Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ সভা/২০২৪ অনুষ্ঠিত একসঙ্গে এসএসসি পাস করলেন নাসিরনগরের মা ও মেয়ে৷ নবীনগরে দাখিল ফলাফলে সুফিয়াবাদ ফাজিল মাদ্রাসা উপজেলায় সেরা রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কার প্রচারণায় জনতার ঢল রূপগঞ্জে ভেজালবিরোধী অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা মেহেরপুরে পাটের আবাদ কমেছে সকল শ্রেনীর মানুষের জীবন মানের উন্নয়নই এ সরকারের লক্ষ: সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান বিশুদ্ধতার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা করছে ‘ন্যাচুরা কেয়ার’ ভিসা প্রক্রিয়ার সময়সীমা হজযাত্রীদের বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি সৌদির মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

নির্বাচনী প্রচারপ্রচারণায় নৌকার স্লোগানে মুখরিত কুড়িগ্রাম ৪ আসন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১৭৩জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি;২৮কুড়িগ্রাম ৪ আসনে দলীয়সহ ১১জন প্রার্থীর পোস্টারে ছেয়ে গেছে ৩ উপজেলার রাস্তাঘাট। এরমধ্যে পোস্টার ছাপিয়ে স্বতন্ত্র বা অন্য দলের প্রার্থীদের দেখা গেছে সংসদ নির্বাচন যতোই ঘুনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা বেড়েই চলছে।কুড়িগ্রাম ৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিপ্লব হাসান পলাশের পক্ষে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রাজিবপুর উপজেলার নির্বাচনী এলাকায় নৌকার প্রার্থী ছাড়াই বিশাল শোডাউনের আয়োজন করেন রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি এরইমধ্যে নির্বাচনী আমেজ বইতে শুরু করেছে কুড়িগ্রাম ৪ আসন জুড়ে। নির্বাচনী এলাকার অলিগলিতে হাঁটলেই চোখে পড়ছে চারদিকে ঝুলিয়ে রয়েছে সাদাকালো পোস্টার। আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনের প্রচারণা যে শুরু হয়ে গেছে, এই অলিগলির রাস্তার সাজসজ্জাতেই বোঝা যা”েছ। তবে কুড়িগ্রাম ৪ আসনে সর্বমোট ১১জন প্রার্থীর পোস্টার ছাপিয়ে নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে পৌছে ভোটাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। তবে সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে ১১জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্ধীতা থাকলেও বিপুল ভোটে এগিয়ে নৌকার প্রার্থী বিপ্লব হাসান পলাশ।

নির্বাচনী এলাকা রৌমারী-রাজিবপুর-চিলমারীসহ ৩টি উপজেলা নিয়ে কুড়িগ্রাম ৪ আসনটি ঘঠিত হয়। গতকাল শনিবার নির্বাচনী এলাকার রাজিবপুর উপজেলায় একই দলে দু ভাগে বিভাজনের শোডাউনে হাজার হাজার নৌকার সমর্থকরা অংশ নেয়। সেখানে দেখা গেছে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আলম সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ডাকে প্রায়ই ৫ হাজার মানুষের সমাগম উপস্তিতি হয়। একই দলের
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হাই সরকারের ডাকেও প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার সর্মথক নিয়ে একই দিন নৌকার শোডাউন দেওয়া হয়। শফিউল আলম নৌকার সর্মথকদের রাজিবপুর শিশু পার্কে একত্রিত করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটারদের প্রতি আহবান করেন। একইভাবে আব্দুল হাই সর্মথকদের রাজিবপুর সরকারি পাইলট উ”চ বিদ্যালয় গিয়ে একত্রিত হয়ে ৭ জানয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশ ও দশের উন্নয়নের সুযোগ করে দেওয়ার জোর দাবী জানান।


আরও খবর



রাণীশংকৈল রাজবাড়ি'র পূর্ণরূপ ফিরে পেতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে: যুগ্ন সচিব আতাউর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১৬জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গতকাল শনিবার (১০ মে)  বিকেলে উপজেলার পৌর শহরের অবস্থিত শতাধিক বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক নিদর্শন, রাজা টংকনাথের রাজবাড়িটি সংরক্ষণের কাজ পরিদর্শন করলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আতাউর রহমান। 

এসময় ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে সচিব সহ সফর সঙ্গীগনকে বরণ করেন, ঠিকাদার মাহফুজ হাসান বকুল,উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা তামিম হোসেন, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান, খালিদ মাহমুদ সুজন, তাহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইস ইমাম। 

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ডক্টর নাহিদ সুলতানা, সহকারি প্রকৌশলী মুরাদ হোসেন, সহকারি কাস্টোডিয়ান সিহাব হোসেন, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক মাহবুব আলম ও রাজবাড়ি কেয়ারটেকার কাজল ইসলাম সহ স্থানীয়রা। 

উল্লেখ্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বরাদ্দে রাজা টংকনাথের রাজবাড়িটি সংরক্ষণের কাজ প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স বকুল ইলেকট্রনিক্স শুরু করে। টংকনাথের রাজবাড়ী সংস্কার কমিটির আংশিক সদস্যগণ এবং কমিটির পক্ষ থেকে রাজবাড়ী সংস্কারের জন্য ১০(দশ) টি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুগ্ন সচিব বলেন, আগামিতে রাজা টংকনাথের রাজবাড়িটি পুরনো রুপ ফিরে দিতে সংরক্ষণে জন্য বড় আকারের বরাদ্দে সংরক্ষণের কাজ হবে।

আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর



মাগুরায় উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলার ১৭৭ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলবে চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে মাগুরা সদর উপজেলার ১২০ টি ভোট কেন্দ্রে ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০৬ জন ভোট প্রদান করবেন। অন্যদিকে শ্রীপুর উপজেলার ৫৭ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৫২ জন ভোটার। সকাল থেকেই কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম। লক্ষ করা যাচ্ছে।মাগুরার দুইটি উপজেলায়  ৫১ টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ/ গুরুত্বপূর্ণ  ঘোষনা করেছে জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে।ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন সে জন্য মাগুরায় ৬ স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  আনসার সদস্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মাগুরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মাসুদুর রহমান ।

আরও খবর



বাঁধের কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড়! হুমকিতে পরিবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:বাঁধের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে অপরিপক্ক কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। রাজশাহী তানোর সীমান্তবর্তী বিল কুমারী বিলের বাঁধে ঘটে রয়েছে গাছ কাটার ঘটনাটি। এক সাথে এত পরিমান গাছ কাটার কারনে মরু প্রান্তরে পরিনত হয়ে পড়েছে বাধটি। সেই সাথে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশ বীদরা। এতে করে ওই এলাকা মরু প্রান্তরে পরিনত হয়ে পড়েছে। এভাবে অপরিপক্ক গাছ কাটায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন পরিবেশ বীদরা।

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার বিল কুমারী বিলের বাধটি মোহনপুর সীমানার মধ্যে পড়ে। পৌর এলাকার বুরুজ ব্রীজ ঘাটের উত্তরে বাধের প্রায় দেড় কিলোমিটার এবং ব্রীজ ঘাট থেকে কালিগঞ্জ যাওয়ার বাধের প্রায় আড়াই কিলোমিটার বাঁধে রোপনকৃত কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড় করেছেন বন বিভাগ। এসব এলাকা প্রচন্ড খরা প্রবন হওয়ার কারনে পরিবেশ বীদরা বেশি বেশি গাছ রোপন করতে বলছেন। কিন্তু বন বিভাগ সেই নির্দেশনা অমান্য করে ছোট বড় কয়েক হাজার গাছ কেটে মরু প্রান্তরে পরিনত করে ফেলেছেন।

গত এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ থেকে টানা তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। ৪০ থেকে ৪২ ও ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজমান ছিল। তীব্র তাপদহের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তাপপ্রবাহের মধ্যেই বাঁধের গাছ কেটেছে বন বিভাগ।পরিবেশ বিদদের দাবি উন্নয়নের কথা বলে পাইকারি ভাবে গাছ নিধন করা হয়েছে। গাছ নিধনের কারনেই পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে। আর বাধের গাছ কাটার কোন প্রয়োজন ছিল না।  অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের অন্যতম কারন গাছ নিধন বলে মনে করেন তারা।

বাধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা জুয়েল, মাসুদ সৈকত, সোহেলসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিকরা কাজ করে বাধের গাছের ছায়াতলে বসে আরাম করত। ছোট বড় মাঝারি কয়েক হাজার গাছ কর্তন করেছে। এখন বাধ না মরু ভূমিতে পরিনত হয়েছে। গাছ কাটার পর বাধের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে পড়েছে। অযথা গাছগুলো কেটে পরিবেশের ক্ষতি করা হয়েছে। তাপমাত্রা থেকে বাচতে এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য সরকার ও পরিবেশ সংগঠন গুলো বেশি বেশি গাছ রোপন করতে বলছেন। কিন্তু বন বিভাগ তার উল্টো পথে চলছে।

মোহনপুর বন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের সামাজিক কর্মসূচির আওতায় গাছগুলো রোপন করা হয়েছিল। রোপনের পর দশ বছর হলে গাছ কাটতেই হবে। টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটা হয়েছে। কত কিলোমিটার বাধের কত হাজার গাছ কাটা হয়েছে এবং টেন্ডারে সর্বোচ্চ দরদাতা কে ছিল জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব বিভাগীয় অফিসে গিয়ে তথ্য নিতে হবে, আমার এমুহূর্তে সরন নাই বলে এড়িয়ে যান তিনি । 

বিভাগীয় অফিসের বন সংরক্ষক মেহেদীজ্জামানের সাথে যোগাযোগ  করে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অফিসে চা খেতে আসেন সব তথ্য দেয়া হবে।মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা বলেন, বন বিভাগের সামাজিক কর্মসূচি থেকে গাছ রোপন করা হয় এবং ওই গাছের দশ বছর বয়স হলে কাটার নিয়ম আছে বলে আমাকে অবহিত করেছে। আরো কিছু তথ্য নিতে হলে বিভাগীয় বন অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন ইউএনও।

আরও খবর



আক্কেলপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া জরাজীর্ণ ঘরেই দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে রেজাউল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িতেই পরিবারের সদস্য নিয়ে কষ্টে বসবাস করছেন দিনমজুর রেজাউল করিম। গত শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার গুরকী গ্রামে তার বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তার ঘরের টিনের ছাউনি, কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া ঘর পুনরায় সংস্কার করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ কারনে তিনি আর্থিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।

রোববার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দিনমুজর রেজাউলের ঘরের মাটির তালা কয়লায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। টিনের ছাউনি আগুনে পুড়ে ফায়ার সার্ভিসের পানির চাপে ঘরের চারদিকে এলোমেলো পরে রয়েছে। বাড়ির ভিতর ও বাহিরে রাখা আছে আগুনে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র, টিন ও অন্যান্য তৈজসপত্র। বাড়ির দুটি কক্ষে গাদাগাদি করে রাখা আছে বেঁচে যাওয়া অন্যান্য আসবাবপত্র।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ্য ওই বাড়িতেই পরিবারের দুই মেয়ে, দুই নাতি ও রেজাউল দম্পতির বসবাস। ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি দিনমজুর রেজাউল হওয়াই তাদের পক্ষে ওই বাড়িটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। একারণে ঘরের উপরে ছাউনি না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রচন্ড তাপদাহে কষ্ট করে সেখানেই অবস্থান করছেন তারা। যে কোন সময় ঝড় বা বৃষ্টি হলে পরিবারটি পরতে পারে মহা বিপদে। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার গুরকী গ্রামে দিনমজুর রেজাউলের বাড়িতে গোয়াল ঘরে চুলার কয়লার আগুন থেকে আগুনের সূত্র পাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে সাড়া বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার বাড়ির টিনের চালা, ঘরের মাটির তালাতে রাখা খরকুটো সহ অন্যান্য কিছু আসবাব পুড়ে যায়। খবর পেয়ে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে পৌনে এক ঘন্টা ব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় ওই পরিবারের আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

দিনমজুর রেজাউল করিম বলেন, এনজিও থেকে কিস্তির টাকা নিয়ে আমার বাড়ির টিনের ছাউনী দিয়েছিলাম। কিস্তি পরিশোধের আগেই আগুনে পুড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। পোড়া বাড়িতেই প্রচন্ড গরমের মধ্যে পরিবার নিয়ে আছি। বর্তমানে এটা ছাড়া আমার থাকার মতো কোন পথ নাই। আমি অন্যের বাড়িতে কামলা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এখন আমার অন্যের সহযোগীতা প্রয়োজন।

আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্দুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌনে এক ঘন্টা প্রচেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়। গোয়াল ঘরের পাশের চুলার জ¦লন্ত কয়লার আগুন থেকে অগ্নিকান্ড ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।পৌর মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী বলেন, দিনমজুর রেজাউলকে পৌরসভার পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

আরও খবর