Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুয়াশা আর তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে বোরো বিজ তলা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর সৈয়দপুরে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশার কবলে বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে আবাদ ব্যহত হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা।৷ 

সৈয়দপুর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রায় আপাতত মোট ২০  হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু গত ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকে কুয়াশা আর তীব্র শীতে উপজেলার অধিকাংশ বীজতলা নষ্টের পথে।

আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায়, গত ২ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিগ্রি থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আজ শনিবার ও ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 
অনেকের মতে,কুয়াশা থেকে বাঁচতে বীজতলায় পলিথিন এর ব্যবহার করেও লাভ করতে পারছে না কৃষকরা। চলতি মৌসুমে অধিকাংশ কৃষককেই চারা কিনে ধান রোপন করতে হবে। সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা না করলে অনেক কৃষকই লোকসানের কবলে পড়বেন।

উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান ৩০ ডিসেম্বর থেকে সৈয়দপুরে প্রচন্ড শীত হলেও  গত ৫ দিন থেকে সারা আকাশ কুয়াশাছন্ন থাকায় সুর্যের দেখা মেলেনি।কুয়াশা আর বৃষ্টির মতো শিশির পড়ে বেশিরভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এবারে চড়া দামে চারা কিনে ধানের আবাদ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

বাংগালী পুর ইউনিয়ন এর কৃষক হেলালও বেলাল জানায়,এবারে ১ বিঘা জমিতে বোরো আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম কিন্তু গত ৭/৮ দিন থেকে ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্রতায় বীজতলার করুন অবস্থা। পলিথিন মোড়া দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ৭/৮ দিন থেকে প্রায় প্রতিদিনই ৯ ডিগ্রি থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করায় বীজতলার গোড়া পঁচে যাচ্ছে। এভাবে আরো ২/১ দিন তাপমাত্রা উঠানামা করলে আবাদ করা মুশকিল হয়ে পড়বে।
 
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন, এবারে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব বীজতলা কুয়াশায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, সেগুলো জমিতে সেচ দিয়ে সারাদিন ভিজিয়ে রেখে বিকালে পানি বের করে দিতে হবে।এতে বীজতলার ক্ষতির আশংকা থাকবেনা। প্রয়োজনে এবিষয়ে কৃষকদের সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি। 

আরও খবর

মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে আবারো ২শ টন কয়লা পাচাঁর: নেই অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পথে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আবারো অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে। সীমান্তের বিভিন্ন বসতবাড়ি ও একাধিক ডিপুতে অভিযান পরিচালনা করলে কোটি টাকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এই সীমান্তে জোড়ালো কোন অভিযান হয়না বলে জানা গেছে।   

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- আজ বৃহস্পতিবার (২রা মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নামে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ৮০মেঃটন কয়লা ভারত থেকে পাচাঁর করে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাক, ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে মজুত করেছে। এরআগে ভোর রাতে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন চারাগাঁও ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী সুহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়াগং ভারত থেকে ১২০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে সীমান্তের নারী চোরাকারবারী লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া, সোহেল মিয়ার বাড়ি ও ফজলু সদর, কাইয়ুম সর্দারের ডিপুসহ আরো একাধিক স্থানে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, গরু, সুপারী,  চিনি, পেয়াজ, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও পাশের বীরেন্দ্রনগর ও বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। এছাড়াও সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩বছরে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে হয়েগেছে কোটিপতি। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে নায়েক সুবেদার খাদেমুল ইসলাম ও বিল্লাল কর্মরত থাকাকালীন সময় এই সীমান্ত চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে ছিল। আটক করা হয়েছে অবৈধ কয়লাসহ বিভিন্ন মালামাল। কিন্তু নায়েক সুবেদার সিদ্দিক যোগদান করার পর থেকে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। 

এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিয়ষে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার কামাল বলেন- চারাগাঁও সীমান্ত আমার কোম্পানীর অধিনে। ওই সীমান্তের চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলব। এই সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।



আরও খবর



গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যু,একজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যজন এখনো নিখোঁজ। রোববার গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম উসমান আলী (১৩), সে মহিশালবাড়ি সাগরপাড়া মহল্লার ওমর আলীর ছেলে। অপর নিখোঁজ শিশু সুলতান মুহাম্মদ সাইফ (১৫), সে একই এলাকার প্রবাসী নাসির উদ্দিনের ছেলে। দুজনই মহিশালবাড়ি আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, সকালে আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির পাঁচ ছাত্র পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় দুজন ডুবে যায়। পরে অন্য তিনজনের কান্নাকাটি দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। তারা উসমান আলীর মরদেহ উদ্ধার করে।

সাইফকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়।রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনজন ডুবুরি বেলা ১টা থেকে নদীর তলদেশে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ৩ টা) নিখোঁজ সাইফের সন্ধান পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিখোঁজ শিশুকে খুঁজে পেতে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। এরপরও সন্ধান না পাওয়া গেলে পরদিন অভিযান শুরু হবে।’গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশু উসমানের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।জানা যায়, চলতি মাসে তীব্র গরমে রাজশাহীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার মোহনপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে ২৩ এপ্রিল পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুঘাট এলাকায় পদ্মায় ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। ২১ এপ্রিল একই উপজেলার হরিপুরে নদীতে ডুবে এক কিশোর ও এক তরুণের মৃত্যু হয়। ২০ এপ্রিল বাঘা উপজেলায় নদীতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। ১৯ এপ্রিল একই উপজেলায় এক শিশু নদীতে ডুবে মারা যায়। তার আগে ১৪ এপ্রিল আরও দুই শিশু পদ্মা নদীতে ডুবে মারা যায়। সবশেষ গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাট এলাকায় নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।


আরও খবর



কোনাপাড়া আল আমিন রোডে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃডেমরায় অসহনীয় গরম থেকে বাঁচতে বৃষ্টির আশায় আল্লাহর কাছে দোয়া ও ক্ষমা চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন কোনাপাড়া  আল-আমিন রোড এলাকার মুসল্লিরা। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ডেমরা থানা এলাকার কোনাপাড়া  আল-আমিন রোড প্রধান সড়কে সালাতুল ইসতিসকারের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় ইসতিসকার সালাত আদায় ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন কোনাপাড়ার দোতলা মসজিদ খ্যাত বাইতুল তাকওয়া জামে মসজিদের  ইমাম ইমামুল হাসান।

সালাত আদায়ের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দলে দলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নামাজে অংশগ্রহণ করতে আল আমিন রোড প্রধান সড়কে একত্রিত হন।সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়ের জন্য এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রধান সড়ক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ আগত মুসল্লিদের জন্য সুপেয় পানি ও শরবতের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় কোনাপাড়া, ডগাইর এলাকাসহ আশপাশের মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ও মুসল্লিরা সালাতুল ইসতিসকার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



গুলশানে বারের সামনে মারামারি, ৩ নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি),রাজধানীর গুলশানে ক্যাফে সেলিব্রেটি বারের সামনে মারামারির ঘটনায় ৩ তরুণীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন আর রশীদ এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার তরুণীরা হলেন- শারমিন আক্তার মিম, নুসরাত আফরিন বৈশাখী ও ফাহিমা ইসলাম।

ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ক্যাফে সেলিব্রেটি বারের সামনের ঘটনায় গুলশান থানায় ভুক্তভোগী তরুণী রিতা আক্তার সুম্মি (২৫) মামলা দায়ের করেছেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযুক্ত ৩ নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের রাতে গুলশানের ক্যাফে সেলিব্রেটি বার থেকে মদ খেয়ে বের হওয়ার সময় মারামারিতে জড়ায় একদল তরুণী। এ ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় মাদকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত, স্বামী জেলহাজতে

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁ মহাদেবপুরে মাদকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করেছে মাদকসেবী স্বামী ফজলে রাব্বী (৩৬)। মাদকসেবী স্বামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় তাদের ভাড়া বাসায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর ছোট ভাই সৌরভ হোসেন বাদি হয়ে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলা সূত্রে জানায়, প্রায় ১৩ বছর পুর্বে এনায়েতপুর ইউপির কালুশহর মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত তজিবর রহমানের ছেলে ফজলে রাব্বীর সাথে নওগাঁ সদর উপজেলার বাছাড়ীগ্রাম পুর্বপাড়ার রেজাউল ইসলামের মেয়ে রিপা বানুর (৩০) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে রাফিয়া জান্নাত (৯) ও সামিউল ইসলাম রোহান নামের চার বছরের ছেলে রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাব্বী ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন এবং ওই দোকানের পাশেই ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। স্বামী ফজলে রাব্বী অধিক মাত্রাই মাদকাশক্ত হয়ে পড়ায় প্রায় তিন মাস পূর্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেন স্ত্রী রিপা বানু। ঘটনার দিন রাতে মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে স্ত্রীর কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রীর মাথায়, কপালে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রেফার্ড করেন। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ফজলে রাব্বীকে আটক করে। 

সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ফজলে রাব্বীকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর