Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন ফেরদৌস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৭১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:প্রয়াত সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হচ্ছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি।

গত সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা।

অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন তিনি। অংশ নিয়েছেন দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ফেরদৌস।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে নায়ক ফেরদৌস বনানী ডিওএইচএস এলাকায় বসবাস করছেন। ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসন গঠিত হয়েছে রাজধানীর গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট ও ভাসানটেক থানার ১৫, ১৮, ১৯, ২০ ও ৯৫ নং ওয়ার্ড নিয়ে।

এদিকে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা-১৭ শূন্য আসনে ভোট হবে আগামী ১৭ জুলাই। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১৫ জুন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন।


আরও খবর



৫ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সুবিধাকে আরও এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নিয়ে সরকার কাজ করছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)। আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২ তৈরির কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ। আর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নির্মাণে একাধিক দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। এই মুহূর্তে সবার প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে।

রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের ৬ষ্ঠ বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান তারা।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজার থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে আমাদের বিজয় কেতন উড়ছে। এই কেতন যেন চিরদিন উড্ডীন থাকে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে দেশকে সংযুক্ত করে যেনো আমরা উন্নত দেশের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যেতে পারি।

বিশেষ অতিথি প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, ‘এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে ১৫০ কোটি টাকার মতো আয় আসছে। এটি আরও বাড়ানোর জন্য সরকার কাজ করছে।‘

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয় বেঁচে যাওয়ার সঙ্গে বেঁচে গেছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। আজ আমরা অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বারপ্রান্তে। সাংস্কৃতিক মুক্তির আন্দোলনও শুরু হয়েছে।  

পলক আরো বলেন, সরকার এখন বাড়ি বাড়ি সংযুক্ত ক্যাবল সংযোগও ডিজিটাল করতে চায়। ভবিষ্যতে টেলিভেশন দর্শকদের ভিডিও অন ডিমিান্ড থেকে শুরু করে নতুন নতুন সেবা দিতে চাই ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর পক্ষ থেকে। অ্যাটকো-কোয়াব সবাইকে নিয়ে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করবো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অল্প দিনের মধ্যে সেটটপ বক্স বন্ধে কঠোর অভিযান শুরু হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রযুক্তি মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি করতে চাই।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, এই স্যাটেলাইট জনসম্পদ সুরক্ষা, অভ্যন্তরীণ নদী ও উপকুলের জলাভূমি, সমুদ্র ও নদীর স্তর স্রোতের গতি প্রকৃতি ও পানির গুণগত মান বিশ্লেষণ, জলীয় সম্পদের পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি, ভূমি গবেষণা, আবহাওয়া গবেষণা, ব্লু ইকোনোমি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইটের সি ব্যান্ড প্রায় শেষের দিকে। স্যাটেলাইটের জন্য প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এর মাধ্যমে দেশের সবগুলো চ্যানেলের পাশাপাশি এখন ২৬টি বিদেশি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। সাড়ে ৪ থেকে পৌনে ৫ বছরে বছরের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আয় হচ্ছে। এটি এতো ভালোভাবে উৎক্ষেপন ও পরিচালনা করা হয়েছে, আমি মনে করি স্যাটেলাইটের মেয়াদ ১৫ বছর থাকলেও, এটি ১৮ বছর পর্যন্ত বাঁচবে। আগামী তিন-চার মাস পর যখন এটি রিপ্লেসমেন্টের কাজ শুরু হবে সেটি আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পারবো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, অ্যাটকো সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েট প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৫৫জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃআসন্ন সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিককে ঘিরে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে।আগামী ২৯মে সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের নির্বাচন । আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে তার পক্ষে প্রতিদিনই নির্বাচনী সংযোগ করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার ২রা মে উপজেলার নিমতলা এলাকায় আবু বকর সিদ্দিক এর পক্ষে গণসংযোগ করেন তার সমর্থকরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবু বক্কর সিদ্দিক এর সহোদর ভাই আনিসুর রহমান খোকন, সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন সুরুজ ,বালুচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মাস্টার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সিরাজদিখান উপজেলার সন্তান আবু বকর সিদ্দিক বালুচরের তিনবারের স্বর্নপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।সাধারণ ভোটারদের অভিমত তিনি একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজ সেবক পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, এবং দানবীর।বালুচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আবু বক্কর সিদ্দিক ইতোমধ্যেই মন জয় করেছেন সাধারণ মানুষের।সিরাজদিখান উপজেলাকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে আবু বক্কর সিদ্দিক এর বিকল্প নাই। আবু বকর সিদ্দিক এর নির্বাচিত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

 তিনি সিরাজদিখান তথা সমগ্র মুন্সিগঞ্জ জেলার অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। জনপ্রতিনিধি হিসেবে একজন পরিচ্ছন্ন, দুর্নীতিমুক্ত ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি। সিরাজদিখান উপজেলায় আওয়ামী লীগ কে শক্তিশালী করতে বছরে পর বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ।এলাকার মানুষের বিপদে আপদে প্রয়োজনের সময় ছায়ার মতোই পাশে থাকেন। তার মতো ব্যক্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছবে।


আরও খবর



বরিশালে বীমাদাবীর ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

এস এম শফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাট:পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের বরিশালে অঞ্চলের মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্রাহকদের বীমাদাবীর ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১ মে) সকালে বরিশালে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের নিজস্ব ভবনের হল রুমে এ  বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের আল আমিন বীমা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদ রানা মাসুমের সভাপতিত্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলনে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য  বি এম ইউসুফ আলী। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উর্দ্ধতন  উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ব্রাঞ্চ কন্ট্রোল) সৈয়দ মোতাহার হোসেন, জনপ্রিয় বীমা প্রকল্পের উপ- ব্যবস্থাপনা  পরিচালক কামাল হোসেন মহসিন, ইসলামী ডিপিএস প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক খলিলুর রহমান দুলাল, পপুলার ডিপিএস  প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক আবু মঈদ শাহীন।

এ সময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  উর্দ্ধতন  মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প ইনচার্জ তানভীর আল নাঈম সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ। 

সম্মেলন শেষে ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার বীমা দাবীর চেক গ্রাহকদের হাতে হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী সদস্য  বি এম ইউসুফ আলী। 


আরও খবর



মসজিদ সংস্কারের অভাবে অন্যের গোডাউনে নামাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক গ্রামে গত দুই বছর ধরে অর্থাভাবে বন্ধ মসজিদ সংস্কার কাজ। বছরখানে ধরে পাশে অন্যের গোডাউনে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন পরিস্থিতিতে বিনা ভাড়ায় গোডাউন দিয়ে এক দম্পতি ও অর্থ অনুদান দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ।সরেজমিনে ঘুরে ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বরাব শুয়াপুর গ্রাম। উপজেলার একেবারে শেষ প্রান্তের শেষ গ্রাম এটি। এক সময় এ গ্রামে জনসংখ্যা ছিল অনেক কম। নদী ভাঙ্গনে কবলে পড়ে বিভিন্ন জেলার লোকজন এখানে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছেন।

বর্তমান এ গ্রামে প্রায় সাত শতাধিক জনসংখ্যা। এখানে বসবাসকারীদের বেশিরভাগ হতদরিদ্র। গত আড়াই যুগেরও আগে জীবিত থাকাবস্থায় ওই গ্রামের চাঁন মিয়া মাতাব্বর মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন। এরপর গ্রামের সবাই মিলে মাটি তোলে সেখানে বরাব (শুয়াপুর) জামে মসজিদ স্থাপন করা হয়। কোন রকমে ছাপড়া তোলে মসজিদের কাযক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছিল।

যুগের সাথে তাল মিলিতে গিয়ে উন্নয়নের লক্ষে ওই মসজিদটি ভাঙ্গা হয়। এরপর পাশে ছাপড়া দিয়ে বছর দুয়েক আগে কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করে আসছিলেন। কিন্তু সেটাও অনুপযোগী হয়ে পড়লে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন মুসল্লিরা। গত এক বছর ধরে পাশের একটি গোডাউনে মসজিদের কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছে। এর জন্য ভাড়া না নেয়ায় রিপন রহমান ও নাজমা বেগম নামে এক দম্পতি ওই গ্রামে প্রশংসিত হয়েছেন। মসজিদের পাঁচ তলা ভবনের ফাইন্ডেশন দিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে শুধু নিচ তলার পিলার দাঁড়িয়ে আছে। দুই বছর ধরে অর্থাভাবে ওই মসজিদের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। আর সংস্কারের অভাবে নিরুপায় হয়েই পাশের ওই গোডাউনে মসজিদ কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন খবর পান আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ। এরপর তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই মসজিদে মোটা অংকের অর্থ অনুদান দেন। এছাড়াও ওই মসজিদের সংস্কার শুরু হলে নিজের তহবিল থেকে আরো অনুদানের আশ^াস দেন তিনি। এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ। অপর দিকে খুব তাড়াতাড়ি মসজিদের সংস্কার কাজ শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন মসজিদ কমিটি। তবে মসজিদ উন্নয়নে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ। ওই গোডাউনের মালিক দম্পতি নাজমা বেগম বলেন, গত ২৫ বছর আগে মানিকগঞ্জ থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করি। এরও আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। টাকার অভাবে মসজিদের সংস্কার বন্ধ ও নামাজের উপযুক্ত স্থান না থাকায় আমাদের গোডাউন ব্যবহার করতে দিয়েছি। এর জন্য ভাড়া দিতে চাইলেও আমরা নেয়নি। তবে যতদিন মসজিদের কাজ না হবে, ততদিন এটা ব্যবহার করবে। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, বরং আমরাও অনেক খুশি।

বিনা ভাড়ায় ওই গোডাউনে কার্যক্রম ও নামাজ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মসজিদ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান,আগে এই পুরো গ্রাম প্রায় খালি ছিল। নদী ভাঙ্গণের শিকার হয়ে আসতে আসতে এখানে মানুষ ভরে গেছে। আর এসব মানুষের কথা ভেবে আমার বাবা জমি ওয়াকফ করে দিলে সবাই মিলে এই মসজিদ নির্মাণ করে। মসজিদের কিছু কাজ করার পর টাকার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন কিছু অনুদান পেয়েছি, গ্রামের সবাই সহযোগী করছে। এজন্য খুব দ্রুত আবার কাজ শুরু করবো। তবে সকলেও সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম জানান, ওই মসজিদের এমন অবস্থার কথা আগে জানা ছিল না। তবে আবেদন করলে ওই মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



নওগাঁর ওসমান এগ্রো ইন্ডা:(প্রা:) লিঃ কাছে ৩৫ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মহাদেবপুরে ওসমান এগ্রো ইন্ডা:(প্রা:) লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধ না করে বিভিন্ন হয়রানির প্রতিবাদে দাবীতে মানববন্ধন করেছে প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। রোববার দুপুরে উপজেলা সদরের মডেল স্কুল মোড়ের আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘন্টাকাল ব্যাপী এ টাকা আদায়ের দাবিতে মানববন্ধন করেন কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।উক্ত মানববন্ধনে পাওনাদার প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরাসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক ভুক্তভোগী অংশগ্রহণ করেন। 


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ওসমান এগ্রো ইন্ডাঃ (প্রাঃ) লিমিটেডের স্বত্তাধীকারী ওসমান গণি গং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় আড়াই’শ জন কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বাকীতে ৩৫ কোটি টাকার ধান ক্রয় করে এসব টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন তালবাহানা ও কালক্ষেপণ করতে থাকে। কখনো কখনো টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও মারপিটের হুমকী প্রদান করে।        তারা আরো বলেন, তিনি প্রতিষ্ঠান থেকে মূলধন অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে পরিবারের তথা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, জামাইসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের নামে রাজধানী ঢাকায় ১৫ থেকে ২০ টি বহুতল ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন জায়গায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে নিজেকে বাকী পরিশোধে অপারগ বলে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তাদের সাথে প্রতারণা করছে। এসব পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য জেলা প্রসাশকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তারা। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কালাই জয়পুরহাটের সমশিরা বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স ইসলাম এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্তাধীকারী আনোয়ার হোসেন, ধামইরহাট উপজেলার ফতেপুর বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স বেলাল ট্রেডার্সের স্বত্তাধীকারী  বেলাল হোসেন, খিরশিন গ্রামের কৃষক নূরুজামান, ব্যবসায়ী আল ইমরান, দিনাজপুরের ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ময়েন উদ্দিন প্রমূখ। 

মানববন্ধনে ওসমান এগ্রো ইন্ডাঃ (প্রাঃ) লিমিটেডের নিকট থেকে যাবতীয় পাওনা অচিরেই পরিশোধের দাবী জানান তারা।

আরও খবর