Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা,সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এ সফর।

আইওএম মহাপরিচালক আজ রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ সফরে আসছেন। অ্যামির সফরে অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫ থেকে ৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচী শুরু করবেন।

জানা গেছে, ঢাকা সফরকালে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। অ্যামি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসনবিষয়ক জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন। এর আগে, তি‌নি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।


আরও খবর



দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আমার একটাই শক্তি সেটা হচ্ছে-জনগণ। তাদের শক্তি নিয়েই আমি চলি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। জনগণের মধ্যে একটি আস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে, আমি তাদের জন্য কাজ করি। কাজেই এই আস্থা ও বিশ্বাসটাই হচ্ছে আমার একমাত্র সম্বল। আর এই সম্বল নিয়েই আমি চলি। এ জন্যই আমি কাউকে পরোয়া করি না। এসময় তিনি দৃঢ় কণ্ঠ আরও বলেন, যতক্ষণ দেশবাসী আমার পাশে আছে ততক্ষণ আমি কাউকে পরোয়া করি না।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপত্বি করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। যে কাজগুলো আমরা করেছি তার সুফলটা দেশবাসী পাচ্ছে, সেটাকে স্বীকার করেন। কিন্তু প্রত্যেকটা কাজকে যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে (চেষ্টা) করা হয়, হ্যাঁ তাতে কি করতে পারেন, জনগণের কাছ থেকে তো আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ আমি জানি, আমার বাবার সঙ্গেও একই জিনিস হয়েছে। যতগুলো কাজ তিনি করে গেছেন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে- সংবিধান দেওয়া থেকে শুরু করে এমন কোন সেক্টর নাই যার ভিত্তিটা তিনি তৈরি করে দেন নাই। তারপরও তাঁর সমালোচনা, তার বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা, অনেক কিছু করে তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। যখন পারেনি তখন তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাকেও হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি সেটাও আমার জনগণ এবং দলের নেতাকর্মীরা সব সময় আমাকে ঘিরে রেখেছে। নিজেরা জীবন দিয়ে আমার জীবন বাঁচিয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্যই কাজ করে যেতে চাচ্ছি এবং কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিগত ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করেছে অন্যরা ২৯ বছরেও সে কাজ করতে পারে নাই। পারবেনও না কারণ প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রকল্প শেষ করেই ছাড়ি, টাকা খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, এটা হলো বাস্তবতা।

এ সময় পদ্মা সেতু নির্মাণের শুরুতে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন যে, এখানে কোন দুর্নীতি হয়নি এবং বিশ্বব্যাংকও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।

তিনি এ সময় দেশে বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অধিক অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের এটা ব-দ্বীপ। এখানকার ভূমি নরম থাকায় যে কোনো অবকাঠামোগত প্রকল্প গ্রহণে অধিক অর্থ ব্যয় হয়।

জিয়াউর রহমানের সময়ে দেশে এলিট শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে কথায় আসে ঋণখেলাপি, এই সংস্কৃতি কখন শুরু হয়েছিল? ওই জিয়াউর রহমান যখন অবৈধ ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সেই সময় থেকে। যার ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে। সেখান থেকে এখনও পূর্ণমুক্তি পাওয়া যায়নি। এটাই হলো বাস্তবতা। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে।

তিনি বলেন, আজ অনেকেই গণতন্ত্রের কথা বলে। গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে গেছে অনেকেই। আমার প্রশ্ন, যারা এখন গণতন্ত্র, গণতন্ত্র করে চিল্লায় তাদের জন্ম কি গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়েছে? না ওই রক্তাক্ত হাতে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই সেনা কর্মকর্তাদের পকেট থেকে? যারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল সেই রাজনৈতিক দল! জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সাংস্কৃতি জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু।

আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা ওঠে। তখন (বিএনপির ১৯৯১ সালের সরকারের আমল) বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ১৬শ মেগাওয়াট, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে মানুষের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রথম গণতন্ত্রের স্বাদ পান এবং তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন যে হয় এটা প্রথম উপলব্ধি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে।

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাবে রাজি হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতো বলে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাব? আমি তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। আমার পক্ষে তো দেশ বিক্রি সম্ভব না। আমি রাজি হইনি বলেই ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার চিত্র তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেন, অন্য এলাকায় থাকতে না পেরে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আমার কোটালিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। এই ছিল দেশের অবস্থা, এই হলো গণতন্ত্র! এই গণতন্ত্র তারা দিয়েছিল। ২০০১-০৬ পর্যন্ত এ তাণ্ডব তাদের চলে।

বাংলাদেশ বিএনপির আমলে দুর্নীতিতে এক নম্বর দেশ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের দেশে পরিণত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছিল, একই সঙ্গে ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভরাডুবির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তা হয়েছিল অবাধ, সুষ্ঠু। তাহলে বিএনপি কেন মাত্র ৩০টি আসন পেল? তাহলে তারা এখন কীভাবে বলে নির্বাচনে আসবে না, নির্বাচন হয় না বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। জনগণ ভোট দেবে জেনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

২০২৩ সালের আন্দোলনের সময় (২৮ অক্টোরব) বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাড়ির দরজায় হামলা করেছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা বিএনপির অভ্যাস আছে। সেটাও তারা করেছিল। সাংবাদিকদের খালি পেটানো না, প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, সেই রেকর্ডও আছে। অপকর্মের কোনও কিছুর বাদ নেই। তার জন্য আমার প্রশ্ন উঠে, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত!

রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ আইনের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা প্রশ্ন উঠান, বিশেষ আইন কেন করলাম। বিশেষ আইন এ জন্য করেছি, আমি তো ব্যক্তিখাতে সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যক্তিখাতে উন্মুক্ত করে দিতে হলে আইন করেই করতে হবে। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা শুধু সরকার দিয়ে হবে না, ব্যক্তিখাত দিয়েই করতে হবে। ব্যক্তিখাত না দিলে কর্মসংস্থানও বাড়ে না।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ আছে যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়? একটা দেশ দেখান। এখন ক্যাপাসিটি চার্জ বলে চিৎকার। বিশেষ আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং বেসরকারি খাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছিল সামিট, খুলনায় তারা এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে দেরি করেছিল, যে কয়দিন দেরি করেছিল প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হয়েছিল। সেই জরিমানা আমি আদায় করেছিলাম।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ছাড় আমি দেই না সেটা মাথায় রাখতে হবে। তাই এখানে দায়মুক্তির কিছুই নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে বন্ধ না হয় এ জন্য বিশেষ আইনটি করা হয়েছে। উন্নয়ন করতে হলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ দেওয়া। বিদ্যুৎ দিতে পারলে কর্মসংস্থান এমনিই তৈরি হয়।

সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র বহুমুখী করেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সোলার প্যানেল শুরু করেছি। বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুরু করেছি। কয়লাভিত্তিক করছি। তেলভিত্তিক-গ্যাসভিত্তিক সবই করছি। মানুষকে বিদ্যুত দিতে চাই। হ্যাঁ লোড। যে প্রচণ্ড গরম। সেখানে লোডশেডিং হয়েছে। আমরা সেটা স্বীকার করি। কিন্তু কৃষক যেন সেচটা পায়, সেখানে কিন্তু ভর্তুকি দেওয়া হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী অভিজাত এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়ার কথা বলেন। এ বিষয়টি তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।

সরকারের উন্নয়ন কাজের সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মায় রেললাইন নেই। এটার নাকি প্রয়োজনই নেই। এ রেললাইন ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছাবে সেইভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা প্রয়োজন নেই যারা বলেন তাদের কী বলবো অর্বাচীন ছাড়া? এত টাকা খরচ করে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন করলাম? এটার কী প্রয়োজন ছিলো! নিউক্লিয়ার পাওয়ার হচ্ছে সব থেকে ক্লাইমেট ফ্রেন্ডলি। কোনো দূষণ নেই।

তিনি আরও বলেন, সেই ১৯৬২ সাল থেকে এটা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা আমাদের ধোকা দিয়েছিল। দুটি পাওয়ার প্লান্ট করবে বলে দুটোই নিয়ে গেলো পাকিস্তানে (পশ্চিম পাকিস্তানে)। আজ আমরা পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করেছি। এখান থেকে সব থেকে ভালো বিদ্যুৎ আমরা পাবো। আমরা সেখানে আরও একটা করবো। ইতোমধ্যে আমি কথা বলেছি। ওখানেই আরেকটা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ মেট্রোরেল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন? এর কী প্রয়োজন ছিলো! তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে তো যানজটমুক্ত হতো। আজ প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার মানুষ মেট্রোরেল দিয়ে চলতে পারে। এটায় যারা চড়ছে তারা সুফল পাচ্ছে। যারা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তারা লজ্জা পাচ্ছে কি না জানি না।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ কেউ বলে বাংলাদেশে রাস্তা বানাতে এত খরচ কেন? এদের দেশের মাটি সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই। মাটির সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্কই নেই। আমাদের মাটি এটা একটা ব-দ্বীপ। এ মাটি দো-ফসলা। যাকে বলে জোবা মাটি। এ মাটি নরম। এখানে কোনও কিছু করতে গেলে... ওই যেনতেন করতে করতে গেলে দু-চারদিনের বেশি থাকে না। সেখানে আমরা মাটি তুলে আধুনিক প্রযুক্তিতে রাস্তা তৈরি করছি। রাস্তা যখন চড়েন দেখেন না? তো খরচ তো লাগবে। সেখানে শক্তমাটি সেখানে অত খরচ হয় না। নরম মাটি বলেই খরচ বেশি। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই।

বর্তমান সরকারের সঙ্গে অন্যান্য সরকারের উন্নয়ন চিত্রের তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করতে পেরেছি ওই ২১ বছর আর ৮ বছর, এই ২৯ বছরে কেউ করতে পেরেছে? পারেনি। পারবেও না। প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রজেক্ট শেষ করে ছাড়ি। টাকা খাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাংক চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। আমরা তা মোকাবিলা করেছি। প্রমাণ করতে পেরেছে? হ্যাঁ কিছু জিনিস আপনারা তৈরি করে গেছেন। ওই জিয়াউর রহমানের আমল থেকে কালচার একটা তৈরি করে গেছে। এদের কিছু আছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় সেই চেষ্টাও আমাদের আছে। আমাদের চেষ্টাই হচ্ছে দেশের উন্নতি করা। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

সমালোচকদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলো আমরা করছি যার সুফল জনগণ পাচ্ছে সেটাকে স্বীকার করেন। প্রত্যেকটি কাজ যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে হয় তাহলে কী করা যাবে। তবে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না। আমার একটা শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাদের শক্তি নিয়ে আমি চলি।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৫ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আবহাওয়া অধিদপ্তর আভাস দিয়েছে ঢাকাসহ দেশের ১৫টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে । এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেতও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



মাগুরায় বোরোধান কাটা শুরু, উৎপাদন হবে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন ধান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image
সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে:মাগুরায় বোরোধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। তাপদাহের কারনে ধান কাটা শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। সামনে বৃষ্টির আশংকায় ধান কেটে ঘরে তুলতে তারা সমস্যার মধ্যে পড়েছে। গত ৬ মে সোমবার সন্ধ্যায় হটাৎ বিষ্টি আসলেও তা সামান্য যা ধানের কোন ক্ষতি করতে পারেনি। মাগুরার জেলায়    বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জেলার ৪ উপজেলায় ৩৯ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।

 জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন ও চাষ বাড়াতে কৃষি প্রণোদনা পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ২৪ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বোরো বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস এ তথ্য জানায়। অফিস আরো জানায়, গত বছর ও ৩৯ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছিল। দেখা যায়  কৃষি প্রনোদনা কর্মসুচির মাধ্যমে কৃষকদের বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে  প্রনোদনা দেয়া হলেও বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পায়নি। তবে কোন দুর্যোগ দূর্বিপাক না হলে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে কৃষি বিভাগ জানায়।

 কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড, মোহাম্মদ ইয়াছিন আলী জানান, উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জনে মাগুরা জেলায় আবাদকৃত ৩৯ হাজার ৩৫  হেক্টর জমির মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায়  ২৬ হাজার ৮৫০ হেক্টর,  শ্রীপুর উপজেলায় ১ হাজার ৬০৫ হেক্টর, শালিখা উপজেলায় ১৩ হাজার৫৭০ হেক্টর, মোহাম্মদপুর উপজেলায় ৭ হাজার২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ থেকে  জেলার কৃষকদের বোরো ধান চাষে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। তিনি আশা করেন জেলায় এবার ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে।

আরও খবর



ছাত‌কে জমেছে ভোটের লড়াই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image

র‌নি,ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:ছাত‌কে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে মাঠের লড়াই জমজমাট হয়ে উঠছে। এ উপজেলা পরিষদের সিংহাসনে বসতে ৫ প্রার্থী মাঠে থাকলেও ভোটের মাঠে আলোচনায় রয়েছেন ৪ জন। উপজেলার ভোটারা বলছেন, এবারের নির্বাচন বিষয়ে আগাম মন্তব্য করাটা কঠিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে উপজেলায় ত্রিমুখী লড়াই হবে। এখানে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। যে যার মতো নির্বাচনী মাঠ নিজের দখলে রাখার চেষ্টা করছেন। এখানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের ৫ নেতার ম‌ধ্যে প্রবাসী ৪ জন। আওয়ামী লীগের মধ্যে ৫ জন প্রার্থী হওয়ায় নেতাকর্মী সহ ভোটাররা দ্বিধা-দ্বন্দে পড়েছেন। অপরদিকে উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা সরাসরি মাঠে না নামলেও তলে তলে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে গোপ‌নে ভোট প্রার্থনা করছেন। আওয়ামী লীগের বড় একটা অংশ একাট্টা হয়ে মাঠে সরব রয়েছেন। তাদের টার্গেট ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে যান এবং ভোট দেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বি এখন আওয়ামীলীগ। আওয়ামী লীগের নেতাকমীরা প্রবাসী আওলাদ আলীর পক্ষে প্রকাশ্যেই মাঠে কাজ করছেন। তার পক্ষে জোয়ার উঠেছে, তিনি অনেক ভোটে বিজয়ী হবেন ব‌লে ভোটারদের অ‌ভিমত। জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা নিরুত্তাপ থাকলেও বর্তমানে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌর সভায় নির্বাচনী উত্তাপ বইছে। জাপা বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা চায়ের দোকানে, বাজারে বসে সময় পার করছেন এবং পর্যবেক্ষণ করছেন। ভোটারদের নিরুৎসাহ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে তারা উপজেলা সদরে লিফলেট বিতরণ করছেন। শ্রমিক শাহজাহান নামে একজন জানান, ছাত‌কে উপজেলায় বিএনপি ভোট ব্যাংক হিসাবে দ‌ক্ষিন ছাতক পরিচিত। উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৫ প্রার্থী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপির ভোটারা কেন্দ্রে গেলে বিএনপি সমর্থন আওলাদ আলী রেজা (আনারস মাকা) বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।  আওয়ামীলীগ নেতা গৌছ মিয়া ও উপ‌জেলা যুবলীগ ‌নেতা সায়াদুর রহমান ছা‌য়েদ জানান, এবার নির্বাচনে নেতার জনপ্রিয়তা যাচাই করে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন ভোটাররা। তিনি বলেন, সবার প্রিয় প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা (আনারস) এগিয়ে আছেন, তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে। গো‌বিন্দগঞ্জ এলাকার একজন ব‌্যবসা‌য়ি  মুস‌লিম মিয়া জানান তার ব্যক্তি ইমেজ ছিল, তিনি এম‌পি গ্রু‌পের নেতা ছিলেন তার দল বদল করে মেয়র আব্দুল কালাম চৌধুরীর গ্রু‌পের যোগদান ক‌রেন।  ভোটের মাঠে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তিনি যদি জাপা ও বিএনপি অংশের ভোটার টানতে পারেন তাহলে বিজয়ী নি‌শ্চিত  হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল দুই যুগ ধ‌রে চ‌লছে। পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী  ও মুহিবুর রহমান মা‌নিক এম‌পি গ্রুপ না‌মে দু‌টি গ্রুপ র‌য়ে‌ছে ছাত‌কে। এ দু‌টি গ্রু‌পের বেশী ভাগ নেতা কমীরা রয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা্র প‌ক্ষে

প্রচার প্রচারনা চা‌লি‌য়ে যা‌চ্ছেন উপ‌জেলা আওয়ামীলী‌গের নেতাকমীরা। কানাডা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ আলী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কিরন,যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ আলী ও বতমান ভাইন্স‌চেয়ারম‌্যান আবু সাদাত মোহাম্মদ লা‌হিন। ২৯ মে নিবাচন অনু‌ষ্টিত হ‌বে। ভোটার সংখ‌্যা পুরুষ এক লাখ ৬০হাজার ৪৪জন,এবং ম‌হিলা একলাখ ৫১হাজার ৯শত ৩জন মোট ভোটার সংখ‌্যা ৩ লাখ ১১হাজার ৯শত৫৭ জন,কেন্দ্র সংখ‌্যা ১০৩ বুথ সংখ‌্যা ৬শত ৭১জন।


আরও খবর



জাপানে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:শনিবার (২৭ এপ্রিল) শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে জাপানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বনিন দ্বীপে।

ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০৩ দশমিক ২ কিলোমিটার (৩১২.৭ মাইল) গভীরে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল রাজধানী টোকিও থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণের পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র বলেছে, জাপানে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। জাপানের ভূমিকম্প কেন্দ্র বলেছে, বনিনে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ফলে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করার প্রয়োজন হয়নি।

এর আগে ২২ এপ্রিল এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানের প্রতিবেশী তাইওয়ান। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। তার আগে ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর স্বশাসিত দ্বীপ অঞ্চলটিতে এক হাজারের মতো আফটারশকের ঘটনা ঘটেছে।

তাইওয়ানের মতো জাপানও একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে দেশটির শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

সূত্র:রয়টার্স


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪