Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নবীনগর নাটঘর গ্রামের ৪০০ বছরের পুরোনো নটরাজ মন্দিরের সংস্কার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৯৩জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার) প্রতিনিধিঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার নাটঘর গ্রামের ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী নটরাজ মন্দিরটির সংস্কার করে কষ্টিপাথরের নটরাজ বিগ্রহটির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।:


এই নাটঘর গ্রামটি বর্তমানে নবীনগর উপজেলার একটি সমৃদ্ধ ইউনিয়ন। সম্প্রতি মন্দিরটি সংস্কার করে একটি নান্দনিক রূপ দেওয়া হয়েছে।


নটরাজ মন্দিরটি সংস্কারের প্রথম উদ্যোগ নেন স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন কর। তিনি জানান, বহু বছরের পুরনো মন্দিরটি জরাজীর্ণ হয়ে এর বিভিন্ন অংশ একেবারে ভেঙে যায়। ঝড়বৃষ্টির সময় মন্দিরের ভেতর জল উঠে যেত। তাই, আমি নটরাজ মন্দিরটি সংস্কারের প্রথম উদ্যোগ নেই।স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাঁধা স্বত্বেও আমি ও ধর্মপ্রাণ বেশ কয়েকজন ধন্যাঢ্য ব্যক্তির সহায়তায় এবং ভগবান নটরাজের কৃপায় মন্দিরটি সংস্কার করতে সক্ষম হই।


উল্লেখ্য: প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে ঐ এলাকার জমিদারের উদ্যোগে তারাপুকুর নামে একটি পুকুর খননের সময় মাটির নিচ থেকে ভগবান শিবের নটরাজ রূপের কষ্টিপাথরের একটি বিগ্রহ প্রকট হয়ে ছিলো এবং পুকুরটি খননের সময় কর্মরত শ্রমিকের আঘাতে শ্রীবিগ্রহটির বাম হাতে কনিষ্ঠা আঙুল থেকে রক্ত ও প্রবাহিত হয়েছিলো। এর কিছুদিনের মধ্যেই স্থানীয় এক ব্রাহ্মণকে ভগবান শিব নটরাজ মন্দির স্থাপনের জন্য স্বপ্নে আদেশ করেছিলেন।তখন ঐ ব্রাহ্মণ জমিদার ও গ্রামবাসীর সহায়তায় নটরাজ মন্দিরটি স্থাপন করেছিলেন। এই মন্দিরের অলৌকিক ঘটনা চার দিকে ছড়িয়ে পড়লে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসতে শুরু করে। তখন জমিদার ভগবান নটরাজের নাম অনুসারে ঐ গ্রামের ‘নাটঘর’ নামকরণ করেন।


খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



আনু মুহাম্মদ আশঙ্কামুক্ত, খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ খিলগাওয়ে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে পায়ের আঙ্গুল হারিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন,এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনু মুহাম্মদকে দেখতে এসে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তার চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করছি। খুব দ্রুতই তার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করব। এরপর তার পায়ে অপারেশন করা হবে। আশা করছি খুব দ্রুতই তিনি তার কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারবেন।


আরও খবর



৭ জানুয়ারি নির্বাচন দেশের ৯৫% জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে : আমীর খসরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জানুয়ারির ৭ তারিখের নির্বাচনে জনগণ গণভোট দিয়েছে নির্বাচনে যাবে কি যাবে না। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক ছিল নির্বাচন বয়কটের ভোট বর্জনের। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট না দিয়ে নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’

‘আমাদের আন্দোলন চলছে, নতুনভাবে আন্দোলনের কিছু নেই। এই ৯৫ শতাংশ মানুষ আমাদের আন্দোলনের অংশ। গণতন্ত্রকামী সবাই এই আন্দোলনে আছে।

তিনি বলেন, ৭ তারিখের আগে বিএনপির আন্দোলন যত শক্তিশালী ছিল ৭ তারিখের পর তা আরও বেশি বেগবান ও শক্তিশালী হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাকী যে ৫% এর মধ্যে জাতীয় পার্টি বলেছে ভোট হয়নি আওয়ামী লীগের মনোনীত যারা প্রার্থী ছিলেন যারা হেরে গেছেন, তারাও বলেছেন নির্বাচন হয় নি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সহ তার দলের কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়া এই নির্বাচনের পক্ষে আর কেউ ছিল না।

আমির খসরু বলেন, এই ৯৫% মানুষের সাথে আরও যারা নির্বাচনে গিয়েও নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের কে নিয়ে আগামী দিনে আমরা যে আন্দোলনে যাচ্ছি, সে আন্দোলন কিন্তু ৭ তারিখের আগে থেকে আরও বেশী শক্তিশালী হবে। সেই আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পৃক্ততা হয়েছে, সেই আন্দোলনে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ ও সম্পৃক্ততা হয়েছে,

তিনি বলেন, আগামীতে যে আন্দোলন আসছে, সেই আন্দোলন ওয়ার্ড লেভেল থেকে শুরু করতে হবে। ওয়ার্ড লেভেল থেকে সুনামী করতে হবে। আন্দোলন করতে হবে ওয়ার্ডের ওলিতে গলিতে। ওয়ার্ড পর্যায়ে থেকে আন্দোলনের আওয়াজ তুলতে হবে। সেই আন্দোলনে এই আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।

আজ বুধবার ( ৩ এপ্রিল) উত্তরা দিয়াবাড়ীতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১ ও ৫১ নং ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, দেশে গণতন্ত্র চর্চা নেই, দেশের বিচার বিভাগ,বাক স্বাধীনতা, মানুষের ভোটাধিকার নেই। জনগণের কোন কথাকেই তারা তোয়াক্কা করছে না। আওয়ামী লীগ স্বার্থের রাজনীতি নিয়েই ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্মআহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর সদস্য আফাজ উদ্দীন আফাজ, হাজী মোঃ ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির নেতা মোঃ আব্দুস ছালাম, তুরাগ থানা বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশীদ খোকা, যুগ্ম আহবায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম, মোঃ চান মিয়া, মোঃ রফিক মোল্লা, বিমানবন্দর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলুসহ স্হানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ভয়ংকর দানবের আক্রমণ চলছে বিএনপির ওপর: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:বিএনপির ওপর ভয়ংকর দানবের আক্রমণ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সরকার আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নেতাকর্মীদের গুম করা হচ্ছে, পঙ্গু করা হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। 

শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনে নিহত হওয়া ও নিখোঁজ নেতাকর্মীদের পরিবারের সম্মানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালি অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

মির্জা ফখরুল বলেন, এই মাস পবিত্র মাস। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি আমাদের ক্ষমা করে দিন। যে দানব সরকার আমাদের বুকে চেপে বসেছে তা থেকে মুক্তি দিন। এ সরকারকে সরাতে না পারলে ধ্বংস হয়ে যাবে দেশ। এদের বিতাড়িত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 


প্রতিটি বড় বিজয়ের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয় উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমাদের নবীজীও একদিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। আমাদের অত্যাচারিত নিপীড়িত নেতাকর্মীরাও হতাশ নয়। তারা বলছে আপনারা যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দেন, আন্দোলনের ডাক দেন, আমরা রাজপথে প্রাণ দিয়ে হলেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারের ভেতর ঢাকা মহানগরের হাজারো নেতাকর্মী আমি দেখেছি। পবিত্র রমজানেও তারা বিনাদোষে বন্দি জীবনযাপন করছে। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। 

বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর দুইদিনেই ৩৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসক তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। এর আগে তারা এই চেষ্টা করেছিলো। সফল হয়নি, এবারও সফল হবে না। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতিবিদদের জন্য জেলখানা সেকেন্ড হোম। আজকে গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা জানেন না তারা জীবিত নাকি মৃত। যার কারণে পারিবারিক সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। 

তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব চাই। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কারো সাথে আপস করে না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় না। সেই আপসহীন নেত্রী যখন বন্দি, তখন গণতন্ত্রও বন্দি। আজকে অন্যায় না করে জেলে যেতে হয়, খুন হতে হয়। সিপাহীদের হাতে মার খেতে হয়। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সদস্য রফিকুল আলম মজন এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ।

আরও খবর



জমে উঠেছে আমতলীর ঈদ বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:জমে উঠেছে আমতলীর ঈদ বাজার। শিশু, নারী-পুরুষের পদচারনায় সরগরম বিপণি বিতানগুলো। সবচেয়ে কদর বেশী ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানী পোষাকের। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মত জামা-জুতা পোশাক-প্রসাধনী ঈদপন্য কিনছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ও তত বাড়ছে। এছাড়া পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত টেইলার্স কারিগড়রা। রাত জেগে তারা কাজ করছে।

জানাগেছে, এ বছর ১৫ রোজা থেকে আমতলীর ঈদ বাজার জমে উঠেছে।সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। ঈদ বাজারে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানী পোশাকের চাহিদা বেশী। ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগের চাহিদা বেশী।

প্রতিপ্রিস ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ীর প্রতি গৃহবধুদের আকর্ষণ বেশী। এ শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমতলীর বাজারে ধুপিয়ানা, কাঞ্চিভরাম কাতান ও প্রিন্ট কাতান এবং ভিপুল, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল, আয়রা, মাসাল, তাওয়াক্কাল, দিল্লি বুটিক্স ও লরস থ্রি পিস বেশী বিক্রি হচ্ছে। প্রকার ভেদে এ সকল থ্রি পিস ও শাড়ী ২ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ৫’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের সেলসম্যান বাসু ও মোশাররফ হোসেন বলেন, ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগের চাহিদা বেশী। প্রতিপ্রিস ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি করছি। অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ীর প্রতি গৃহবধুদের আকর্ষণ বেশী। এ শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি করছি। তারা আরো বলেন, ধুপিয়ানা, কাঞ্চিভরাম কাতান ও প্রিন্ট কাতান এবং ভিপুল, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল, আয়রা, মাসাল, তাওয়াক্কাল, দিল্লি বুটিক্স ও লরস থ্রিপিস বেশী বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখাগেছে, ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ, অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধুপিয়ান শাড়ী ৭ হাজার ৫’শ থেকে ৮ হাজার, কাঞ্চিভরাম কাতান ৩ হাজার ৫’শ থেকে ৭ হাজার ৫’শ ও প্রিন্ট কাতান শাড়ী ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১০ হাজার ৫’শ এবং ভিপুল থ্রিপিস ২ হাজার ৫’শ থেকে ৫ হাজার ৫’শ, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ৫’শ, আয়রা ৩ হাজার ৫’শ থেকে ৭ হাজার ৫’শ, মাসাল ৩ হাজার ২’শ থেকে ৫ হাজার ৫’শ, দিল্লি বুটিক্স ৬ হাজার থেকে ১৫ হাজার, তাওয়াক্কাল ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ও লরস ৬ হাজার ৫’শ থেকে ৮ হাজার ৫’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আমতলী পৌর শহরের তানিয়া বলেন, এ বছর পোশাকের ধরন বদলে গেছে এবং দামও একটু বেশী। ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগ ৬ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। তিনি আরো বলেন, দাম একটু বেশী হলেও ভালো মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতা মরিয়াম ও পূর্ণতা বলেন, নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয় থেকে পোশাক ক্রয় করেছি। চাহিদামত মালামাল পাওয়া যায়। নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের পরিচালক জিএম মুছা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি অনেক ভালো। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। সেলসম্যানদের ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার আমতলী পৌর শহরের আকন বস্ত্রালয়, মদনমোহন বস্ত্রালয়, সিরাজ উদ্দিন মৃধা বস্ত্রালয়,ইসলামিয়া বস্ত্রালয়, আকন টাওয়ার, সাকিব প্লাজা, আব্দুল্লাহ মার্কেট ও সুমাইয়া কমপ্লেক্স, ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নারী ও পুরুষরা মিলে পছন্দের পোশাক ক্রয় করছে।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে মানুষের বাড়ী ফিরে যেতে যেন সমস্যা না হয়।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়,তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো: রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলছেন, ১৮ কোটি দেশের মানুষ আমরা একবারও দূর্বল নই। সরকার দূর্বল হতে পারে, আমরা দূর্বল নই। আমাদের যে আত্নশক্তি, আমাদের যে সাহস, আমাদের যে জনগণের লড়াই করার ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সবকিছু নিয়েই আমাদের উপর যারা খবরদারী করে আমাদের যারা কৃতদাস বানাতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়বো। সরকার কোন অবস্থাতেই আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। 

আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে উত্তরায় দুঃস্হদের মাঝে এক ঈদ উপহার সামগ্রী শাড়ী লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক মোতালেব হোসেন রতন এর সভাপতিত্বে তার উত্তরার  ফায়দাবাদের বাসভবনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশের কোন নিরাপত্তা আর নেই। বাংলাদেশের শাসক কে? এটাও আজ আমরা ঠিক বলতে পারি না। একজন শাসক রয়েছেন, তার কাজ হচ্ছে বিরোধী দলকে দমন করা, বিরোধী দলেরবকোন কর্মসূচি হলেই তা বানচাল কটা এবং তিনি একজন অবৈধ শাসকের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার প্রভু আছে, তারাই মূলত শাসকের ভূমিকা পালন করেছেন। কারন আমাদের দেশের লোকদের সীমান্ত হত্যা করছে, অথচ আমাদের দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বা সরকার তা প্রতিবাদ করেন নি। প্রতিদিন ১ দিন ২ দিন পরপর হয় লালমনিরহাট, নওগা কিংবা য়শোর, ফেনী,কসবা এই সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশী মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এদের জীবনের কেন নিরাপত্তা নেই। 

তিনি বলেন, একটা মানুষ যদি বেআইনি কাজ করে চলাফেরা করে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের ব্যাবস্হা আছে। অথচ পাকিস্তানের সাথে ভারতের বর্ডার আছে, নেপালের সাথে বর্ডার আছে, আফগানিস্তানের সাথে সীমান্ত রয়েছে, ভূটানের সাথে সীমান্ত আছে, অথচ আপনারা কখনও শুনছেন না যে, তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে, সেখানে তারা সংঘর্ষ করতে সাহস পায় না। কারন তাদের প্রতিনিধীরা বাংলাদেশ শাসন করছে। তাদের বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করলে তাদের কিছু যায় আসে না। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, ওরা আমাদের পানি কেড়ে নিবে। ওরা একচেটিয়া বানিজ্য করবে। আমাদের কোন পন্য কিনবে না। বাংলাদেশে ওদের পন্যে সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের দেশের কারখানার মালিকরা, আমাদের যে তাত। কত সমৃদ্ধশালী ছিল তাত। সে তাত ধ্বংস করে ভারতের লুঙ্গি শাড়ী কিনতে হয়। তাদের সকল পন্য আমাদের কিনতে হয়। এটার থেকে পরনির্ভরশীল হওয়ার জন্যই তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুরো দেশকে আত্মনির্ভরশীল করছেন। জিয়াউর রহমান খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেই বিদেশে চাল রপ্তানি করেছেন। আর শেখ হাসিনা প্রতি নিয়ত প্রতি দিন বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করার সকল যড়যন্ত্র তিনি করছেন। 

তিনি বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশ কেন অরক্ষিত? 
আজকে কেন বান্দরবানের সারাচি, রুমাসহ বিভিন্ন থানায় ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে কেন? আজকে অন্য দেশের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে আশ্রয় পায় কি করে? এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না। ঠিকই জানেন, কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। কারন তারা নতজানু। ওদের কে যেমন তেমন করে বিদেশি প্রভুদের আশ্রয়েই তাদের থাকতে হয়। কারন ওদের কে ভোটে সরকার গঠন হয়নি। কারন তারা ভোটে সরকার গঠন করেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ৭ জানুয়ারির  যে ডামী নির্বাচন সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ৯৭% মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগের আত্নীয় স্বজনরাই ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিল। আর ভোট কেন্দ্র সারাদিন সাহারা মরুভূমির মতো শূন্য হয়ে পড়েছিল। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, আজকে এই অবৈধ সরকারের ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দেখে, জনগণের কাছে তারা কোন জবাবদিহিতা করে না, বাংলাদেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগনই কিন্তু এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারে এবং আমরা বিশ্বাস করি গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, একতরফা ডামি নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা নিজেরা নিজেরই সরকার গঠন করেছে। সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশের জনগণ বিনা ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে, আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কোন মানুষ ভোট দিতে যায়নি, সেটা আমরা সকলেই দেখেছি দৃশ্যমান এবং আমাদের তথ্য মতে, ২% মানুষ ও ভোট দিতে যায়নি এবং  যারা আওয়ামী সমর্থক ছিলেন নির্বাচনে  তারাও ভোট দিতে যায় নাই। 

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন  থেকে জাতিকে মুক্ত করতে দেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই চলমান এক দফার আন্দোলন চলবে। 

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে পুরো রমজান মাস ধরে আমাদের উত্তর মহানগরীর ৭১ টি ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি এবং আজকে যে আমরা ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি, এটাও আমাদের দলীয় কর্মসূচির অংশ। 

৫ শত অসহায় নারী পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে শাড়ি লুঙ্গি  পেয়ে গরিব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এ সময় অসহায়রা বলেন  প্রতিবছরই ঈদ এলে বিএনপি নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ ঈদ উপহার শাড়ি লুঙ্গি দেন, এতে আমরা খুব খুশি। 

এ সময় এম কফিলউদ্দিন বলেন, মানুষ আজ খুব অসহায় দিন যাপন করছেন। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন।  তাদের জন্য কিছু করতে পারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও অসহায়দের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য দফতরের দায়িত্বে এবিএমএ রাজ্জাক সহ স্থানীয় বিএনপির  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরও খবর