Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা: বাইডেন প্রতিশোধের হুংকার দিলেন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ২০২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে, জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, আমেরিকার হৃদয় আজ দুঃখভারাক্রান্ত।

জো বাইডেন বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রতিশ্রুতি বজায় রাখব। আর এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দমতো উপায়ে হামলার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতা করতে হবে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয় বলে জানায় মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সিইএনটিসিওএম)। এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ৩৪ জনেরও বেশি সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ হামলায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।

তিনি বলেছেন, আমরা এখন এ হামলার তথ্য সংগ্রহ করছি। আমরা এটা জানি যে, সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠনগুলো এ হামলা চালিয়েছে।

এর আগে, সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত, ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন ও জোট বাহিনীর ওপর ১৫৮টিরও বেশি হামলা হয়েছে, যদিও কর্মকর্তারা ড্রোন, রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ক্রমাগত হামলাকে ব্যর্থ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।


আরও খবর



তীব্র গরমে বাড়ছে শিশুরোগী হাসপাতালে শয্যা সংকট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত ৩ দিনে প্রায় ৮০০ শিশুরোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। প্রতিদিন শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ১ বছরের শিশু মেসবান  ৩/৪ দিনের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ডাইরিয়ায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটির মা আমেনা বেগম বলেন কয়েকদিন ধরে বাচ্চার জ্বর।এরপর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত। বেবি নামের অপর এক নারী বলেন, তাঁর ৬ বছরের শিশু আরমান হোসেন, গত তিন দিনের গরমে ১০২ ডিগ্রি জ্বরের পর ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালের ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয়ের চিকিৎসায় জ্বরের সাথে সাথে ডাইরিয়াটাও কমেছে। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের অধিকাংশ শিশুই মেসবানের মত অবস্থা।হাসপাতালের সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৪০০/৫০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।এর মধ্যে অর্ধেক রোগীই হলো শিশু।  গড়ে প্রতিদিন ৭০/৮০ শিশু রোগী জ্বরের পর ডাইরিয়ায় আক্রান্তে ইনডোরে ভর্তি হচ্ছে। গত ৩/৪ দিন থেকে ৪০/৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করায় অসুস্থ হওয়া শিশুদের নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাবা মায়েরা ছুটছেন হাসপাতালে। কিন্তু শয্যা সংকটের কারনে কেউ কেউ মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন, আবার অনেকেই শিশুকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।  

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আফরোজা সিমু জানান,গত বছরের তুলনায় এবছর গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়া রোগীর চাপ বেড়েছে।  তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮০%। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। কেউ কেউ মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিলেও শয্যা সংকটের কারনে সব রোগী ভর্তি নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।তিনি বলেন, গরমের তীব্রতা বাড়লে হিট ষ্ট্রোক হতে পারে। এজন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শরীর থেকে পনি শুন্যতা রক্ষায় বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর মুখ ও ঘাড় ভিজিয়ে নিতে হবে। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন,গত বছরের তুলনায় বর্তমানে যেভাবে গরম পড়েছে, তাতে শিশুদের অবস্থা কাহিল। তীব্র গরমে শিশুদের প্রথমে জ্বর, এরপর ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক শিশু ডাইরিয়ার সাথে নিউমোনিয়া রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সেবার ব্যাবস্হা রয়েছে।  শয্যা সংকট হলেও ঔষধ সংকট নেই। তবে প্রতিটি বাবা - মাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এরপরেও যদি শিশুর জ্বর, কাশি,ডাইরিয়া ও শাসকষ্ট হতে দেখা যায়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি। 

আরও খবর



সি‌লেট বিভা‌গের শ্রেষ্ঠ ও‌সি হ‌লেন মোহাম্মদ শাহ আলম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

র‌নি,ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:সিলেট বিভাগের ৩৯টি থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নির্বাচিত হয়েছেন।সুনামগঞ্জ‌ জেলার ছাতক থানার মোহাম্মদ শাহ আলম। গত মঙ্গলবার  তাকে এই পুরস্কার দেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম (বার)পিপিএম-সেবা। সিলেটে মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। মূলত পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশনা মোতাবেক মান দণ্ডের বিচারে গত জানুয়া‌রি  থে‌কে মার্চ তিন মাসের অপরাধ সভা পর্যালোচনায় সিলেট বিভাগের ৩৯টি থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ আলম।

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার ওসি মো. শাহ আলমের কর্মদক্ষতায় বদলে গেছে ছাতক থানার সার্বিক চিত্র। তি‌নি পে‌য়ে‌ছেন শ্রেষ্ঠত্বের পুরুষ্কার। উন্নতি হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির। সাম্প্রতি থানায় কমতে শুরু করেছে মিথ্যা মামলা রুজুর সংখ্যা। নিয়মিত অভিযানে বেড়েছে পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারের সংখ্যা। পুলিশের কঠোর নজরদারিতে কমেছে উপজেলায় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও দস্যুতার মতো অপরাধমুলক ঘটনা।

২০ ২৩ সালের ৭ আগষ্টে ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম (আইজিপি ব্যাজপ্রাপ্ত) যোগদানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯৫টি সাজা পরোয়ানা খারিজ করা হয়েছে ও দুর্ধর্ষ ৬জন আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছর ও চলতি বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত অপরাধ পরিসংখ্যান যাচাই করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।তাছাড়াও বর্তমানে ছাতক থানা দালাল মুক্ত হওয়ায় স্থানীয়রা আইনি সেবা পেতে অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সেবা গ্রহীতারা। যার বড় সাফল্য হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন রকমের সংঘাত ছাড়া সুষ্ঠ সুন্দর হয়।

থানার অপরাধ পরিসংখ্যান হিসাব অনুযায়ী শাহ আলমের যোগদানের পর থেকে-২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে ২৪ সালের জানুয়ারী মাস পর্যন্ত কোন ডাকাতি কিংবা দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি। খুন ৫টি, ধর্ষণ ৬টি, গবাদি পশু চুরি ১টি, অস্ত্র আইন ৩টি, চোরাচালান ২১টি, মাদক ১২টি, ১৯টি মহিষ উদ্ধার, ২শ বোতল ভারতীয় মদ, ৩০কেজি গাজা, প্রায় ১৩শ বস্তা চিনি ও ১৪০বস্তা পেয়াঁজ জব্দ, যৌতুক,সিধেল চুরি,মোবাইল চুরি,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন,সড়ক দুর্ঘটনা,১০টি সহ অন্যান্য আইনে ওই বছরের ৬ মাসে মোট মামলা রজু করা হয় ১৩৪টি। নিষ্পত্তি করা হয়েছে ১৭৬টি। একই সময়ে থানা পুলিশের অভিযানে মোট গ্রেপ্তার করা ক‌রেন ১৬৮ জনকে। মোট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করা হয়েছে মোট ৮৫টি। এর মধ্যে জিআর,সিআর মামলায় ৩০টি ও সাজাপ্রাপ্ত ২৮ জন আসামি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আদালতে মোট নন এফআইআর প্রসিকিউশন দেওয়া হয়েছে ১১০টি। এছাড়াও ভারতীয় পিয়াজ, চিনি, নাসির বিড়ি, গাজা, বিদেশী মদ ও শাড়ী জব্দ করা হয় ১কোটি ২৩লক্ষ ৩২হাজার ৭৩৫টাকার অবৈধ পন্য।

এদিকে, মামলার রুজুর বিষয়ে কঠোর যাচাই-বাছাইর কারণে ইদানিং মিথ্যা মামলা থেকেও রেহাই পাচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ। পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিতই বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাইকিং এর কারনে বড় রকমের দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটে‌নি  বলে  চলে এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনার কারণে কমেছে হামলা মামলার প্রবণতা। সর্বশেষ চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় পণ্য পিয়াঁজ, চিনি সহ ৭জন আসামিকে গ্রেপ্তারসহ টিউবওয়েল চুরির পণ্য উদ্ধার করা হয়।

থানার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মাদকদ্রব্য,চোরাচালান, মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখায় এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় তাকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে পুরুস্কৃত করা হলো। সভায় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলার পু‌লিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ সহ চার পু‌লিশ সুপার উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

জানা গেছে,এর আগে তিনি রাজধানী ঢাকাস্থ ডিএমপি শাখায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ী মাদারীপুর জেলায়।তিনি ২০২৩ সালের (৭ আগষ্ট) ছাতক থানায় যোগদাে‌নের পর বিভা‌গের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পুরুস্কৃত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ আলম।ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, থানার সব অফিসার ও ফোর্সদের দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই তার এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। সিলেট বিভাগের এই শ্রেষ্ঠত্বের অর্জন ছাতক থানার সকল অফিসার ও ফোর্সকে উৎসর্গ করেন তিনি।


আরও খবর



অর্থের অভাবে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:টাকার অভাবে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারেননি মোসলেমা আক্তার। এবার বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা শাখার এক দায়িত্বশীলকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিষয়টি জানান মোসলেমা। তখন নগদ অর্থ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। 

আজ রবিবার (৫ মে) বেলা ১১ টায় দিনাজপুরের হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ওই শিক্ষার্থীর হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর শাখার সদস্যরা।এসময় সেখানে হিলিবার্তার প্রতিবেদক মোস্তাকিন হোসেন,বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর উপজেলা শাখার সহসভাপতি মুনিরা আক্তার,কোষাধ্যক্ষ সুমি আক্তার ও কর্ম ও পরিকল্পনার মৌ আক্তার।

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোসলেমা আক্তার বলেন,আমার বাবা পানামা পোর্টে কাজ করেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে পোর্টে তেমন কাজ নেই। সারা দিনে কাজ করে যে টাকা পান,তাতে আমাদের সংসার ঠিকমতো চালাতে কষ্ট হয়।

তাই আমার এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকাও বাবা দিতে পারছিলেন না। আমি অনেকের কাছে ধার হিসাবে টাকা চাইলেও কোথাও পাইনি।এমনকি একজন জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। তখন আমি কোনো উপায় না পেয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিনকে বিষয়টি জানাই।

তখন তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং পরদিন কলেজে যেতে বলেন। আজ রোববার কলেজে গেলে তারা আমার হাতে ফরম পূরণের টাকা তুলে দেন। তখন আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না,এত অল্প সময়ে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার পাশে না থাকলে এবারও টাকার অভাবে পরীক্ষা দিতে পারতাম না। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক এই কামনা করি। 

ওই পরীক্ষার্থীর বাবা বলেন,আমি একজন দিনমজুর মানুষ। সারাদিন পোর্টে কাজ করি। এতে যে টাকা পাই তা দিয়ে চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়।আমার দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। মোসলেমা আমার ছোট মেয়ে। তার  পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছা। কিন্তু আমার তো তেমন সামর্থ্য নেই। আজ আপনারা আমার মেয়ের পাশে এভাবে দাঁড়াবেন তা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।আপনাদের সবার জন্য দোয়া করি,মহান আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক। আপনারা যেন অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিন বলেন,একটি কল রিসিভ করতেই কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। কল করা মোসলেমাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলল,আপনারা তো শুভসংঘ করেন। আমাকে একটু সহযোগিতা করেন। আমাদের সংসার ঠিকমতো চলে না। দিন এনে দিনে খাই। তাই গেল বছর টাকার জন্য ফরম পূরণ করতে পারিনি।এবারও টাকার জন্য করতে পারছি না। শুভসংঘ থেকে সহযোগিতা পেলে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারব। তখন আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম। এরপর বিষয়টি আমি বসুন্ধরা শুভসংঘের দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রাসেল ও সাংবাদিক মোস্তাকিন ভাইকে বলি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেন। আর রাসেল ভাই রাতেই টাকাগুলো পাঠিয়ে দেন। আজ আমরা সেই টাকা মোসলেমার হাতে তুলে দিই।


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যু,একজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যজন এখনো নিখোঁজ। রোববার গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম উসমান আলী (১৩), সে মহিশালবাড়ি সাগরপাড়া মহল্লার ওমর আলীর ছেলে। অপর নিখোঁজ শিশু সুলতান মুহাম্মদ সাইফ (১৫), সে একই এলাকার প্রবাসী নাসির উদ্দিনের ছেলে। দুজনই মহিশালবাড়ি আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, সকালে আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির পাঁচ ছাত্র পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় দুজন ডুবে যায়। পরে অন্য তিনজনের কান্নাকাটি দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। তারা উসমান আলীর মরদেহ উদ্ধার করে।

সাইফকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়।রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনজন ডুবুরি বেলা ১টা থেকে নদীর তলদেশে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ৩ টা) নিখোঁজ সাইফের সন্ধান পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিখোঁজ শিশুকে খুঁজে পেতে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। এরপরও সন্ধান না পাওয়া গেলে পরদিন অভিযান শুরু হবে।’গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশু উসমানের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।জানা যায়, চলতি মাসে তীব্র গরমে রাজশাহীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার মোহনপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে ২৩ এপ্রিল পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুঘাট এলাকায় পদ্মায় ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। ২১ এপ্রিল একই উপজেলার হরিপুরে নদীতে ডুবে এক কিশোর ও এক তরুণের মৃত্যু হয়। ২০ এপ্রিল বাঘা উপজেলায় নদীতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। ১৯ এপ্রিল একই উপজেলায় এক শিশু নদীতে ডুবে মারা যায়। তার আগে ১৪ এপ্রিল আরও দুই শিশু পদ্মা নদীতে ডুবে মারা যায়। সবশেষ গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাট এলাকায় নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।


আরও খবর



ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১৮জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:বুধবার (৮ মে) বিকেল ৪ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাব-এডিটর'স কাউন্সিলের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ সংগঠন ঝিকুট ফাউন্ডেশনের অর্থ সম্পাদক সাইয়্যেদুল বাসারের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে মতবিনিময়ে উপস্থিত  ছিলেন ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, দৈনিক স্বাধীন সংবাদের সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ, ঝিকুট ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মো. নয়ন মিয়া, সদস্য মো. মোয়াজ, সদস্য মো. রবিন প্রমুখ।

ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আশরাফ ইকবাল বলেন সারাদেশে যৌথভাবে কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এ মতবিনিময় ঝিকুট ফাউন্ডেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আরও খবর