Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জি এম কাদের জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকছেন : হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩০৪জন দেখেছেন

Image

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটি স্থগিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জি এম কাদেরের দলীয় দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা রইলো না।

আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। পরে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

গত ৪ অক্টোবর জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা এবং দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জি এম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন

পরে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জি এম কাদেরের পক্ষে আবেদন করেন। আবেদনে জি এম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।

গত ২৪ নভেম্বর এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য জেলা জজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জি এম কাদের।

মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

মামলায় আরও বলা হয়, গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়, যা অবৈধ-উল্লেখ করা হয় মামলায়।

২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়।


আরও খবর



নবীনগর বিদ্যাকুটে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে,অগ্নিকান্ডে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর বিদ্যাকুটে অগ্নিকান্ডে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল সহ বসতঘর পুরে ছাই।

উপজেলা বিদ্যাকুট  পশ্চিম পাড়ার একটি  বসত ঘরে অগ্নিকান্ডে নগদ অর্থ স্বর্ণলংকার সহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল সহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েগেছে ।

গেল শুক্রবার দিবাগত রাত, ৮ ঘটিকায় ওয়াহেদ ডিলারের বাড়ির , মরহুম আবু তাহেরের বসতঘরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।


স্থানীয়রা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৮ ঘটিকায় পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে,  বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়,  অগ্নিকান্ডে একটি , বসতঘরের টিভি, ফ্রিজ ও ৪ ডাম চাওলা ,নগদ টাকা ও আসবাবপত্র ও সর্ণলংকার সহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সম্পুর্ণ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 


মসজিদের মাইকে এলান করার পর প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে , এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে পারেনি , দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতেছে ৷ ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়নি পাকা বিটির  চৌচালা টিনের ঘরের আধুনিক সব সরঞ্জামাদি সহ আসবাবপত্র,


পড়ে খবর পেয়ে নবীনগরের ফায়ার সার্ভিসের ১ টি ইউনিট, ও স্থানীয়রা এসে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মরহুম আবু তাহেরের স্ত্রী বলেন , প্রায় এক বছর পূর্বে  আমার জমি বিক্রি করে  ২২ লাখ টাকা দিয়ে ঘর নির্মাণ করেছিলাম, 


গত রাতে আগুন লেগে আমার বসতঘরের টিভি, ফ্রিজ ও ৪ ডাম চাওলা ,নগদ টাকা ও আসবাবপত্র ও সর্ণলংকার সহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সম্পুর্ণ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।


আমি আমার ঘরে নামাজ পড়তে ছিলাম।হঠাৎ একটি শব্দ শুনতে পাই, বের হয়ে দেখি আমার ঘরে আগুণ লেগেছে।আমি চিৎকার করতে দেখে গ্রামের লোকজন আগুন নিবানোর জন্য আসে।আগুন নিবানো হলেও আমার ঘরে আর কিছুই নেই সবই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।আমার শরীরে থাকা কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



জমে উঠেছে আমতলীর ঈদ বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:জমে উঠেছে আমতলীর ঈদ বাজার। শিশু, নারী-পুরুষের পদচারনায় সরগরম বিপণি বিতানগুলো। সবচেয়ে কদর বেশী ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানী পোষাকের। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মত জামা-জুতা পোশাক-প্রসাধনী ঈদপন্য কিনছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ও তত বাড়ছে। এছাড়া পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত টেইলার্স কারিগড়রা। রাত জেগে তারা কাজ করছে।

জানাগেছে, এ বছর ১৫ রোজা থেকে আমতলীর ঈদ বাজার জমে উঠেছে।সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। ঈদ বাজারে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানী পোশাকের চাহিদা বেশী। ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগের চাহিদা বেশী।

প্রতিপ্রিস ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ীর প্রতি গৃহবধুদের আকর্ষণ বেশী। এ শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমতলীর বাজারে ধুপিয়ানা, কাঞ্চিভরাম কাতান ও প্রিন্ট কাতান এবং ভিপুল, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল, আয়রা, মাসাল, তাওয়াক্কাল, দিল্লি বুটিক্স ও লরস থ্রি পিস বেশী বিক্রি হচ্ছে। প্রকার ভেদে এ সকল থ্রি পিস ও শাড়ী ২ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ৫’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের সেলসম্যান বাসু ও মোশাররফ হোসেন বলেন, ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগের চাহিদা বেশী। প্রতিপ্রিস ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি করছি। অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ীর প্রতি গৃহবধুদের আকর্ষণ বেশী। এ শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি করছি। তারা আরো বলেন, ধুপিয়ানা, কাঞ্চিভরাম কাতান ও প্রিন্ট কাতান এবং ভিপুল, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল, আয়রা, মাসাল, তাওয়াক্কাল, দিল্লি বুটিক্স ও লরস থ্রিপিস বেশী বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখাগেছে, ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ, অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধুপিয়ান শাড়ী ৭ হাজার ৫’শ থেকে ৮ হাজার, কাঞ্চিভরাম কাতান ৩ হাজার ৫’শ থেকে ৭ হাজার ৫’শ ও প্রিন্ট কাতান শাড়ী ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১০ হাজার ৫’শ এবং ভিপুল থ্রিপিস ২ হাজার ৫’শ থেকে ৫ হাজার ৫’শ, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ৫’শ, আয়রা ৩ হাজার ৫’শ থেকে ৭ হাজার ৫’শ, মাসাল ৩ হাজার ২’শ থেকে ৫ হাজার ৫’শ, দিল্লি বুটিক্স ৬ হাজার থেকে ১৫ হাজার, তাওয়াক্কাল ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ও লরস ৬ হাজার ৫’শ থেকে ৮ হাজার ৫’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আমতলী পৌর শহরের তানিয়া বলেন, এ বছর পোশাকের ধরন বদলে গেছে এবং দামও একটু বেশী। ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগ ৬ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। তিনি আরো বলেন, দাম একটু বেশী হলেও ভালো মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতা মরিয়াম ও পূর্ণতা বলেন, নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয় থেকে পোশাক ক্রয় করেছি। চাহিদামত মালামাল পাওয়া যায়। নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের পরিচালক জিএম মুছা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি অনেক ভালো। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। সেলসম্যানদের ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার আমতলী পৌর শহরের আকন বস্ত্রালয়, মদনমোহন বস্ত্রালয়, সিরাজ উদ্দিন মৃধা বস্ত্রালয়,ইসলামিয়া বস্ত্রালয়, আকন টাওয়ার, সাকিব প্লাজা, আব্দুল্লাহ মার্কেট ও সুমাইয়া কমপ্লেক্স, ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নারী ও পুরুষরা মিলে পছন্দের পোশাক ক্রয় করছে।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে মানুষের বাড়ী ফিরে যেতে যেন সমস্যা না হয়।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণার জন্য ‘২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস’ –এ পুরস্কৃত আইফার্মার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সদ্য অনুষ্ঠিত অ্যালায়েন্স ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন (এএফআই) ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ বৈশ্বিক বিজয়ী (গ্লোবাল উইনার) হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আইফার্মার লিমিটেড।

অর্থায়ন পাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর, কৃষি সামগ্রী সংগ্রহ আরও সুবিধাজনক, বিশেষজ্ঞ কৃষি- পরামর্শ সেবা প্রদান এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে আইফার্মার। এই উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজয়ীদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ছিল আইফার্মার।

এএফআই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সদস্যদের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত একটি পলিসি লিডারশিপ অ্যালায়েন্স যা স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক স্তরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ফিনটেক এবং রেগটেক (রেগুলেটরি টেকনোলজি) উদ্ভাবকদের কাজ প্রদর্শন করা হয়। উন্নয়নশীল দেশ এবং উদীয়মান বাজারে নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক সেবা আরও সহজলভ্য করতে এবং পরিষেবাগুলোর মান বৃদ্ধিতে অবদান রাখে এই আয়োজন।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এএফআই সদস্য, ফিনটেক খাত বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষ অতিথিদের বিবেচনার জন্য ফাইনালিস্ট ১২টি প্রতিষ্ঠান এ বছরের এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস ইভেন্টের জন্য তাদের উদ্ভাবন উপস্থাপন (ভার্চুয়ালি) করে। এএফআই সদস্য এবং বিচারকদের নম্বরের ভিত্তিতে তিনজন বিজয়ীকে বেছে নেওয়া হয়। এর মধ্যে আইফার্মার প্রথম স্থান, মোসাবি (সিয়েরা লিওন) দ্বিতীয় স্থান এবং রেভফিন (ভারত) তৃতীয় স্থান অর্জন করে। সকল বিজয়ী এল সালভাদোরে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৪ এএফআই গ্লোবাল পলিসি ফোরামে আমন্ত্রণ, এক বছরের জন্য এএফআই এর পাবলিক-প্রাইভেট ডায়ালগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং লুক্সেমবার্গ হাউস অফ ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজিতে এক বছরের জন্য সদস্যপদ পাবেন।

ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস ইভেন্টে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিত্ব করেন আইফার্মারের হেড অফ নিউ বিজনেস অপরচুনিটিস মোহাম্মদ ইখতিয়ার সোবহান। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কৃষকরা আমাদের সত্যিকারের নায়ক। তাদের জন্য কিছু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কৃষকদের সহিষ্ণু মনোভাব ও আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাদের কঠোর পরিশ্রমকে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিতে রূপান্তর করতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।”

আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা ফাইনালিস্ট এবং বিজয়ী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। এটি আমাদের আনন্দ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অর্জন কৃষকদের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দেশব্যাপী কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের নিরলস পরিশ্রমের প্রতিফলন। আমরা খুবই আনন্দিত যে, কৃষকদের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার প্রয়াস একটি বৈশ্বিক মঞ্চে সমাদৃত হয়েছে। এই স্বীকৃতি আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও সুসংহত করার জন্য আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।”

২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়।বাকি ফাইনালিস্টদের মধ্যে ছিল - ডটস ফর ইনকর্পোরেটেড (পশ্চিম আফ্রিকা), ইমাইশা পে (আফ্রিকা),জিসেকে+ডেভরিয়েন্ট (জার্মানি), গুডটেক ইনফরমেশন সিস্টেমস ইনকর্পোরেটেড (ফিলিপাইন), হ্যালো ট্র্যাক্টর কেনিয়া লিমিটেড (কেনিয়া), আইফার্মার লিমিটেড (বাংলাদেশ), জুমো (ঘানা), মোসাবি (সিয়েরা লিওন), মাইস্ট্যাশ (নাইজেরিয়া), পারটেন্স (মোজাম্বিক), রেভফিন (ভারত) এবং এক্সচেঞ্জ বক্স সলিউশন (নাইজেরিয়া)।


আরও খবর



১৯ রমজানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণার দাবী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়েছে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’। আজ ৩০ মার্চ, ২০২৪ রোজ- শনিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর সংলগ্ন ঐতিহাসিক শাহবাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে অনুসন্ধিৎসু একদল তরুণের সংগঠন ‘শেকড় সন্ধানী’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।   সভায় আলোচকগণ হিজরী সনের ১৯ রমজানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণা ও পালনের দাবী জানান। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ শফিউর রহমান চৌধুরী এবং অতিথি সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ নিজামুদ্দিন।

শেকড় সন্ধানী’র আহবায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ আসাদুজ্জামান দিবসটির ঐতিহাসিক পটভূমি নিয়ে আলোচনায় বলেন, মধ্যযুগে বাংলা ছিলো এ অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা। কিন্তু ব্রাহ্মণ্যবাদী সেন শাসকরা ক্ষমতা দখলের পর সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়, নিষিদ্ধ করে বাংলা ভাষাকে।   সেন শাসকরা প্রচার করে, “যে বাংলা ভাষায় কথা বলবে সে নরকে যাবে।  সাধারণ মানুষকে দেবতার ভাষা সংস্কৃতিতে কথা বলতে হবে। ” এর মাধ্যমে সেন রাজারা বাংলা ভাষাকে পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ করে।  কিন্তু ৬০১ হিজরী সনের ১৯ রমজান তারিখে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সেন শাসক লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে বাংলাকে মুক্ত করেন।  এর ফলে শুধু ‘বঙ্গ বিজয়’ হয় না, বরং সেন শাসকরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে যে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিলো, তাও উঠে যায়।  অর্থাৎ বাংলা ভাষা আযাদ বা মুক্তি লাভ করে, সাধারণ মানুষ আবারো বাংলা ভাষা ব্যবহার করার স্বাধীনতা পায়।  তাই এ দিনটি বাংলা ভাষার আজাদী’ দিবস, যা সকল বাংলাভাষী মানুষের জন্য স্মরণীয় একটি দিন। 

মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত একটি মধ্যযুগীয় স্বর্ণমুদ্রা থেকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি (রহমতুল্লাহি আলাইহি) কর্তৃক বাংলা বিজয়ের দিন ৬০১ হিজরীর ১৯ রমজান বলে জানা যায়। ঐ সময় এ অঞ্চলে মাস গণনায় হিজরী সন প্রচলিত ছিলো, বাংলা বা গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার ছিলো না। তাই হিজরী সন অনুসারে দিবসটি পালন অধিক যৌক্তিক।

আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট বাংলা ভাষা গবেষক ও গ্রন্থ প্রণেতা মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ যদি না আসতো, তবে হয়ত আমরা এখন বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না, নিজেদের বাঙালী বলে পরিচয় দিতে পারতাম না।  অনেক প্রাকৃত ভাষার মত বাংলা ভাষাও হয়ত হারিয়ে যেতো।  তাই এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।  দিনটির গুরুত্ব অনুধাবন করে তাই আমরা এ দিনটি পালন করছি ।  আমরা চাই, আমাদের মত রাষ্ট্রীয়ভাবেও এ দিনটি পালন করা হোক।  ১৯ রমজান তারিখকে জাতীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণা করা হোক।

আলোচনায় শেকড় সন্ধানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য, ঢাবির অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, বর্তমান নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা নেই বললেই চলে।  আমরা আমাদের সংগঠন শেকড় সন্ধানীর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বাঙালী জাতির শেকড়ে নিয়ে যেতে চাই।  খুঁজে বের করতে চাই, আমাদের প্রকৃত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে।   মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, ঐতিহাসিক ১৯ রমজান দিনটি উদযাপন তাই আমরা কোন হল বা অডিটোরিয়ামে না করে বেছে নিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থিত মুঘল স্থাপত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহাসিক নির্দশন হযরত হাজী খাজা  শাহবাজ রাহ: জামে মসজিদ প্রাঙ্গণকে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে দোয়েল চত্বর সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৪শ’ বছরের পুরাতন এমন একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা আছে, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জানেন না।  আমরা চাই, নতুন প্রজন্ম এসব ঐতিহাসিক নির্দশনগুলো সম্পর্কে জেনে তাদের শেকড়ের সন্ধান লাভ করুক।

আলোচনা সভা শেষে প্রায় ৪শ’ অতিথিকে নিয়ে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় দেশ, জাতি ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

আরও খবর