Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
এভারেস্ট জয় বাবর আলীর বাংলাদেশি হিসেবে তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০ নেটওয়ার্ক শেয়ারে রবি ও বাংলালিংক-এর যৌথ উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী চান দেশের সকল মানুষ শান্তি সম্প্রীতিতে এক ছাতার নিচে বাস করবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী মেসির ফেরার ম্যাচে মায়ামির নাটকীয় জয় ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস

মধুপুরে পৌর ছাত্রলীগের ইংরেজি নববর্ষ পালন

প্রকাশিত:রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৪৯জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর প্রতিনিধি:

পুরাতনের বিদায় নূতনের আগমন এটাই  চিরায়িত নিয়ম। অতীতের সকল হাসি কান্না সুখ দুঃখ হতাশা ব্যর্থতা ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুর  পৌর ছাত্রলীগ জমকালো আয়োজনে আনন্দ উল্লাসে নেচে গেয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইংরেজী নববর্ষকে স্বাগতম জানিয়েছেন। মধুপুর শহরের  রায়পাড়া মোড়ে মহাসড়কের ধারে বর্নিল আয়োজনে একাধিক কর্মসূচীর মাধ্যমে মহাধুমধামে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করে থার্টিফাষ্টনাইট। শৈত্যপ্রবাহের হার কনকনে শীতে ঘন কুয়াসা উপেক্ষা করে শত শত নেতাকর্মী উৎফুল্লভরে অংশগ্রহন করে। 


অনুষ্ঠানে মধুপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সংগ্রামী নেতা খঃ আলমগীর হোসেন শিমুল প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে রাত ১২.১ মিনিটে কেক কাটার মাধ্যমে নববর্ষকে স্বাগতম জানান।  শুভ চৌহানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগ নেতা খঃ আলমগীর হোসেন শিমুল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  উপজেলা যুবলীগ নেতা মোঃ আঃ লতিফ আকন্দ, পৌর যুবলীগ নেতা লাভলু আকন্দ, পৌর যুবলীগ নেতা আইয়ুব আকন্দ, মোঃ সাব্বির হোসেন,মধুপুর সরকারী কলেজ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় হাসান, সুজন, শাকিল, আকাশ,সাগর,রুদ্র, শুভ সরকার সপ্তম,সজিব,আওয়ামী ছাত্র পরিষদ মধুপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রেদুয়ান সরকার আমান প্রমুখ। 


প্রধান অতিথি খঃ শিমুল তার বক্তব্যে- বিদায়ী বছরের সব সফলতা, ব্যর্থতা, সুখ দুঃখ, হাসি কান্না, দ্বিধা দ্বন্ধ, হিংসা বিদ্বেশ ভুলে সকল হতাশা, অপ্রাপ্তির হিসাবের খাতা বন্ধ করে নূতন বছরে নূতন উদ্যমে সুস্থ্য রাজনীতি, প্রগতির ধারায় দেশ প্রেমের সাথে  উন্নয়নমূলক কাজে মনোনিবেশ করতে নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি  দেশের উন্নয়ন সম্বৃদ্ধি ও বিশ্বে যুদ্ধ ধ্বংসের অবশানে শান্তি কামনা করেন। পরে বর্নাঢ্য র‌্যালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রীতিভোজের মাধ্যমে কর্মসূচী শেষ হয়। মধুপুর থানা কর্তৃপক্ষকে শৃংঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা   


আরও খবর



মাদক ও আটক বাণিজ্যর অভিযোগে গোদাগাড়ী থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃমাদকের সাথে জড়িত ও আটক বাণিজ্যর অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। সোমবার জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ৫জন দারগা ও একজন কনেস্টবলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হচ্ছে,থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আকরামুজ্জামান, উপ-পরিদর্শক(এসআই)সত্যব্রত,সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই)আব্দুল করিম. সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই)মঞ্জুরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই)রঞ্জু,ও কনেস্টবল মাহবুব।পুলিশের একটি সূত্র জানায়,রোববার বিকালে পুলিশ সাইফুর রহমান (পিপিএম)গোদাগাড়ী মডেল থানা পরিদর্শনে এসে ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যদের অপরাধ সম্পর্কে অবহিত হন। এরপর ফিরে গিয়ে ৬জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।গোদাগাড়ী মডেল অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আব্দুল মতিন বলেন,৬জন পুলিশ সদস্যকে রাতেই থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া ৬জন পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসায়ীদের মাসোয়াহারা নিয়ে সহযোগিতা আটক করে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ আছে পুলিশ সুপারের কাছে বলে পুলিশ একটি সূত্র জানায়। রোববার সকালে দিকে চাপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কোদালকাটি গ্রামের বাদেফুল ইমলামের ছেলে আব্দুস সামাদ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ৩ লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় এসআই আকরামুজ্জামান। আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।এর আগে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর ছেলেকে আটককেরে অভিযোগে রোববার গোদাগাড়ী মডেল থানার প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রর ৪জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে করা হয়। প্রত্যাহার হওয়া চার সদস্যরা হলেন,প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন।



আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। তিনি ৩০তম পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন এবং ৩৪ বছর ৭ মাস পর অবসরে গেছেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসম। দৈনিক কালের কণ্ঠ গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৬টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল- লা মেরিডিয়ান ঢাকা-র শেয়ার, গোপালগঞ্জের ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট’, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমালের বিশাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উপরোক্ত তথ্য ও পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন করার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি।

তিনি আর বলেন, সাবেক আইজিপির যদি এতো সম্পদ থাকে তাহলে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। যারা সৎ আছেন তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা অসৎ, তারা অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় নামবেন। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকলে অসৎ কর্মকর্তারা বলবেন- আমরা বেনজীর হতে চাই। যদি দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে যাব।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। এখন আইজিপির ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে বেতন হয় প্রায় পৌনে দুই কোটির টাকা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শত শত কোটি টাকার মালিকানা উনার আছে, যা কাগজের হিসাবে এসেছে। আর বেহিসেবে যে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের আয়ের কোনো উপায় ছিল না। এরপরও ছয়টি কোম্পানি থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। গোপালগঞ্জে ১৪শ’ বিঘা জমি করেছেন। আরকিছু দিন সময় পেলে মনে হয় তিনি গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন। বৈধ না অবৈধ তা পরের বিষয়। যে হারে তিনি সম্পদ বানিয়েছেন, আর কিছুদিন হলে হয়ত উনার জমির ওপর দিয়েই আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে হতো।

সুমন বলেন, এতো সম্পদের রিপোর্ট আসার পর ভেবেছিলাম দুদক নিজেই হয়ত একটা উদ্যোগ নেবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এতো বড় দুর্নীতির বিষয়ে কি আর কেউ কোনো কথা বলবে না? দুদক নিজে কাজ না করলে নাগরিক হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব দুদককে একটু নড়েচড়ে বসার কথা বলা। আমরা বলছি না যে, বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করেছেন। যে অভিযোগটা এসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের সামনে, জাতির সামনে পরিষ্কার হোক। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই সম্পদ গড়েছেন। দুদক যদি এই আবেদন আমলে না নেয় তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে হবে। আমি এমপি হিসেবে এই প্রথম দুদকে এসেছি। যেসব জায়গায় দুর্নীতির বিষয়ে অন্যরা কথা বলবে না, আমার সাহস-সামর্থ্য থাকলে আমি কথা বলব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ আইন প্রণয়নের জায়গা। সুযোগ পেলে সংসদে আমি দুদকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, একজন অপরাধী নিজে তার দোষ স্বীকার করেন না। দুদক বলুক যে, বেনজীরের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। কোনো দুর্নীতি করেননি। সব সম্পদ সাদা পানির মতো। দুদক নিজে স্টার্ট নেয় না। দুদককে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করে দিতে হয়। কিছু পুরাতন গাড়ি আছে যা সেল্ফ স্টার্ট নেন না। দুদকও তেমন। এখন আমরা ও সাংবাদিকরা পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করলে তখন চলতে পারবে। দুদক চেয়ারম্যান এক ইন্টারভিউয়ে বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটে। শুধু এ কথা বললেই উনার দ্বায়িত্ব শেষ হবে না। দুর্নীতিবাজরা যেন বুক ফুলিয়ে হাঁটতে না পারে সেই ব্যবস্থা উনাকে গ্রহণ করতে হবে। আর যদি একেবারেই কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমাদের সবার দেশ ছাড়তে হবে।


আরও খবর



শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না। তিনি পরোয়া করেন দেশের জনগণকে।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

প্রতিবেশী দেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ন্ত্রণ করে’ সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা।

তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি নয়, আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশের জনগণ। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশের সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না। আজকে যত ষড়যন্ত্রই করুক, যত বিদেশি শক্তির নামে হুমকি-ধমকি দিতে পারে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে বিচক্ষণ নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেই পরিবর্তনের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ম্যাজিশিয়ান অব পলিটিক্স। আজ বাংলাদেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন শেখ হাসিনার ম্যাজিক।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতাবিরোধী কারাগারে ছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিল। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান নাস্তা খেতে খেতে আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ’ নেতাকর্মীকে ফাঁসি দিয়েছিল। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজ বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কী করেছিল এর প্রমাণ আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি নেতারা পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে। আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিল। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মী ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখে-শুনে বলছি নিজেদের শত্রু নিজেরা না হই। আপন ঘরে যাদের শত্রু, তাদের বাইরের শত্রুর দরকার হয় না। আজ শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তার সততা, সাহস থেকে। সাহস আর সততায় শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতোই হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। তার নির্দেশনার বাইরে যেন না যাই, অপকর্ম না করি, সতর্ক হয়ে যান। তিনি চুপচাপ আছেন বলে শাস্তি পাবেন না, তা নয়। শাস্তি ভোগ করতে হবে। যারা শাস্তি পেয়েছেন, তারা বুঝবেন। আর যারা পাননি, তারা স্মরণ করবেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।


আরও খবর



শিগগির আসছে আরিফিন শুভর ‘নীলচক্র’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ। গতবছর ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা মুক্তির পর দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেয়েছেন প্রশংসা। আর এবারে নতুন সিনেমার খবর দিলেন শুভ।

আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন সিনেমার ফাস্টলুক পোস্টার প্রকাশ করেছেন তিনি। সিনেমার নাম ‘নীলচক্র’।

পোস্টারে প্যাজেলের মাঝে দেখা গিয়েছে শুভর মুখ। কালো শার্টে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তালিয়ে আছেন তিনি। তার এক পাশে অসংখ্য খবরের কাগজ, তবে সেগুলো ঝাপসা। 

কী রহস্য আছে সিনেমাটি ঘিরে- তা অবশ্য এখনই বলছেন না অভিনেতা। নতুন সিনেমার খবর দিয়ে শুভ একটু রহস্য রেখে দিলেন। কারণ পোস্টারের সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘নীলচক্র কি নীল হবে না রক্তের রঙ লাল হবে সেটা দেখার অপেক্ষায়। শিগগির আসছে নীলচক্র।’ 

গতবছরই সিনেমাটির খবর জানিয়েছিলেন অভিনেতা। সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন তিনি। ‘নীলচক্র’ পরিচালনা করেছেন মিঠু খান। চিত্রনাট্য ও কাহিনি বিন্যাস করেছেন নাজিম উদ দৌলা ও মিঠু খান। 

বরাবরই শুভ চুপচাপ কাজ করতে পছন্দ করেন। তাই গতবছর শুটিং শুরুর আগে নতুন সিনেমার খবর দিলেও এর বেশি কিছু বলেননি।

অভিনেতা বলেন, ‘দর্শক সমসাময়িক একটি গল্প দেখতে পাবেন। গল্পের প্যাটার্ন ডার্ক, সঙ্গে আরো কিছু আছে।’

ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন প্রযোজিত ও ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন নিবেদিত এই সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান, ডলার প্রমুখ।


আরও খবর



লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃমেগাসিটি ঢাকার যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে রেখে এবং নগরবাসীর সড়কে চলাচলকে নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে সকল ট্রাফিক বিভাগ। যানজটকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সৃজনশীলতা ও বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিয়ে ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ ইমামের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ। 


ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগে জনসংখ্যার ঘনত্ব অধিক হওয়ায় এবং অধিক সংখ্যক যানবাহনের তুলনায় রাস্তাঘাট অপ্রতুল হওয়ায় মাঝে মাঝেই বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে পরিবহনের চালক, হেলপার, যাত্রী এবং সড়কের পথচারীবৃন্দ। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা এবং লেগুনার চলাচল। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের অধীনে কাপ্তান বাজার, দয়াগঞ্জ, জুরাইন, পোস্তগোলা, লাল মসজিদ, ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, মুন্সিখোলা, যাত্রাবাড়ী, কাজলা, স্টাফ কোয়াটার, কুতুবখালী এবং দনিয়া এলাকায় লেগুনা স্ট্যান্ড রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ যাচাই করে দেখা যায়, লেগুনার লুকিং গ্লাস না থাকা, অপরিপক্ক চালক দিয়ে লেগুনা চালানো এবং যান্ত্রিক ত্রুটি থাকা। পর্যায়ক্রমে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের লেগুনাগুলোকে সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করার লক্ষ্যে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের পক্ষ থেকে সকল লেগুনার মালিককে তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লুকিং গ্লাস লাগানোর জন্য কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়। গত ১৬/০৫/২৪ খ্রিস্টাব্দ উক্ত সতর্কবার্তা তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার পরে লেগুনার বিরুদ্ধে অভিযানে নামে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের সদস্যবৃন্দ। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ ইমামের প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় এডিসি (ট্রাফিক-ওয়ারী) বিভাগ সুলতানা ইশরাত জাহান এর নেতৃত্বে কাজ করে এসি (ট্রাফিক ওয়ারী) জোন কপিল দেব গাইন, এসি (ট্রাফিক যাত্রাবাড়ী) জোন তানজিল আহমেদ এবং এসি (ট্রাফিক ডেমরা) জোন মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস এর টিম। 

অভিযান শেষে লক্ষ্য করা যায় যে, ৬৮৪টি লেগুনা তাদের গাড়ির দুই সাইডে লুকিং গ্লাস লাগিয়েছে, লুকিং গ্লাস না লাগানোর জন্য ৪৩টি লেগুনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ। অন্যান্য যারা লুকিং গ্লাস লাগায়নি তারা আইনের আওতায় শাস্তির ভয়ে স্ট্যান্ডে আসেনি। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ আশা করছে লেগুনার লুকিং গ্লাস থাকাতে তাদের দ্বারা দুর্ঘটনার হার কমে যাবে। এরপরে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ লেগুনার গাড়ির চালকগণ যাতে বৈধ লাইসেন্স নিয়ে লেগুনা ড্রাইভ করেন তার বিরুদ্ধে প্রচারণাপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে ডিসি (ট্রাফিক ওয়ারী) বিভাগ জানান।


আরও খবর