Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

জায়েদ সায়ন্তিকা, চুক্তিবদ্ধ হলেন দ্বিতীয় ছবিতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ২৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যেন মেঘ না চাইতেই জল পেলেন কলকাতার মাঝারি মানের জনপ্রিয় নায়িকা সায়ন্তিকা ব্যানার্জী। টলিউডের সিনেমায় হারিয়ে যেতে বসেছেন তিনি। অভিনয়ের সুযোগ তেমন একটা মেলে না। তাই পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের হয়ে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন। সেখানেও তিনি ফ্লপ!

ক্যারিয়ারের এই পড়তি সময়ে সুযোগ পেয়ে যান বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করার। জুটি বাঁধেন জায়েদ খানের সঙ্গে। তাজু কামরুল পরিচালিত ছবির নাম ‘ছায়াবাজ’। কক্সবাজারে সিনেমাটির প্রথম লটের কাজ শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফেরেন তারা।

মজার ব্যাপার হলো, ঢাকায় ফিরেই বিমানবন্দরেই নতুন আরেকটি ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হন জায়েদ-সায়ন্তিকা। ‘টাইগার’ শিরোনামের ছবিটি পরিচালনা করবেন কামরুজ্জামান রুমান। 

ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার নতুন সিনেমার জন্য জায়েদ খানকে কয়েকদিন আগেই চুক্তিবদ্ধ করিয়েছি। বৃহস্পতিবার তার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে সায়ন্তিকার সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করলাম। অন্য একটি ছবির প্রথম লটের শুটিং শেষ করে উভয় আজ ঢাকায় ফেরেন। সায়ন্তিকাও কলকাতায় চলে যাবেন। তার আগে বিমানবন্দরেই তাকে চুক্তি সাক্ষর করাই। চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে সিনেমাটির শুটিং শুরু করব। পাঁচ দিনের শুটিং বাংলাদেশে করার পর বাকী অংশের শুটিং হবে লন্ডনে।

এদিকে ঢালিউডে এখনও পায়ের তলার মাটি শক্ত হয়নি জায়েদ খানের। এখন পর্যন্ত কোনো ছবি ব্যবসায়ীকভাবে সফল হয়নি তার। এই অবস্থার মধ্যে কলকাতার একজন পড়তি নায়িকার সঙ্গে পর পর দুটি ছবিতে জুটি বেঁধে বেজায় উচ্ছ্বসিত তিনি। 

জায়েদ বলেন, “সবাই জানেন সায়ন্তিকা আর আমি কক্সবাজারে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং করছি। প্রথম লটের শুটিং শেষ করে আজ ঢাকায় ফেরা মাত্রই পরিচালক রুমান ভাই আমাকে নতুন ছবি উপহার দিলেন। এই ছবিতেও আমার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে থাকবেন কলকাতার সায়ন্তিকা।

অন্যদিকে জায়েদ খানের সঙ্গে আরেকটি ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়ে আরও বেশি খুশি টলিউডে পড়তি নায়িকাদের তালিকায় নাম লেখানো সায়ন্তিকা। বাংলাদেশের এই নায়কের প্রশংসা ঝরে পড়ল তার কণ্ঠে। 

সায়ন্তিকার কথায়, ‘প্রথম সিনেমাটির শুটিং করতে এসেই জায়েদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়ে গেছে। দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ তার। ওর ব্যবহারে আমি মুগ্ধ। তাই দ্বিতীয় ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে খুব একটা ভাবতে হয়নি।

গোল্ড মাল্টিমিডিয়া মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত হবে ‘টাইগার’। ২০২৪ সালের শুরুর দিকেই সিনেমাটি মুক্তির ইচ্ছা পরিচালকের।  


আরও খবর



নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আবুল হাসান (২৫) নামে এক আরবী শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের আরবী শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে আরবী পড়তে যান একই গ্রামের ভুক্তভোগী ৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। ওইদিন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে দেরী করায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়ে সবাইকে আরবী পড়াতে শুরু করেন আবুল হোসেন। পড়া শেষে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল হক। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা এমন জঘন্য ন্যাক্কার অসামাজিক ঘটনা ঘটানোর আগে অন্তত হাজার বার ভাববে।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষক আবুল হাসান ন্যায় বিচার পাননি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


আরও খবর



গ্যাস পাইপলাইনের জরুরী শাটডাউন বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৩৫৩জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃগ্যাস পাইপলাইনের জরুরী কাজের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল,২০২৪ তারিখ রোজ শনিবার বেলা ১২:০০ ঘটিকা হতে দুপুর ০২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত ০২(দুই) ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ-এর  নয়াপুর, কুতুবপুর, আড়াইহাজার রোড, মদনপুর হতে লাঙ্গলবন্দ ব্রীজ , বন্দর, কাঁচপুর ও যাত্রামুড়া এলাকায় সকল শ্রেণির গ্রাহকর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া, উক্ত সময়ে আশেপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত - তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ।


আরও খবর



রাজধানীর চার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি,বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান । ঢাকার ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে৷ এছাড়া যারা কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা তাদেরও তালিকা করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে। কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়টি নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি’র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়। কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জি এম তসলিম, জিয়া খান, অনিমেষ কর ও কাওসার সোহেলী।


আরও খবর



তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ২লাখ টাকা মূল্যের ফুছকা, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে ১৫টি অটোরিক্সা বোঝাই করে নিয়েগেছে চোরাকারবারী বুটকুন মিয়া, জাহেদ আলী ও জাহাঙ্গীর মিয়াগং।

অন্যদিকে এই সীমান্তের কড়ইগড়া ও রাজাই এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া পৃথক ভাবে ৫টি গরু, ২টি ঘোড়া, ১৫০বস্তা চিনি, ২৭৫ বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করে।

এছাড়াও নয়াছড়া, গারো ছড়া ও রজনী লাইন এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল মিয়া, জামাল মিয়া, হারুন, রুসমত আলী, মিলন মিয়া, জম্মত আলীগং প্রায় ২শ মেঃ টন কয়লা পাচাঁর করে অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলে পরিবহন করে পাশে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজ ও তার আশে পাশে নিয়ে মজুত করে। একই ভাবে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী, মহিবুর মিয়া ও রুবেল মিয়াগং ঠেলাগাড়ি দিয়ে প্রায় ৫০ মেঃটন চুনাপাথর ও ১শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে একই স্থানে মজুত করেছে। অন্যদিকে পাশের লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, শাহিদাবাদ, পুরান লাউড় ও দশঘর এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী

বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং অবাধে কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পাচাঁর করলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একই ভাবে চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ১শ টন কয়লা, ৮০ বস্তা চিনি ও ১২০ বস্তা পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়া ও নজির মিয়াগং প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বিভিন্ন বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এছাড়া বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়াগং প্রায় ৪হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে দুধের আউটা, বানিয়াগাঁও, তেলিগাঁও, লাকমা ও জামালপুর গ্রামের বিভিন্ন বাড়িঘরে মজুত করে রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে চাঁনপুর সীমান্তের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- চোরাকারবারীরা সীমান্তের বারেকটিলার আনন্দপুর এলাকা দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ২০লাখ টাকার ফুছকা পাচাঁর করে অটোরিক্সা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকা লোক নিয়ে আটক করে, চাঁনপুর ক্যাম্পের কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিতকে বারবার ফোন করার পরও রিসিভ করেনি। পরে চোরাকারবারীরা জোর করে মালামাল নিয়ে চলে যায়। এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারছি ৫০হাজার টাকা দিয়ে বিজিবিকে ম্যানেজ করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। সুনামগঞ্জ জেলার সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন-রাতে চোরাচালানের খবর পেয়ে লাউড়গড় ও চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বারবার জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত বলেন- রাতে আমি ক্যাম্পে ছিলাম, বাহিরে টহল ছিল। চোরাই পথে অবৈধ ভাবে কোন মালামাল পাচাঁরের খবর পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।


আরও খবর



যে তিন ফিচারের জন্য অনন্য ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২৪: সম্প্রতি নোট ৪০ প্রো স্মার্টফোন বাজারে এনে সাড়া ফেলেছে তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ফোনটিতে যুক্ত করা হয়েছে বেশ কিছু উদ্ভাবনী প্রযুক্তি। এই ফিচারগুলোই বাজেটের মধ্যে সেরা স্মার্টফোন বেছে নিতে তরুণদের আকৃষ্ট  করছে। 

নোট ৪০ প্রো-র আলোচিত ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেটিক চার্জিং, থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে এবং ১০৮ মেগাপিক্সেলের ওআইএস ক্যামেরা। এই ফিচারগুলো নিয়ে মিড-বাজেটের স্মার্টফোন বাজারে অনন্য অবস্থানে আছে ফোনটি।

ইনফিনিক্সের এই ফোনটিতে রয়েছে ‘অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০’। এই চার্জিং প্রযুক্তি পরিচালিত হয় ইনিফিক্সের তৈরি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ ‘চিতা এক্সওয়ান’ দিয়ে। অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ এর নতুন এই সংস্করণের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্রথমবারের মতো  ম্যাগনেটিক চার্জিং সিস্টেম ‘ম্যাগচার্জ’ যুক্ত করেছে ইনফিনিক্স। এতে আছে ২০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং সুবিধা।

ইনফিনিক্স ম্যাগকিটের সঙ্গে ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন একটি ম্যাগকেস এবং একটি ম্যাগপাওয়ার। ম্যাগপাওয়ার নামের এই বহনযোগ্য পাওয়ার ব্যাংকটি ফোনের কেসের সঙ্গে লাগিয়ে যেকোনো সময় ফোন চার্জ করা যায়। ফলে, ব্যবহারকারীদের আর তারযুক্ত চার্জার বহনের ঝক্কি পোহাতে হয় না। একই সঙ্গে চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া নিয়েও পড়তে হয় না দুশ্চিন্তায়। নোট ৪০ প্রো-এর সঙ্গে আরও আছে ৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্টচার্জার। এই চার্জার দিয়ে ফোনটির ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারিকে মাত্র ২০ মিনিটে ৫০% চার্জ করা যায়।

নোট ৪০ প্রো ফোনটি দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। এর ৬.৭৮ ইঞ্চির থ্রিডি কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে এমনভাবে তৈরি যে দেখলে মনে হয় পুরোটাই স্ক্রিন। ফুল এইচডি+ এই ডিসপ্লের বেজেল বেশ সরু বা আল্ট্রা-ন্যারো। স্বচ্ছন্দ্যে স্ক্রলিং এবং দুর্দান্ত ভিজ্যুয়ালের জন্য এতে দেয়া হয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ১০৮০ পিক্সেল রেজ্যুলেশন।

ডিসপ্লে প্রোটেকশনের জন্য আছে কর্নিং গোরিলা গ্লাস। ফলে, ফোনের দাগ পড়া এবং কোমরসমান উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা সহজেই সামাল দেওয়া যায়। এর উন্নত ডিসপ্লেতে ঘরে ও বাইরে উভয় জায়গাতেই উজ্জ্বল রং ও পরিষ্কার কন্টেন্ট উপভোগ করা যায়।

ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের মাধ্যমে ডিজাইনের ক্ষেত্রে কোনো আপোস না করেই এতে যুক্ত হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। স্ক্রিনের নিচের দিকে স্থাপন করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ডিভাইসে দ্রুত ও নিরাপদ অ্যাক্সেস সুবিধা দেয়।

ফটোগ্রাফিপ্রেমীদের জন্য নোট ৪০ প্রো-তে আছে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশনযুক্ত (ওআইএস) ১০৮ মেগাপিক্সেলের হাই-রেজ্যুলেশনের প্রধান ক্যামেরা। ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ছবির মান থাকে অক্ষুণ্ন। ৩x (থ্রিএক্স) লসলেস জুমের ফলে ছবির মান বজায় রেখেই ব্যবহারকারীরা সাবজেক্টের ক্লোজ শট নিতে পারেন।

ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড দুটি স্টাইলিশ রঙে পাওয়া যাচ্ছে। ডিভাইসটির ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতা এবং ১২ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার দুটি সংস্করণের বাজারমূল্য যথাক্রমে ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ৩৪,৯৯৯ টাকা।


আরও খবর