Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

মানসিকতার পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত চর্চা অব্যাহত রাখেলেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব: মশিউর রহমান

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হতে গেলে প্রথমেই সকলের মন, মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। সেইসাথে প্রযুক্তি পরিবর্তন এবং কল্যাণমুখী নতুন প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে তা চর্চার মাধ্যমে আয়ত্ত করতে হবে। মন মানসিকতার পরিবর্তন ও সকল ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের চর্চা অব্যাহত রাখলেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য সচিব মশিউর রহমান এনডিসি।

মঙ্গলবার (১২মার্চ) বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে অবহিতকরণ’ এর লক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির  বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান এসব কথা বলেন।

পার্বত্য সচিব মশিউর রহমান এনডিসি বলেন, আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা অর্জন করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে এগিয়ে আসতে হবে। প্রযুক্তি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে আমরা ২০৪১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জাতীয় পোর্টাল বাস্তবায়ন স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ শামছুজ্জামান। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম এবং যুগ্ম সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি। কর্মশালায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিকসহ মন্ত্রণালয়ের পদস্থ  কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



মুজিব নগর দিবসে জয়পুরহাটে বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষা বৃত্তি পেলেন ৩৮ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

এস এম শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃমুজিব নগর দিবস উপলক্ষ্যে জয়পুরহাটে মেডিক্যাল,প্রকৌশল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৪০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে চৌদ্দ লক্ষাধিক টাকার বঙ্গবন্ধু উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।বেসরকারি সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আজ (বুধবার) দুপুরে সংস্থার অটিটরিয়ামে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। সভাপতিত্ব করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নুরুল আমীন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। পরে শিক্ষার পাশাপাশি সমাজ বিনির্মানে শিক্ষার্থীদের অগ্রনী ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী, জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নুরুল আমীন, উপ-নির্বাহী পরিচালক আবুল বাশার, সাংবাদিক আব্দুল আলীম প্রমূখ। শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত: পিকেএসএফ এর অর্থায়নে সংস্থাটি এসএসসি ও সমমানে উত্তীর্ণ ৬৫৩ জন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে প্রায় ৯১ লাখ এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত দরিদ্র পরিবারের তিন জন শিক্ষার্থীকে উচ্চ শিক্ষার জন্য ১ কোটি পঁচানব্বই লাখ টাকা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেছে।


আরও খবর



বিএনপিসহ সব অপশক্তিকে প্রতিহত করব: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী সব অপশক্তিকে প্রতিহত করব,বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের এ দিনে বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী সন্ত্রাসী সব অপশক্তি, যারা আমাদের বিজয়কে সংহত করার প্রতিবন্ধক, এদের আমরা পরাজিত করব, পরাভূত করব, প্রতিহত করব। আমাদের লড়াইকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।

স্বাধীনতা পাওয়ার পর আমাদের কোনো অর্জন বাকি আছে যেটা আমরা এখনো পূরণ করতে পারিনি- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অর্জন করার বাকি আছে সেটা আমি নিজেই আমার বক্তব্যে বলেছি। বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা হলো, বিএনপির মতো সাম্প্রদায়িক, সন্ত্রাসী, অশুভ শক্তি। এই শক্তিকে পরাজিত করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে।

বিএনপি দিবসটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণার যে দাবি জানিয়েছে সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি তো কোনো দাবি নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বলতে পারি না। মন্ত্রিসভা আছে, প্রধানমন্ত্রী আছেন। তারা এত বছর পর দাবিটা তুলছেন, কেন তুলছেন এটাও জানার দরকার আছে।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ধারাবাহিক লড়াইয়ে আমরা এগিয়ে যাব। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে যাব, এটাই হোক আমাদের শপথ।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আরও ৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে আগামী ২৮ এপ্রিল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) স্ব স্ব দপ্তরগুলোর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিলে খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে একই ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

রোজা ও ঈদের টানা ২৬ দিন ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার স্কুল খোলার কথা ছিল। এদিকে দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




ট্রেন বিলম্ব হলেও সহনীয় পর্যায়ে রাখব: মহাপরিচালক

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যদি বিশেষ কোনো ঘটনা না ঘটে তাহলে আমাদের যে ব্যবস্থাপনা আছে তাতে বাংলাদেশের সব ট্রেন সঠিক সময় চালানোর ব্যবস্থা করতে পারব,বলেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী । কিছুটা বিলম্ব হলে সেটা আমরা সহনীয় পর্যায়ে রাখব।

শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ঈদযাত্রা পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পশ্চিমাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেন সমন্বয় করার জন্য পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তাদের আমরা ঢাকায় নিয়ে এসেছি। কিছু বিলম্ব থাকতে পারে। কিন্তু খুব বেশি বিলম্ব হবে এটা আশা করছি না। বিলম্বগুলো সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য চেষ্টা করব।

সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ট্রেন বিলম্ব হবে এটা আমরা ধরে নিয়েছি। যখন ট্রেনটা ছাড়ে তখন একরকম থাকে, তারপরে যাত্রীর চাপ বাড়ে, পথে নানা ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কিছুটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে আবার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সবকিছু বিবেচনা করে ট্রেন চলাচলে কিছুটা বিলম্ব হবে এটা আমরা ধরেই নিই। যখন একটি ট্রেন বিলম্ব হয়; ধরে নিন একতা এক্সপ্রেস এখন দেরিতে ছেড়েছে। কিন্তু আমাদের একটা স্পেয়ার রেক পঞ্চগড়ে আছে। তখন আমরা সেই কোচ দিয়ে ওইখান থেকে সঠিক সময় ট্রেনটা আবার ছেড়ে দিই। ফলে আমরা কিছুটা বিলম্ব নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, আমাদের যে ট্রেনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলে তার বাইরে শেষ তিন দিন ভিড় সামাল দিতে আরও ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনও বাড়ানো হয়েছে। ট্রেন যাত্রীরা যদি বিশৃঙ্খলা না করে তাহলে আমাদের যে ব্যবস্থাপনা আছে, তাতে আমরা সামলে নিয়ে ট্রেন ঠিকভাবে চালাতে পারব।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪