Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

তানোরে রাস্তার কার্পেটিং কাজে ব্যাপক অনিয়ম

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে রাস্তার কার্পেটিং কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন (ইউপির) আড়াদিঘি গ্রামের রাস্তায় ঘটেছে অনিয়মর ঘটনাটি। গত বৃহস্পতিবারে রাস্তাটিতে কার্পেটিং করা হয়েছে।  নিম্মমানের কাজে গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে কার্পেটিং দেয়া হয়েছে। এতে করে রাস্তার টিকসই নিয়ে সন্ধিহান গ্রাম বাসী।

আড়াদিঘি গ্রামের তোফাসহ  কয়েকজন ব্যক্তি জানান, রাস্তাটি ট্যাক্টর দিয়ে উল্টিয়ে পুরাতন খোয়া ও রাস্তার ধূলা মাটি দিয়ে বেড তৈরি করা হয়। তিল পরিমান নতুন খোয়া বালি ব্যবহার করা হয়নি। দীর্ঘ প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রাইম কোর্ড করে রাখা হয়। একারনে রাস্তার বেশির ভাগে প্রাইম কোর্ড উঠে যায়। উঠে যায় জায়গায় নতুন ভাবে পিচ বা বিটুমিন না দিয়ে গত বৃহস্পতিবার কার্পেটই করা হয়েছে। কার্পেটিং করার আগ মুহূর্তে কোন ধরনের যান চলাচল করতে দেয়া হয়নি। অথচ ড্রাম ট্রাকে করে পিচ পাথর আনা হয়েছে। একারনে বেশির ভাগ জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হলেও তার উপরেই পিচ দেয়া হয়েছে। আমরা বাধা দিলে ঠিকাদারের লোক জন সরকারি কাজে বাধা দেয়ার মামলার ভয় দেখায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অফিসের লোকজন ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে অফিসের লোক না থাকার কারনে ইচ্ছে মত দায় সারা কাজ করেছে ঠিকাদারের লোকজন।
জানা গেছে, VRRP প্রকল্পের আওতায় তানোর আমনুরা রাস্তার আড়াদিঘি সড়কের মেরামত কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ ফারুক চৌধুরী। উদ্ধোধন করলেও তারিখ দেয়া নাই। ১৩০০ মিটার রাস্তার কাজের বিপরীতে বরাদ্দ  ৭২ লাখ ৩৭ হাজার ৭২৯ টাকা,  চুক্তি মূল্য  ৬৯ লাখ ১০ হাজার ৪২ টাকা। দরপত্রে কাজটি পায় এক ঠিকাদার তার নিকট হতে এলজিইডি অফিসকে ম্যানেজ করে অগ্রিম কয়েক পারসেন লাভ দিয়ে কিনে নেয় রাজশাহীর ঠিকাদার রেবেল বলে নিশ্চিত করেন তার ম্যানেজার মনির ও এলজিইডি অফিসের কার্যসহকারী রাকিবুল হাসান এবং শরিফুল ইসলাম।

ঠিকাদারের ম্যানেজার মনির জানান, এঠিকাদার কোন অনিয়ম করে কাজ করেনা। একাজে ঠিকাদারের প্রচুর লোকসান। তাহলে কিনে কেন করতে হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, যারা কাজ করে বসে থাকতে পারেনা। লাভ ও লোকসানের কথা সব সময় ভাবা যায়না।
কার্যসহকারী রাকিবুল হাসান ও শরিফুল জানান, ড্রাম ট্রাকে করে অনেক দূর থেকে মালামাল এনে কার্পেটিং করা হচ্ছে। সব কিছুই সিডিউল অনুযায়ী হচ্ছে। ড্রাম ট্রাকে মালামাল আনার কারনে রাস্তার দুপাশের প্রাইম কোর্ড উঠে গেছে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন ওই সব জায়গায় সিল কোর্ট করা হবে। তবে সিল কোর্ট করা হয়নি, তার উপরেই কার্পেটিং করা হয়েছে। 

উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে, যদি কোন অনিয়ম হয় বিল দেয়া হবে না।

আরও খবর



মেহেরপুরে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টিতে কৃষি খাতে বিপর্যয়ের অশনি সংকেত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে প্রখর রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠ। অনাবৃষ্টি ও খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকের সেচ সুবিধা ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তাপদাহে ফসলের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া অপরিবর্তীত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। তবে ফলন বিপর্যয় ঠেকাতে কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস।

মেহেরপুর মূলতঃ কৃষি ভিত্তিক এলাকা। এখানকার মাঠে ধানসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ও সব্জীর আবাদ রয়েছে। কিন্তু তীব্র গরম সহ রোদের তাপে পুড়ছে বিস্তীর্ণ মাঠের নানা ধরণের ফসল। খরার কারণে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সেচকাজে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ কাজে বেড়েছে ব্যয়। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী সেচ লাগছে জমিতে। কৃষি কাজে শ্রমিকও লাগছে বেশী। গরমের কারণে মাঠে ঠিকভাবে কাজও করতে পারছেন না কৃষকরা। কয়েক দিনের মধ্যে ঘরে উঠবে বোর ধান। এছাড়াও প্রচন্ড দাবদাহে শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি।

জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর ধান, ৫ হাজার ৪৪১ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২ হাজার ৩৩৬ হেক্টর আম, ৭১৫ হেক্টর লিচু, ১৬৫ হেক্টর কাঁঠাল ও ৬ হেক্টর জাম বাগান রয়েছে। অপরদিকে পাটসহ অন্যান্য ফসল বপন করা হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে ক্ষেতের ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।

গাংনীর মানিকদিয়া মাঠের ধানচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রচন্ড গরমে মাঠে কাজ করতে পারছেনা। সকাল ১১ টার পর রোদের তাপ বেড়ে যাচ্ছে। বেশি শ্রমিক লাগছে। ৫ জনের কাজ ১০ জন শ্রমিক দিয়ে করাতে হচ্ছে। মাটির নিচ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পানির লেয়ার। যে ক্ষেতে এক ঘন্টায় সেচ করাজ শেষ হয় ওই জমিতে লাগছে অন্ততঃ তিন ঘন্টা।

এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকলে সব ধরনের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধানচাষি সহড়াবাড়িয়ার শামসুল ইসলাম জানান, তিনি খামারের মাঠে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করছেন। বর্তমানে মাঠে রয়েছে বোরো ধান। প্রতিটি জমিতেই ধানে ফুল রয়েছে। কিছু ধান দুগ্ধ আর কিছু ক্ষীর অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় ক্ষেতে হিটস্ট্রোক দেখা দিতে পারে। বোরো ধান পর্যাপ্ত পানি না পেলে চিটা হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার চার বিঘা জমিতে আম ও লিচু বাগান রয়েছে। আম ও লিচুসহ অন্য ফলে গুটি রয়েছে। তা ঝরে পড়ছে। ফলনেও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সবজি চাষি সাহারবাটির আকরামুল জানান, বর্তমানে মাঠে বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এ সবজিতে এমনিতেই সেচের পানি দিতে হয়। খরচও বেশি।

কিন্তু চলমান তাপদাহে জমিতে সেচ দেয়ার পরও কোন পানি থাকছে না। রাতে সেচ দিলে সকালে পানি শুকিয়ে যায়। আবারো সেচ না দিলে ক্ষেত শুকিয়ে যায়। ক্ষেত থেকে সবজি তুলে আড়ত পর্যন্ত নিতে সবজি শুকিয়ে কমে যায়। শ্রমিকও লাগছে বেশি।আম বাগান মালিক কাষ্টদহ গ্রামের শরিফুল জানান, গেল বছর গরমে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবছর সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয়েছিল। কিন্তু দেরিতে মুকুল আসে। এখন আমের গুটি রয়েছে। অনাবৃষ্টি আর গরমে গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। তার হিসেবে বাগানের ৩০/৩৫ ভাগ গাছের গুটি ঝরে পড়েছে। গুটি ঝরা ঠেকাতে সেচ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এবার অনেক বেশি লোকসান গুনতে হবে।

আম ব্যবসায়ি নজরুল ইসলাম জানান, গেল বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগে আম নষ্ট হয়েছিল। ঝরে পড়ে ছাড়াও পোকার আক্রমণ ছিল। গেল বছরের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে এবার কেনা বাগান বেশি পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু দেরীতে মুকুল আসে। সেগুলো ঠিক রাখতে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু চলমান তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারনে গাছের সিংহভাগ গুটি ঝরে পড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে গাছে আর আম থাকবে না। মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গেল ৫ দিন ধরে চলছে বৈরী আবহাওয়া। আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ২২ এপ্রিল ৪০.২ ডিগ্রি, ২১ এপ্রিল দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও ২০ এপ্রিল ৪২.৪ ডিগ্রি, ১৯ এপ্রিল ৪১.৫ ডিগ্রি, ১৮ এপ্রিল ৪০.৪ ডিগ্রি, ১৭ এপ্রিল ৪০.৮ ডিগ্রি ও ১৬ এপ্রিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। প্রচ- গরমের সাথে চলছে গরম বাতাস। যা গেল বছরের তুলনায় বেশি। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর এলাকায় হিট অ্যালার্ট জারী করে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখতে হবে। ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই দুই থেকে তিন ইঞ্চি দাঁড়ানো পানি রাখতে হবে। আমগাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে গাছের শাখা-প্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজির জমিতে আগামী এক সপ্তাহে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী দুই থেকে তিনটি সেচের ব্যবস্থা করা জরুরি।


আরও খবর



ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দিন রাত দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে।

নির্বাচনে জয়ী হতে তারা তাদের কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে হাট, বাজার, পাড়া মহল্লায় পথসভা, উঠান বৈঠক, মিছিল মিটিং করে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। পেষ্টারে ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। বিকাল হলেই শুরু হয় প্রার্থীদের নামে গান বাজনার তালে তালে গুনো কির্তন। দোয়া ও আর্শিবাদের পাশাপাশী নিজের মার্কায় ভোট চেয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে তারা। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ মোট ২১ জন বৈধ্য প্রার্থী মাঠে কাজ করছে।

চেয়ারম্যান পদে ৮ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ (আনারস), উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এ্যাড. মনোয়ার হোসেন (হেলিকপ্টার), সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক চৌধুরী (কাপ-পিরিচ), কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেত্রী সরকার ফারহানা আখতার সুমি (টেলিফোন), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার (ঘোড়া), কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাকিব আহসান প্রধান (কই মাছ), প্রভাষক এহছানুল হক (দোয়াত-কলম) এবং প্রভাষক মদন মোহন সিংহ পিন্টু (মোটরসাইকেল) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছে। এখন জনমনে অপেক্ষার পালা ৮ তারিখের নির্বাচনে কে হতে পারে উপজেলা পরিষদের প্রশাসন। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৫শত ৭১। মোট কেন্দ্র ৭৫ এবং বুথ সংখ্যা হবে ৫শত ৮৫টি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা নুরে আলম।


আরও খবর



পাঁকা আমের কাঁচা আটি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর( নীলফামারী) প্রতিনিধি:উত্তরের ১৬ জেলায় আম পাড়া শুরু না হলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজারে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমে সয়লাব হয়ে গেছে। আম পাকাশুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১৮ মে থেকে নির্ধারণ করা হলেও সৈয়দপুরের আড়তে ২৮ এপ্রিল থেকে আম ওঠতে শুরু করেছে। অপরিপক্ক এসব আম নানা নামে ৩৬০০ থেকে ৪০০০ টাকা মন দরে বিক্রি করা হচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাল মোহন নামে আমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, গোপাল ভোগ ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অপরিপক্ক এসব আম কেমিক্যাল দিয়ে পাকানোর ফলে আমের উপরের অংশ হালকা হলুদ ও বেশ চকচকে। যা ক্রেতারাও কিনছেন রশালো  ও মিষ্টি ভেবে। 

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার গরম আবহাওয়া ও বৃষ্টি না হওয়ার ফলে প্রায় গাছের আম ঝরে গেছে। একই সাথে আম বাড়তে সময় লাগবে।  যেসব গাছে আম আটক হয়েছে সেগুলি ১৮ মের আগে পরিপক্ক হওয়ার কথা নয়। কৃষি বিভাগের ঘোষিত  নির্ধারিত তারিখ ১৮মে ঘোষণা করা হলেও সৈয়দপুরের ফলের আড়ত ও খুচরা বাজারে কেমিক্যাল মিশিয়ে পাকানো আম বেচাকেনা চলছে জোরেশোরেই। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন, কৃষি বিভাগ ১৮মের পরে আম পাড়ার নির্দেশ দিলেও আমরা ২৩ মে’র আগে আম পাড়াতে নিরুৎসাহিত করছি। কারণ ১৮ মে’র মধ্যে আম পরিপুষ্ট হবে না।একই মতামত ব্যক্ত করেন নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচলক ডক্টর এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে মে মাসের শেষের দিকে আসবে দেশি আঁঠির আম,আর জুন মাসের প্রথম দিকে নামবে গোপাল ভোগ, ল্যাংড়াসহ রংপুরের বিখ্যাত হাড়ি ভাংগা আম। তিনি বলেন,  বাজারের যে সব আম বিক্রি হচ্ছে সেগুলি কেমিক্যাল মিশিয়ে অথবা কিলিয়ে পাকানোর মত।

ক্রেতা সহ সাধারন মানুষ বলছেন বাজারের যে সব আম বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলির উপরের অংশ হালকা হলুদ রং এর হলেও মিষ্টি নেই এবং আটি গুলি কাঁচা। অধিকাংশ আমই ১২ ঘন্টার মধ্যে শুকিয়ে যাচ্ছে। শহরের ১ নং রেল ঘুমটি এলাকার একাধিক ফল বিক্রেতা জানান, গিয়াস উদ্দিন নামের এক আড়তদার নাটোর ও শান্তাহার থেকে যেগুলি  আম আড়তে এনেছেন সেগুলির সবই অপরিপক্ক ও কেমিক্যালে পাকানো। ওই আড়তদার বিভিন্ন নামে আম বিক্রি করছেন  এবং দামও নিচ্ছেন অনেক বেশি। তারা বলেন অপরিপক্ক পাকা আম বিক্রির দায়ে রংপুর বিভাগের অনেকের জরিমানা করা হলেও গিয়াস নামের ওই আড়তদার দাপটের সাথেই বিভিন্ন ধরনের আম বিক্রি করে চলেছেন। সৈয়দপু ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব বাদশা মিয়া জানান, সৈয়দপুর শহরের ২/৩ জন আড়তদার খুলনা,নাটোর ও রাজশাহী থেকে আম নিয়ে আসছেন এবং এখান থেকে জেলার বিভিন্ন  বাজারে পাঠাচ্ছেন। কৃষি অধিদপ্তরের নির্ধারীত ১৮মে’র আগে যে গুলি আম বাজারে আনা হচ্ছে সেগুলির প্রায় সবই অপরিপক্ক পাকা আম।

জানতে চাইলে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন অপরিপক্ক পাকা আঠালো আম খেলে পেটের পিড়া হবেই হবে। শিশু সহ বয়স্ক মানুষ ওইসব আম খেলে ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। 


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দক্ষিণ পাইকপাড়ার আশ্রম থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করা হয়েছে। ওই আশ্রমে এখনও অভিযান চলছে। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামক বৃদ্ধাশ্রমের আড়ালে মিল্টন সমাদ্দারের নানা অপকর্ম নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার। নিজের পক্ষে কিছু তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিও তুলে ধরেন। কিন্তু তার দাবি এবং উপস্থাপিত তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মিল্টনের দেওয়া বেশিরভাগ তথ্যই ছিল মিথ্যা।


আরও খবর



বিরামপুরে কৃষকদের মাঝে সার-বীজ বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৮৮জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কৃষকদের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে  কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে আউশ ধানের বীজ, পাটবীজ ও পেঁয়াজ বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বিরামপুর উপজেলা কৃষি চত্বরে সার-বীজ বিতরণের উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন। সার ও বীজ বিতরণের সময় বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভার:) কৃষিবীদ জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জমিল উদ্দিন মÐল, মৎস্য কর্মকর্তা কাওসার আলী, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আকরাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সার-বীজ বিতরণের শেষে বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভার:) কৃষিবীদ জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস জানান, ৬০০ কৃষকের মাঝে উচ্চ ফলনশীল আউশ বীজ ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি, ১২০ জন কৃষকরে মাঝে  ১কেজি করে পাট বীজ এবং ৪০জন কৃষকের মাঝে  কেজি পেঁয়াজ বীজ, ২০ কেজি এমওপি ও ২০ কেজি করে ডিএপি বিতরণ করা হয়েছে।


আরও খবর