এ নিয়ে বান্দরবানের যৌথ বাহিনীর অভিযানে মোট ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি।

এ ঘটনার পর বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আমর্ড পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।


আরও খবর