Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

জিৎ নায়ক হিসেবে ২১ বছর পূর্তি যা বললেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৮৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:২০০২ সালের ১৪ জুন মুক্তি পেয়েছিল হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘সাথী’। ছবিটিতে অভিনয়ের মাধ্যমে শোবিজে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পা রাখেন জিৎ। প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদীর সঙ্গে জিতের গড়া জুটি টলিউডের বক্স অফিসে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। একটানা ২৫ সপ্তাহ হাউসফুল হয় ছবিটি। এ ছবির পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জিৎকে।

বুধবার নায়ক হিসেবে ২১ বছর পূর্ণ করলেন জিৎ। এই বিশেষ দিনটিকে ঘিরে তার আবেগের কথা অনেকেই জানেন। একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি ‘সাথী’ ছবি শুটিংয়ের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন। আজও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে স্মৃতিকাতরতায় ভাসলেন জিৎ।

টুইটারে দেওয়া পোস্টে জিৎ লেখেন, ‘আপনাদের সঙ্গে ২১টা বছর কেটে গেল, কিন্তু তারপরও মনে হয় সবে মাত্র শুরু করেছি। আমার মনে শুধুমাত্র আপনাদের মনোরঞ্জন করার লক্ষ্যে অগণিত স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষা লালন করছি।’ এরই পাশাপাশি নিজের পোস্টে তার এই সুদীর্ঘ সফরে ভক্তদের পাশে থাকার জন্যও ধন্যবাদ জানিয়েছেন জিৎ।

জিতের শেষ ছবি ‘চেঙ্গিজ’ সর্বভারতীয় স্তরে মুক্তি পেয়েছিল। ছবির সাফল্যের পর আপাতত ‘মানুষ’ ছবির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। ‘বুমেরাং’ নামের আরেকটি ছবির পরিকল্পনাও তার করা হয়ে গেছে।

টলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন ‘বস’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ছবি নিয়ে আসার পরিকল্পনা শুরু করেছেন জিৎ। ‘বস ৩’ পরিচালনা করার কথা পরিচালক বাবা যাদবের। এই প্রসঙ্গে জিতের প্রযোজনা সংস্থা আপাতত মুখে কুলুপ আঁটলেও আনন্দবাজার অনলাইনকে বাবা যাদব বলেছিলেন, ‘জিৎদার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকে। ‘‘বস’’ সফল একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাই তার পরবর্তী ছবি তো আসতেই পারে। অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি।


আরও খবর



হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে তৃতীয় রুয়েট

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাক এই চারটি গ্রুপে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পরবর্তীতে তাঁদের মধ্য থেকে শীর্ষ বারোজন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে, আরেকটি দল যোগ দেয় কম্পিউটিং ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আরও একটি দল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল যোগ দেয় ক্লাউড ট্র্যাকে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে।

বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাঁদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

রুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। ষ্টেজে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ান আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিলো। এমন অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা হুয়াওয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।“

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ”হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাঁদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবো।”

রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাকার্তার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্বিত বোধ করছি। আমি লক্ষ্য করেছি যে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।”

গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের ৫০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে। শুরুর পর এটি হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অফলাইন গ্লোবাল ফাইনালে পরিণত হতে যাচ্ছে। “কানেকশন, গ্লোরি, অ্যান্ড ফিউচার” থিমের এই ইভেন্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।


আরও খবর



প্রচন্ড তাপমাত্রায় স্কুল কলেজ বন্ধ চলছে কোচিং সেন্টার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:প্রচন্ড গরমের তাপমাত্রায় স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও এক প্রকার দাপটের সাথেই চলছে কোচিং সেন্টার। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় সরকার স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলেও কোচিং সেন্টার খোলা থাকায় ব্যবস্হা নেয়ার দাবী জানান অনেকেই।নিত্যদিনের ন্যায় গতকালও শহরের ৮ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার চিত্র চোখে পড়ে।

দেখা গেছে কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীরা গদাগদি করে বসে আছে। অনেকের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। অনেক অভিভাবক বলছেন,এই প্রচন্ড গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলে ভালো হতো। কোচিং সেন্টার খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে না থেকে কোচিং সেন্টারে ছুটছে।

৮ নং ওয়ার্ডে কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা অনেক শিক্ষার্থী বলছেন,গরমে বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না। এরপরেও মেধার বিকাশ করতেই যেতে হচ্ছে সেখানে। এমনিতেই প্রচন্ড গরম এরপর কোচিং সেন্টারে গদাগদি করে বসলে সারা শরীর থেকে ঘাম ঝরে। কোচিং সেন্টারের সারেরা যদি এই প্রচন্ড গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতেন, তাহলে খুব ভালো হতো।আবার কেউ কেউ বলছেন, স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারছি না। কোচিংয়ের কারনে পড়াশোনা অনেকটা এগিয়ে গেছে। স্কুল কলেজ খোলার সাথে সাথে পরিক্ষা। কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা না করলে পরিক্ষায় লিখতে পারবো না।

গরমে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও কোচিং সেন্টার কেন খোলা রেখেছেন জানতে চাইলে সৈয়দপুর শহরের ডাক বাংলা সংলগ্ন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জাবেদ আকতারি জানান, সৈয়দপুরের অনেকেই তো কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন। গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে তা জানা ছিল না। তাছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক।  সকলের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে আমি ও বন্ধ রাখবো। তবে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সাথে সাথে যদি কোচিং সেন্টার ও বন্ধ থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেই।

সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম  জানান,যারা সরকারের নির্দেশ অমান্য করে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন তারা নীতিবহির্ভূত কাজ করছেন। সরকারের নির্দেশ কে সম্মান জানিয়ে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রচন্ড গরমের দিন গুলোতে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার দাবী জানান তিনি। এরপরেও যদি কেউ কোচিং সেন্টার খোলা রাখেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। 

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




মাদক ও আটক বাণিজ্যর অভিযোগে গোদাগাড়ী থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃমাদকের সাথে জড়িত ও আটক বাণিজ্যর অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। সোমবার জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ৫জন দারগা ও একজন কনেস্টবলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হচ্ছে,থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আকরামুজ্জামান, উপ-পরিদর্শক(এসআই)সত্যব্রত,সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই)আব্দুল করিম. সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই)মঞ্জুরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই)রঞ্জু,ও কনেস্টবল মাহবুব।পুলিশের একটি সূত্র জানায়,রোববার বিকালে পুলিশ সাইফুর রহমান (পিপিএম)গোদাগাড়ী মডেল থানা পরিদর্শনে এসে ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যদের অপরাধ সম্পর্কে অবহিত হন। এরপর ফিরে গিয়ে ৬জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।গোদাগাড়ী মডেল অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আব্দুল মতিন বলেন,৬জন পুলিশ সদস্যকে রাতেই থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া ৬জন পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসায়ীদের মাসোয়াহারা নিয়ে সহযোগিতা আটক করে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ আছে পুলিশ সুপারের কাছে বলে পুলিশ একটি সূত্র জানায়। রোববার সকালে দিকে চাপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কোদালকাটি গ্রামের বাদেফুল ইমলামের ছেলে আব্দুস সামাদ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ৩ লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় এসআই আকরামুজ্জামান। আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।এর আগে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর ছেলেকে আটককেরে অভিযোগে রোববার গোদাগাড়ী মডেল থানার প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রর ৪জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে করা হয়। প্রত্যাহার হওয়া চার সদস্যরা হলেন,প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন।



আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ২৫৭ পিস ইয়াবা, ১৫৩ গ্রাম হেরোইন, ১৩ কেজি ৭০ গ্রাম গাঁজা ও ২১৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

সোমবার (৬ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপি জানায়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার (৫ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২২টি মামলা রুজু হয়েছে।


আরও খবর



দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই,বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপ্রধান এ কথা বলেন।

তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং সর্বস্তরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ৭১ এর পরাজিত শক্তি ঘাতক-দালালদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর দর্শন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতার বোধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ারও তাগিদ দেন।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডিজিটাল মাধ্যম ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। মনন, বোধ ও জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বুকে লালন করে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ২১ বছর পর ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে শুরু হয়ে এ আন্দোলনের প্রাজ্ঞ নেতারা প্রায় ৩৩ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এ সংগঠনকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই নয়, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এ মহাসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি আশা করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও ঘাতক-দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাসহ আমাদের সাফল্য ম্লান করে দিতে অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হলেও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কাজ কখনো শেষ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে উজ্জ্বলভাবে কার্যকর থাকবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ও তথ্য-প্রযুক্তির নানা সূচকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। এ অগ্রযাত্রার পথে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব এবং জঙ্গিবাদের প্রতি তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও ডিজিটাল বিপ্লবের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।


আরও খবর