Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মরক্কোতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৯৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৯৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :মরক্কোতে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে আহত হয়েছেন আরও ২৪৭৬ জন।সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) হতাহতের এই হালনাগাদ তথ্য দিয়েছে মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে দক্ষিণ মারাক্কেশের অনেক গ্রাম্য এলাকা রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।

প্রয়োজনীয় আধুনিক উপকরণের সংকট থাকায় অনেকেই স্থানীয় উদ্ধার সরঞ্জাম এমনকি শুধু হাত দিয়েও আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে। রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেক এলাকায় উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়েও যাওয়া যাচ্ছে না।

অনেক এলাকায় খাবার পানি ও জরুরি সহায়তার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় অনেককেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।

মরক্কো সরকার জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তারা যুক্তরাজ্য, স্পেন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাহায্যের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। আরও বেশ কয়েকটি দেশ মরক্কো সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তিন দিন পার হওয়ায় আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে আসছে।

সূত্র: এনডিটিভি


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ দেশের পথে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ । সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে ২৩ নাবিককে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে জাহাজটি।

এর আগে ওই বন্দরে জাহাজে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ ২১ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে কয়লা খালাস করে জাহাজটি ২৭ এপ্রিল মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর মিনা সাকার থেকে ৫৬ হাজার চুনাপাথর লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে জাহাজটি। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকও আসছেন একই সঙ্গে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাহাজ থেকে কার্গো খালাস করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।

মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।

এর আগে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :[ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪] অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ (২৬ এপ্রিল) ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত চলবে। বিকেল ৩টা থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে একটি অনবদ্য থিয়েটার পারফরমেন্স ‘নৈঃশব্দ্যে ‘৭১’ পরিবেশিত হয়। এ অনুষ্ঠানে ‘অদম্য শিল্পোৎসব’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনী, সেখানে আইআইডি’র তত্ত্বাবধানে সঙ্গীত, চিত্রকলা, ভাস্কর্য সহ আরও নানান শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয় । এছাড়াও থিয়েটার পারফরমেন্স, প্যানেল আলোচনা, ফিল্ম প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, গ্রেআই থিয়েটার কোম্পানির আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জেনি সিলি, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট, ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নাসিরুদ্দীন ইউসুফ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ। এছাড়া, সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্পের অংশ এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল। বাংলাদেশের শিল্পকলা খাত ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও বোঝাপড়া তৈরিই এই বহুস্তরীয় ডেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য। বৃহত্তর সমাজ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে ব্যবধান কমিয়ে এনে সংযোগ স্থাপন করা এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য। ঢাকা থিয়েটার ও আইআইডির (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অংশীদারিত্বে ২০১৯ সালে চালু হয় প্রকল্পটি।

আয়োজনের প্রথম দিনে অতিথিদের জন্য রমেশ মেয়াপ্পানের ‘৭১ ইন সাইলেন্স’, মোস্তাফিজ শাহিন পরিচালিত ‘সার্কাস সার্কাস’, কাজী নওশাবা আহমেদের ‘ত্রিবেণী’, এশা ইউসুফ ও রফিকুল ইসলামের ‘কেন্দ্র বরাবর সুড়ঙ্গটির নাম পৃথিবী’ এবং কলকাতার জনসংস্কৃতি সেন্টার ফর থিয়েটার অফ দ্য অপ্রেসডের পরিচালক সঞ্জয় গাঙ্গুলির ‘ওয়েস্টল্যান্ড- এ জার্নি’, এই ৫টি থিয়েটার প্রযোজনা পরিবেশিত হয়। প্রথম দিন ‘ডিজেবিলিটি রিপ্রেজেন্টেশন ইন দ্য আর্ট সেক্টর’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিল্পকলা সহ সমাজের নানান স্তরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সমাপনী দিনে আরও ৫টি থিয়েটার প্রযোজনার আয়োজন করা হবে - শামীম সাগরের ‘অতঃপর করিম বাওয়ালি’,সামিউন জাহান দোলার ‘সঙ্গতি’, আল জাবিরের ‘কাজলরেখা’, ড. আমির জামানের ‘পিতৃগণ’ ও অসীম দাশের ‘স্বপ্নকাহন’। এছাড়া, ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ ও ‘ফান্ডিং ইনক্লুশন ফর ডিজ্যাবিলিটি আর্টস’ এই দুইটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ প্যানেল আলোচনায় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন তা চিহ্নিতকরণ ও এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও তাদের বেশিরভাগই বুদ্ধি, মননশীলতা ও সৃজনশীলতার দিক থেকে অন্যদের তুলনায় কোন অংশেই কম নয় বরং সৃজনশীলতার দিক থেকে অনেক সময়ই বেশি যদি তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যায়। আমি ব্রিটিশ কাউন্সিল, ঢাকা থিয়েটার, আইআইডি, এবং এই অনবদ্য আয়োজনের সাথে যারা জড়িত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সকলকে জানাই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।”বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সমতার ভিত্তিতে পূর্ণ অধিকার ও স্বাধীনতা উপভোগ ও অনুশীলনের সুযোগ তৈরি করতে যুক্তরাজ্য সারা বিশ্বে কাজ করছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্প ও এই উৎসব বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিভা ও অর্জনকে উদযাপন করা এবং একটি আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব নিশ্চিতে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার সুযোগ হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে।”

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর উদ্বোধন করতে পেরে আজ আমরা অত্যন্ত গর্বিত; যা আমাদের ডেয়ার প্রকল্পের একটি চূড়ান্ত আয়োজন। ২০১৯ সাল থেকে আমাদের ডেয়ার প্রকল্পটি বাংলাদেশি থিয়েটার সংস্থাগুলো ও দেশব্যাপী ডেয়ার শিল্পীদের সক্ষমতা তৈরি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুশীলন চর্চা, নীতিমালা পরিবর্তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যকে সংযুক্ত করার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ডিজেবিলিটি আর্ট থিয়েটারকে মূলধারায় আনয়নে ইতিবাচকভাবে সহযোগিতা করায় সরকার ও সকল অংশীদারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বলেন, “২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে মূলধারার থিয়েটারের সাথে ডিজেবিলিটি আর্টকে একীভূত করার ক্ষেত্রে ঢাকা থিয়েটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, এজন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত। নানান প্রতিবন্ধকতা এবং নিত্যনতুন বাধা আসার পরেও প্রতিবন্ধী শিল্পী, প্রশিক্ষক, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটারের অব্যহত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার কারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পেরেছি আমরা; আর এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সফল আয়োজন তারই প্রমাণ।”

এই আয়োজন থেকে অতিথিরা অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে বোঝার সুযোগ পান; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিল্পের যাত্রায় তাদের অতিক্রান্ত বাধাগুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ পান।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে আচরণ বিধি লংঘন পোস্টার লাগানো হয়েছে সর্বত্র

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা আচরণবিধি না মেনে সরকারি স্থাপনা, মানুষের বাসাবাড়ির দেয়াল সহ,, বিদ্যুতের খুঁটিতেও লাগিয়েছেন পোস্টার। এছাড়া প্রার্থীরা উচ্চস্বরে মাইকিং, মিছিল, মোটরসাইকেল মহড়াসহ বিভিন্ন ধরনের বিধিবহির্ভূত কাজ করেই চলেছেন ।রবিবার ১২ এপ্রিল শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গেলে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী  ভবন, দেয়াল, গাছ,বিদ্যুৎ সহ টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে পোস্টার লাগানো নিষেধ রয়েছে । সরকারি স্থাপনাতেও পোস্টার লাগানো নিষেধ রয়েছে । কিন্তু সৈয়দপুর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কোন প্রার্থীই তোয়াক্কা করছেন না। এমনকি নির্বাচন কমিশন ও তা খতিয়ে দেখছেন না।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের ফটক এবং দেয়ালে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের পোস্টার  লাগানো রয়েছে। এ ছাড়া ইসলামবাগ, রসুলপুর ও রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকার বাসতবাড়ি ও  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে, বৈদ্যুতিক খুটিতে পোস্টার লাগিয়েছেন খেয়াল খুশি মতো।

অপর দিকে নির্বাচনী প্রচারে মিছিল নিষিদ্ধ থাকলেও মানছেন না কেউই । তারা নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল নিয়ে ঘুরছেন। আবার এই মিছিলের ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে মহড়া করতে দেখা গেছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজমল হোসেন সরকার বলেন, ‘ যাদের পোস্টার লাগানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা ভুল জায়গায় তা লাগিয়েছে। দেয়ালের পোস্টারগুলো  তুলে ফেলার কথা বলা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর-ই আলম বলেন,  সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

 উল্লেখ্য, সৈয়দপুর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়াম্যান পদে ৩ জন করে মোট ১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

আরও খবর



ডোমারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন ও নমুনা শস্য কর্তন কাজের উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image

মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, মাঠ পরিদর্শন করে নমুনা শস্য কর্তন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম।

রোববার সকাল থেকে শুরু করে বিকাল পর্যন্ত জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাগণ ডোমার সদর ইউনিয়ন, বড়রাউতা, চিলাই, পাগলা বাজার সহ বেশ কয়েটি মাঠে কৃষকের ধান, ভূট্টা, বীজতাল ও গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্্রসারণ কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনেশ^র রায়, রাব্বী আব্দুল্লাহ আবেদীন, কৃষক বিকাশ বর্ম্মা, সব্জি চাষী ওমর ফারুক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলবেন এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।

হাট-বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে ভালো দাম পাবেন এমন আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা। ডোমার সদর, বোড়াগাড়ী ও জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন ঘুড়ে দেখাযায় আনন্দ ও উৎসব মূখর পরিবেশে কৃষকরা ধান কেটে ঘড়ে তুলছে। কৃষকের সাথে কৃষানীদের আনন্দ যেন কমতি নেই। স্ত্রী সন্তান পরিবার নিয়ে অনেক কৃষক মাঠে ধান কেটে ঘড়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। ফসলের খেতে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের ধান। কৃষি অফিসের পরামর্শে চারা রোপন, সার, কিটনাশক ও নিয়মিত পরিচর্যার কারণে এবার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষকেরা।

কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৩হাজার ২শত ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর ৬৭ হাজার ৪শত মেঃটনঃ ধান অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তীব্র গরম ও তাপদাহ হওয়ায় কৃষকদের নিয়মিত সেচ দেয়ার পরামর্শ দিতে কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করেছে। হাইব্রিড জাতের ধান থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফলন অর্জিত হবে বলে তিনি আশা করেন।  

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় বোরো ধান খেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়েছে। কৃষি অফিসের তদারকীর কারণে আকার ভেদে ৪৯ শতাংশ জমিতে ৪০ থেকে ৪২ মণ ধান ঘরে তুলতে পারবো। ধান কাটা, মাড়ায়, পরিবহন সব বাদ দিয়ে ধান বিক্রী করে সংসারের খরচ মিটিয়ে দেনা পরিশোধ করতে পারবেন এমনটাই আশা করেন তারা। বড়রাউতা এলাকার এলাকার চাষী বিকাশ বর্ম্মা বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে ১০ বিঘা জমিতে ব্রি-ধান- লাগাই এতে বিঘা প্রতি ১৭/১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। ধান পেয়েছি ২৭/৩০ মন। বাম্পার ফলনের সঙ্গে ভালো দাম পেয়ে অনেক খুশি তিনি।


আরও খবর



দিল্লিতে মর্যাদাপূর্ণ ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতেছেন মিথিলা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে মর্যাদাপূর্ণ ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। টালিউড চলচ্চিত্র ‘ও অভাগী’র জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ঘরে তোলেন তিনি। এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মিথিলা নিজেই এই পুরস্কারপ্রাপ্তির তথ্য জানিয়েছেন।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে রাফিয়াত রশিদ মিথিলা অভিনীত ছবি ‘ও অভাগী’। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’র উপর ভিত্তি করে পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী বানিয়েছেন এই সিনেমা।

এদিকে চলতি বছরের ১৪ তম দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিয়েছেন মিথিলা। পুরস্কারটি অভিনেত্রীর তরফ থেকে গ্রহণ করেন পরিচালক এবং প্রযোজক।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে মিথিলা বলেন, এমন সম্মান পেয়ে আমি ভীষণ খুশি। আমার কাছে সিনেমা একটা টিম ওয়ার্কের মতো। সকলে ভালো কাজ করেছেন বলেই, আমার কাজটা আরও ভাল হয়েছে এবং জাতীয় স্তরে পৌঁছে গিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি কানাডায় ছিলাম আমার কিছু কাজের জন্য, ঢাকায় ফিরেছি। খবরটা পেয়ে ভীষণ স্বস্তিবোধ করছি। ভালো লাগত, দিল্লি গিয়ে পুরস্কারটা নিতে পারলে। কিন্তু কাজের চাপে সেটা হলো না।

প্রসঙ্গত, ‘ও অভাগী’ সিনেমায় মিথিলা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সুব্রত দত্ত, দেবযানী চ্যাটার্জি, ঈশান মজুমদার, সায়ান ঘোষ, সৌরভ হালদার প্রমুখ।


আরও খবর