Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ককটেল হামলাকারীরা ছিল হেলমেট পরা : আফরোজা আব্বাস #ktvbangla #ktv

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ২০১জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাসা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় সরকারদলীয় লোকজন দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এই সভানেত্রী।

আফরোজা আব্বাস বলেন, দারোয়ান দেখেছে মোটরসাইকেলে ২ জন কালো পোশাক পরে এসেছিল। তারা হেলমেট পরাও ছিল। টহলে থাকা পুলিশ তাদের না ধরে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে।

আফরোজা আব্বাস আরও বলেন, শুধু বলে এসব করে ছাত্রদল-যুবদল। নিজেরা তাণ্ডব চালিয়ে দায় চাপায় বিরোধীদলের ওপর। পুলিশ প্রশ্রয় না দিলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এসব করতে পারত না। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব ঘটাচ্ছে।

তিনি বলেন, সকাল ৮ থেকে সোয়া আটটার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। থানায় ফোন দেয়ার পর পুলিশ এসে অবিস্ফোরিত একটি ককটেল নিয়ে যায়।

আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করেন, প্রতিকার চাইলে উল্টো মামলার ঝুঁকি আছে। মির্জা আব্বাস জেলে, তবুও হেলমাটবাহিনী এসব ঘটাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।


আরও খবর



রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাচনে- তিন পদে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আমল,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২১ এপ্রিল বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারই প্রথম শুধু অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এরমধ্যে রাণীশংকৈল উপজেলাও রয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে  মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৩ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪ - ২৬ এপ্রিলের মধ্যে, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ - ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে ও ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে।

রবিবার ( ২১ এপ্রিল ) এ উপজেলায় সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী নিজ নিজ মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, উপজেলা আ'লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সইদুল হক, আ' লীগ যুগ্ন সম্পাদক আহাম্মেদ হোসেন বিপ্লব, আ' লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য , আব্দুল কাদের।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোহেল রানা,  উপজেলা আ'লীগ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক, আওয়ামী যুবলীগ সম্পাদক, রমজান আলী, শ্রমিক নেতা, সাংবাদিক, হযরত আলী, কৃষক লীগ সভাপতি বাবর আলী, ও সম্পাদক দিগেন্দ্রনাথ রায় 
অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, শেফালী বেগম, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মাহফুজা বেগম পুতুল,  আ'লীগ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফরিদা ইয়াসমিন ও শারমিন আক্তার। 

উল্লেখ এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩ শ ৯১ জন। ৬৬টি কেন্দ্রে আগামি ২১ মে (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকির প্রতিবাদে সৈয়দপুর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় এর দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলা সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ ওয়ালীউর রহমান রতন। 

বক্তব্য রাখেন, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি জিকরুল হক, সকালের সময় প্রতিনিধি মোতালেব হোসেন হক, প্রভাতের আলোর সাংবাদিক মাসুদুর রহমান লেলিন, সমকালের জেলা প্রতিনিধি আমিরুল হক আরমান, নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি সাদিকুল ইসলাম, তৃতীয় মাত্রা প্রতিনিধি তামিম রহমান, নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন, ভোরের পাতার জয়নাল আবেদীন হিরো, যুগের আলোর রাজু আহমেদ প্রমুখ। 

সাংবাদিক বক্তারা বলেন, সংবাদ কর্মীরা সমাজের বিবেক। তারা অনিয়ম দূর্নীতি তুলে ধরে জাতিকে সচেতন করে। যে কারণে অন্যায়কারী ও দূর্নীতিকারীরা সতর্ক থাকে এবং সরকার দেশকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে দিক নির্দেশনা পায়। ফলে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, দেশ ও জাতি উন্নতি করে।  

তারা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করে অবাধ তথ্য প্রবাহের পথ অবারিত করেছে। অথচ সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় এই তথ্য প্রদানের পরিবর্তে সংবাদ কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে সরকার প্রধানের নির্দেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন। যা প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী করতে পারেন না।

বক্তারা আরও বলেন সম্প্রতি সৈয়দপুর শহরের ফাইভষ্টার মাঠে প্রানী সম্পদ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ৫০ ষ্টল বানানো হলেও ২৬ টি ষ্টলই ফাঁকা দেখা যায়। দিনব্যাপী মেলাটি প্রদর্শীত হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘন্টায় তা শেষ হয়ে যায়। এনিয়ে সত্য তথ্য উপাত্ত নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় সংবাদ কর্মীকে হলুদ সাংবাদিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।একই সাথে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করার হুমকি প্রদান করেন প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ।

একারনে আমরা এর তীব্র প্রডিবাদ জানিয়ে বিচার দাবী করছি। সেই সাথে সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ্যে ও ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে ক্ষমা চাইবেন। নয়তো ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে সৈয়দপুর থেকে অপসারণ করতে হবে। আর যদি তা না করা হয় তাহলে ওই কর্মকর্তার অপকর্মের পেছনে তার খুটির জোর কোথায় তা অনুসন্ধান করে জনসম্মুখে মুখোশ উন্মোচন করা হবে । পাশাপাশি আন্দোলন জোরদার করার হুশিয়ারি সংকেত দেন তাঁরা।এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলার প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার সাংবাদিকদের সাথে কোন কথাই বলবেন বলে জানান তিনি। 

আরও খবর



নওগাঁয় দেওয়ালে চাপা পড়ে রাজ মিস্ত্রির মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১২জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা ; নওগাঁ:নওগাঁর সাপাহারে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে আবদুল জলিল (৩৫) নামে এক রাজ মিস্ত্রির মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ভাগপাড়ল গ্রামের আবদুস ছাত্তার এর বাড়িতে রাজ মিস্তির কাজ করতে গেলে অসাবধানতাবশত চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়।

নিহত আবদুল জলিল গোপালপুর ময়নাকুড়ি গ্রামের সেন্টু রহমানের ছেলে।        বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের স্বজনরা জানান, এদিন কাজের উদ্দেশ্যে সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আবদুস ছাত্তার এর বাড়িতে রাজ মিস্তির কাজ করতে যান।বাড়ি মালিক জানান, মাটির বাড়িতে প্রায় ২ফিট ইট দিয়ে পাকা করার জন্য দেওয়ালের গোড়ার কিছু মাটি কেটে সরানোর হচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ করেই কিছু বুঝে উঠার আগেই সেই দেওয়ালটি ভেঙ্গে আবদুল জলিলের গায়ের (শরীরের) উপরে এসে  পড়ে। এতে দেওয়ালের নিচে চাপা পড়েন তিনি। তাৎক্ষনিক বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে  সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে  দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোফাজ্জল হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এবিষয়ে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  পলাশ চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। পরিবারর  কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরার শালিখায় এক দারোগা পত্নীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শালিখায় রুনা খাতুন (৩৬) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন বাজার রোড এলাকার কাজী গোলাম মোস্তফা টুকুর মেয়ে। তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাগুরা সদর থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।

শনিবার সকালে শালিখা থানা পুলিশ ভাড়াবাড়ির শয়ন কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত রুনার লাশ উদ্ধার করে। লাশের  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে রুনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত প্যাথেডিন নেওয়ার অসংখ্য চিহ্ন দেখতে পেলেও মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

নিহত রুনা খাতুনের স্বামী এসআই সাইফুল এবং তার সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যা বলে জানালেও সন্তানদের কেউ মাকে হত্যা করতে পারে বলে দাবি করেছেন নিহত রুনার ভাই-বোন সহ বাবার বাড়ির লোকেরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর থানায় কর্মরত এসআই সাইফুল ইসলাম শালিখা উপজেলার গোপালগ্রামে প্রবাসী তাহের উদ্দিনের দ্বিতল বাসায় স্ত্রী রুনা এবং দুই সন্তান রাতুল (২০), মহম্মদ আলি (১৫) ও রাতুলের স্ত্রী হৃদরি (১৮) কে নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তিনি মাগুরা সদর থানা এলাকায় ডিউটিরত ছিলেন। এ অবস্থায় শনিবার ভোর ৫টার দিকে বড় ছেলে রাতুল থানায় খবর দেয় তার মা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে শালিখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় ঘরের মধ্যে লাশের অবস্থা এবং পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় নিহতের ছেলে রাতুল, মহম্মদ আলি এবং রাতুলের স্ত্রী হৃদরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে স্বামী এসআই সাইফুলের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে রুনার বড় বোন সারমিন সুলাতানা সীমা জানান, সপ্তাহ খানেক আগে বোন বাবার বাড়ি থেকে কোটি টাকার জমি বিক্রি করেছে। এর আগেও ৫-৭ কোটি টাকার জমি বিক্রি করে ছেলেদের দিয়েছে। তারপরও বোনকে তারা মেরে ফেলেছে।নিহতের ভাই কাজী মেহেদি হাসান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়েই গোপালগঞ্জ থেকে এসেছি। এর আগে অনেকদিনই এদের কারো সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। বোনের ছেলেরা মাদকাসক্ত। টাকা পয়সা ছাড়াও নানা কারণে ছেলেরা মায়ের উপর অত্যাচার করতো। এসব বিষয়ে বোন জামাই সাইফুলকে জানানো হলেও তিনি আমলে নেননি। শেষ পর্যন্ত তারা পরিকল্পিতভাবে বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে রাতের বেলা মিজানুর রহমান নামে এক প্রতিবেশি ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে নারী কণ্ঠের চিৎকার শুনতে পেলেও সেখানে গিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ দেখেন এবং কারো কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ফিরে আসেন বলে জানান তিনি।

পুলিশ পরিবারের সদস্য গৃহবধূ রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, নিহতের স্বামী এবং সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানালেও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তে জানা যাবে। 


আরও খবর



নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আবুল হাসান (২৫) নামে এক আরবী শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের আরবী শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে আরবী পড়তে যান একই গ্রামের ভুক্তভোগী ৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। ওইদিন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে দেরী করায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়ে সবাইকে আরবী পড়াতে শুরু করেন আবুল হোসেন। পড়া শেষে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল হক। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা এমন জঘন্য ন্যাক্কার অসামাজিক ঘটনা ঘটানোর আগে অন্তত হাজার বার ভাববে।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষক আবুল হাসান ন্যায় বিচার পাননি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


আরও খবর