Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নিজ এলাকায় সৈয়দ ইবরাহিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইবরাহিমকে তার নির্বাচনি এলাকা হাটহাজারীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের জোট ছেড়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকালে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

এর আগে বুধবার কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সিদ্ধান্তকে বিশ্বাসঘাতকতা ও বেইমানি বলে আখ্যায়িত করেছেন তারই রাজনৈতিক সহকর্মী ১২-দলীয় জোটের নেতারা।

হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ ও সদস্য সচিব গিয়াসউদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সরকার এবং তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এহেন কর্মকাণ্ডে হাটহাজারী সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম শেষ বয়সে এসে স্বেচ্ছাচারিতা, লোভলালসায় হয়ে অনৈতিক সুযোগ- সুবিধা গ্রহণ করে এমন ঘৃণিত কাজ করেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে বিএনপি নিজ দলের ১০০ ভাগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমের মতো একজন সিঙ্গেল ম্যানকে, জোটকে সম্মান দেখিয়ে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করে এবং বিএনপির সব ইউনিট তার পক্ষে কাজ করে। কিন্তু তখনও তিনি সেই সময়ের মহাজোট প্রার্থীর কাছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন।

এতে আরও বলা হয়, মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমের নিজ নির্বাচনে কাজ করতে গিয়ে হাটহাজারী বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাকর্মী হামলা মামলা এবং নির্যাতনের শিকার হলেও মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম একবারের জন্যও কারও খোঁজখবর নেননি, সহায়তা তো অনেক দূরের কথা। তাই আমরা হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।

পাশাপাশি তাকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। আর যদি হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি পরিবারের কেউ মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমকে কোনোভাবে সহযোগিতা করেন বা যোগাযোগ রাখেন, তা হলে আমরা তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


আরও খবর



মেহেরপুরে নার্সিং কলেজ কাজের মেয়াদের সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ২০১৯ সালে নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাঁচ বছরে প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়েছে চার দফা। সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ও। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চতুর্থবারের মতো বাড়ানো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকার পিয়াস কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, এই নার্সিং কলেজটি নির্মাণের শুরুতে দেশে করোনা দেখা দেয়। ওই অবস্থায় নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হয়। পরে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যায় অনেকাংশে। বড় লোকসানের আশঙ্কায় কাজ ধীরগতিতে করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও চলতি বছরে শেষ করা হবে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অভিজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে যোগ্যতা সম্পন্ন নার্স তৈরি করতে একটি নার্সিং কলেজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। সরকার এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়। ২০১৯ সালে ১৮০ আসন বিশিষ্ট নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। চতুর্থবারের মতো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো অনেক কাজ বাকি। প্রকল্পটির ব্যয়ও বেড়েছে। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ব্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে গত ১০ এপ্রিল নির্মাণাধীন কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা কলেজ ভবনের ভেতরের প্লাস্টার করা হয়নি। জানালার ফ্রেম নেই। বাথরুমের কাজ এখনো হয়নি। মেঝেতে ধুলার আস্তর পড়ে রয়েছে। মাত্র পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন ঢিমেতালে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনের দশা আরও করুন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে দেয়ালগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা কক্ষ করা হয়নি। বাথরুমের কাজও করা হয়নি। প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বরত আবদুল মালেক জানান, পিলার ও চারতলা ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলে বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানির লাইন, গ্রিলের কাজ, মেঝেতে টাইলসহ অন্যান্য কাজ করা হবে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাসিবুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, একটি কলেজের নির্মাণকাজে যদি পাঁচ বছর লেগে যায়, তাহলে কীভাবে দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। এত দিন এই এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে কাজে যোগ দিতে পারতেন। জেনারেল হাসপাতাল আরও দক্ষ নার্স পেত।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের বলেন, তাঁরা তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঠিকাদার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে নেন। তাঁর আবারও ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার তাগাদা দেবেন।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নার্সিং কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে সেই লক্ষ্য পূরণ করা যাচ্ছে না। দ্রুত কলেজের কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বুধবার (১০ এ‌প্রিল) এক বার্তায় জানায় ঢাকার ভারতীয় হাইক‌মিশন এ তথ্য জানায়।

হাইক‌মিশন জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা একটি চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, উৎসাহের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন বিশ্বজুড়ে মানুষকে সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

নরেন্দ্র মো‌দি সারা বিশ্বের মানুষের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য ও সুখের আশা জানিয়েছেন ও প্রার্থনা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি এ অঞ্চ‌লের দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।


আরও খবর



সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সংশোধিত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৬১৯৯

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয় ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd  -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।

মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের ১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:একটা চাদর হবে’- ইথুন বাবুর কথা, সুর ও সঙ্গীতে এই গান গেয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান জেনস সুমন। এর আগে-পরে বেশকিছু মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছিলেন তিনি। মাঝে এক যুগের বিরতি। এরপর আবার ব্যস্ত হয়ে যান।

আবারো নতুন গান নিয়ে হাজির হলেন এই গায়ক। শিরোনাম ‘আসমান জমিন’। গানটির কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন এস আই এনজেল। ঈশা খান দূরের তত্ত্বাবধানে ভিডিও পরিচালনা করেছেন এআর খান।

দেশের শীর্ষ অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজের মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গান-ভিডিও মুক্তি পেয়েছে।নতুন গান প্রসঙ্গে সুমন বলেন, আসমান জামিন একটি রোমান্টিক ঘরানার গান। সর্বশেষ ২০০৮ সালে গান করেছি। এরপর গান করা হয়নি। দীর্ঘদিন পর নতুন গান নিয়ে ফিরছি। আশা করছি, আমার নতুন গানটি সবার পছন্দ হবে।

জেনস সুম‌নের প্রথম একক অ্যালবাম ‘আশীর্বাদ’ প্রকাশ হয় ১৯৯৭ সা‌লে। তারপর একে একে আসে ‘আকাশ কেঁদেছে’, ‘অতিথি’, ‘আশাবাদী’, ‘একটা চাদর হবে’, ‘আয় তোরা আয়’, ‘চেরী’ ইত্যাদি। আর ২০০৮ সা‌লে প্রকাশ হয় তার সবশেষ অ্যালবাম ‘মন চ‌লো রূপের নগ‌রে’।  এরপর থেকে গানে অনিয়মিত তিনি।

আরও খবর