Logo
আজঃ সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
শিরোনাম

জামিননামা দাখিল করে জামিন চাইলেন প্রথম আলোর সম্পাদক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৫৪জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: রাজধানীর রমনা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান জামিননামা দাখিল করে জামিন চেয়েছেন। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিননামা দাখিলের অনুমতি চান। সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীর মাধ্যমে তিনি এ আবেদন করেন।

বিচারক মো. আছাদুজ্জামান শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিননামা দাখিলের অনুমতি দেন। এরপর আইনজীবীরা আসামি পক্ষে আত্মসমর্পণ পূর্বক একটি জামিনের আবেদন দাখিল করেন।

এর আগে গত ২ এপ্রিল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। সে অনুযায়ী আদালত আগামী ১৬ আগস্ট এ আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে সিএমএম আদালত থেকে মামলার নথি তলব করেন। ওইদিন পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এসব তথ্য জানান।

এর আগে গত ২৯ মার্চ রাতে রমনা থানায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইনজীবী আবদুল মালেক। এ মামলায় পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস ও ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়।

মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ আনেন বাদী আব্দুল মালেক। এ মামলায় শামসুজ্জামানও জামিনে আছেন।


আরও খবর



সালাউদ্দিনসহ বাফুফে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধানের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ সংস্থাটির অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।  

এর আগে রোববার (১৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।

বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে ৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন সায়েদুল হক। এতে ফল না পেয়ে তিনি রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম নিতে অনুসন্ধানে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে ব্যাপারে রুল চাওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ৩ মে দুদকে করা রিট আবেদনকারীর আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে সংস্থাটির (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: লিভ টু আপিল খারিজ, আইনজীবীকে লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদকরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদ শূন্য ঘোষণা ও নির্বাচন নিয়ে রিট খারিজের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলও খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রিট আবেদনকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এতে বলা হয়েছে, অযৌক্তিক রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করায় আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।   

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গত ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

পরে ১৫ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রিটটি সরাসরি খারিজ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপন বৈধ।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি পদে সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা সংক্রান্ত ইসির প্রজ্ঞাপন নিয়ে আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী গত ১২ মার্চ পৃথক রিট করেন। ১৩ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটটি জমা দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন।

ওইদিন পৃথক দুটি রিটের ওপর শুনানি নিয়ে সেগুলো খারিজ করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। রিট দুটি খারিজ করে হাইকোর্ট অভিমত দেন, রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘দ্য অফিস অব প্রফিট’ ধারণ করেন, কিন্তু এটি প্রজাতন্ত্রের কর্মে একটি লাভজনক (অফিস অব প্রফিট) পদ নয়। রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণের পদ্ধতি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে অন্যদের নিয়োগের মতো নয়। তদুপরি প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের যেসব বিধান ও নিয়ম রয়েছে, সেগুলো রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।


আরও খবর



মাগুরায় বেঞ্চ আকারে গণশুনানী নেন জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: ১০ মে ২০২৩ তারিখ বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে বেঞ্চ আকারে গণশুনানি নেন মাগুরার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। বুধবার ১০ মে এ গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

 জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে অনুষ্ঠিত এ গণ শুনানী কালে উপস্থিত ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,   মো: তোফাজ্জল হোসেন; জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ), মাগুরা  মো: ফরিদুজ্জামান; মেয়র, মাগুরা পৌরসভা  খুরশীদ হায়দার টুটুল; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, (রাজস্ব)  প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস; উপপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর  মো: আশাদুল ইসলাম প্রমুখ।

গণশুনানিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বিভিন্ন বিষয় যেমন: জায়গা-জমি সংক্রান্ত, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত, অভিযোগ সংক্রান্ত, আর্থিক বা অন্যান্য সাহায্য সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সংকট নিরসনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট হাজির হয়।

বেঞ্চ আকারে গণশুনানি নেয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন যে, সাধারণ জনগণ প্রায় সময় এমন ধরনের সমস্যা নিয়ে আসেন যেগুলোর সাথে অন্যান্য দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সাধারণ জনগণের এই ধরনের  সমস্যা লাঘবে তিনি জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের মাধ্যমে গণশুনানি নেন। গণশুনানিতে উপস্থিত দপ্তরপ্রধানগণ তাদের দপ্তর সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সেগুলোর আশু সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এতে করে সাধারণ জনগণ অতি দ্রুত তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে।

উন্মুক্ত পরিবেশে বেঞ্চ আকারে গণশুনানি নেয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আরও বলেন যে, প্রায় সময় দেখা যায় কিছু মানুষ আছেন যারা বার্ধক্যজনিত কারণে বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে দোতলায় উঠে জেলা প্রশাসকের অফিসকক্ষ পর্যন্ত যেতে পারেন না বা যেতে পারলেও অনেক কষ্ট করতে হয়। তাদের এই কষ্টের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই তিনি অফিস প্রাঙ্গণে গণশুনানি নেন যাতে তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করা যায়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, উন্মুক্ত পরিবেশে বেঞ্চ আকারে গণশুনানি নেয়াটা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে যাতে করে সাধারণ জনগণের কাছে খুব সহজেই তাদের প্রাপ্য সেবাটা পৌঁছে দেয়া যায়।

আরও খবর



জামায়াতের বিচার নিয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতাদের বিচারে সরকারের আন্তরিকতা নেই, এই প্রশ্ন করা দুঃখের বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগের জন্য অন্য যে কোনো সরকারের চেয়ে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। বিচারকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আপনাদের দায়িত্ব মানুষ যেন দ্রুত বিচার পায় সেটি নিশ্চিত করা।

বিচারকদের উদ্দেশে আনিসুল হক বলেন, ‘জুডিশিয়াল ডিসিশন (সর্বোচ্চ আদালতের রায়, সিদ্ধান্ত) মেনে চলে মামলাজট নিরসনে ভূমিকা পালন করতে হবে।

জামায়াত ইসলামীর নেতাদের বিচারে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করেছে। তাই জামায়াতের বিচারে সরকারের আন্তরিকতা নেই, এ প্রশ্ন করাও আমাদের জন্য দুঃখের। জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



কুয়াকাটায় নিরাপত্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক ২দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কোর্স শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

রাসেল কবির মুরাদ কলাপাড়(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক আয়োজিত ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সদস্যদের নিয়ে জোন ভিত্তিক পর্যটন গন্তব্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রশিক্ষন উদ্বোধন করা হয়। সোমবার সকাল থেকে ২ দিনব্যাপী কুয়াকাটা পৌরসভা মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা, পিপিএম (বার)।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার , কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব মো. নাসির উদ্দিন বিপ্লব। প্রশিক্ষণে কোর্সে ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, কুয়াকাটা সী- বীচে দিন দিন পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিস্ট স্পটসমুহ নিরাপদ রাখার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। পর্যটকদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে পর্যটক বান্ধব পুলিশ হিসেবে কাজ করবে। এ প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের পেশাগত মান দক্ষতা বৃদ্ধি করা।

স্থানীয় সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ জেনে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের একজন দক্ষ সদস্য হিসেবে গড়ে তুলবে । ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা একজন এম্বাসেডর, একজন গাইড হিসেবে কাজ করে সেবার মানকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই ট্যুরিস্ট পুলিশ সৃষ্টি করেছেন। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলিতে ট্যুরিজম সেক্টর অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখছে। বাংলাদেশেও পর্যটন সেক্টর এর মাধ্যমে জিডিপিসহ অর্থনীতিতে আরো অনেক বেশি অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ অতিথি কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন জানান, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ দিন-রাত্রী নিরলসভাবে কাজ করছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ আছে বলেই এখন পর্যটক দর্শনার্থীরা নির্বিঘেœ এবং সুন্দর পরিবেশে কুয়াকাটায় ভ্রমণ করতে পারছেন।

এ প্রশিক্ষণ পর্যটন এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করবে। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক নাসির উদ্দিন বিপ্লব জানায়, কুয়াকাটায় বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের কাঙ্খিত সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। নারী-শিশুসহ আগত পর্যটকদের সাথে ট্যুরিস্ট পুলিশের আন্তরিকতা বৃদ্ধি করতে এ প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। প্রশিক্ষণ কোর্সের সভাপতি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তারা কর্মক্ষেত্র তথা কুয়াকাটা সী-বীচ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে এবং স্থানীয় সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে সমন্বিতভাবে কাজ করে বাংলাদেশের ইকোনমিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।


আরও খবর